|
রোহিঙ্গা কাহিনী
এ,কে,এম,নূরুন্নবী
প্রবঞ্চনার মর্মরনিশ্বাসে নির্বাক গৃহহীন মানুষ
ব্যগ্রতায় যারা
মানবিক মূল্যবোধে তৃষ্ণা জেগে বেদনায়
ঝড়ায় অশ্রুধারা ।
যে দেশে যে ক্ষণে তরুণ তরুণী জন্মে
হয়েছে অপমান
স্বদেশ প্রীতিমান আনুভব করেও দাও
নেই কেন স্থান।
মর্যদায় রুদ্ররোষে রোহিঙ্গারা আজ আখি
জলে ভাসি
রাষ্ট্রীয় বঞ্চনায় হয়েছে তারা অবহেলিত
দাসত্বের মিথ্যাভাষী।
অন্ধকার ঘোরে জীবনে নেই বেঁচে থাকার
তাদের অধিকার
রাষ্ট্রীয় বোঝা স্বরূপ স্বীকৃতি পেল এটাই কি
তোমাদের অহংকার।
মতদ্বৈধতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের ঝরায়ে
রক্ত রাঙ্গিল দেশ
অনাকাঙ্খিত কর্মকান্ডে উঠল জ্বলে সন্ত্রাসী
মর্মান্তিক পরিবেশ।
একদিন যারা সুন্দর স্ংসার সাজানোর বশে
সপ্ন রেখেছিল আগলি
ধরণীর বুকে মংডু পোয়াখালী গ্রাম দুর্দৈবঘটনে
দীর্ঘশ্বাস ফেলে মানুষগুলি ।
হাজার বছর ধরে অনন্ত চরাচরে দৈত্যপুরীতে
যাদের বসবাস
তাদের ভাগ্যে জুটেছে শুধু ক্রন্দন রক্তেরঞ্জিত
অশ্রুজল, করে উপহাস ।
রোষাবেশে ঘরে আগুন জ্বালিল করলো দগ্ধ
নির্বোধ নর সৈন্য দল
নিমেষেই করুণ ক্রন্দনে উসমান পরিবারের
সাতজন প্রাণহানী সকল ।
ম্লানমুখে নীরব অশ্রু আখি ফেলে সাজেদা
রুদ্ধকণ্ঠে বৃথা শোকে
সৈনেরা দর্পভরে তপ্ত ধূলিতে ধর্ষণ করে তাকে
গুলি করে পরে বুকে।
অবনত হতভাগ্য বন্দী একশত পনর ভীত দল
নীরবে ফেলে অশ্রুজল
আইন লঙ্ঘন করে গলা কেটে গর্তে ফেলে
দিবালোকে সকল।
আত্ম বিলাপে কেঁদে উঠে মংডুসহ তেইশ গ্রাম
প্রকৃতি আত্মকণ্ঠে করে ক্রন্দন
বিষাদ দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখে পাষাণহীন সৈন্য দল
ঈর্ষানলে যায় নিরীহ লোকের প্রাণ।
উপহাস পরিহাসে আচম্বিতে করছে খেলা
আগুনের ললিহানে
হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি আগুন নিক্ষেপ করে
তারা মর্তজীবনে।
ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে তারা উল্লাসে মেতেছে
দুর্নিবার আকর্ষণে
নিগূঢ় অদৃশ্য ধারায় ক্ষয় হচ্ছে মানুষ বহ্নি শিখার
তাপে যায় চিরনির্বাসনে।
গ্লানি মাখা জীবনে যারা বসে করছে আত্ম ক্রন্দন
দুর্দৈবঘটনে নিত্য তারা
বর্বর বিকলহৃদয়হীন পৈশাচ সৈন্যর দল বিবশ শরীরে
মৃত্যু নিশ্চিত করেছে ওরা।
সেনা পুলিশের নির্মম রক্তপাতে মুহূর্তে নিস্তব্ধ জনপদ
শিহরে উঠে প্রাণ
জমিজমা পোড়াভিটে ফেলে অশ্রু ঝড়ায়ে খুঁজে তারা
আশ্রয়ের নিষ্ফল জীবন।
শিয়াল কুকুরের ;ডাক ছাড়া পাওয়া যায় না সেখানে
মানুষের কোন স্পন্দন
বালক বৃদ্ধ তরুণ তরুণী ক্ষত বিক্ষত শবদেহ গুলি
কুকুর করছে ভক্ষণ।
বিফল বাঁধনে বৃদ্ধবালক ছুটে দুর্গম পর্বতের বুকে
কম্পিত মুর্ছনায়
দিবা রাএি চঞ্চল মন কাটিয়ে অবশেষে বাংলাদেশে
নেয় আশ্রয় ।
শান্তি নেই বলে পয়ষ্টি হাজার রোহিঙ্গা দাঁড়ায় শিয়রে
বদন করে নত
ক্ষুধার দহনে আশ্রয় চাই নীরব নৃপতি মুছে চক্ষু জল
অস্ত্র ফেলে দাঁড়ায় সৈন্যশত শত যত।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
|