|
ইসলাম, উগ্র জঙ্গিবাদ
আর সন্ত্রাস সমার্থক নয়
আবদুল মান্নান
২০১৫ সালে পুলিশের
গুলিতে প্রায় একহাজার মানুষ মারা পড়েছিল । তাদের মধ্যে আবার ১৬১ জন ছিল
নিরস্ত্র । আর এমনি খুনোখুনিতে মারা পড়ে দৈনিক ৪৪ জন । তেমনটি বলছে সেই
দেশের প্রায় সকল মর্যাদাপূর্ণ পত্রিকা ও গণমাধ্যম। আর
গত ১১ই জুন শনিবার এক
রাতেই একজন বন্দুকধারীর গুলিতে প্রাণ গেল
৪৯ জনের । গত পঞ্চাশ বছরে জনসমাগমে
বন্দুকধারীদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছে আড়াইশত জন । নাহ্, দেশটি
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধরত কোন দেশ নয় । এমন কী পাকিস্তানও না । দেশটি খোদ
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের অরল্যান্ডো শহরের সমকামী
ক্লাব ‘পালস’ ঘটনার অকূস্থল । খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এমন সব ঘটনা
নিয়মিত ঘটে । শনিবারের ঘাতক ঘটনাচক্রে একজন আফগানি মুসলমান । সুতরাং সে
একজন ইসলামী উগ্র জঙ্গিবাদী হতে বাধ্য তেমনটি বিশ্বাস সে দেশের সাধারণ
মানুষের । অথচ শনিবারের ঘটনার সময় ক্লাবে কর্মরত একজন সাবেক মার্কিন সেনা
সদস্য ইমরান ইউসুফ, যিনি ধর্মবিশ্বাসে মুসলমান সত্তর জন ক্লাবে উপস্থিত
সদস্যকে নিজের জীবন বাজি রেখে বাঁচিয়েছিলেন তার কথা কেউ তেমন একটা বলে না ।
এমন একটি ঘটনা যদি কোন অমুসলমান শ্বেতাঙ্গ ঘটাতো তাহলে নির্ঘাত বলা হতো
ঘটনার সময় ঘাতকের চিন্তাশক্তি লোপ পেয়েছিল সুতরাং সে অপ্রকৃতস্থ ছিল । তাকে
দায়ী করা যাবে না । গত পঞ্চাশ বছরে থমাস জেফারসন, আব্রাহাম লিংকন আর
মার্টিন লুথার কিং-এর দেশের সামাজিক সাংস্কৃতিক চরিত্র বদলে গেছে অনেকখানি
। দেশটিতে এক সময় চরম বর্ণবাদ প্রচলিত ছিল যদিও আব্রাহাম লিংকন ঊনবিংশ
শতাব্দীতে তা আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করেছিলেন । তারপরও গত শতাব্দীর ষাটের
দশক পর্যন্ত অনেক রাজ্যে তা বেশ কুৎসিত ভাবে চর্চা করা হতো। এর বিরুদ্ধে
প্রতিবাদ করতে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ মানবাধিকার নেতা ডঃ মার্টিন
লুথার কিং (এপ্রিল, ১৯৬৮ সাল)। আনুষ্ঠানিক ভাবে কৃষ্ণাঙ্গ কৃতদাসদের মুক্তি
দেওয়ার আদেশ জারি করার ‘অপরাধে’ প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনও নিহত হয়েছিলেন
আততায়ীর গুলিতে (এপ্রিল, ১৮৬৫ সাল) । এখনো যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গরা নানা
বৈষম্যের শিকার । কথায় কথায় তারা পুলিশের গুলির শিকার ।
জঙ্গিদের হাতে টুইন টাওয়ার ধ্বংস হওয়ার পর (৯/১১) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
নতুন শত্রু হিসেবে চিহ্নিত হলো সেই দেশে বসবাসরত মুসলমানরা যদিও শুরুর দিকে
টুইন টাওয়ার ধ্বংসে মুসলমান জঙ্গিদের সরাসরি সম্পৃক্ততা নিয়ে সন্দেহ ছিলন ।
এখন খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্লেষক বলছেন এই ধ্বংসের পিছনে সিআইএ’র হাত
ছিল এবং তা করা হয়েছিল মূলত ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্য অভিযান আর দখলের অজুহাত
হিসেবে ব্যবহার করার জন্য । কোন বিশ্লেষক এও বলছেন পুরো ষড়যন্ত্রের সাথে
ইসরাইল জড়িত ছিল । আসল সত্য কোনটি তা হয়তো আগামীতে কোন এক সময় প্রকাশিত হবে
। গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম ও মুসলমান বিদ্বেষ দাবানলের মতো ছড়িয়ে
পড়েছে এবং যখনই সেই দেশে শনিবারের ঘটনার মতো কোন ঘটনা ঘটে সঙ্গে সঙ্গে সেই
দেশে বসবাসরত কয়েক লাখ মুসলমান প্রার্থনা করেন এই ঘটনার সাথে যেন কোন
মুসলমান জড়িত না থাকেন । গত কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গদের মতো
মুসলমান নিগ্রহের সংখ্যাও বহুগুণ বেড়েছে যদিও বিশ্বে এই যাবত যত গণহত্যা
হয়েছে তার অধিকাংশের সাথে মুসলমানদের কোন সম্পর্ক ছিল না । হিটলার মুসলমান
ছিলেন না । বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপোডভিলের (১৮৩৫-১৯০৯) সাথে ইসলামের
কোন সম্পর্ক ছিল না । তিনি আফ্রিকার কঙ্গো আর তার আশেপাশে তার দেশের শোষণ
বিস্তারের জন্য প্রায় এক কোটি কৃষ্ণাঙ্গকে হত্যা করেছিলেন । হিরোসিমা আর
নাগাসাকিতে কোন মুসলমান দেশ আনবিক বোমা ফেলে গণহত্যা চালয় নি । ইসরাইল
নিয়মিতভাবে প্যালেস্টাইনের নিরীহ মানুষকে হত্যা করছে । খোদ যুক্তরাষ্ট্রের
শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা সেই সপ্তদশ শতাব্দী হতে শুরু করে পরবর্তি একশত বছর সেই
দেশে নির্বিচারে হত্যাকা- চালিয়ে দেশটির আধিবাসীদের (রেড ইন্ডিয়ান) হত্যা
করে শেষ করে দিয়েছে ।
গত বৃহস্পতিবার বৃটিশ পার্লামন্টে সদস্য জো কক্সকে যে
ঘাতক প্রকাশ্যে দিনের বেলায় হত্যা করলো সে কোন মুসলমান ছিল না । বুশ জুনিয়র
মিথ্যা তথ্য দিয়ে ইরাক দখল করে সেই যে নতুন গণহত্যা শুরু করেছিল তা তার
উত্তরসুরী বারাক ওবামা তা অব্যাহত রেখেছেন । বুশ, ওবামার কারণে এখন পুরো
মধ্যপ্রাচ্য সম্পূর্ণভাবে অস্থিতিশীল ও বিধ্বস্ত। এই যুক্তরাষ্ট্রের
আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া দখল নীতির কারণে সেই সব দেশে জন্ম নিয়েছে উগ্র
জঙ্গিবাদ । তালেবান আর আল কায়দার সৃষ্টি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সেই নব্বইয়ের
দশকে । হিলারি ক্লিন্টন তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন । বর্তমানে
মধ্যপ্রাচ্যে দাপিয়ে বেড়ানো ভয়ঙ্ককর জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএস
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন ও মদদে সৃষ্টি হয়েছে বলে খোদ যুক্তরাষ্ট্রেরই
একাধিক সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা স্বীকার করেছেন । আইএস-এরও টার্গেট মুসলমান
অন্য কোন ধর্মাবলম্বী নয় । আর আইএস দমনের নামে নিয়মিত বোমা ফেলে
মধ্যপ্রাচ্যে যে সকল মানুষকে গণহারে হত্যা করা হচ্ছে তারাও কিন্তু মুসলমান
। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ জন
কুটনীতিক আহ্বান জানিয়েছেন সিরিয়ার
প্রেসিন্টে আসাদকে যেন বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হয় । সামনে যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচন । রিপাবলিকান প্রার্থী যিনি নিয়মিত একজন উন্মাদের মতো
আচরণ করেন তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়মিত বলে থাকেন তিনি নির্বাচিত
হলে সকল অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র হতে বহিষ্কার করবেন । গুরত্বি দেবেন
মুসলমান অভিবাসীদেও উপর । প্রয়োজনে তিনি মেক্সিকোয় সামরিক অভিযান চালাবেন ।
ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, ইসলাম ও শান্তির দুশমন ।
তিনি একজন মার্কিন
বৈজ্ঞানিককে বলেছেন তিনি যদি এমন একটা মাহাশূন্য যান তৈরী করতে পারেন যাতে
ভরে বিশ্বের একশত ষাট কোটি মুসলমানকে মঙ্গলগ্রহে পাঠিয়ে দিতে পারেন (তার
মধ্যে বাংলাদেশের মুসলমানরাও অন্তভ’র্ক্ত) তাহলে তাকে তিনি পরিবহন মন্ত্রী
বানাবেন । বলেছেন বন্ধ করে দিতে পারেন সকল মসজিদ । যুক্তরাষ্ট্রে
মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে । ট্রাম্পের পিতামহ অবৈধ অভিবাসী
ছিলেন । পতিতার দালালি ছিল তার পেশা । আর তার পিতা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের
চরম বর্ণবাদী সংগঠন ক্লুু ক্লাক্স ক্লেন (কে কে কে)-এর একজন বড় মাপের নেতা
। ডেমোক্রেটদের প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন কম যান কিসে । তিনি বিশ্লেষকদের
কাছে একজন জঙ্গিবাদী মহিলা হিসেবে পরিচিত । মধ্যপ্রাচ্যকে ধ্বংস করার পিছনে
তার হাতও কম নয় । কোন কোন বিশ্লেষক মনে করেন এই দু’জনের যে কেউই নির্বাচিত
হোক না কেন তামাম বিশ্ব আর এক সংকটে পড়বে । লেগে যেতে পারে আরো কোন বড়
যুদ্ধ । এই হলো গণতন্ত্রের বিশ্ব মুরুব্বির বর্তমান চরিত্র । তার মধ্যে ঘটে
গেল শনিবারের ভয়াবহ ঘটনা যা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ কোন দিন দেখেনি যদিও সেই
দেশের মানুষের কাছে অস্ত্র খুবই প্রিয় একটি বস্তু । আধুনিক একে-৪৭ হতে এম-১৬
রাইফেল যে কোন অস্ত্রের দোকানে আলুর চিপসের মতো কিনতে পাওয়া যায় ।
শনিবারের ঘাতক ওমর মটিন (মতিন) একজন অভিবাসী আফগানি । তার দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের দখলে অনেক বছর যদিও সেখানে একটি তাবেদার সরকার আছে গত দুই
দশক ধরে । ওমরের পিতা মির সিদ্দিক এক সময় তার দেশে একটি টিভি চ্যানেলে
এঙ্ককর ছিলেন । মাঝে মধ্যে নিজেকে তার দেশে প্রেসিডেন্ট হিসেবে চিন্তা করেন
। ওমর নাকি অনেক দিন ধরে এফবিআই-এর নজরদারিতে ছিলেন । মানুষের মনে প্রশ্ন
যে লোক এফবিআই-এর নজরদারিতে থাকেন তিনি কীভাবে একটি আধুনিক অস্ত্র কিনতে
পারেন ? ওমরের সাবেক স্ত্রী বলছে ওমর নিজেও সমকামী ছিল । যে ক্লাবে সে
এতগুলো মানুষকে হত্যা করলো তার নিজেরও সেই ক্লাবে নিয়মিত যাতায়াত ছিল । ওমর
হত্যাকা-টি ঘটিয়ে পুলিশকে ফোন করে জানিয়েছে সেই আইএস-এর সাথে জড়িত । ওবামা
ঘোষণা করেছেন ওমর যুক্তরাষ্ট্রের ভিতর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে (ঐড়সব এৎড়হি)।
অন্যদিকে আই এস বলছে সে তাদেও খলিফা আবু বকর আল-বাগদাদিও সৈনিক ।
যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে বাগদাদিকে তারা ইতোমধ্যে হত্যা করেছ । অন্যদিকে
বাংলাদেশে যখন একজনকে চাপাতি দিয়ে হত্যা করা হয় ঘটনার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে
ইসরাইলের মোসাদের সাথে সম্পর্ক যুক্ত রিতা কাৎজের সংগঠন ঘোষণা করে
বাংলাদেশের হত্যাকা-টি আইএস ঘটিয়েছে যেন বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ উৎস হতে
সৃষ্টি হওয়া জঙ্গি থাকতে নেই । বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোন খুনখারবি ঘটলে
যুক্তরাষ্ট্র হতে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ সকলে গেল গেল বলে
চিৎকার শুরু করে দেয় । চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র হতে উড়ে আসেন একজন
নি¤œ পর্যায়ের আমলা । নসিহত করেন বাংলাদেশকে নিরাপদ করতে তারা সহায়তা দিতে
প্রস্তুত । যে দেশ নিজের দেশের মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে না তারা অন্য
দেশকে কী ভাবে নিরাপত্তা দেবে ?
মজার ব্যাপার হচ্ছে শনিবারের ঘটনার পর কানসাস অঙ্গরাজ্যের ওয়েস্টবরো এলাকার
একটি ব্যাপটিস্ট গির্জায় ওমার মাটিনকে ঈশ্বর প্রেরিত পুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত
করে আনন্দ ফূর্তি করা হয়েছে । যুক্তরাষ্ট্রে সমকামিদের বিরুদ্ধে হামলা নতুন
কিছু নয় । ১৯৭৩ সালে নিউ অরলিন্সে একটি সমকামী ক্লাবে বিরোধীরা অগ্নিসংযোগ
করলে বত্রিশ জনের মৃত্যু হয় । অগ্নি সংযোগকারী ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়
। অনেক গির্জা মৃৃতদের সৎকার করতে অস্বীকার করে । ১৯৯৭ সালে আটলান্টায়,
২০০০ সালে ভার্জিনিয়ায়, ২০১৪ সালে সিয়াটালে সমাকামী বিরোধী আন্দোলনকারীদের
হাতে বেশ অনেক সমকামীর হয় মৃত্যু হয়েছে অথবা মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ।
বাংলাদেশে প্রকাশ্যে সমকামী মতাদর্শের কোন অস্তিত্ব দেখা না গেলেও বছর দুই
আগে বাংলা নববর্ষে শাহবাগ হতে কিছু যুবক সমকামি পরিচয়ে একটি শোভাযাত্রা বের
করতে গেলে পুলিশের বাধার মুখে তা সম্ভব হয় নি । সেই শোভা যাত্রার অন্যতম
উদ্যোক্তা ছিলেন বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত বাঙালি কর্মকর্তা
জুলহাস মান্নান যাকে চাপাতি ওয়ালারা গত এপ্রিল মাসে তার বাসায় গিয়ে হত্যা
করে । জুলহাস সমকামী ছিলেন তার কোন প্রমাণ নেই কিন্তু তিনি ‘রুপবান’ নামের
একটি সমকামী সাময়িকী সম্পাদনা করতেন ।
হতে পারে শনিবারের ঘটনায় নিহতরা সমকামী ছিলেন অথবা জুলহাস মান্নান
বাংলাদেশের প্রথম সমকামী পত্রিকা প্রকাশ করতেন । কিন্তু তাদেরকে এমন
নির্মমভাবে ঘাতকদের হাতে নিহত হতে হবে তা সমর্থনযোগ্য নয় এমন কী ঘটনাটি
লাগামহীন গণতন্ত্রের দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘটলেও না । তবে ঘটনা ঘটলেই
তার জন্য ইসলাম ধর্ম আর মুসলমানদের দায়ি করা বন্ধ সমীচীন নয় । এতে
পরিস্থিতির উন্নতি না হয়ে ক্রমাবনতি হতে বাধ্য । যারা কথায় কথায় সকল
সন্ত্রাসী ঘটনার জন্য ইসলাম আর মুসলমানদের দায়ী করতে অভ্যস্ত তাদের উচিত
ইতিহাসের পাতা উল্টে গত কয়েকশত বছরে কোন ধর্মের মানুষের হাতে কত মানুষ মারা
পড়েছে তার হিসাব করা । মনে রাখা ভাল জঙ্গি হোক আর সন্ত্রাসী তাদের কোন ধর্ম
নেই । আছে কিছু ভ্রান্ত মতাদর্শের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস আর আস্থা । তাকে দূর
করতে হলে দেশে দেশে সামাজিক আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।
লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক । জুন ১৮, ২০১৬
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক
আর্কাইভ]
|