|
অনেক কিছু বদলে গেছে
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে
আবদুল মান্নান
দিল্লি একসময় মোগলদের
রাজধানী ছিল । এখন ভারতের । দিল্লির বয়স কত তা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে
মতভেদ থাকলেও ধারণা করা হয় খ্রিষ্টপূর্ব ছয় শতাব্দী আগেও এখানে মানুষ বসবাস
করেছে । মহাকাব্য মহাভারতের মতে দিল্লি একসময় পান্ডবদেরও রাজধানী ছিল । তখন
এর নাম ছিল ইন্দ্রপ্রস্থ । মোগল সম্রাট শাহজাহান তাঁর রাজধানী হিসেবে
দিল্লির গোড়াপত্তন করেন ১৬৩৮ সালে । ইংরেজ শাসনামলে বৃটিশ ভারতের প্রথম
রাজধানী ছিল কোলকাতা । পলাশির যুদ্ধেও পর এক সময় মুর্শিদাবাদ হতে প্রথমে
বঙ্গের পরে ভারতের রাজনধানি কোলকাতায় স্থানন্তরিত হয় । যেহেতু কোলকাতায়
বন্দর আছে তাতে লুটপাটের সুবিধা বেশী । ব্যবসার নামে লুটপাটে জগতজুড়ে
ইংরেজতের খ্যাতি আছে । ১৯১১ সনে রাজধানী স্থানান্তরিত হয় দিল্লিতে । রাজধানী
হিসেবে সাহেবদের আদি বনেদি দিল্লি তেমন একটা পছন্দ হয় নি । বৃটেন হতে নিয়ে
আসা হলো স্থপতি স্যার এডউন লুথইয়েনস ও স্যার হার্বাট বেকারকে । আধুনিক
নক্সায় নির্মিত হলো নতুন দিল্লি । ১৯৩১ সনের ১৩ই ফেব্রুয়ারি ভারতের নতুন
রাজধানী হিসেবে দিল্লির দ্বার উন্মোচিত হলো । সেই হতে দিল্লি ভারতের রাজধানী
। তবে এখনও দিল্লির প্রাণ হচ্ছে আদি দিল্লি । সেই দিল্লির রাত দিন সমান ।
এক সময় দিল্লি অনেক কিছু নিয়ে গর্ব করতো । সাহিত্য সংষ্কৃতি, আসর গুলজার করা
বাঈজির নাচ আর গ্লাস ভর্তি সুরা, শাস্ত্রীয় সঙ্গীত আর মোগল স্থাপত্য । এখন
এই সবের কোন কিছুই আর দিল্লির বাসিন্দাদের পুলকিত করে না । দিল্লি এখন
ধর্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে খ্যাতি অর্জন করেছে । প্রতিদিন পত্রিকা
খুললেই প্রথম পৃষ্ঠার খবর কোন কোন স্থানে গত রাতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ।
বিদেশি পর্যটক, কেনা কাটা করতে আসা মহিলা, রাতে বাড়ি ফেরা অফিস কেরানি হতে
শুরু করে ষাটর্দ্ধো বুড়ো বাদ যাচ্ছে না কেউই । মহিলারা নিজ দায়িত্বে রাতে
ঘর হতে বের হন । যাদের নিজস্ব গাড়ী আছে তাদের কথা আলাদা ।
পেশাগত কাজে আমাকে কয়েকমাস পর পর দিল্লি যেতে হয় । বছরে তিন হতে চার বার ।
প্রথমবার দিল্লি দর্শন হয়েছিল ১৯৮২ সালে । সেই দিল্লি আমাকে অভিভূত করেছিল
। এখন তেমন একটা করে না । শহরের চাকচিক্য বেড়েছে ঠিক কিন্তু সব কিছুতেই
কেমন যেন একটা মেকি ভাব, অনেকটা নিষ্প্রাণ । আর হবেই না কেন ? দিল্লিতো এখন
বিশ্বের একটি উঠতি অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ারের রাজধানী । আর কুড়ি বছর পর
বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের পরই হবে ভারতের অবস্থান । অর্থনীতিবিদরা তেমনটাই
ভবিষ্যতবাণী করছেন । দিল্লির মানুষের হাতে এখন কাঁচা টাকা । ২০১৫ সনে
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে অলিম্পিক গেমস । ফলে দিল্লির চেহারা পাল্টে গেছে
অনেকটা । চালু হয়েছে মেট্রো রেল । গেঁড়ে বসেছে বড় বড় শপিং মল । আধুনিকতার
ছোঁয়া লেগেছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে । তবে
বিমান বন্দরের কর্মদক্ষতা বাড়ে নি তেমন একটা । কী এক রহস্যজনক কারণে বিমান
বন্দরের ইমিগ্রেশন অফিসার আমার নাম আর পাসপোর্ট নিয়ে বেশ সময় নিয়ে প্রায়শঃ
বিরক্তিকর ভাবে গবেষণা করেন । মনে করেছিলাম এবারতো আমার লাল পাসপোর্ট তেমনটা
বুঝি হবে না । আমার ধারণা ভুল প্রমাণিত হলো । আমার পিছনে লাইনে দাঁড়ানো
বিমান যাত্রী উঁকি ঝুঁকি দেয়ার চেষ্টা করছে । কেন এত দেরী ? পিছনে ফিরে বলি
আমার নাম নিয়ে দিল্লি ইমিগ্রেশনে কোন একটা সমস্যা আছে তাই একটু সময় নিচ্ছে
। বছর কয় আগেতো বিরক্ত হয়ে আমাকে বলতে হয়েছিল সমস্যা থাকলে আমি নিজ দেশে
ফিরে যেতে রাজি, পাসপোর্টটা দিয়ে দিন । ইমিগ্রেশন অফিসারের বার বার প্রশ্ন
আমার নামের সাথে ভূঁইয়া নেই তা কী আমি নিশ্চিত ? তাকে বলি ওই নামে বাংলাদেশে
একজন রাজনীতিবিদ ছিলেন । তিনি বর্তমানে প্রয়াত । ভাল মানুষ ছিলেন। সেবার আধ
ঘন্টা পর ছাড়া পেয়েছিলাম । সে দিক থেকে কোলকাতার ইমিগ্রেশন অফিসাররা অনেক
বেশী কর্মদক্ষ । দিল্লি বিমান বন্দরটা ভারতের সব চেয়ে বড় বিমান বন্দর ।
বিমান হতে নেমে ইমিগ্রেশন পর্যন্ত হাঁঠতে হলো প্রায় এক কিলোমিটারের কাছাকাছি
। ভিতরে চলাচলের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি আছে । তবে তাদের সেবা মিলল না ।
বয়স্কদের বেশ অসুবিধা ও কষ্টই হচ্ছিল ইমিগ্রেশন পর্যন্ত পৌঁছাতে ।
দেশে থাকতেই পত্রপত্রিকা পড়ে জেনেছিলাম দিল্লির জওহরলাল নেহেরু
বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের সভাপতি কানাইয়া কুমারের গ্রেফতার নিয়ে
সে দেশে বেশ আন্দোলন হচ্ছে । ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় সাত শত
পঁচিশ । কোনটি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে আবার কোনটি কেন্দ্রের । জেএনইউ কেন্দ্রিয়
সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন । এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত
। এখানকার ছাত্র শিক্ষদের অধিকাংশই উদার মনভাবাপন্ন । সংবিধানের
ধর্মনিরপেক্ষতাকে তারা ধারণ করেন । এই ক্যাম্পাসে এখনো মার্কসবাদ চর্চা হয়
। বিজেপি সরকার এই ক্যাম্পাসকে তাদের পশ্চাদমুখী ধ্যান ধারণা প্রচার ও
প্রসারে বাধা মনে করে । বিজেপি ও তাদের পিতৃ সংগঠন আরএসএস’র অনেক নেতা
লোকসভা ও লোকসভার বাইরে প্রচার করেন জেএনইউ হচ্ছে রাজ্যের যত রকমের
অনাচারের কেন্দ্র বিন্দু । ভারতকে হিন্দু ভারতে রূপান্তরে বড় বাধা । তারা
মনে করে এখানকার ছাত্র ছাত্রীদের অবাধ মেলা মেশা দেশটাকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে
। এই নেতারা স্বীকার করতে নারাজ এটি একটি অত্যন্ত উঁচু মানের বিশ্ববিদ্যালয়
যা নিয়ে যে কোন ভারতবাসী গর্ব করতে পারেন ।
জেএনইউ’র বর্তমান সংকটটার শুরু ফেব্রুয়ারী মাসের ৯ তারিখ । ছাত্র সংসদ ঘোষণা
দিয়েছিল ক্যাম্পাসের ভিতর একটি রেষ্টুরেন্টে বিকেলে কবিতা পাঠের আসর বসবে ।
এমন অনুষ্ঠান আমাদের দেশে সমাজতন্ত্রে দিক্ষীত ছাত্রারা একসময় করতো । এখন
তারা অন্য অনেক বিষয় নিয়ে ব্যস্থ । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যথারীতি
অনুমতিও দিয়েছিল কানাইয়া ও তার বন্ধুরা । গোল বাধলো আসরের শুরুতে । পিছনের
দিকের কিছু ছাত্র হঠাৎ করে সরকার ও কারো কারো মতে ভারত বিরোধী শ্লোগান দেয়
। কয়েকজন ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সন্ত্রাসী মাকবুল বাট ও আফজাল গুরুর
পক্ষে শ্লোগানও দেয় বলে অভিযোগ উঠে । কেউ কেউ নাকি ভারত ভাঙ্গার শ্লোগানও
শুনেছে । এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে পুলিশ কানাইয়া কুমারকে গ্রেফতার করে ।
কানাইয়া সরাসরি বলে এই সব শ্লোগানের সাথে তারা মোটেও জড়িত নয় । কারা এই
ধরণের শ্লোগান দিয়েছে তা তাদের জানা নেই । তারপরও কানাইয়ার বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয়েছে । বাকি অভিযুক্ত চারজন পালিয়ে যেতে
সক্ষম হয় । পরে এদের দু’জন উমর খালিদ ও অনির্বাণ চ্যাটার্জি পুলিশের কাছে
আত্মসমর্পণ করে । সকলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ । এর মধ্যে কানাইয়া কুমারকে
আদালতে হাজির করা হলে বিজেপি পন্থি আইনজীবীরা তাকে আদালত প্রাঙ্গনে মারধোর
করে । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই সব ঘটনার প্রতিবাদে এখন তুমুল
আন্দোলন গড়ে তুলেছে । জেএনইউ’র আগে দক্ষিণ ভারতের হায়দ্রাবাদ
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নিম্ন বর্ণের দলিত ছাত্র রোহিত বার্মুলা আত্মহত্যা করে
। বলা হচ্ছে রোহিত একজন দলিত হওয়ার কারণে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং
কোন কোন শিক্ষক নিয়মিত নানা ভাবে হয়রানি করতো । সেই অপমানেই রোহিত আত্মহত্যা
করেছিল । গতবছর কোলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন উপাচার্য নিয়োগকে
কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় অচল ছিল বহুদিন। এই সবের বাইরে আরএসএস গোমাংশ
খাওয়ার অভিযোগে উত্তর ভারতের বেশ কয়েক স্থানে মুসলমানদের উপর হামলা করে ।
এর প্রতিবাদেও পশ্চিম বঙ্গ সহ একাধিক জায়গায় গোমাংশ খাওয়ার উৎসব চলে ।
ক’দিন আগে দিল্লির কাছের রাজ্য হরিয়ানার হিসার রাজ্যেও জাঠ সম্প্রদায়
আন্দোলন শুরু করে তাদেরকে অনুন্নত সম্প্রদায় ঘোষণা করে যেন তাদের সুযোগ
সুবিধা বাড়ানো হয় । এই দাবিতে তারা দিল্লিতে প্রবেশের অনেক রাজপথ বন্ধ করে
দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি দিল্লির পানি সরবরাহেও বিঘœ সৃষ্টি করে । মূল কথা
ভারতের একেক স্থানে একেক ধরণের সংকট পাখা মেলছে ।
সকলের প্রশ্ন এই সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কী করছেন ।
প্রশ্নটা আরো বেশী করে দেখা দিচ্ছে কারণ পশ্চিম বঙ্গ সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে
আর কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন । এই সব ঘটনাবলিতো নির্বাচনে
প্রভাব ফেলবে । অনেকের সাথে আলাপ করে আর পত্রপত্রিকা পড়ে মনে হলো এই সব
বিষয় নিয়ে মোদি তেমন একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না । বস্তুত পক্ষে তিনি এই
পর্যন্ত এই সব বিষয় নিয়ে কোন মন্তব্যই করেন নি । অনেকের মতে তিনি কথা বলার
দায়িত্বটা ছেড়ে দিয়েছেন দলের কিছু অর্ধশিক্ষিত নেতা নেত্রীর উপর । মোদির
মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী (শিক্ষাও তার দায়িত্ব) স্মৃতি ইরাণি । একসময় ছোট
পর্দার বড় অভিনেত্রী ছিলেন (কিঁউ কি সাস ভি ক্যাভি বহু তি) । ২৪ তারিখে লোক
সভায় তিনি রোহিতের আত্মহত্যা নিয়ে সে কী এক নাটকীয় গলাবাজিই না করলেন। দলের
মধ্যে ধন্য ধন্য পড়ে গেল । অন্যরা বললেন একজন অশিক্ষিত মহিলা এ’ছাড়া আর কী
বা করতে পারেন । স্মৃতি নাকি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ । তার সমালোচকরা বলেন তার
সনদ একশত ভাগ জাল । স্মৃতির লোকসভা কাঁপানো এই নাটকের একদিন পর রোহিতের মা
সাংবাদিকদের ডেকে সাফ জানিয়ে দিলেন স্মৃতি তার ছেলে কে নিয়ে পূরোটাই
মিথ্যাচার করেছেন । অন্যদিকে জেএনইউ’র ঘটনা নিয়ে ভারতের বুদ্ধিজীবী মহল বেশ
সোচ্চার । তাদের মতে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে একটি মুক্ত বুদ্ধি চর্চার জায়গা ।
অনেকে জেএনইউ চত্তরে গিয়ে ছাত্রদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে এসেছেন ।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও ইতোমধ্যে জেএনইউ’র আন্দোলনের সাথে
একাত্মতা ঘোষণা করেছেন । অন্যদিকে মোদি বেশ ফুরফুরে মেজাজে কৃষকদের সমাবেশে
বক্তৃতা দিয়ে বেড়াচ্ছেন । উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে গিয়ে এক জনসভায় কৃষকদের
মনে করিয়ে দিয়েছেন শহীদ ভগত সিং আন্দামানে জেল খেটেছেন!! আসলে ভগত সিং এর
ফাঁসি হয়েছিল লাহোরে । ম্যাঙ্গো পাবলিক এমনিতে বোকা হয় । রাজনীতিবিদরা
তাদেও সহজে বোকা বানাতে পারেন । তা না হলে কী মোদি যখন বলেন সেই বৈদিক যুগে
ভারতে হাওয়াই জাহাজ ছিল তারা তা কী ভাবে বিশ্বাস করে ? বাংলাদেশের ম্যাঙ্গো
পাবলিক আর ভারতের ম্যাঙ্গো পাবলিকের মধ্যে তেমন কোন তফাত নেই । এ’দেশেও তো
সাঈদিকে চাঁদে দেখা যায় । সেই ঘটনা নিয়ে সারা দেশে আগুন লাগে ।
কোলকাতার বন্ধুদের সাথে আলাপ করে জানা গেল এই সব ঘটনা আগামী রাজ্য সভা
নির্বাচনে মমতার তেমন একটা ক্ষতি হবে না তবে তার অনেক গুলি আসন হাতছাড়া হবে
। এরই মধ্যে সিপিএম ও কংগ্রেস নির্বাচনী জোট বাঁধবে তেমনটি শোনা যাচ্ছে ।
তবে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভবনা অদূর ভবিষ্যতে তেমন একটা নেই । তবে রাজ্যে
বিজেপির ভোট কমবে বলে কম বেশী সকলে মনে করেন । এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ
অনেক বেশী রাজনীতি সচেতন । তারা বিজেপি’র সাম্প্রতিক কর্মকান্ডে বেজায়
নাখোশ । অনেকের মতে বিজেপি’র সব অদ্ভুত তত্ত্ব এই রাজ্যে অচল । কোলকাতা এখনো
ভারতের সাংষ্কৃতিক রাজধানী । কেন্দ্রে মোদির ক্ষমতা হারানোর তেমন একটা
সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না । তার বড় পুঁজি কংগ্রেস ও সিপিএম’র
মধ্যমেধার নেতৃত্ব যা পশ্চিম বঙ্গের বেলায়ও সত্য । বিশাল ভারতবর্ষে এখন আর
নেহেরু, আজাদ বা প্যাটেলের মতো নেতা জন্মায় না । কোলকাতা হয়ে ঢাকা ফেরার পথে
বন্ধুদের বলি যোগ্য নেতৃত্বের আকাল সর্বক্ষেত্রে । ভারতও তার বাইরে নয় ।
দু’দেশের বেশীর ভাগ রাজনৈতিক নেতা নেত্রীই বাগাড়ম্বও সর্বস্ব । ম্যাঙ্গো
পাবলিকই তাদের ভরষা । মনে হলো এ’দিক দিয়ে ভারত বাংলাদেশ হতে কয়েকধাপ এগিয়ে
। এক কথায় অঅমার কাছে দিল্লি এখন আর আগের মতো আকর্ষনিয় নয় । তরপরও দিল্লি
ভারতবর্ষেও রাজধানী । পাওয়া যায় সেই বিখ্যাত লাড্ডু । না খেলে যে কেউ খেয়ে
আসতে পারেন ।
লেখক: বিম্লেষক ও গবেষক । মার্চ ১, ২০১৬
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|