প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

@

@

@

@

@

@

ঢাকা যে দিন আনন্দ নগর


আবদুল মান্নান
@


@

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে নয় মাস এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও মুক্ত বাঙালির মনে স্বাধীনতার আনন্দটা অপূর্ণই রয়ে যায় কারণ তখন পর্যন্ত এটি পরিষ্কার ছিল না জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন কী নেই কারণ এর আগে পাকিস্তান সরকার প্রচার করেছিল যে তারা শেখ মুজিবকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সামরিক আদালতে বিচার করছে । তারও আগে ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক শাসক ও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে বাঙালি নিধনের হুকুম দিয়ে পাকিস্তান ফেরত গিয়ে রেডিও টেলিভিশনে এক ভাষণ দিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং বলে শেখ মুজিব একজন রাষ্ট্রদ্রোহী আর এবার তাঁকে শাস্তি বিনে ছেড়ে দেয়া হবে না । আর সামরিক আদালতে কোন ব্যক্তির যদি রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার হয় তা হলে তার শাস্তি অবধারিত ভাবে মৃত্যুদন্ড হয়ে থাকে। ব্যক্তিটি যদি বঙ্গবন্ধু হয় তা হলে এই ব্যাপারে কারো সন্দেহ থাকা উচিৎ নয় । এর আগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারের সময় বঙ্গবন্ধুকে একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল । সেfবার ছাত্রজনতার এক উত্তাল গণ আন্দোলনের মুখে জেনারেল আইয়ূব খান বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল । ১৯৭১ এর প্রেক্ষাপট ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন । বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে । তার বিচার শুরু হয়েছে হাজার মাইল দূরের সেই দেশে । সেখানে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে দাঁড়ানোর কেউ নেই । বরং তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে কোন কোন বাঙালি অতি উৎসাহে পাকিস্তানে উড়ে গিয়েছিলেন বলে জনশ্রুতি আছে । বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিল শুধু কোটি বাঙালির হৃদয় নিংড়ানো দোয়া আর ভালবাসা আর ছিল বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে কিছু আন্তর্জাতিক চাপ । শেষ পর্যন্ত সেই দোয়া, ভালবাসা আর আন্তর্জাতিক চাপই জয়ী হয়েছিল । ৮ জানুয়ারি রাতে বিবিসি খবর দিল পাকিস্তান কারাগার হতে মুক্ত হয়ে বাঙলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এখন লন্ডনের পথে । সেই রাতে সাড়া দেশে ঈদের আনন্দটা সে বছর আগেই এসে গিয়েছিল । সাড়া দেশে লক্ষকোটি মানুষ শোকরানা নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলেন । বাঙালির মহানায়ক তাদের কাছে এক মুক্ত মানুষ হিসেবে ফিরে আসছেন ।
পাকিস্তানের কারাগার হতে মুক্ত হয়ে ৮ই জানুয়ারি শীতের সকালে বঙ্গবন্ধু হিথরো বিমান বন্দরে পৌঁছেছিলেন । আগের দিন গভীর রাতে বৃটিশ ফরেন অফিসের ইয়েন সাদারল্যান্ড বৃটেনে পাকিস্তানের পক্ষ ত্যাগী কূটনীতিবিদ রেজাউল করিমকে বঙ্গবন্ধুর মুক্তির ব্যাপারে খবর দিয়েছিলেন । অতি ভোরে রেজাউল করিম আর দুই বাঙালি কূটনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমেদ আর মহিউদ্দিন জায়গিরদারকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানাতে ছুটে গিয়েছিলেন । বিবিসি বাংলা বিভাগের সেই সময়ের সংবাদদাতা সিরাজুর রহমান সহ আরো কয়েকজন পরবর্তিকালে দাবি করেছিলেন সেই সকালে তারাও হিথরো বিমান বন্দরে উপস্থিত ছিলেন যা কূটনীতিবিদ মহিউদ্দিন আহমেদ প্রতিবাদ করে বলেছেন এই ধরণের দাবি সত্য নয় । একদিন পর বঙ্গবন্ধু রাজকীয় বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উদ্দেশ্যে লন্ডন ত্যাগ করেন । পথে ১০ তারিখ সকালে দিল্লিতে ভোরে যাত্রা বিরতি । সেই সকালে সকল প্রোটোকল ভেঙ্গে দিল্লির পালাম বিমান বন্দরে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানাতে ছুটে এসেছিলেন ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরী আর প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী । বঙ্গবন্ধু তখনো আক্ষরিক অর্থেই শুধু একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান । একাত্তরের ১০ই এপ্রিল বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি করে প্রবাসি সরকার গঠন করা হয়েছিল সত্য কিন্তু তখন পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন নি । তাঁর অবর্তমানে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম নয় মাস রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন । সংক্ষিপ্ত যাত্রা বিরতির পর বঙ্গবন্ধু স্বদেশের উদ্দেশ্যে দিল্লি ত্যাগ করেন । তখন বাংলাদেশে আনন্দ উৎসব শুরু হয়ে গেছে । মহানায়ক ফিরছেন । বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ উৎসবের জন্য এর চাইতে আর ভাল কোন অজুহাত বাঙালি সে দিন চিন্তা করতে পারে নি ।
অপরাহ্নে ঢাকার আকাশে রাজকীয় বিমান বাহিনীর বিমানটি দেখা গেল । চারিদিকে তখন একটাই গগন বিদারী শ্লোগান. eজয় বাংলাf। ক্লান্ত আর অবসন্ন বঙ্গবন্ধু বিমানের ভিতরে মাথা নীচু করে কিছু একটা চিন্তা করছেন । দিল্লি হতে বঙ্গবন্ধুর সফর সঙ্গী হয়েছিলেন কূটনীতিবিদ ফারুখ চৌধুরী (পরে পররাষ্ট্র সচিব) । তিনি বিমানের জানালা দিয়ে নীচে তাকিয়ে তেজগাঁও বিমান বন্দরে (তখন পর্যন্ত ওটাই আমাদের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর) সমবেত লক্ষ জনতার ঢল দেখে বঙ্গবন্ধুর চিন্তায় ছেদ ঘটিয়ে বললেন fবঙ্গবন্ধু নীচে তাকিয়ে দেখুনf । মহানায়ক জানালা দিয়ে নীচে তাকিয়ে শুধু একটা মন্তব্য করেন eএত মানুষকে আমি খাওয়াবো কী ?e ফারুখ চৌধুরী এfসব কথা তাঁর স্মৃতি কথায় মূলক গ্রন্থ eপ্রিয় ফারজানায়f উল্লেখ করেছেন । সেই অপরাহ্নে লক্ষ জনতার ভিড় মোকাবেলা করে যখনই বৃটিশ রাজকীয় বিমান বাহিনীর বিমানটি তেজগাঁও বিমান বন্দরে অবতরণ করে তখন ঢাকা সত্যিকার অর্থে এক আনন্দ নগরী । যেহেতু সে সময় ঢাকা টিভিfর প্রচারের সক্ষমতা ঢাকা মহানগরের বাইরে ছিল না সেহেতু দেশের অন্যান্য প্রান্তের জনগণকে রেডিওfর ধারা বর্ণনায় সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে । তবে সেদিন সম্ভবত মুষ্টিমেয় কিছু রাজাকার আলবদর ভাবধারার মানুষ ছাড়া এমন কোন ব্যক্তি ছিলেন না যিনি রেডিওতে কান পেতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ধারা বর্ণনা শুনেন নি । বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত স্বদেশের মাটিতে প্রথম স্বাগতম জানান প্রবাসী সরকারের সদস্য আর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দরা । বিমান বন্দরে আয়োজন করা হয়েছিল নবগঠিত বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর এক চৌকস্ দলের গার্ড অব অনার । এর পরেই মহানায়ক উঠলেন একটি খোলা ট্রাকে । সাথে জেনারেল ওসমানি সহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ । গন্তব্য সোহরাওয়ার্দি উদ্যান । যে স্থান হতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা দিয়েছিলেন eএবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামe সেখান হতেই স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম ভাষণ দেবেন জাতীর জনক । ঠিক একই স্থানে একাত্তরের ষোলই ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি সেনা বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি আত্মসমর্পণ করেছিলেন মিত্র বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল আরোরার কাছে । তেজগাঁও বিমান বন্দর হতে লাখো জনতার বীর ঠেলে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারি ট্রাক সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে পৌঁছাতে সময় লেগেছিল প্রায় তিন ঘন্টা । ততক্ষণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান লক্ষ জনতার ভীরে মনে হচ্ছিল মাটির নীচে একহাত দেবে গেছে । চারিদিকে eজয় বাংলাf শ্লোগানের ধ্বনি তখন এভারেষ্টের চূড়ায় টিকরে পড়ছে । বঙ্গবন্ধু যখন সমাবেশস্থলে পৌঁছালেন তখন পড়ন্ত বিকেল । জানুয়ারিতে একটু আগেই সন্ধ্যা হয় । সেfদিনের সমাবেশে একজনই বক্তা ছিলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব । তাঁর বক্তৃতায় তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথকে উদ্বৃতি করে বলেছিলেন বাঙালি সম্পর্কে আপনার বক্তব্য আজ আমার দেশের মানুষ ভুল প্রমাণ করেছে । তারা মানুষ হয়েছে । তিনি পাকিস্তানে তাঁর বন্দি জীবনের কথা বলতে গিয়ে এক পর্র্যায়ে বাকরুদ্ধ হয়ে তাঁর প্রতি বাঙালির ভালবাসার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন । সম্ভবত বঙ্গবন্ধুর এটাই প্রকাশ্য কোন জনসভায় অশ্রু বিসর্জন । তবে তা ছিল আনন্দাশ্রু ।
১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে ১২ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশর প্রথম মন্ত্রিসভা পূণর্গঠন করেছিলেন । তিনি উপলব্দি করেছিলেন যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশকে আবার নিজের পায়ে দাঁড় করাতে হলে কোন কালক্ষেপণ না করেই তাঁকে কাজে নেমে যেতে হবে । কিন্তু সমস্যা ছিল একটি স্বাধীন দেশের সরকার চালানোর মতো তখন অভিজ্ঞ সরকারি কর্মচারি ছিল না বললেই চলে । খুঁজে খুঁজে তিনি বের করেছিলেন অবসরে যাওয়া কিছু আমলা, পেশাজীবী আর শিক্ষককে । দ্রুত গঠন করেছিলেন দেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশন । তাতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক মোর্শারফ হোসেন, অধ্যাপক আনিসুর রহমানের মতো শিক্ষাবিদদের । ১৯৭২ সনে যুক্তরাষ্ট্র হতে দেশে ফিরে আসেন ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস । পরিকল্পনা কমিশনে তিনি যোগ দেন একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে । সাথে ছিলেন ডঃ এ আর খান, ডঃ মোজাফ্ফর আহমদ প্রমূখরা । আমলাদের মধ্যে যোগ দিয়েছিলেন রুহুল কুদ্দুস, মাতিউল ইসলাম, কাজি ফয়জুল্লাহ, রফিকুল্লাহ চৌধুরী, এইট টি ইমামা, নুরুর কাদের খান সহ অন্যান্যরা । সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ১৯৭৪ সন নাগাদ যুদ্ধবিধ্বস্থ বাংলাদেশ আবার নিজের পায়ে দাঁড়ায় । ঠিক তখনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সৃষ্টি করে চুয়াত্তরের দূর্ভিক্ষ । সে অন্য কাহিনী ।
অনেকের প্রশ্ন বঙ্গবন্ধু দেশে না ফিরলে দেশের কী হতো ? যা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল তা হয়তো সুখের হতো না । প্রথমে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করা কঠিন হতো কারণ আওয়ামী লীগের মধ্যেই অন্তঃকলহ সৃষ্টি হওয়ার একটি সম্ভাবনা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময় হতেই দেখা দিয়েছিল । বঙ্গবন্ধু লন্ডন হতে দেশে ফেরার সময় দিল্লিতে স্বল্পকালিন যাত্রা বিরতি কালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধিকে একটিই প্রশ্ন করেছিলেন । eকবে আপনার সেনাবাহিনী বাংলাদেশ ছাড়বে ?f জবাবে ইন্দিরা গান্ধি বলেছিলেন eযখন আপনি চাইবেনf। ভারতীয় বাহিনী স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীনতা দিবসের আগেই নিজ দেশে ফেরত গিয়েছিল । দেশের ভিতর হাজার হাজার মুক্তিবাহিনীর হাতে তখন আধুনিক মারণাস্ত্র । বঙ্গবন্ধু হুকুম দিলেন সব অস্ত্র সরকারের কাছে জমা দিতে হবে । হুকুমদাতা যদি হয় বঙ্গবন্ধু তাহলে তা অমান্য করার সাধ্য কারো ছিল না । মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকা সব অস্ত্র জমা পরেছিল । অস্ত্র জমা দিয়ে অনেকেই নিজ নিজ কর্ম ক্ষেত্রে ফিরে গিয়েছিলেন । যাদের ফিরে যাওয়ার মতো কোন জায়গা ছিল না তাদের দিয়ে গঠন করেছিলেন জাতীয় রক্ষী বাহিনী কারণ এদের নিয়মিত সেনাবাহিনীতে যাওয়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ছিল না । সেই রক্ষীবাহিনী নিয়ে কত সব কল্প কাহিনী । বঙ্গবন্ধু ফিরে আসার কারণেই বছর না গড়াতেই বাংলাদেশ পেয়েছিল একটি আধুনিক সংবিধান আর তাঁর সাড়ে তিন বছর শাসনকালে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ সদস্য হয়েছিল জাতি সংঘের । গত ৪৪ বছরে বাংলাদেশে অনেক সরকার এসেছে গেছে কিন্তু বঙ্গবন্ধুর তুলনা বঙ্গবন্ধুই । বঙ্গবন্ধু জানতেন কোন ব্যক্তিকে দিয়ে কী কাজ হবে । তিনি সব চেয়ে যোগ্য ব্যক্তিটিকে রাষ্ট্র গঠনে কাজে লাগাতে পেরেছিলেন । ১৯৭১ সনের ১০ই জানুয়ারী বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অনেকটা যুদ্ধজয়ী রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের হাজার হাজার উৎফুল্ল জনতার মাঝখান দিয়ে রোম নগরীতে প্রবেশের মতো । সিজারকে তাঁর আপনজন ব্রুটাস বাঁচতে দেন নি । ঠিক এমনি ভাবে বঙ্গবন্ধুকেও খোন্দকার মোশতাক আর তার সহ ষড়যন্ত্রকারীরা বাঁচতে দেন নি । সে দিনের সেই সোনা ঝরা বিকেলের কথা মনে করে বলি জয়তু শেখ মুজিব, জয়তু বঙ্গবন্ধু ।

লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক । জানুয়ারি ৯, ২০১৫

@

@

@

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

@

[প্রথমপাতা]

@

@

@

লেখকের আগের লেখাঃ

 [......লেখক আর্কাইভ]