যৌতুক
অভিশপ্ত নিষ্ঠুরছোবলে সমাজ অশান্তির
আগুনে জ্বলে বিষাদে
যৌতুকের হাত থেকে রক্ষা না পেয়ে অসহায় কন্যা কাঁদে।
অনার্যরা আর্য পাত্রকে যৌতুক দেয় সমাজে মর্যদার জন্যে
সেই থেকে আধুনিক যুগের মানুষ যৌতুকের কারণে হন্যে।
যৌতুকের ক্ষতচিত্তে অসহায় নারীর জীবন গভীর অন্ধকারে
ভেঙ্গে যায় অনেক নারীর সংসার গড়ে তোলার শান্তির নীড়ে।
কাঙ্ক্ষিত স্থায়িত্ব না পেয়ে মৃত্যু ছিনিয়ে নেয় অনেকের জীবন
বিপর্যস্ত মেয়ের জীবন বিষিয়ে উঠেছে অত্যাচার তার কারণ।
আধুনিক সভ্যতার যুগে যৌতুকের প্রতিশ্রুতিতে ঘটে বিপর্যয়
লাঞ্ছনা গঞ্জনা পেয়ে নারী মৃত্যুবরণ করে অন্ধকার গৃহে অসহায়।
অথবা স্বামীর অমানবিক অত্যাচারে স্ত্রীর মৃত্যু ডেকে আনে
অসহায় ভাবে পড়ে থাকে লাশ খালে বিলে কেহ না তা জানে।
অন্ধকার প্রকোষ্ঠ থেকে নারী বের হবে প্রতিকারের মহোৎসবে
অধিকারের প্রশ্নে পুরুষের সমান মর্যদা সমানে সমান পাবে।
পুরুষ নারীকে দেয়নি মর্যদা জীবনসর্বস্ব ধন অর্পিছে যারে
অন্তঃপুরে বন্দী করে উদ্ধার করতে চেয়েছে আপন স্বার্থ ঘিরে।
সমান অধিকারের দাবীতে নারী বেরিয়ে এসেছে আজ বাহিরে
বুঝতে হবে নারীরও পুরুষের মতই দায়িত্ব আছে এ সংসারে।
নিজের অধিকার নিজেকেই আদায় করতে হবে নিজ আলয়ে
শিক্ষার মাধ্যমে সত্যকে উদঘাটন করতে হবে ঘোমটা ফেলিয়ে।
জীর্ণ অজ্ঞতার অন্ধকারে সত্য লুকিয়ে যায় উষ্ণশ্বাসের কোলে
নারী নেয়না স্বামীর নাম মুখে অনেক অশুভ ফল ফলবে বলে।
এ দেশের যৌতুক দুর্দশা যাবে কী শুধু মন্যু আঁধারে আঁখিজলে?
নিষ্ঠুর উৎপীড়নের বিরুদ্ধে নারীদেরকেই দাঁড়িয়ে যেতে হবে
উৎপীড়নের হাত থেকে কন্যাদায়গ্রস্ত পিতামাতা মুক্তি পাবে।