|
পাকিস্তানের সাথে
কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্মূলায়নের এখনই সময়
আবদুল মান্নান
একাত্তরের পর বাংলাদেশকে
একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান স্বীকৃতি দেয় ১৯৭৪ সালের
২২ ফেব্রুয়ারী । এই স্বীকৃতি ছিল লাহোরে অনুষ্ঠিতব্য ওআইসি সম্মেলনকে সামনে
রেখে । জনসংখ্যার দিক হতে বাংলাদেশ তখন ইন্দোনেশিয়ার পর বিশ্বে মুসলমান
অধ্যুষিত দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ । ইতোমধ্যে আরব দেশেগুলি ছাড়া বিশ্বের
বেশীরভাগ দেশই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়ে ফেলেছে । আরব দেশগুলির মধ্যে ইরাক
ছিল কিছুটা ব্যতিক্রম । ইরাক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নৈতিক সমর্থন
দিয়েছিল। এই সময় ইরাকের প্রেসিডেন্ট ছিলেন আহম্মদ হাসান আল বাকার । অন্যদিকে
বাংলাদশকে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের সহায়তায় আরব দেশগুলি চষে
ফেলছিল জামায়াত নেতা গোলাম আযম । এই কাজে তাকে সহায়তা করার জন্য ভুট্টো
পাকিস্তান পিপল্স পার্টির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ও তাঁর ঘনিষ্ট মাহমুদ আলিকে
দায়িত্ব দিয়েছিলেন । ওআইসি সম্মেলনকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি
দেওয়ার জন্য পাকিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল ইরাক আর আলজেরিয়া । ১৯৭৪
সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ভুট্টো এক বেতার ও টেলিভিশন ভাষণে ঘোষণা করেন
“আল্লাহ্র নামে ও পাকিস্তানের জনগণের পক্ষে আমি আজ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি
দিচ্ছি ।” ভুট্টো আরো বলেন তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এশিয়া ও আফ্রিকার
মুসলিম দেশগুলির নেতৃবৃন্দের ইচ্ছায় যারা ওআইসি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার
জন্য পাকিস্তান সফরে আসছেন তাঁদেও অনুরোধে। বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি
দেওয়ার মধ্যে ভ’ট্টোর কোন আন্তরিকতা ছিল না । তবে সে সময় এই স্বীকৃতি ছিল
বঙ্গবন্ধু সরকারের পররাষ্ট্র নীতির একটি বড় সাফল্য । ভুট্টোর ঘোষণার
দু’ঘন্টার মাথায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষণা করেন
তিনিও পাকিস্তানকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন । একই দিন ইরান ও তুরস্কও বাংলাদেশকে
স্বীকৃতি দেয় । এরপরই ওআইসি’র মহাসচিব কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী সাবাহ্
আল-আহমদ বঙ্গবন্ধুকে ওআইসি সম্মেলনে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান । ২৩ তারিখ
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা হিসেবে লাহোর পৌঁছান । সাথে করে
বঙ্গবন্ধুকে লাহোরে নিয়ে যেতে এসেছিলেন আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়েরি
বুমেদিন । লাহোর বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুকে অভ্যর্থনা জানান পাকিস্তানের
প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো আর সে দেশের সেনা প্রধান জেনারেল টিক্কা
খান যিনি ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ রাতে বাঙালি নিধনের প্রথম পর্ব নিজ চোখে দেখার
জন্য শেরে বাংলা নগরে চেয়ার টেবিল পেতে হাতে ব্ল্যাক ডগ হুইস্কি নিয়ে
বসেছিলেন । টিক্কা খান যখন বঙ্গবন্ধুকে গার্ড অব অনার দিচ্ছেন তখন
বিমানবন্দরে এক অভূতপূর্ব পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিল । এরপর সামরিক ব্যান্ডে
বেজেছিল ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি।’ পিছনে উড়ছিল বাংলাদেশের
বিশাল পতাকা ।
বাংলাদেশকে পাকিস্তানের স্বীকৃতির ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা
গান্ধি বলেছিলেন “এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত স্বস্তিদায়ক । দু’দেশের সম্পর্ককে
স্বাভাবিক করণ ও উপমহাদেশে শান্তি ও সহযোগিতা প্রসারের ক্ষেত্রে এটি একটি
গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ।” সোভিয়েত ইউনিয়ন এই প্রসঙ্গে বলে “এই পদক্ষেপ এশীয়
দেশগুলোর স্বার্থ রক্ষায় সহায়তা করবে, এবং বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য পদ লাভে
সক্ষম হবে ।” এর পূর্বে ১৯৭২ সনে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য হতে চাইলে চীনের
ভেটোর কারণে তা ভেস্তে যায় । ১৯৭১ সনে চীন জাতি সংঘের সদস্য হওয়ার পর তাদের
প্রথম ভেটোটি প্রয়োগ করে বিশ্ব সংস্থায় বাংলাদেশের প্রবেশ ঠেকানোর জন্য ।
ভারত, সোভিয়েত ইউনিয়ন ছাড়াও অন্যান্য অনেক দেশ বাংলাদেশকে পাকিস্তানের
স্বীকৃতি প্রদানকে ইতিবাচক ভাবে দেখে এবং প্রত্যাশা করে এর ফলে উপমহাদেশে
একটি শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টি হবে । কিন্তু সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদে অর্থায়ন,
অন্য দেশের রাজনীতিতে (বিশেষ করে বাংলাদেশে) ষড়যন্ত্রমূলক হস্তক্ষেপ ও
পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর অপতৎপরতা সব কিছু মিলিয়ে
উপমহাদেশে শান্তি সৃষ্টিতে পাকিস্তান কোন অবদানতো রাখেই নি বরং নিজে এখন
একটি পতিত রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে । গত দুই দশকে বাংলাদেশ, ভারত ও
আফগানিস্তানে আইএসআই-এর তৎপরতা বহুগুণ বেড়েছে । পাকিস্তান কখনো বাংলাদেশে
একাত্তরের কথা ভুলেনি । এটি তাদের কাছে অভাবনীয় ছিল যে বাঙালিদের তারা শুরু
হতেই সব সময় অবজ্ঞার চোখে দেখেছে সেই বাঙালিদের হাতে তাদের চরম ভাবে
লাঞ্চিত হতে হবে এবং বাংলাদেশ একটি যুদ্ধের মাধ্যমে তাদের পরাজিত করবে । এই
পরাজয়ের জন্য তারা সব সময় বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ আর ভারতকে দায়ী করেছে । এই
দেশে প্রায় এক লক্ষ সেনা বাহিনী নিয়ে তাদের পরাজয় বরণ করতে হবে তা ছিল
তাদের কাছে অচিন্তনীয় কারণ সাধারণ পাকিস্তানিদের কাছে একটি ধারণা ছিল যে
তাদের দেশের সেনাবাহিনী বিশ্বের সেরা সেনাবাহিনী । তাদের সেই বিশ্বাস
বাংলাদেশে চরম ভাবে ধুলিস্বাত হয়ে গিয়েছিল । একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের
বাস্তবতা হচ্ছে ডিসেম্বরে চূড়ান্ত লড়াই শুরু হওয়ার পূর্বে বাংলাদেশের
অধিকাংশ এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে গিয়েছিল । তাদের সর্বাত্মক ভাবে
সহায়তা করেছিল ভারতের জনগণ এবং সে দেশের সেনাবাহিনী । ঢাকা দখলের জন্য
অন্তিম মুহূর্তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদদের প্রয়োজন হয়েছিল ।
একাত্তর পরবর্তিকালে পাকিস্তান সব সময় সুযোগ খুঁজেছে বাংলাদেশে তাদের
নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে । বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর এ কাজটি তাদের জন্য
অনেক সহজ হয়ে পরে কারণ বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়ার রাজনৈতিক
চিন্তাধারা সম্পূর্ণ ভাবে পাকিস্তানি রাজনৈতিক চিন্তাধারার সাথে
সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল । পাকিস্তানের মতো তিনিও ধর্মকে বেশ চাতুর্যের সাথে
বাংলাদেশে ব্যবহার করেছেন । জিয়ার শাসনামলে জামায়াতে ইসলামের আমির গোলাম
আযম বাংলাদেশে ফিরে জামায়াতকে পুনরুজ্জীবিত করেন । অথচ এই জামায়াতই
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানের পাশে থেকে বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াই
করে । তারা আলবদর বাহিনী গঠন করে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ।
বঙ্গবন্ধু শাসনামলে রচিত ১৯৭২ সনের সংবিধানে জামায়াত, মুসলীম লীগ সহ সব
ধরণের ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হয় যা জিয়া বাতিল করে বাংলাদেশে
এই সব রাজনৈতিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেন । তাদের আর্থিক ভাবে সহায়তা
করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই ও মধ্যপ্রাচ্যের কিছু
আরব দেশ । গোলাম আযম বাংলাদেশে ফেরার আগ পর্যন্ত তার ভাষায় পূর্ব
পাকিস্তানকে পুনরুদ্ধার করার জন্য তিনি আরব দেশ সমূহ হতে কোটি কোটি টাকা
চাঁদা সংগ্রহ করেন । ১৯৭৮ সনে জিয়া তার নিজের দল বিএনপি গঠন করলে আইএসআই
তাঁকে ও তাঁর দলকে নানা ভাবে সহায়তা করে । আইএসআই-এর এককালের প্রধান
জেনারেল (অবঃ) আসাদ র্দুরানি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে ২০১২ সালে এক
এফিডেবিট দিয়ে বলেন আইএসআই বাংলাদেশের ১৯৯১ সনের নির্বাচনে বিএনপিকে পঞ্চাশ
কোটি রুপি সহায়তা দিয়েছিল । বাংলাদেশ ছাড়াও আইএসআই উত্তর পূর্ব ভারতের
বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোকে অস্ত্র ও অর্থ দিয়ে সব সময় সহায়তা দিয়েছে ।
শেখ হাসিনা সরকার গঠন করার পর তাদের এই তৎপরতা অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যায় । তবে
পাকিস্তান এই অঞ্চলটাকে অস্থিতিশীল করে রাখার জন্য সর্বক্ষণ তৎপর রয়েছে ।
তাদের সর্বশেষ তৎপরতা হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে
ভারতে জাল টাকা চালান করা আর ভারত ও বাংলাদেশের জঙ্গিসংগঠন গুলোকে অর্থায়ন
করা । এটি বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশ এবং সরকারের ভিতর পাকিস্তানের
অনেক এজন্টে সক্রিয় আছেন এবং তারা সুযোগ পেলেই সরকারকে বেকায়দায় ফেলার
চেষ্টা করেন। এই ব্যাপারে সরকার তেমন একটা সতর্ক আছে বলে মনে হয় না ।
বর্তমানে বাংলাদেশের সাথে পাকিস্তানের এক ধরণের কূঠনৈতিক ঠান্ডা লড়াই শুরু
হয়েছে তা অনেকটা জঙ্গি অর্থায়ন নিয়েই । সম্প্রতি বাংলাদেশে পাকিস্তানের হাই
কমিশনে নিযুক্ত দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) ফারিনা আরসাদকে
বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ এই অর্থায়নের জন্য তথ্য প্রমাণ সহ সনাক্ত
করে । বাংলাদেশ ভিয়েনা কনভেনশনের রেওয়াজ মেনে পাকিস্তানকে অনুরোধ করে ফারিনা
আরসাদকে বাংলাদেশ হতে প্রত্যাহার করার জন্য। ফারিনা দেশে ফেরার পর কোন কারণ
ছাড়া পাকিস্তান ইসলামাবাদে আমাদের দূতাবাসের কূটনৈতিক কর্মকর্তা মৌসুমী
রহমানকে তাদের দেশ হতে বহিষ্কার করে যা ছিল আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও ভিয়েনা
কনভেনশনের পরিষ্কার বরখেলাপ । ২০১৫ সনের জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশ হতে
পাকিস্তানি দূতাবাসের মাজহার খান নামের এক কর্মকর্তা বহিষ্কৃত হন । তিনি
জঙ্গিদের কাছে জাল টাকা হস্তান্তর করার সময় গুলশানের এক হোটেলে বাংলাদেশের
গোয়েন্দাদের কাছে বমাল ধরা পরেন । ২০০০ সালে বাংলাদেশ পাকিস্তানের ডেপুটি
হাই কমিশনার ইরফান-উর রাজাকে বাংলাদেশ হতে বহিষ্কার করে । তিনি এক সভায়
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে চরম অবমাননাকর মন্তব্য
করেছিলেন । বাংলাদেশে অবস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের এই সব
কর্মকান্ডেই তাদের গর্হিত কাজ থেমে থাকে নি । আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে
যখনই জামায়াতের কোন নেতা তাদের একাত্তরের অপরাধের জন্য দন্ডিত হয়েছেন তখনই
পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে জামায়াত, মুসলীম লীগ ও ইমরান খানের
তেহরিখে ইনসাফ তার প্রতিবাদ করেছে । এমন কী যখন জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার
যখন ফাঁসি হয় তখন পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে এই দন্ড কার্যকর করার জন্য
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব নেয়া হয় যা ছিল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ
বিষয়ে হস্তক্ষেপ ।
সম্প্রতি পাকিস্তান দূতাবাসের প্রেস শাখার আবরার আহম্মদ নামের এক
কর্মকর্তাকে গোয়েন্দা পুলিশ গুলশানে বেগম জিয়ার বাসভবনের নিকট হতে মোটর
সাইকেলে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করার দায়ে আটক করে । তার কাছে কোন বৈধ
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না । ছিল না নিজের কোন পরিচয় পত্র । মোটর সাইকেলে
ছিল না কোন কূটনৈতিক নম্বর প্লেট । গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করার সময় তাদের
পরনে পরিচিতি মূলক পোষাক ছিল । জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পাকিস্তান দূতাবাসের
দ্বিতীয় সচিব জামিল আখতারের কাছে হস্তান্তর করা হয় । এর কয়েক ঘন্টার মধ্যে
ইসলামাবাদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস শাখার কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেনকে
অজ্ঞাত পরিচয়ের কিছু ব্যক্তি অপহরণ করে এবং সাত ঘন্টা আটকে রেখে একটি
অপরিচিত স্থানে ছেড়ে দেয় । এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে নিযুক্ত
পাকিস্তানের হাই কমিশনার সুজা আলমকে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে
বাংলাদেশের পক্ষে কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ জানানো হয় । তাকে বলা হয় পাকিস্তান
যা করেছে তা ভিয়েনা কনভেনশনের পরিষ্কার লঙ্গন ।
বিভিন্ন মহল হতে দাবি উঠেছে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক
ছিন্ন করতে । বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলি সংসদে বলেছেন
এই মুহূর্তে বাংলাদেশ তা চিন্তা করছে না কারণ এর ফলে সার্ক ও ওআইসি’র সাথে
আমাদের সম্পর্ক প্রভাবিত হতে পারে । সম্পর্ক যদি সম্পূর্ণ ছিন্ন নাও করা
যায় তাহলে পাকিস্তানে আমাদের হাইকমিশনের অবস্থান কয়েক ধাপ নীচে নামিয়ে এনে
তা একজন কাউন্সিলারের দায়িত্বে রাখা যেতে পারে । করাচিতে অবস্থিত
বাংলাদেশের কন্সিউলার দপ্তর বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে । প্রয়োজনে সার্কভূক্ত
অন্য কোন দেশের দূতাবাসে কর্মরত আমাদের একজন রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারকে
পাকিস্তানে আমাদের স্বার্থ দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে । দেশের
সম্মানকে সব কিছুর উর্দ্ধে স্থান দিতে হবে । এটি মনে রাখা ভাল বাংলাদেশে
পকিস্তান সব সময় নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকবে এবং তারা এই দেশিয় কিছু ব্যক্তি,
সংগঠন, পেশাজীবী ও মিডিয়ার পরোক্ষা বা প্রত্যক্ষ সমর্থন পাবে ।
লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক । ফেব্রুয়ারী ৭, ২০১৬
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|