@
@
@
@
@ |
@
eমামা মারকেলf
শরণার্থীদের শেষ ভরসা
আবদুল মান্নান
@
@
ফিনল্যান্ডের রোবনমি
আয়তনের দিক থেকে ইউরোপের বৃহত্তম শহর । তবে জনসংখ্যা বাষট্টি হাজারের বেশি
নয়। পুরো ফিনল্যান্ডের জনসংখ্যা মাত্র সাড়ে পঁয়ত্রিশ লাখ । ইউরোপের
সর্বোত্তরের এই দেশটি ছবির মতো সুন্দর। এখান হতে সহজে যাওয়া যায় উত্তর মেরু
। গিয়েছিলামও একদিন আমার ছাত্র রুহিনের গাড়িতে। ওফিউল হাসনাত রুহিন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে সাংবাদিকতায় এমএসএস পাস করেছে । এখন রোবনমির
ল্যাপলেন্ড বিশ^বিদ্যালয়ে পিএইচ.ডি. করছে । ফিনল্যান্ডের একমাত্র ইংরেজি
দৈনিক (অন-লাইন) ফিনল্যান্ড টাইম্স-এর সম্পাদক। ফিনল্যান্ডে কোন ইংরেজি
পত্রিকা নেই । এদিক থেকে রুহিনের পত্রিকা বেশ ভাল করেছে । শিক্ষামন্ত্রী
নুরুল ইসলাম নাহিদের সফরসঙ্গী হয়ে ফিনল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের
শিক্ষাক্ষেত্রে দুfদেশের মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টি করাই এবারের সফরের মূল
উদ্দেশ্য হলেও আনুষ্ঠানিক কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার পর রুহিনের অনুরোধে আমার
কয়েকদিন ফিনল্যান্ডে বাড়তি থেকে যাওয়া। সফরকালে শুনে ভাল লাগল এখন
ফিনল্যান্ডে বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে পাঁচ শত শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে । তবে
বলতে হয় ফিনল্যন্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ কম হলেও সম্ভাবনা আছে প্রচুর
। কয়েক সপ্তাহ পর বরফ-পড়া শুরু হলে তখন ফিনল্যান্ড যাওয়া কা থাকা আমাদের
জন্য সহজ হবে না । সে সব কাহিনী অন্য সময় । আজকের আলোচনা শুধু আরব
দেশসমূহের শরণার্থী নিয়ে, কারণ এ শরণার্থী সমস্যা এখন বস্তুত পক্ষে ইউরোপকে
অনেকটা দুfভাগ করে দিয়েছে, ফিনল্যান্ডে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক অস্থিরতা
সৃষ্টি করেছে । আরব দেশ হতে হাজারও প্রতিকূলতা পেরিয়ে যারা ইউরোপে আসছে
তাদের একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শরণার্থী সুইডেন অথবা ফিনল্যান্ডে পাড়ি দিতে
চায়। কারণ এ দুfটি দেশে সামাজিক নিরাপত্তা অন্য যে কোনো ইউরোপীয় দেশের চেয়ে
উন্নত । তবে তা তারা কতদিন ধরে রাখতে পারবে তা বলা মুশকিল। ইতোমধ্যে
ফিনল্যান্ড সরকার বছরে পাঁচ বিলিয়ন ডলার বিভিন্ন ব্যাংক হতে ধার করে তাদের
বাজেট ঘাটতি পূরণ করছে । এর ওপর শুরু হয়েছে আরব দেশগুলো হতে শরণার্থী আসা ।
সরকার বলছে তারা বাজেট ঘাটতি মোকাবেলা করার জন্য বেশ কিছু সামাজিক নিরাপত্তা
ব্যবস্থায় কাটছাট করতে চায় । ঘোষণা করেছে আগামিতে ফিনল্যান্ডে পড়ালেখা করতে
হলে টাকা দিতে হবে। এখনও এ দেশে বিনা পয়সায় পড়ালেখা করা যায় । তবে এখানে
শিক্ষা আমার জন্মগত অধিকার বলে সকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যায় না। অষ্টম
শ্রেণির পর কেউ যাচ্ছে নার্সিং পড়তে কেউবা বড় বড় লড়ির ড্রাইভার হওয়ার
প্রশিক্ষণ নিতে । একজন ফার্নিচারের ডিজাইনারের বার্ষিক আয় একজন সরকারি
কর্মচারি হতে কয়েকগুণ বেশি । সবচেয়ে বেশি আয় করেন প্রাইমারি স্কুলের
শিক্ষকরা। কারণ সে দেশ এটি সঠিক অর্থেই ঠিক করে নিয়েছে প্রাইমারি শিক্ষা
ভাল না হলে বাকি শিক্ষার কোনোটাই ভালো হবে না । আমাদের দেশের মতো ইংরেজি
স্কুলে পড়–য়াদের কুলীন ব্রাহ্মণ মনে করা হয় না । স্কুলে ইংরেজি শেখানো হয়
তবে জোর দেওয়া হয় ফিনিস ভাষার ওপর । অফিস আদালতের প্রয়োজনে ইংরেজি কেউ শিখতে
চাইলে তা নিজের গরজেই করে থাকে ।
ফিরে আসি শরণার্থী বিষয়ে । গত কয়েক মাস ধরে সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান,
লিবিয়া, মিসর, ইয়েমেন প্রভৃতি মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলি হতে বানের স্রোতের
মতো ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশ শুরু হয় । কেউ আসছে কাঠের নৌকায় কেউ বা পায়ে
হেঁটে । অনেকটা একাত্তরের বাংলাদেশ । পার্থক্যটা হচ্ছে একাত্তরে
বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশী ভারত আমাদের শরণার্থীদের জন্য তাদের দরজা খুলে
দিয়েছিল কিন্তু দুfহাজার পনেরতে এসে মধ্যপ্রাচ্যের কোনো প্রতিবেশী দেশ এই
ভাগ্যবিড়ম্বিত ঘরছাড়া মানুষদের জন্য তাদের দরজা খুলে দেয় নি । কিছুটা
সহায়তা করতে পারতো সৌদি আরব, আরব আমিরাত, কাতার অথবা কুয়েত । তারা সকলে এই
ব্যাপারে নিশ্চুপ । অন্যদিকে সৌদি আরব মার্কিনিদের পরামর্শে ইয়েমেনে
বোমাবর্ষণ করে নিরীহ মানুষ মারছে আর রাজপরিবারের সদস্যরা বিদেশে গিয়ে
বদমায়েশি করছে । বদমায়েশি করতে গিয়ে একজন সৌদি যুবরাজ যুক্তরাষ্ট্রে
সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন । অন্যদিকে তাদের অব্যবস্থাপনার
শিকার হয়ে পবিত্র হজ্বের সময় প্রায় দুfহাজার মুমিন বান্দা প্রাণ হারিয়েছেন
। কুয়েত, আরব আমিরাত অথবা কাতার সকলে তাদের প্রভু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তাদের সব কিছু উজাড় করে দিচ্ছে । মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রয়োজন একটি অস্থিতিশীল মধ্যপ্রাচ্য। কারণ তাতে তাদের
অস্ত্রনির্ভর অর্থনীতির সুবিধা হয় । সঙ্গে আছে তেল লুটপাট । সামনের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টন কfদিন
আগে ঘোষণা করেছেন সিরিয়ায় তাদের পরিকল্পনা কার্যকর হয় নি । তাদের মূল
পরিকল্পনা ছিলো বাশার আল আসাদকে উৎখাত করে সেখানেও একজন নিজেদের তাবেদার
রাষ্ট্রপতি বসানো যেভাবে তারা আফগানিস্তান, ইরাক অথবা মিসরে বসিয়েছে ।
বাশার মাটি কামড়ে পড়ে আছেন । সঙ্গে রাশিয়ার সমর্থন আছে বলে এখন প্রমাণিত ।
অন্যদিকে ইসলামের নামে যে আইএস ইরাক সিরিয়া জুড়ে রক্তের হোলিখেলায় মেতেছে
তাদের সৃষ্টির পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদ আছে বলে তা খোদ
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্লেষকরাই বলছেন । লিবিয়ার গাদ্দাফিকে হত্যা করে দেশটাকেই
আক্ষরিক অর্থে বিলুপ্ত করে দিয়েছে বুশ আর টনি ব্লেয়ার মিলে । জুনিয়র বুশ যা
শুরু করেছিলেন বারাক ওবামা তা আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন ।
শরণার্থীদের প্রথম ধাক্কা সামাল দিয়েছে তুরস্ক, লেবানন ও জর্ডান । কfজন সে
সব দেশে আশ্রয় নিল তা তারা ধর্তব্যের মধ্যে না নিয়ে এই ভাগ্যবিড়ম্বিত
মানুষগুলোকে আশ্রয় দেওয়াটাকে প্রাধান্য দিয়েছে । পরের ধাক্কাটা সামাল দিতে
হচ্ছে গ্রিসকে । এমনিতে গ্রিসের আর্থিক অবস্থা মারাত্মকভাবে নড়বড়ে । দেশটি
দেউলিয়া হয়েছে অনেক আগে । হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার মতো সক্ষমতা
তাদের নেই । এমনকি আশ্রয় প্রার্থীদের নাম ঠিকানা লিপিবদ্ধও তারা ঠিকমতো
করতে পারছে না । এমন নাজুক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মতো সক্ষমতা তাদের নেই
। তবে সব কিছুর উর্ধ্বে উঠে নিজ দেশে প্রাথমিকভাবে শরণার্থীদের দুfবাহু
মেলে স্বাগতম জানিয়েছেন জার্মানির চ্যান্সেলর এঞ্জেলা মারকেল । তিনি ঘোষণা
করেছেন কোন দেশ কতো শরণার্থীকে নেবে তা পরের কথা আগে নিরাশ্রয়দের আশ্রয় দাও
। মারকেল এখন শরণার্থীদের কাছে মামা মারকেল (গধসধ গবৎশবষ)। সামনের বার
নোবেল শান্তি পুরস্কার মামা মারকেলকে না দিলে চরম অন্যায় হবে । গত কয়েক
দশকে একমাত্র নেলসন ম্যান্ডেলাই ওই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন । আর
সবগুলোই অপাত্রে গেছে । তবে মামা মারকেলের এই উদারতা যে সকল জার্মান
সমানভাবে নিয়েছে তা নয় । এটি ঠিক অনেক শহরেই স্থানীয় জনগণ গরম খাবার আর গরম
কাপড় নিয়ে রাস্তার দুধারে শরণার্থীদের জন্য অপেক্ষা করেছেন । অন্যদিকে কোন
কোন শহরে স্থানীয় মেয়রের কাছে গিয়ে শহরের বাসিন্দারা জানতে চেয়েছেন আগত
আরবরা ওই শহরে মসজিদ বানিয়ে ভোরে মাইকে আজান দিয়ে তাদের ঘুম ভাঙাবে কী না ।
এই সুযোগে জার্মানিতে নব্য নাৎসিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে । আর সৌদি বাদশা
একজন অপরিণামদর্শীর মতো ঘোষণা করেছেন সৌদি আরব সে দেশে দুfশত মসজিদ বানিয়ে
দেবে । এর ফলাফল কী হতে পারে সম্ভবত বাদশা নামদারের তা বোঝার ক্ষমতা নেই ।
কোনো কোনো শহরে শরণার্থীদের প্রতি ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে । শুক্রবার আরব নিউজ
খবর দিয়েছে ফিনল্যান্ডে শরণার্থীদের গাড়ির উপর পেট্রোল বোমা ছোড়া হয়েছে ।
অনেক শরণার্থী আবার ফিনল্যান্ড হতে ফিরে আসছেন। কারণ তাদের মতে দেশটি খুব
ঠ-া আর জনসংখ্যা খুবই কম । সেখানে কাজেরও তেমন কোনো সুযোগ নেই ।
ফিনল্যান্ডে বড় মাপের কোনো শিল্পকারখানা নেই । দুfএকটি যা আছে তাও হাইটেক ।
সেখানে কাজ করতে গেলে যে ধরনের দক্ষতা প্রয়োজন তা শরণার্থীদের তেমন একটা
নেই । ভাষার সমস্যা তো আছেই ।
রুহিনকে বললাম একটা শরণার্থী শিবির দেখতে যেতে হবে । খুব কাছেরটা সুইডেনে ।
রোবনমি হতে একশত আঠাশ কিলোমিটার । সুইডেনের টোরিনো শহর । গাড়িতে যেতে ঘণ্টা
দেড়েক সময় লাগল । প্রথমে মনে করেছিলাম সীমান্তে কোনো ধরনের ঝামেলা হবে ।
তবে কখন যে সীমান্ত পার হয়ে গেলাম তা টেরই পাওয়া গেল না । পরে খবর নিয়ে
জেনেছি একদিন পর সীমান্তে শরণার্থীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে কিছুটা কড়াকড়ি
করা হবে । শহরে ঢুকে প্রথমে বাস স্ট্যান্ডে ঢুকে দেখি সেখানে কোন শরণার্থী
নেই । আগের খবরে জানা গিয়েছিলো শরণার্থীদের বাসে করে এনে এখানে রাখা হবে ।
খবর নিয়ে জানা গেলো এক কিলোমিটার দূরে একটি স্কুলের eলাপ্পা হালিf ইনডোর
স্টেডিয়ামে শরণার্থীদের অস্থায়ীভাবে রাখার জায়গা করা হয়েছে । লাপ্পা হালিতে
গিয়ে দেখা মিলল রুহিনের পূর্ব পরিচিত কোটিপতি ব্যবসায়ী মাট্টি হেন্টুনেনের
সঙ্গে । সামনের টেবিলে বিরাট এক ডেগে মুরগির মাংস আর ভাতের লাবড়া । দুfএকজন
শরণার্থী আসছে তিনি তাদের তা পরিবেশন করছেন । দুfএকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা
গেল তারা ইরাকি । সেখানে শিয়া-সুন্নি-কুর্দি-আইএস সৃষ্ট গৃহযুদ্ধে
প্রতিনিয়তই তারা জীবনহানির শঙ্কা করছেন । জানতে চাই সাদ্দাম হোসেনের যুগে
তারা কেমন ছিলেন । জবাবে বললেন অন্তত দেশ ছেড়ে পালাতে তো হয় নি । কিছু একটা
করে পরিবার নিয়ে শান্তিতে রাতে তো ঘুমাতে পারতাম । পরিচয় হলো স্থানীয়
রেডক্রসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জুক্কা-পেক্কা কাসিনেনের সঙ্গে। তারাই এই
শিবির পরিচালনা করছে । একদিন পর স্কুল চালু হলে এটি ছেড়ে দিতে হবে । তখন
শরণার্থীদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে । ভিতরে যাওয়ার অনুমতি চাইলাম ।
অনুমতি পাওয়া গেলো এক শর্তে । কোনো ছবি তোলা যাবে না । ভিতরে ঢুকে দেখি
স্টেডিয়ামে পাঁচশত জনের থাকার আয়োজন থাকলেও আছে শfখানেক । তবে তখন সেখানে
শুধু গোটা ছয়েক শরণার্থী কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়েছিলো। আমাদের সঙ্গে সুইডেনের
দুfজন সাংবাদিকও প্রবেশ করে । তাদের একজন অনুমতি নিয়ে চারজন শুয়ে থাকা
শরণার্থীর সঙ্গে কথা বলতে যায় । তার সঙ্গে আমিও সঙ্গী হই । সাংবাদিকের
প্রথম প্রশ্ন কোন দেশ হতে এসেছেন? আধ শোয়া হতে একটু উঠে বেশ ঘটা করে বলে
eবাংলাদেশf । আমার তো ভিরমি খাওয়ার পালা । তাদের দিকে না তাকিয়ে জানতে চাই
চারজনই কি বাংলাদেশের । বলে eহঁf। বেগমগঞ্জ, রৌমারি, বেড়ামারা আর সুনামগঞ্জ
। আদম বেপারিরা তাদের লিবিয়া পাচার করেছিলো । সেখানে যুদ্ধের ডামাডোলে
থাকতে না পেরে অনেকটা এক কাপড়ে এতোদূর চলে এসেছে । এটি নিশ্চিত যে এদের
সহজে কোনো দেশে জায়গা হবে না । দেড় হাজার ইউরো আর দেশে ফেরার বিমানের একটা
টিকেট দিয়ে তাদের সকলকেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেবে । আদম বেপারিদের শিকার হয়ে
এমন অনেক বাঙালি এখন ইউরোপের ঠা-ায় এক দেশ হতে অন্য দেশে ঘুরছে । যদিও
ইইউfর দেশগুলো আলোচনা করে ঠিক করেছে কে কতজন শরণার্থী নেবে, হাঙ্গেরি,
রুমানিয়া, বুলগেরিয়াসহ পূর্ব ইউরোপের অনেক দেশ এই শরণার্থীদের না নেওয়ার
জন্য নানা ধরনের বাহানা তৈরি করছে যার অন্যতম হচ্ছে শরণার্থীদের ছদ্মবেশে
তাদের দেশে জঙ্গিরা ঢুকে যেতে পারে । তাদের এই আশঙ্কা একেবারে যে অমূলক তা
বলা যাবে না ।
আদম বেপারিদের খপ্পরে পড়ে বাঙালি যে শুধু আরব দেশগুলোতে যাচ্ছে তাই নয় তারা
অন্যান্য অনেক দেশেই যাচ্ছে । এই সম্পর্কে সরকারের উচিত গণসচেতনতা বৃদ্ধি
করা । আমাদের দেশের মানুষতো অন্য অনেক দেশের চেয়ে কোনো অংশে খারাপ নেই ।
সুইডেনের এই শরণার্থী শিবিরে না গেলে অথবা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদ
মনিটর না করলে বোঝা যেতো না এঞ্জেলা মারকেলের মতো মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন
মানুষ এখনও আছেন । দুনিয়াটা বুশ-ব্লেয়ারে ভরে যায় নি ।
লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক । ২৭ সেপ্টম্বর, ২০১৫
@
@
@
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
@
[প্রথমপাতা] |
@
@
@
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|