@
@
@
@
@ |
@
বিএনপিfর দুঃসময়ে
সমশেরদের চলে যাওয়া
আবদুল মান্নান
@
@
eরাজনীতি ছাড়লেন
বিএনপিfর সমশেরf । বিএনপিfর ভাইস চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরীর বিএনপির
রাজনীতি হতে পদত্যাগের সংবাদটি ঠিক এমন ভাবে শিরোনাম করেছে গত শুক্রবারের
একটি জাতীয় বাংলা দৈনিক । সমশের শব্দটি ফারসি যার অর্থ ধারালো তলোয়াড় ।
পদত্যাগকারী বিএনপি নেতা সমশের মবিন চৌধুরী বিএনপিfর তলোয়াড় ছিলেন কী না
জানি না তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিকে অনেক সেবা দিয়েছেন । সমশের ও আমি
এক সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিভাগে ভর্তি হয়েছিলাম ১৯৬৭ সনে।
সমশের রাজনীতি বিজ্ঞানে আর আমি বাণিজ্যে । কিছু দিন পর আমার বেশ কিছু সহপাঠি
সেনা বাহিনী আর পাকিস্তান পুলিশ সার্ভিসে চলে গেল । সেনাবাহিনীতে কমিশন পেতে
হলে ইন্টার মিডিয়েট পাশ হলেই হয় । ১৯৬৯ সনে তিনি সেনাবাহিনীর একজন কমিশন্ড
অফিসার হিসাবে পাশ আউট করেন । সমশের পরে আর পড়া লেখা করেছিল কিনা জানি না ।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রাক্কালে সমশের ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টে একজন
লেফটেনেন্ট মেজর জিয়ার সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন ।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ রাতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ৮ম ইষ্ট
বেঙ্গল রেজিমেন্টের একজন জুনিয়ার অফিসার হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন । সেই
রাতে বিএনপিfর প্রতিষ্ঠাতা মেজর জিয়া (পরবর্তিকালে জেনারেল, প্রধান সামরিক
আইন প্রশাসক ও রাষ্ট্রপতি ) চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জন্য
eসোয়াতf জাহাজ হতে অস্ত্র খালাস করার জন্য বন্দরের পথে ছিলেন । আগ্রাবাদে
তার গাড়ী থামিয়ে ক্যাপ্টেন অলি (পরবর্তিকালে কর্ণেল, ও এলডিপিfর প্রতিষ্ঠাতা)
মেজর জিয়াকে খবর দেন ঢাকায় স্বাধীনতা ঘোষণা করা হয়েছে । এই কথা শোনার পর
জিয়া ষোলশহরের ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের অস্থায়ী সদর দপ্তরে বাঙালি সৈনিকদের
নিয়ে বিদ্রোহ করেন । ৮ম ইস্ট বেঙ্গলের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন লেঃ কর্ণেল
জানজুয়া । ২৭ তারিখ সারা রাত চট্টগ্রামে যুদ্ধ জাহাজ eবাবরf ও eখাইবারf হতে
গোলা বর্ষণ করা হয় । এfদিন জিয়ার বাহিনী চট্টগ্রাম সেনা নিবাস আক্রমন না করে
পূর্বে কক্সবাজারের দিকে পশ্চাদপসারণ করে । এটি ছিল জিয়ার একটি মারাত্মক
ভুল সিদ্ধান্ত । জিয়া কালুরঘাট ব্রিজের উপর দিয়ে কর্ণফূলি নদী পার হয়ে নদীর
পূর্বপারে অবস্থান নেন । পাকিস্তান নৌ বাহিনী ও সেনাবাহিনী অনেকটা জিয়ার
ভুলের কারণে দ্রুত চট্টগ্রাম দখল করে নেয় । ২৯ মার্চ সকালে পাকিস্তানি
বাহিনী দামপাড়া পুলিশ লাইন দখল করে । তবে বাঙালি পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা
তাদের শেষ বুলেট পর্যন্ত আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে
যুদ্ধ করে এবং শহীদ হয় । শহরের বিভিন্ন স্থানে ক্যাপ্টেন রফিকের (পরে মেজর
ও বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত । বর্তমানে আওয়ামী লীগ হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য)
নেতৃত্বে ইপিআর বাহিনী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেন । ১১ই এপ্রিল
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে কালুরঘাটে ৮ম ইষ্ট বেঙ্গলের সাথে তুমুল যুদ্ধ
হয় । সেই যুদ্ধে ৮ম ইষ্ট বেঙ্গলকে সার্বিক সহায়তা করেন স্থানীয় জনগণ, শহর
হতে আসা সাধারণ ছাত্র ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা । সেই যুদ্ধে লেঃ সমশের মবিন,
ক্যাপ্টেন হারুন, ক্যাপ্টেন খালিকুজ্জামান, লেঃ মাহফুজ সকলেই কম বেশী আহত
হন । গুরুতর আহত অবস্থায় লেঃ সমশের মবিন ও ক্যাপ্টেন খালিকুজ্জামান
পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে বন্দি হন । মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময় জুড়ে সমশের
মবিন চিকিৎসারত অবস্থায় পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর হাতে বন্দি ছিলেন । দেশ
স্বাধীন হলে তিনি মুক্ত হন । বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে বেশ কয়েকজন যুদ্ধাহত
মুক্তিযোদ্ধাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পূর্ব জামার্নি পাঠান যার মধ্যে সমশের
মবিন অন্যতম । ১৯৭২ সনে বঙ্গবন্ধু সরকার তাকে বীর বিক্রম উপাধিতে ভূষিত
করেন । দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে সমশের মবিন দেশে ফিরে আসলে তার শারীরিক সমস্যার
কারণে তাকে সেনাবাহিনী হতে অব্যাহতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারই তাকে পররাষ্ট্র
মন্ত্রণালয়ে আত্মিকরণ করে ।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকার হতে যে সকল মুক্তিযোদ্ধা ও ব্যক্তি বিশেষ সুযোগ
সুবিধা পেয়েছেন সমশের মবিন তাদের অন্যতম । অথচ সেই সমশের মবিনই বঙ্গবন্ধু
নিহত হলে ব্যাংককে গিয়ে তাঁর ঘাতক ফারুখ-রসিদ গংকে বিশেষ পাসপোর্ট, ডলার ও
বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন দূতাবাসে পদায়নের ব্যবস্থা করেন । তিনি
১৯৯৬-২০০১ সালে শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদকালে জার্মানি, চেক রিপাবলিক,
অস্ট্রিয়া, ভিয়েতনাম ও লাওসে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন । ২০০১ সালের
নির্বাচনের পর বেগম জিয়া সরকার গঠন করলে তিনি সমশের মবিন চৌধুরীকে দ্রুত
পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেন । ২০০৫ সাল হতে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস
পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন ।
বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সরকারের কাছ হতে সকল ধরণের সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও সমশের
মবিন বরাবরই জিয়া পরিবারের ঘনিষ্ট ছিলেন ও জিয়ার রাজনীতির ভক্ত ছিলেন যা
তিনি ২০০৭ সালে সরকারি চাকুরি হতে অবসর নেয়ার পর ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ
দিয়ে প্রমাণ করেন । বেগম জিয়া সমশের মবিনকে তার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা
নিয়োগ করেন ও ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেন । কোন বিদেশী অতিথি বেগম জিয়ার
সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলে সেখানে সমশের মবিন উপস্থিত থাকতেন এবং দলের হয়ে
তিনি সংবাদ ব্রীফিং করতেন ।
বৃহষ্পতিবার বিএনপি হতে পদত্যাগ করে সমশের মবিন সাংবাদিকদের বলেন তিনি
সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করেছেন । তার পদত্যাগ পত্রেও তিনি তা
লিখেছেন । তিনি আরো ক্ষোভের সাথে বলেছেন বর্তমানে বিএনপিতে প্রতিষ্ঠাতা
জিয়াউর রহমানের eআর্দশf কতটুকু আছে তা নিয়ে অনেকের মতো তার মনেও প্রশ্ন
রয়েছে । বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ১৯৭৮ সনে জিয়া যখন তার নূতন রাজনৈতিক দল
গঠন করেন তিনি রাজনৈতিক ভাবে পরিত্যক্ত সকল কিসিমের ব্যক্তি ও সংগঠনকে তার
তথাকথিত জাতীয়তাবাদী ছাতার নীচে আশ্রয় দেন । সাথে পেয়েছিলেন কিছু
সামরিক-বেসমারিক আমলা যাদের প্রায় সকলেই বঙ্গবন্ধুর কৃপা ধণ্য । তাদের
প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল তারা সকলে আওয়ামী লীগ বিরোধী আর কিছু ব্যতিক্রম বাদ
দিলে সকলে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্মেরও বিরোধিতা করেছিল । বহুদলীয়
গণতন্ত্র পূনঃপ্রবর্তনের নামে তিনি একাত্তরের ঘাতকদের দল জামায়াত, মুসলিম
লীগ, গলাকাটা রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত কট্টর চীন পন্থিদের রাজনীতি করার
সুযোগ করে দেন । শাহ আজিজের মতো দালালদের দেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে তিনি
প্রমাণ করেন আসলে তার প্রতিষ্ঠিত দলের মূল আদর্শ হচ্ছে একটি অসাম্প্রদায়িক
বাংলাদেশের বদলে তিনি দেশেটাকে একটা মিনি পাকিস্তান বানানোর লক্ষ্য নিয়ে
মাঠে নেমেছেন । তিনি একাত্তরের ঘাতকদের অন্যতম সিপাহী সালার জামায়াতের আমীর
গোলাম আযমকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি দেন । তার
স্ত্রী বেগম জিয়া সরকার গঠন করে একাত্তরের আর দুই ঘাতক মতিউর রহমান নিজামী
আর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে তার মন্ত্রী সভায় ঠাঁই করে দেন ।
দল হতে পদত্যাগ, দল পরিবর্তন, রাজনীতি হতে অবসর গ্রহণ কোনটাই বাংলাদেশের
রাজনীতিতে নূতন নয় । আওয়ামী লীগ হতে কেউ কেউ অন্য দলে গেছেন, কেউ বা আওয়ামী
লীগের নূতন সংষ্করণ গঠন করার চেষ্টা করেছেন । তেমন একটা সুবিধা হয় নি ।
তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগে ফিরে এসেছেন অথবা রাজনীতি হতে চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে
গিয়েছেন । এর অন্যতম কারণ আওয়ামী লীগের বাঙালি জাতীয়তাবাদের যে আদর্শ আছে
তার কার্যকর বিকল্প এখনো অন্য কোন দল তেমন একটা জনগণের সামনে উপস্থিত করতে
পারে নি । আর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যারা জড়িত তাদের একধরণের রাজনৈতিক
অঙ্গিকার আছে । অন্যদিকে বিএনপি যত না একটা রাজনৈতিক দল তা চেয়ে তা একটি
ক্লাব । যার হাতে দলের ষ্টিয়ারিং দল সে ভাবে চলে । জিয়ার সময় দল একরকম
চলেছে । বেগম জিয়া তার সভাপারিষদ নিয়ে দলকে একভাবে পরিচালিত করেছেন তবে
দুজনের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে জিয়াকে তার গুণধর পূত্র তারেক রহমানের ইচ্ছায়
দল পরিচালিত করতে হয় নি । তারেক রহমানের সীমাহীন ঔদ্ধত্যের কারণে দলের অনেক
সিনিয়র নেতাকে হয় অপমানিত হতে হয়েছে অথবা দল ত্যাগ করতে হয়েছে । ডাঃ বি
চৌধুরী, কর্ণেল (অবঃ) অলি আহম্মদ বীর বিক্রম, মেজর (অবঃ) মান্নান, আবু হেনা
প্রমূখরা তার জ্বলন্ত উদাহরণ । বর্ষীয়ান অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে
প্রকাশ্যে তারেক অপমান করেছেন । দলের মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া দল
ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন । সমশের মবিন চৌধুরীর সাথে লন্ডন হতে তারেক রহমান ফোনে
যে ভাষায় কথা বলেছেন তা কোন ভদ্রলোকের পক্ষে সহ্য করা সম্ভব নয় । সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যমে তা দেশের মানুষ শুনেছেন । বিএনপি এখন একটি কঠিন সময় পার
করছে । সোজা কথায় বলতে গেলে বলতে হয় দলটি এখন অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি ।
বেগম জিয়া দীর্ঘ দিন ধরে লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে চিকিৎসার নাম করে সময়
কাটাচ্ছেন । সহসা দেশে ফিরবেন কী ফিরবেন না তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না ।
অন্যদিকে হঠাৎ করে জিয়ার একমাত্র ভাই কামাল পরিবারের সদস্যদের জন্য দোয়া
মাহফিল করার ঘোষণা দিয়েছে, তাও আবার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে ।
এই ধরণের দোয়া মাহফিল সাধারণত কোন মসজিদ অথবা বাড়ীতে হয় । অবশ্য ভাই বলেছেন
তার এই দোয়ার পিছনে কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই । বেগম জিয়ার লন্ডনে
অবস্থান, সমশের মবিনের দল হতে পদত্যাগ, কামালের দোয়া মাহফিল কোনটাই
বিএনপিfর জন্য স্বস্থিদায়ক নয় । এরই মধ্যে গত শনিবার সন্ত্রাসীদের হাতে
নিমর্ম ভাবে দিন দুপূরে প্রকাশ্যে খুন হলেন প্রয়াত লেখক অভিজিতের প্রকাশক
ফয়সল আরেফিন দীপন । এর আগে গত ২১ ফ্রেব্রুয়ার বই মেলায় একই ভাবে নিহত
হয়েছেন অভিজিত নিজে । দুfজনই ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষকের সন্তান এবং
মুক্তমনা মানুষ হিসেবে পরিচিত । দীপন যে দিন খুন হয় ঠিক একই দিন একই সময়
একই কায়দায় লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রহমান
টুটুল সহ তিনজন লেখক ও ব্লগারকে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করা হয় । এই
সবের সাথে বিএনপিfর সাম্প্রতিক কর্মকা-ের কোন যোগসূত্র আছে কিনা জানি না ।
বিএনপি যদি সঠিক ভাবে দলকে পূনর্গঠন করে একটি সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক দল
গঠন করে তা হলে তারা রাজনীতিতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে এবং তা বাংলাদেশে
সুস্থ রাজনৈতিক সংষ্কৃতি চালুতে সহায়ক হবে । তবে দলের এই পূনর্গঠন তারেক
রহমানকে দিয়ে কতটুকু সম্ভব তা দলের নেতা কর্মীদের নির্মোহ ভাবে চিন্তা
করতে হবে । সময় মতো এfসব বিষয়ে চিন্তা না করলে হয়তো বিএনপিকে আরো সমশের
হারাতে হবে । তবে সেব কথার শেষ কথা বঙ্গবন্ধু আর তাঁর কন্যা অনেকের উপর
আস্থা রেখেছেন আর দূর্ভাগ্য হচ্ছে সকলে সেই আস্থার উপযুক্ত সম্মান দিতে
পারে নি ।
লেখক: গবেষক ও বিশ্লেষক । নভেম্বর ১, ২০১৫
@
@
@
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
@
[প্রথমপাতা] |
@
@
@
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|