|
||||||||||||||||||
|
পান্থ পৌর্বাপর্য (ত্রয়োদশ পর্ব)
এ,কে,এম,নূরুন্নবী
আমার সামনে দুটি পথ একটি হলো ধীরে ধীরে
প্রণাশ হয়ে যাওয়া তা না হলে শ্যামলকে কাছে পাওয়া। জীবনে ওকে ছাড়া আর
কাউকেই আমি ভাবতে পারি না। আমি জানি পারিবারিক ভাবে বাঁধা আসবে। আমি তা
মানতে পারি না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি,তাকেই আমি বিয়ে করবো।তার গলায় জয়
মাল্য পড়ে দিব। তুমি কি বলো। ঠিক আছে ভাল যখন বেসেই ফেলেছো তখন আর কি।
সে সিদ্ধান্তেই তুমি অটল থাকবে। আমার সাহায্য সহযোগীতা তুমি পাবে।ঠিক
আছে পরে সব কিছুই শুনবো। এখন আসি। ঠিক আছে। মাধবী বললো তোমার রুমের
নাম্বার কত। শিলা বললো দোতালায় দুশত ছয় নম্বর। আসবে কিন্তু। ঠিক আছে
অবশ্যই আসবো। মাধবী রুমের দিকে রওনা করলো আমিও পিছু পিছু রওনা করলাম।
মনের ক্লান্তিতে সবাই টান টান হয়ে শুয়ে পড়লো। বড় দাদা বললেন শ্যামল
কোথায় ? এই যে দাদা আমি এখানে। শ্যামল চা খেলে কেমন হয়। খুব ভাল লাগবে
দাদা। জী এখনি ব্যবস্থা করছি। একথা বলে আমি ফ্লাক্স হাতে নিয়ে দোকানে
চলে গেলাম।যেতে যেতে চিন্তা করলাম আমার নাম যে মাহবুব তা মাধবী জানলো
কী করে। তা হলে কী মাধবী আমাকে আগে থেকেই চিনতো। না,এমন তো হওয়ার কথা
না। মাথার মধ্যে কিছুই কাজ করলো না। পরে মনে পড়লো আমি যখন হোটেলে উঠে
ছিলাম তখন হোটেলের খাতায় ভুল করে আমার নাম লিখে ছিলাম মাহবুব,পিতার
নাম ডাক্তার জয়নাল আবেদীন। মাধবী হয়তো হোটেলের খাতা দেখেছে। ফ্লাক্স
ভর্তি করে চা নিয়ে চলে এলাম। সবাই তো মহাখুশি। বেশ মজা করে সবাই চা খেয়ে
নিলাম। যথারীতি আমাদের আলাপ শুরু হলো। যাবার সিদ্ধান্ত অবশেষে ঠিক হলো।
আমরা আগামীকাল সকালে কক্সবাজার যাব। এর মধ্যে শিলা তার জামাইকে নিয়ে
মাধবীর কাছে এলো। তখনও আমাদের আলাপ চলছিল। মাধবী তাদেরকে নিয়ে আমাদের
কাছে বসে পড়ে।সবার সাথেই শিলা তার জামাই সোহোলকে পরিচয় করে দিলেন। কথায়
কথায় শিলার জামাইকে কাকী মা বললেন জামাই বাবু দুদিন আগে এলে তো আমাদের
সাথে ঘুরতে পারতে। তাছাড়া আনন্দটা আরো বেশি পাওয়া যেত। আমরা তো কাল
সকালে চলে যাচ্ছি কক্সবাজার। সেখান থেকে সেন্ট মর্টিনস দ্বীপ দেখে ঢাকা
ফিরে যাব।শিলার জামাই সোহেল জানায় মাসি মা আপনারা যদি কক্সবাজার জান
তাহলে আমরাও আপনাদের সাথে কক্সবাজার যাব। শিলা কী বলো।
WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.
|
লেখকের আগের লেখাঃ |