ঋত্বিকূ তপস্বী
ঋত্বিকূ মহেন্দ্রসেন অন্ধকারে ঈশ্বরকে ডাকে
নিভৃত মন্দিরে
ঋকূ পড়ে হৃদয়ের কোমলতা ফুটে তোলে
বারে বারে।
ঋজু ভরে ক্লান্তসন্ধ্যায় অশ্রুভরা শঙ্কিত হৃদয়
জানায় তাকে
ঋদ্ধ দাও ভূলোকে আমায় অস্ফুটকণ্ঠে বলে
শৃঙ্খলমুক্ত কর আমাকে।
ঋভুদের দলে গিয়ে মিটাতে পারি অন্তর তাপ
বহ্নিশিখাতলে হয়েছি দিশাহারা
ঋষি জনেরা আসে আমার কাছে পথের সন্ধানে
আমার তো নেই কোন কিনারা।
ঋষ্টি করার ক্ষমতা একমাত্র তোমারই হাতে
তোমার ইশারায় চলে বসুন্ধরা
ঋক্ষ আছে অন্বরভরা তোমারই দাস তারা
ঋত্বিকেরা দেখে হয় আত্মহারা।
ঋষ্য তোমারই সৃষ্টি জীব থাকে অরণ্যে
তারাও তোমাকেই স্মরণ করে
ঋকৃথ প্রাপ্ত হয়ে পরিচিত হয়েছি বিশ্বের সাথে
হয়েছে গৌরব সঞ্চার অন্তরে।
ঋগ্বেদ মেনে চলে মানুষ অনন্তকাল ধরে
যা ছিল বুলি তোমার
ঋশিতারা নিঃস্বরিক্ত হস্তে থাকে শোকাশ্রুরাশিতে
ঘর সংসার হয়ে গেছে ছারখার।
ঋণের দায়ে ধ্বংস হয়েছে অনেক সংসার
নেই পথ বিপদ ঘোচাবার
ঋতুতে ঋতুতে বাড়ে তাদের ঋণের বোঝা
ঈশ্বরকে ডাকে বারে বার।
ঋষভদের মাঝে দাখিল করে সাথে রাখ তোমার
মিটাও হুতাশন হৃদয়ের ।