প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

 এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

 

 

পান্থ পৌর্বাপর্য (ষোড়শ পর্ব)

এ,কে,এম,নূরুন্নবী

 

 

আমরা নিয়মিত বৈঠকে বসলাম। শিলার জামাই বললেন বড় দাদা আমিও শিলা ভুল করেছি। আমরা যদি আগে থেকে আপনাদের সাথে যোগাযোগ রাখতাম তা হলে আপনাদের সাথে এসে অনেক কিছু দেখতে পেতাম। শিলা তুমি বড় দাদা, বৌদি ও মাধবীর সাথে যোগাযোগ সব সময় রাখবে।পরে যখন আসবো তখন উনাদের সাথেই আসবো। ভ্রমণ গাইড দেখে ঠিক করা হলো আগামী কাল আমরা ইনানী সমুদ্র সৈকত দেখতে যাব। বৌদি বললেন সবাই শেয়ার করুণ আগামীকাল সেখানে লটারীর ব্যবস্থা করা হবে। বড় দাদা বললেন শেয়ারের প্রয়োজন নেই আগামীকাল আমি নিজেই ব্যবস্থা করব। তোমরা কী প্রাইজ কিনতে চাও বলো। বড় দাদা বললেন শ্যামল , কাজল,মাধবী দিদি আর শিলা বাজারে গিয়ে প্রাইজ কিনে নিয়ে এসো। তখনই আমরা বের হয়ে গেলাম। মানুষ তো আমরা দশ জন। কি কি নেয়া যায় খোঁজাখুঁজি করে কিছুই পছন্দ হলো না। অবশেষে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম দশটি সেন্ট আপাতত কিনে নিলাম। মেয়েদের জন্য পাঁচটি Intimate White Natural Spray ও পাঁচজন পুরুষের জন্য Swiss Line Glory King Parfum সেন্ট ও দশটি ঝিনুকের শো পিস কিনে আমরা বাজার থেকে ফিরে এলাম। বৌদি বড় দাদাকে বললেন, অনেক জিনিষ দেখলাম কোন কিছুই পছন্দ হলো না ।বড় দাদা বললেন যা কিনেছো এটাই ভাল হয়েছে। স্থানটি কক্সবাজার থেকে পয়ত্রিশ কিঃমিঃ দূরে। সবাই ভোরে উঠে পড়লাম। সকালেই রওনা করলাম। আমরা সকাল সকাল পৌঁছে গেলাম। শত শত পরিবার আমাদের আগে পৌঁছে তারা সমুদ্রের পানিতে খেলা করছে। আমরাও সোজাসুজি পানিতে নেমে গেলাম। কিছুক্ষন বালু নিয়ে খেলা করলাম। ছোট ছেলে মেয়েদের মত করে মাঝে মাঝে বালুতে গর্ত করে পানি বের কললাম তারপর যে যাকে পারে পানি ছিটে দিতে লাগলো। খুব মজা হলো এর পর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম ভেজা গায়ে আমাদের খেলাটা আরম্ভ করতে হবে। কি খেলা যায় বলতে বলতে বৌদি বললেন বালিশ বদল খেলা করা যায়। সমস্যা দেখা দিল বালিশ পাওয়া যাবে কোথায়। এমন সময় পাওয়া গেল ছোট ছোট ছেলেরা হাতে করে বল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ছোট বাচ্চারা তাদের বল ভাড়া দেয়। এটাই তাদের কাছে ইনকামের একটা পথ। ভালই হলো আমরা তাদের কাছ থেকে বলটা ভাড়া নিলাম বললাম কত দিতে হবে। ওরা বললো পাঁচ টাকা । বললাম ঠিক আছে তোমাদের বলটা দাও । ওরা আমাদেরকে বলটা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে রইলো। । আমরা চারদিকে গোল হয়ে বসলাম । শুরু হলো বল খেলা। যে যখন পাচ্ছে নিজেকে বাঁচার জন্য অন্যের কাছে বলটি হাত দিয়ে ছুড়ে দিচ্ছে এমন ভাবে প্রায় আমাদের খেলা শেষ করতে দেড়ঘন্টা সময় লেগে গেল। অবশেষে ফলা ফল দাঁড়ালো বড় দিদি প্রথম হলেন। বড় দাদা ঘোষণা দিলেন,যে প্রথম হয়েছে তাকে রাখাইনদের একসেট পোষাক কিনে দেয়া হবে। আমরা সবাই হাত তালি দিলাম। এর পর বলের ভাড়াদিয়ে ছেলেদেরকে বললাম,আমরা যখন স্নান করে উপরে উঠব তখন তোমরা আমাদের সাথে দেখা করে যাবে। আমরা ইচ্ছামত সমুদ্রে বেশ কিছুক্ষণ সাতার কাটলাম। পানিতে হৈ চৈ করলাম এর পর স্নান করে উঠে এলাম। কাপড় পড়ে সবার জন্য অপেক্ষা করলাম। সবাই একত্রিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো এখন কী করা যায়। কাকা বাবু বললেন। চলো নাস্তা করে নেই। সবাই নাস্তার জন্য রওনা করলাম । এর মধ্যে বল ভাড়া দেয়ার ছোট বাচ্চা তিনটি এসে গেছে।তাদেরকে বললাম তোমাদের যেটা যেটা পছন্দ হয় সেটা সেটা হাতে নিয়ে নাও। তারা যাবার সময় বললো স্যার আমাদেরকে কেউ কখনও এভাবে খাবার দেয় না।তারা খেয়ে বাচলে অবশিষ্টাংশ কখনও কখনও ভাগ্যে জোটে স্যার। আজ তৃপ্তি সহকারে খেলাম। আবার কবে আসবেন স্যার? বাচ্চাদের মুখ থেকে এ কথা গুলো শুনে মাধবী কেঁদে ফেলে। পাড়ে অনেক দোকান যার যেটা পছন্দ সে সেটা খেয়ে নিলাম।আমাদের ভ্রমণের অভাবনীয় সৌন্দর্যে আমরা সবাই আলোকিত নবচেতনায় উজ্জীবিত হলাম। ভরপুর সৌন্দর্য দেখে এখানে আমরা কত যে কল্পনার জগত মনে মনে নির্মাণ করলাম তা আর ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। স্বচ্ছ পানির এলাকাটি সমুদ্র স্নানের জন্য দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে অত্যান্ত মূল্যবান এলাকা বলে বিবেচিত। আমরা ভাবলাম আমাদের এখন কিছুক্ষণ রেষ্ট নেয়া উচি‍‌ৎ। পাড়ে চাদর বিছিয়ে সবাই সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এর দৃশ্য অবলোকন করতে লাগলাম। মনোমুগ্ধকর শান্ত স্নিগ্ধ সমুদ্রের স্বচ্ছ জল সুষমামন্ডিত এক স্বর্গীয় দৃশ্য চোখে ভেসে উঠে। সামুদ্রিক তরঙ্গগুলি প্রস্ফুটিত হয়ে আঘাতের পর আঘাত করে একে অপরকে টুকরো টুকরো করে সমস্ত জলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অপূর্ব এক সৌন্দর্যের শোভা সৃষ্টি করছে।সমুদ্রের সম্মোহনী সৌন্দর্যের চম‌ৎকার শোভা নয়নে আনে তৃপ্তি,হৃদয়ে আনে প্রশান্তি।মধ্যাহ্নের এই অপরূপ শোভা মনে আনে সজীবতা। মনে পড়ে স্রষ্টা মিছেমিছি পৃথিবী সৃষ্টি করেননি।আদিকাল থেকেই মানুষ সৌন্দর্যের রহস্যময়তার পূজারী।এমন সময় শিলা আপু বললেন শ্যামল,মাধবী চলো আমরা একটু ওই দিক থেকে ঘুরেআসি। আমরা তিনজন সমুদ্রের পাড় দিয়ে হেঁটে হেঁটে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে বসে পড়লাম। শিলা আপু বললেন শ্যামল তোমার সাথে কিছু কথা আছে। আমি বললাম বলুন আপু। তুমি কী মাধবীকে সত্যি সত্যিই প্রাণ দিয়ে ভালবাস। হাঁ ভাল কথাই বলেছেন। আপনার এ কথাটার উত্তর আমি একটু অন্য ভাবে দিতে চাই। হাঁ ঠিক আছে বলো। আমি কামাল উদ্দিন ভূইয়া রচিত তাসাওউফ সঞ্জীবনী পড়েছিলাম। তাতে লিখা ছিল শায়েখ আবু আবদুল্লাহ ওন্দলসী (রহ:) ছিলেন হযরত শিবলী ও জুনায়েদ বাগদাদী(রহ:) এর অন্যতম পীর। তিনি ছিলেন ত‌‌ৎকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সাধক আলেম। তাঁর ছিল শত শত মুরিদ। একদিন তিনি বেশ কিছু শিষ্য নিয়ে তিনি আন্দালুসিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথেই ছিল খ্রিষ্টান পল্লী। তিনজন খ্রিষ্টান বালিকা কলসী ভরা পানি নিয়ে তাদের সামনে দিয়ে চলে গেল।একজন বালিকা হযরত আবু আব্দুল্লাহর চোখে মায়াময়ী মনে হলো। আবু আব্দুল্লাহর মন বালিকার প্রেমে মুগ্ধ হলো। হযরত আবু আব্দুল্লাহ ভ্রমন ক্ষান্ত করে সে স্থানে তাবু গাড়লেন। তিন দিন পর তিনি সাথীদেরকে বললেন তোমরা চলে যাও। ওই বালিকাদের একজন আমার মন হরণ করেছে। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না।হযরত শিবলী (রা:) বললেন হে মহান মুরুব্বী, আপনি ইরাক বাসীদের অবিসংবাদিত মুর্শিদ। আপনার বিশ্ব জোড়া খ্যাতি। আপনার মুরিদের সংখ্যা হাজার হাজার। আপনার প্রতি দোহায় লাগে আমাদেরকে লজ্জিত করবেন না। শায়েখ বললেন,বন্ধুগণ আমার ও তোমাদের ভাগ্য লিপি এমনই ছিল। বেলায়েতের সকল পোষাক আমার কাছ থেকে খুলে নেয়া হয়েছে।এখন সব কিছুই আমার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। একথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। চোখের পানি ফেলতে ফেলতে তার শিষ্যগণ তাকে ছেড়ে বাগদাদ রওনা হয়ে গেলেন। বাগদাদের লোকজন এ ঘটনা শুনে সেখানে কান্নার রোল পড়ে গেল। অনেকেই দু:খ করে কয়েকজন মারা গেলেন। এ ভাবে প্রায় এক বছর কেটে গেল। তাঁর কয়েক জন ভক্ত শায়েখের অবস্থা জানার জন্য ওই স্থানে চলে এলেন। গ্রামবাসীরা বললেন শায়েখ সরদার কন্যাকে বিবাহ করেছেন এবং বিয়ের শর্ত স্বরূপ খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তিনি এখন ওই মাঠে শুকুর চরাচ্ছেন।তারা মাঠের ওই দিকে চলে গেলেন। তাঁরা দেখলেন শায়েখের মাথায় হেট,কোমরে পেতা। তিনি লাঠির উপর ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে শুকুর চরাচ্ছেন। এটি সেই লাঠি যে লাঠিতে ভর দিয়ে তিনি খু‌ৎবা দিতেন ও ওয়াজ করতেন। আমাদেরকে দেখে শায়েখ মাথা নিচু করলেন। হযরত শিবলী বেদনা কন্ঠে শায়েখকে বললেন, আজ আপনার একি অবস্থা। শায়েখ বললেন প্রিয় বন্ধুগণ আমার কোন ইচ্ছা নেই। আল্লাহ যা চেয়েছেন তাই করেছেন। তারপর তিনি বললেন অন্যকে দেখে উপদেশ গ্রহণ কর। শেখ সাদী(রহ:) বলেন, " সাত ক্বেরাত সহ যদি কেউ কোরান শরীফ মুখস্ত করে,সে আলিফ বা তাও পড়তে পারবে না,যদি কারো প্রেমে পড়ে।'' হযরত শিবলী শায়েখের সাথে দেখা করে বাগদাদ চলে গেলেন। তিন দিন পর যখন তারা আবার শায়েখকে দেখতে এলেন তখন দেখলেন শায়েখ নদী থেকে গোসল করে উচ্চ স্বরে " আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু''পড়ছেন এবং তিনি আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন। সেখান থেকে শায়েখ আমাদের সাথে বাগদাদে রওনা হলেন। কিছু দিন পর তার স্ত্রীও বাগদাদে চলে এলেন এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেন। হযরত শিবলী শায়েখকে জিজ্ঞেস করলেন এই পরীক্ষার পেছনে কী কারণ ছিল? তিনি বললেন, আমরা যখন খ্রিষ্টান পল্লীর ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলাম, তখন অগ্নিপূজক ও ক্রুস পূজক দিগকে গায়রুল্লাহর পূজা করতে দেখে আমি গর্বিত হলাম। আমরা মুমীন একত্ববাদী। এই সব হতভাগারা আল্লাহকে ফেলে কী সব অনুভূতিহীন বস্তুর পূজা করছে। এ কথা মনে হলে তখনই আমার অন্তরে ধ্বনিত হলো, ঈমান ও তাওহিদের নিয়ামত তোমার নিজেস্ব নয়। তা আমারই দান মাত্র। তুমি কী তোমার ঈমানকে তোমার অধীন মনে কর ? চাও যদি এখনই দেখিয়ে দিচ্ছি। তখন বুঝতে পারলাম একটি পাখি যেন আমার বুক থেকে উড়ে গেল। বস্তুত: তা ছিল আমার ঈমান। আজ আমি বাগদাদের একজন শায়েখের ঘটনা কেন বললাম। আমি আশা করব শিলা আপু আপনি আমার এই কাহিনীর মধ্যে দিয়ে আমার অবস্থা সম্পর্কে সব কিছুই বুঝতে পারবেন। আমি মাধবীকে ভালবাসী। এই ভালবাসা এখন আমার নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। এর পর আমি আশা করব আপনি আর ওর বিষয়ে আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না। শিলা আপু বললেন,তোমার এই কাহিনীতে আমি অনেক কিছুই বুঝলাম। তবুও তোমাকে জিজ্ঞেস করার মত আমার অনেক কিছুই রয়ে গেল। তবে আজ আর বলব না পরে সব কিছুই বলব। কারণ মাধবী আমার অন্তরঙ্গ বান্ধবী। তোমরা সুখি হও এটাই আমি চাই। তোমরা ঢাকা ফিরে দুজনেই আমার বাসায় আসবে কিন্তু। সেখানে আলাপ হবে। ঠিক আছে আপু অবশ্যই আসব, কী বলো মাধবী। হাঁ ঠিক আছে। এর পর আমরা ধীরে ধীরে হাটতে হাটতে ফিরে এলাম মূল জায়গায়।এসে দেখি বড় দাদা,বৌদি ও সোহেল সমুদ্রের পাড় দিয়ে হাঁটা হাঁটি করছেন। কাকী মা বড়দি বসে আছেন। সাম্মু ও কাকা বাবু ঘুমিয়ে আছেন। মানুষ,প্রকৃতি আর জীবন নিয়েই আমাদের এই বিশাল পৃথিবী। ইত্যবকাশে সন্ধ্যার রবি ঘনিয়ে আসে সন্ধ্যার সে দৃশ্য আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।ক্রমেই ধারণ করতে থাকে লাল বর্ণ। ক্লান্ত সূর্য হারিয়ে যায় দিগন্তের নিচে। ধেয়ে আসে সন্ধ্যা। দেখছিলাম মানুষজনের ঘরে ফেরার তাড়া।পেলাম প্রশান্তির হাওয়া। আশ্চর্য হয়ে দেখলাম বহমান স্রোতের টানে ভয়ঙ্কর ঢেউ এর আবর্ত সৃষ্টি হচ্ছে।নব উদ্যম বেগে এগিয়ে চলেছে মাছ ধরার পালতোলা নৌকার বহর। অপূর্ব রক্তিম আভায় রঞ্জিত পশ্চিম আকাশ। নেই সেই সূর্যের প্রখর দীপ্তি,আছে শুধু সৌন্দর্যের স্নিগ্ধ জ্যোতি।মনে মনে সমুদ্রের স্বচ্ছ জলে সুষমামন্ডিত স্বর্গীয় দৃশ্য অবলোকন করলাম। আমার বার বার মনে পড়ছিল কবি জসিম উদ্দিনের কবিতা।
" ছুঁয়ে দাও আসি সুপ্তি জড়িমা,ফুটিছে রজনীগন্ধ্যা
ক্লান্ত দেহের শান্তি দায়িনী,চিত্ততোষিণী সন্ধ্যা।''
এর পর আমরা ফিরে এলাম কক্সবাজার অভিমুখে।
(অসমাপ্ত)

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

 

[প্রথমপাতা]

 

লেখকের আগের লেখাঃ