@
@
@
@
@ |
@
৭ নভেম্বর-ইতিহাসের
চাকার উল্টো যাত্রা
আবদুল মান্নান
@
@
প্রতিবছর ৭ই নভেম্বর
বিএনপি দেশে তাদের ভাষায় eজাতীয় বিপ্লব ও সংহতিf দিবস আর আওয়ামী লীগ ও সমমনা
দলগুলি এই দিনটিকে eমুক্তিযোদ্ধা হত্যাf বা eসৈনিক ও অফিসার হত্যাe দিবস
হিসেবে পালন করে । পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করার
পর খোন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ঘাতক ফারুক-রশিদ গংদের পুতুল
রাষ্ট্রপতি হিসেবে ক্ষমতায় অধিষ্ঠ হলেও দেশ শাসনের মূল শক্তি ছিল জেনারেল
জিয়ার হাতে । বঙ্গবন্ধুর হত্যায় জিয়ার প্রচ্ছন্ন ইন্ধন ছিল যা বৃটিশ
সাংবাদিক এন্থনি মাসকেরানহাসকে দেয়া কর্ণেল ফারুখ রহমান ও কর্ণেল রশিদ
তাদের সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন । বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরপরই ২৪ আগস্ট
মোশতাক সেনা প্রধানের পদ হতে জেনারেল শফিউল্লাহকে সরিয়ে জেনারেল জিয়াকে
তাঁর স্থলাভিসিক্ত করেন । জেনারেল শফিউল্লাহ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন
বটে তবে তার নেতৃত্ব দেয়ার সক্ষমতার ঘাটতি ছিল । ২৩ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধ
চলাকালিন প্রবাসি সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী
তাজউদ্দিন সহ আওয়ামী লীগের কুড়িজন শীর্ষস্থানীয় নেতাকে গ্রেফতার করা হয় ।
১৫ই আগস্ট হতে ৭ই নভেম্বর পর্যন্ত দেশে দুটি ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দু গড়ে
উঠেছিল । একটি গণভন কেন্দ্রিক যেখানে খোন্দকার মোশতাক, তার সভা পারিষদ আর
বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে নেতৃত্ব দেয়া মেজররা আস্তানা গেড়েছিল । ক্ষমতার অন্য
কেন্দ্রবিন্দুটা ছিল ঢাকা সেনা নিবাস । সেখানে জেনারেল জিয়া আর তার বশংবদ
সেনা কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন । জিয়া ছিলেন খুবই চালাক এবং কূটবুদ্ধি
সম্পন্ন । তিনি চেষ্টা করেছিলেন খুনি মেজরদের কাছ হতে ক্ষমতার বলয়টা তার
কাছে নিয়ে আসতে এবং তিনি শেষ পর্যন্ত তাতে সফলও হয়েছিলেন । তিনি খোন্দকার
মোশতাক ও খুনি মেজরদের বেশ চাতুর্জ্যের সাথে ব্যবহার করেছিলেন ।
বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে আওয়ামী লীগ হতে দলছুট হয়ে সিরাজুল আলম খান (কাপালিক),
আ স ম আবদুর রব, হাসানুল হক ইনু, শহাজাহান সিরাজ প্রমূখরা মিলে বৈজ্ঞানিক
সমাজতন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে জাসদ গঠন করেন । জাসদ ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের
প্রথম বিরোধী দল । জাসদ গঠনের সময় তাদের সাথে ছিল সেনাবাহিনী হতে অবসরে
যাওয়া বেশ কিছু সেনা অফিসার যাদের মধ্যে কর্ণেল তাহের ও মেজর জলিল অন্যতম ।
উভয়ই বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা । জাসদে অনেক মেধাবী তরুণও যোগ
দিয়েছিল । বঙ্গবন্ধু সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এই মেধাবীদের সমস্বয়ে গঠন করা
হয়েছিল সশস্ত্র সংগঠন eগণবাহিনীf । তাহের সহ তার দলের অনেকেই কেতাবি
সমাজতন্ত্রের মোহে মোহাচ্ছন্ন ছিলেন । তারা বিশ্বাস করতেন দেশে প্রচলিত
সেনাবাহিনীর বদলে একটি অফিসার বিহীন সেনা বাহিনী থাকবে এবং তারা দেশের
উৎপাদন ব্যবস্থায় অংশ গ্রহণ করবেন আর সেনা বাহিনীর সকল সদস্য সমান অধীকার
ভোগ করবেন । চীনের বিপ্লবের পর সে দেশে এমন একটি সেনা বাহিনী গড়ে উঠেছিল ।
ক্যাম্বোডিয়ার পলপট সরকার এমন একটি ব্যবস্থা প্রবর্ত্তন করার চেষ্টা করে
এবং তা বাস্তবে রূপ দিতে গিয়ে এক ভয়াবহ গণহত্যার সূত্রপাত করে। জাসদ এই
লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর সৈনিকদের মাঝেও গোপনে সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করে । গড়ে
তোলে eবিপ্লবী সৈনিক সংস্থাf ।
সেনাবাহিনীও আবার দুfভাগে বিভক্ত হয়ে পরে । একভাগে ছিল মুক্তিযুদ্ধে
অংশগ্রহণকারিরা অন্য অংশে ছিল পাকিস্তান ফেরত সেনা সদস্যরা । যে সব সেনা
সদস্য মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকার তাদের
দুfবছরের সিনিয়রিটি দেয় । এর ফলে সেনাবাহিনীর মধ্যে এক ধরণের বিভাজন ও
অসন্তোষ সৃষ্টি হয় যা জাসদ কার্যকর ভাবে কাজে লাগিয়েছিল । পাকিস্তান ফেরত
সেনা সদস্যদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে আত্মিকরণ করা ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত
। মুক্তিযুদ্ধ শেষে যে সকল পাকিস্তানি সৈনিক যুদ্ধবন্ধী হিসেবে নিজ দেশে
ফেরত গিয়েছিল তাদের কাউকে কিন্তু সে দেশের সেনা বাহিনীতে আর ফেরত নেয়া হয়
নি । বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পাকিস্তান ফেরত সেনা সদস্যদের একটি বিরাট অংশ
জেনারেল জিয়ার প্রতি অনুগত ছিল । এর অন্যতম কারণ জিয়া জীবনের বেশীর ভাগ সময়
পশ্চিম পাকিস্তানে কাটিয়েছেন এবং করাচিতে পড়ালেখা করেছেন । খালেদা জিয়ার
সাথে তার বিয়েটাও সেখানে অনুষ্ঠিত হয় । জিয়া বাংলা লিখতে ও পড়তে জানতেন না
। বিএনপিfর প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম মশিউর রহমান যাদু মিয়ার বড় ভাই সিধু মিয়া
এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন eজিয়াউর রহমান কিন্তু বাংলা লিখতে-পড়তে জানতেন না ।
প্রথম দিকে তিনি বাংলায় যে বক্তৃতা দিতেন সেগুলি উর্দুতে লিখতেন । লিখে
তারপর তা-ই দেখে দেখে ভাষণ দিতেন ।f (পাক্ষিক প্রতিচিন্তা ।
অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০১৪) । আর মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণকারিদের একটি অংশ
জেনারেল খালেদ মোশারফ বীর উত্তমের প্রতি অনুগত ছিলেন । খালেদ মোশাররফ একজন
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা । সেনাবাহিনীতে কর্ণেল তাহেরের প্রতি অনুগত বেশ কিছু
সৈনিকও ছিল । অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর দেশের প্রায় সব সেনা নিবাসের
মধ্যে নানা রকমের সমন্বয়হীনতা দেখা দেয় । সার্বিক অবস্থা বিশ্লেষণ করলে বলা
যায় ১৫ই আগস্টের পর পর দ্রুত সেনাবাহিনীর চেইন অব কামান্ড সম্পূর্ণ ভেঙ্গে
পরে । খোন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের চাপে জিয়াকে সেনাপ্রধান নিয়োগ
করেছিলেন ঠিক কিন্তু তার নিয়ন্ত্রণ সেনানিবাসের একটি অংশের উপর সীমাবদ্ধ
ছিল । দেশের অন্যান্য সেনানিবাসে তার কর্তৃত্বটা অনেকটা শীতিল ছিল ।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯৭৫ সালের ২রা নভেম্বর দিবাগত রাতে খালেদ মোশারফ তার
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন অফিসারদের সাথে নিয়ে খোন্দকার মোশতাককে ক্ষমতাচ্যুত
করার এবং সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড পূনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য সেনাবাহিনীতে এক
অভ্যূত্থান ঘটানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন । প্রথমেই তিনি মোশতাককে ৪ নভেম্বর
জিয়াকে সেনা প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করে তার স্থলে নিজেকে সেনাপ্রধান
হিসেবে স্থলাভিসিক্ত করকে বাধ্য করেন । অনেকের ধারণা এই সময় জিয়াকে বন্দী
করা হয় । ঘটনা পরমপরা বিশ্লেষণ করলে এটি বুঝা যায় যে কথাটি ঠিক নয় কারণ
জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ী পাহারারত সকল সৈনিকই জিয়ার অনুগত ছিলেন এবং তার
টেলিফোনও সচল ছিল । এই টেলিফোন দিয়ে তিনি কর্ণেল তাহেরের সাথে যোগাযোগ
করেছিলেন । বেগম জিয়ার সাথেও একাধিকবার যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল । এই সব
ধোঁয়াচ্ছন্ন পরিস্থিতির সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেন কর্ণেল তাহের ও জাসদ । যে
সব সেনাবাহিনীর সদস্য eবিপ্লবী সৈনিক সংস্থারf সদস্য ছিলেন তারা তাহেরের
নির্দেশে ৭ নভেম্বর সেনানিবাস হতে বের হয়ে পরেন এবং বের হওয়ার পথে জিয়াকেও
তার বাসভবন হতে বের করে আনেন । এদের বেশীরভাগই ছিলেন পাকিস্তান ফেরত সৈনিক।
জিয়া যদি বন্দীই থাকতেন তা হলে তাকে এত সহজে তার বাসভবন হতে বের করা সম্ভব
হতো না । জিয়ার সাথে তাহেরের সমঝোতা হয়েছিল জিয়া তাহেরের সাথে থাকবেন । সে
অঙ্গিকার তিনি ভঙ্গ করেছিলেন কারণ তিনি তাহেরকে তাঁর প্রতিদ্বন্ধি মনে
করতেন । বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়ার সাথে কর্ণেল তাহেরের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল
এবং তারা দুfজনেই ভাল বন্ধু ছিলেন । সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার করে
বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা বুঝে গিয়েছিল বাংলাদেশে তাদের অবস্থান আর নিরাপদ নয় ।
তারা ঠিক করেন দেশ ত্যাগের পূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বকে
তারা খতম করে দেবেন । তার ফলশ্রুতিতে ৩রা নভেম্বরের জেল হত্যা । জেল হত্যায়
মোশতাক ও জিয়া উভয়েরই সায় ছিল । জেল হত্যার পর একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত
কমিটি গঠন করা হয়েছিল যা জিয়া ক্ষমতা দখল করে ভেঙ্গে দিয়েছিলেন । জেলা
হত্যা সংগঠিত হওয়ার পর মোশতাকের সহায়তায় ঘাতকরা বংলাদেশ ত্যাগ করে একটি
বিশেষ বিমানে ব্যাংকক পাড়ি জমান । অন্যদিকে খালেদ মোশাররফ তার অবস্থান সংহত
করার পরিবর্তে নিজের পদ পদবী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন । তিনি একাত্তরের একজন
অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ঠিক কিন্তু রাজনীতির মার প্যাঁচ বুঝতে অক্ষম
ছিলেন । একই কথা বলা যায় কর্ণেল তাহের সম্পর্কে । জিয়া ছিলেন ঠিক তার
বিপরীত । জিয়া পরিস্থিতির সুযোগ নিতে ছিলেন অদ্বিতীয় । ঝোপ বুঝে কোপ মারায়
তিনি ছিলেন বেশ পারঙ্গম । খোন্দাকার মোশতাক ৫ই নভেম্বর বিচারপতি আবু
সাদায়াত মোহাম্মদ সায়েমের কাছে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব অর্পণ করেন । এfসময়
জিয়াই পিছনে থেকে সব কলকাটি নাড়ছিলেন। সায়েম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেয়ার
পূর্বে জিয়া রেডিওতে এক ভষণে বিগত কয়েকদিনের ঘটনা সম্পর্কে দেশের মানুষকে
বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন এবং তার বক্তৃতা শেষ করেন eবাংলাদেশ জিন্দাবাদf
দিয়ে ।
জিয়ার ক্ষমতা দখল ছিল বাংলাদেশে রাজনীতির পশ্চাৎ যাত্রার শুরু । ৭ই নভেম্বর
কোন সিপাহী জনতার বিপ্লব ছিল না বা কোন জাতীয় সংহতির বিষয়ও ছিল না । এদিন
মূলত বাংলাদেশের আদর্শ বিরোধী কিছু সেনা অফিসার ও সেনাবাহিনীর সদস্য
সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ও প্রজাতন্ত্রের প্রতি তাদের নেয়া শপথ ভঙ্গ করে বেশ
কিছু অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে সেনা ছাউনি হতে বের হয়ে
পরে এবং বাংলাদেশকে একটি মিনি পাকিস্তান বানানোর প্রকল্পে হাত দেয় । তারা
খালেদ মোর্শারফ, কর্ণেল হুদার ও মেজর হায়দাদের মতো মুক্তিযোদ্ধাদেরও হত্যা
করে । দেশের অন্যান্য সেনানিবাস তূলনামূলক ভাবে শান্ত ছিল । বিচারের নামে
একটি গোপন সামরিক আদালতে জিয়া তাঁর এক কালের বন্ধু কর্ণেল তাহেরকে ফাঁসিতে
ঝুলিয়ে হত্যা করেন । কিছু দিনের মধ্যেই জিয়া সায়েমকে সরিয়ে নিজে দেশের
রাষ্ট্রপতি বনে যান ।
জিয়া আমৃত্যু লক্ষপ্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশকে একটি মিনি পাকিস্তান
বানানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিলেন । তিনি জামায়াত মুসলিম লীগের মতো সব
ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলকে পূনরুজ্জীবিত করার সুযোগ করে দেন । তখন থেকেই
বাংলাদেশে ধর্মকে রাজনীতিতে অবাধ ব্যবহার শুরু হয় । একাত্তরের ঘতাক শিরোমনি
গোলাম আযমকে পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে দেশে আসার অনুমতি দেন ।
যুদ্ধাপরাধীদের পূনঃর্বাসন তার আমলেই শুরু ও শেষ হয় । বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদেও
বিচার বন্ধ করতে তিনি সংবিধানে ইন্ডেমনিট আইন অন্তর্ভূক্ত করেন । জিয়ার
আমলে সেনাবাহিনীতে একুশটি সামরিক অভ্যূত্থানের চেষ্টা করা হয় । এই সব
অভ্যূত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে কোন বিচার ছাড়াই জিয়া দুfহাজারেরও বেশী
সেনা সদস্যকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেন । ইতিহাসের বিচারে ১৫ই আগস্ট, ৩রা
নভেম্বর, ৭ই নভেম্বর ছিল কয়েকটি কালো দিন যা বাংলাদেশের ইতিহাসের চাকা
পিছনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল । ৭ই নভেম্বর কোন অবস্থাতেই সিপাহি জনতার
বিপ্লব ও জাতীয় সংহতির বিষয় ছিল না । এfদিন ছিল বাংলাদেশে আত্মগোপনে থাকা
পাকিস্তান পন্থিদের প্রকাশ্যে আসার সুযোগের দিন যা তারা সফল ভাবে কাজে
লাগিয়েছিল ।
লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক । নভেম্বর ৩, ২০১৫
@
@
@
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
@
[প্রথমপাতা] |
@
@
@
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|