প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

প্রধানমন্ত্রী সাবধান হলে শঙ্কার কোন কারণ নেই


আবদুল মান্নান
 


 

সপ্তাহ কয়েক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের কার্যনিবাহী সংসদের সভায় তার জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা প্রকাশ করেছেন । সম্প্রতি সমাপ্ত বিএনপি’র কাউন্সিলে বেগম জিয়া দলের নীতি নির্ধারকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শেখ হাসিনাকে বাদ দিয়ে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে শেখ হাসিনা তাঁকে হত্যা করার হুমকী হিসেবে দেখছেন । এর আগে গত ১৯ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৭ তম জন্মদিনের দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডঃ আনোয়ার হোসেন একই রকমের শঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং এর অংশ হিসেবে তাঁর কাছের যেসব মানুষ তাঁর প্রতি নিঃস্বার্থ সমর্থন যোগাতেন তাদেরকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে শেখ হাসিনার কাছ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হচ্ছে । লন্ডনে প্রবাসী সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একটি জাতীয় দৈনিকে লিখেছেন ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট ঠিক একই কায়দায় বঙ্গবন্ধুকে তাঁর আস্তাভাজন ও বিশ্বস্ত নেতা কর্মীদের কাছ হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল । কাজটি শুরু হয়েছিল অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিনকে মন্ত্রীসভা হতে বাদ দেওয়ার মধ্য দিয়ে । তিনি আরো লিখেছেন শেখ হাসিনার জন্য এই কাজটি সম্ভবত শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ডঃ আতিউর রহমানের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে । বঙ্গবন্ধু যখন নিহত হন তাঁর চার পার্শ্বে শুধু তিনজন মানুষ ছিলেন যাঁরা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন । এদের মধ্যে ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল সফিউল্লাহ, কর্নেল নুরুজ্জামান (রক্ষী বাহিনী প্রধান, তখন দেশের বাইরে ছিলেন) ও কর্নেল জামিল (৪৬ ইনফেন্ট্রি ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার, ঘাতকদের হাতে নিহত) । বঙ্গবন্ধুর চারপার্শ্বে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে একাত্তরে যিনি স্পেশাল ফোর্সের পরিচালক ছিলেন সেই আবদুর রহমান ছিলেন স্বরাষ্ট্র সচিব । বঙ্গবন্ধুর নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে । স্পেশাল ফোর্স গঠিত হয়েছিল রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্ ও শান্তি কমিটির সদস্যদের নিয়ে। ’৭৫ সালে পুলিশের আইজি তছলিম উদ্দিন ছিলেন ’৭১ এ পাকিস্তান পুলিশের আইজি । জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বা এনএসআই’র আবদুল হাকিম ’৭১এ নোয়াখালী জেলার এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ব্রিগেডিয়ার আবদুর রউফ পাকিস্তান হতে ফিরে আসা সেনা কর্মকর্তা । মোটামুটি বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাঁকে সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছিল । এখানে আরো একটি বিষয় উল্লেখ্য যে বঙ্গবন্ধু যখন একটি সম্পূর্ণ যুদ্ধবিধস্ত দেশকে নিজের পায়ে উঠে দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছিলেন ঠিক তখনই ঘাতকরা তাঁর উপর হামলা চালিয়ে তাঁকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। বর্তমানে যখন শেখ হাসিনা নিজে তাঁর শঙ্কার কথা জানিয়েছেন ঠিক তখন বাংলাদেশ উন্নয়নের সোপানে এবং একটি মধ্যম আয়ের দেশে উপনিত হওয়ার দ্বার প্রান্তে । সুতরাং শঙ্কাতো হতেই পারে ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা পরিস্থিতিকে কিছুটা হলেও ঘোলাটে করেছে । বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার আগে সে ঘটনার যৌক্তিকতা প্রমাণ করার জন্য বেশ কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছিল । মাওলানা ভাসানি প্রতিষ্ঠিত ও ইরফানুল বারী সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘হক কথা’ পত্রিকায় সত্য মিথ্যার মিশেল দিয়ে নিয়মিত বানোয়াট সংবাদ ও ফিচার প্রচার করা হতো যার প্রধান উপজীব্য ছিল ভারত বিরোধিতা । এই সময় বন্যার কারণে দেশে খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয় । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে বাংলাদেশে খাদ্য সাহায্য বন্ধ করে দেয় । রাতের অন্ধকারে দেয়ালে চিকা মারা হয় ‘আশি টাকা চালের দাম হরে কৃষ্ণ হরে রাম।’ এই চিকা মারার কাজটি মূলত করতো অতি বামপন্থিরা । তা আবার ফলাও করে প্রচার করতো সাপ্তাহিক ‘হক কথা’। সাথে যোগ করতো ভারতে চাল পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশে দূর্ভিক্ষ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে । উত্তর বঙ্গে দূর্ভিক্ষ দেখা দিলে সাংবাদিক আফতাব আহমেদ, বাসন্তি নামের এক অপ্রকৃতস্থ মহিলার গায়ে একটি জাল পড়িয়ে ফলাও করে তার ছবি পত্রিকায় প্রকাশ করে এবং বলে দেশ স্বাধীন হয়েছিল কী বাসন্তিদের জাল পরার জন্য ? সেই আফতাব আহম্মদকে বেগম জিয়া একুশের পদক দিয়ে সম্মানিত করেন । পরে আফতাব আহম্মদ স্বীকার করেছিলেন তার ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত । এমন উদাহরণ একাধিক আছে । মাওলানা ভাসানি একাধিক স্থানে ভূখা মিছিল বের করেছিলেন । ১৯৭২ সনে দূর্গা পূজাকে কেন্দ্র করে একাধিক স্থানে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয় । অনেক স্থানে চালানো হয় বেশ কিছু নাশকতা মূলক কর্মকান্ড যার পিছনে ছিল চীনপন্থী রাজনৈতিক কর্মীদের ও জাসদের গণবাহিনীর অবদান । পাবনা রাজশাহী অঞ্চলে মতিন-আলাউদ্দিন, হক-তোহা গ্রুপের এবং পরবর্তিকালে সিরাজ সিকদারের সর্বহারা পার্টি গলাকাটা রাজনীতি সহ নানা ধরণের স্বশস্ত্র সংঘাত শুরু করে । বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে রক্ষী বাহিনী গঠন করলে গুজব ছড়ানো হয় আসলে এই বাহিনীর সদস্যদের বেশীর ভাগই ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্য ।
বেশ কিছু দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়ী ঘরে হামলা করা হচ্ছে । যারা করছে তাদের অনেকেরই গায়ে আওয়ামী লীগের লেবাস, যদিও তাদের অনেকেরই আওয়ামী লীগের সাথে কোন সম্পর্ক নেই । প্রতিদিন আওয়ামী লীগের নামে নতুন নতুন সংগঠন তৈরী হচ্ছে এবং তার নাম ভাঙ্গিয়ে আওয়ামী লীগের বা সরকারের যা কিছু অর্জন তা তারা সুপরিকল্পিত ভাবে নস্যাৎ করে দিচ্ছে । তা নিয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ নিয়মিত হুঁসিয়ারি উচ্চারণ করলেও তা তেমন কেউ একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না । ঠিক একই ভাবে বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছিলেন তখন দেশে কম্বল চোরের উৎপাত বেড়ে গিয়েছিল । দেশের অর্থনীতি চলে গিয়েছিল লাইসেন্স পারমিটবাজদের দখলে । প্রশাসনকে জিম্মি করে ফেলেছিল কিছু চরম ক্ষমতা লোভী আমলা যাদের প্রায় সকলেই খুনি মোস্তাক ও পরে জেনারেল জিয়ার পরামর্শদাতা অথবা মন্ত্রী সভায় যোগ দিয়েছিলেন । ১৯৭৪ সনের দূর্ভিক্ষের সময় খাদ্য সচিব ছিলেন আবদুল মোমিন (বিএনপি নেতা মঈন খানের পিতা) । জিয়া ক্ষমতা দখল করে তাকে তার খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন । সার্বিক বিচারে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর আগে তাঁর চারপাশে এক অদৃশ্য দেয়াল তুলে ফেলা হয়েছিল যা হয়ত তিনি বুঝতে পারেন নি ।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থা হয়ত পিতার মতো তেমন একটা নাজুক নয় তথাপি তাঁর সাথে যারাই ঘনিষ্ঠ ভাবে মেশার সুযোগ পান তারা স্বীকার করবেন একান্তে তাঁকে বেশ একাকিই মনে হয় । তাঁর চারপাশে একটা অদৃশ্য দেয়াল তোলার যে একটা চেষ্টা হচ্ছে হয়ত তা টের পেয়ে সম্প্রতি তিনি তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন । ১৯৯১ সনের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ প্রধান মিরপুর রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিভিন্ন পেশার নেতা কর্মীদের সাথে এক খোলা মেলা মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিলেন । সুযোগ হয়েছিল সেই সভায় উপস্থিত থেকে কথা বলার ও শোনার । এই আলোচনা মতবিনিময় সভাটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ছিল । ১৯৯১ সনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারার কারণ একটাই, অতিমাত্রায় আত্মসন্তুষ্টি ঠিক যেমনটি লক্ষ্য করেছি ২০০১ সনে । নির্বাচনের মাঠে কোন প্রতিপক্ষই দুর্বল নয় । আর আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষতো আওয়ামী লীগের ভিতরেই বসবাস করে এবং দলকে উই পোকার মতো কুড়ে কুড়ে খায় । অনেক সময় তা বুঝা যায় না । তারা নিজের ফায়দা লোটার জন্য আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে ঠিক কিন্তু সব সময় কাজ করে দলের স্বার্থের বিরুদ্ধে । চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ । এই নির্বাচনে যত না আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার চাইতেও বেশী বিদ্রোহী প্রার্থী । কোথা হতে এলো এত আওয়ামী লীগার ? দলের সংকটের মুখে তারা কী কাজে লাগে?
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার একটি রাজনৈতিক সরকার । রাজনৈতিক সরকার কখনো আমলা নির্ভর হওয়া উচিৎ নয় । বঙ্গবন্ধু এই সত্যটা উপলব্দি করেছিলেন বলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদে আমলা নন এমন কিছু মানুষকে সচিবের দায়িত্ব দিয়েছিলেন । অধ্যাপক কবির চৌধুরী, ডঃ এ আর মল্লিক (শিক্ষা), মইনুল ইসলাম (পিডাব্লুডি, বর্তমানে গণপূর্ত), প্রকৌশলী আরিফুল হক (ওয়াসা) অধ্যাপক শামসুল ইসলাম (পরিকল্পনা), ডাঃ টি হোসেন (স্বাস্থ্য) প্রমূখ ব্যক্তিরা একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে অসামান্য অবদান রেখেছিলেন । সব চেয়ে অসাধারণ কাজটি তিনি করেছিলেন পরিকল্পনা কমিশন গঠনে । অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে ডেপুটি চেয়ারম্যান করে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের দিয়ে কমিশন গঠন করেছিলেন । সদস্যরা ছিলেন প্রফেসর রেহমান সোবহান, অধ্যাপক মোর্শারফ হোসেন ও অধ্যাপক আনিসুর রহমান । ডঃ ইউনুস যুক্তরাষ্ট্র হতে ১৯৭২ সনে দেশে ফিরলে বঙ্গবন্ধু তাকে পরিকল্পনা কমিশনের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ কিউ এম বি করিমকে প্রধান করে পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠন করেছিলেন । ১৯৭৩ সনে গঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের ডঃ মোজাফ্ফর আহম্মদ চৌধুরিকে সেই কমিশনের চেয়ারম্যান করা হয় । এরা কেউ পেশাদার আমলা নন তবে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতি তাদেও আনুগত্য প্রশ্নাতীত । বঙ্গবন্ধু বুঝতেন কাদের দিয়ে কী কাজ হবে । তিনি সেই ভাবেই এই স্বনামধন্য ব্যক্তিদের ব্যবহার করেছিলেন । তিনি চেষ্টা করেছিলেন তাঁর প্রশাসন যেন আমলা নির্ভর না হয় যদিও সে সময় বেশ কিছু দক্ষ আমলা বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করেছেন । তাঁর কন্যার সরকারকে সহায়তা করার জন্য অনেক দক্ষ ও নির্ভরশীল আমলা আছেন তা ঠিক। তাঁরা তাঁকে সহায়তা করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন । কিন্তু তারই বিপরীত চিত্রও যে নেই তা বলা যাবে না । এই শ্রেণীর ব্যক্তিদের দক্ষতার অভাব আছে । সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রশ্নাতীত নয় । এমন আমলা কাছে থাকলে যে কোন সরকার প্রধানই বিভ্রান্ত হতে পারেন । সরকারেও সংকট সৃষ্টি হতে পারে । এদেও সম্পর্কে সরকার প্রধান কতটুকু সাবধান তা তিনি ভাল জানেন । এই সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকার জন্য সরকার প্রধানের অনেক চ্যানেল আছে । শেখ হাসিনার তা আছে বলে তাঁর শুভাকাক্সিক্ষদের বিশ্বাস । তবে তা তিনি কতটুকু ব্যবহার করেন বা করতে পারেন তা বলা মুষ্কিল । এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার সামনে তেমন বড় ধরণের কোন চ্যালেঞ্জ নেই । ১ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইআরআই প্রকাশিত তাদের প্রতিবেদনে অবহিত করেছে বাংলাদেশের ৭৭ ভাগ মানুষ মনে করে দেশ ঠিক পথে আছে । এই মুহূর্তে বিএনপি একটি মৃত ঘোঁড়া । তাদের দিকে চোখ রাখতে হবে ঠিক কারণ তাদের রাজনীতির মূল চালিকা শক্তি ষড়যন্ত্র, সহায়তা করে একাধিক বিদেশী শক্তি । কিন্তু যে বিষয়টিকে সব চেয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে তা হচ্ছে নিজ দলের প্রতি । হাইব্রিড আওয়ামী লীগারদের লাগাম টেনে ধরতে না পারলে শুধু একজন শেখ হাসিনাই শঙ্কিত হবেন না, তাঁকে যারা সমর্থন করেন, যারা তাঁর মঙ্গল কামনা করেন তাদের সকলেরই শঙ্কিত হয়ে উঠার কারণ হতে পারে ।

লেখক: গবেষক ও শিক্ষাবিদ । এপ্রিল ২, ২০১৬ 

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

 [......লেখক আর্কাইভ]