|
দেশ, সরকার ও শেখ
হাসিনাকে নিয়ে দুশ্চিন্তা
আবদুল মান্নান
বিশিষ্ট প্রবাসী
সাংবাদিক ও কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লন্ডন শহরের অদূরে মিডলসেক্স-এ
এজওয়ের এলাকার বাড়ীতে যখন তাঁকে গাড়ী হতে নামিয়ে দিলাম তখন রাত প্রায় এগারটা
। বাইরে কনকনে শীত । তাপমাত্রা ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস । বিলেতে এ’সময় এরকম শীত
পরে না, এবার পরছে । আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তাঁর স্বজনদের কাছে গাফ্ফার ভাই
। স্ত্রী বিয়োগের পর এজওয়েরে তিনি মেয়েকে নিয়ে থাকেন । ইদানিং তাঁকে বেশ একা
মনে হয় । শরীরটাও তেমন একটা ভাল যাচ্ছে না । তবে এই বয়সেও তিনি সমানে লিখে
যাচ্ছেন । অসুস্থ শরীর নিয়ে ৮২ বছর বয়সে তিনি যা করছেন তা নিঃসন্দেহে একটি
অসামান্য কাজ । লন্ডনে আসলেই কিছু সময় গাফ্ফার ভাইয়ের সাথে কাটাই । এবার এই
সময় কাটানোর সাথে সাথে আমার নতুন গ্রন্থ ‘বৈরী সময়ের রাজনীতি ও অন্যান্য
প্রসঙ্গ’ তাঁর হাতে তুলে দিলাম । বইটিতে বিগত সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে
দেশে ভয়াবহ সহিংসতার সময় প্রকাশিত আমার লেখা গুলো সংকলিত হয়েছে । গাফ্ফার
ভাই আমার অনুরোধে আমার বই-এর মোড়ক উন্মোচন করলেন । সাথে আমার প্রথম জীবনের
কৃতী ছাত্র ডঃ মোঃ নুরুন্নবি । তিনজনে মিলে গেলাম কিছুু দূরের এক অভিজাত
চীনা রেস্তোরায় । পছন্দ গাফ্ফার ভাইয়ের । খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে কথা হলো
অনেক্ষণ । সব কিছুই দেশের রাজনীতি, আর শেখ হাসিনাকে ঘিরে । এই বয়সে দেশ হতে
হাজার মাইল দূরে বসেও গাফ্ফার ভাই যে দেশ নিয়ে এতকিছু ভাবেন তা যে কোন
মানুষকেই অভিভূত করবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি নিজ কন্যার মতো
ভালবাসেন । তবে প্রয়োজনে তাঁকে বা আওয়ামী লীগকে সমালোচনা করতেও তিনি পিছপা
হন না । জানা মতে প্রধানমন্ত্রীও তাঁর এই সব সমালোচনা ভালভাবে গ্রহণ করেন ।
গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করা ভাল নেতৃত্বের একটি অপরিহার্য গুনাবলি ।
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় একজন উঁচু মাপের দক্ষ নেতৃত্বের
স্বীকৃতি পেয়েছেন । দলকে আরো একটু সক্রিয় করতে পারলে তাঁর নেতৃত্বের পারদ
অনেক বেশী উপরে উঠে যাবে । গাফ্ফার ভাই জানালেন তিনি শেখ হাসিনার উপর একটি
প্রামান্য চিত্র নির্মাণ শেষ করে এনেছেন । আশা করছেন সামনের জুন মাসে ছবিটি
দর্শকদের সামনে হাজির করতে পারবেন । তিনি বছর কয়েক আগে বঙ্গবন্ধুর উপর একটি
ছবি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন । ছবির মোট বাজেট ছিল প্রায় শতকোটি টাকা ।
বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে ভারতের বিখ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বাচ্চন অভিনয় করবেন বলে
কথা ছিল । কিন্তু এই বড় বাজেটের ছবি বানানোর অর্থ তিনি পাবেন কোথায়? তাঁকে
বলি আওয়ামী লীগেতো অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন তারাতো সহায়তা করতে পারেন ।
তিনি আক্ষেপ করে জানালেন এদের কয়েকজন সহায়তা করার কথা বলেছিলেন কিন্তু তা
নিঃস্বার্থ ছিল না । তিনি তাদের সহায়তার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন । একজন
একটি জনসভায় প্রকাশ্য ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি অর্থের যোগান দেবেন । কিন্তু তা
ঘোষণাতেই সার । এটি এখন সকলের কাছে পরিষ্কার হওয়া উচিৎ কারণে অকারণে সকলে
বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার নাম বিক্রি করেন কিন্তু সময় মতো দলের তেমন একটা
কাজে আসেন না । অনুজ প্রতিম সুভাষ সিংহ রায়ের ভাষায় এরা ৬৫-৩৫ আওয়ামী লীগার
। বছর কয়েক আগে গাফ্ফার ভাই বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’ নামে
একটি নাটক তৈরী করেছিলেন । সেটি তৈরী করতে গিয়ে তাকে অনেকের কাছে হাত পাততে
হয়েছিল । তখন লন্ডন প্রবাসী অনেক বঙ্গবন্ধু প্রেমিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে
দিয়েছিলেন ।
গাফ্ফার ভাই দূঃখ করে বললেন সরকারের মধ্যে আওয়ামী লীগ বিলীন হয়ে যাওয়াটা
দলের জন্য খুবই ক্ষতিকর ও বিপদজনক । বললেন এব সময় দেশে সরকার থাকবে কোন দল
থাকবে না । এটি সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য ক্ষতিকর । তাঁর সাথে একমত হয়ে বলি
সামনে আওয়ামী লীগের সম্মেলন আছে এবং সকলে আশা করছে সম্মেলন শেষে দলে নতুন
নেতৃত্ব আসবে এবং দল আরো শক্তিশালী হবে । তিনি মনে করিয়ে দিলেন বঙ্গবন্ধু
ক্ষমতার চাইতে দলকে বেশী গুরুত্ব দিতেন । তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলের সাধারণ
সম্পাদক হয়েছিলেন । দলের একজন সাধারণ কর্মী হতে জাতির জনক হয়েছিলেন । এখন
কেউ আর কর্মী হতে চান না । সকলে রাতারাতি নেতা হতে চান । গাফ্ফার ভাইকে বলি
দলের অধিকাংশ তরুণ নেতা কর্মী ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়েছেন বলে
মনে হয় না । পড়লে বুঝতে পারতেন কেন টুঙ্গিপাড়ার শেখ মুজিব জাতির জনক আর
বঙ্গবন্ধু । যে দিন সন্ধ্যায় গাফ্ফার ভাইয়ের সাথে সময় কাটাচ্ছিলাম ঠিক তার
আগের দিন কাঠাল বাগানে বাংলাদেশের নতুন গজিয়ে উঠা ‘চাপাতি পার্টি’ দিন
দুপুরে দু’জনকে কুপিয়ে হত্যা করা সহ আরো কয়েকজনকে আহত করেছে । তারও কয়েকদিন
আগে রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগের শিক্ষক ডঃ রেজাউল করিম সিদ্দিকি
খুন হলেন একই কায়দায় । কাশিমপুর কারাগারের সামনে চাপাতির আঘাতে খুন হয়েছেন
সদ্য অবসরে যাওয়া কারা রক্ষি রুস্তম আলি হাওলাদার । এই সব বিষয় নিয়ে
গাফ্ফার ভাই ইতোমধ্যে লিখেছেন এবং তিনি ঠিকই বলেছেন এই সব হচ্ছে শেখ
হাসিনাকে হত্যার ক্ষেত্র প্রস্তুতের আলামত । ইতোপূর্বে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে
হত্যা করার একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছে যার মধ্যে ২০০৪ সালে ২১ আগষ্টের
গ্রেনেড হামলাটি ছিল সব চাইতে ভয়াবহ । ২০১৩ সালের ৫ই মে হেফাজতিদের ঢাকা
দখল এবং তার সাথে বিএনপি’র একাত্মতা ঘোষণা ছিল আর একটি বড় ধরণের মহড়া । সেই
রাতে হেফাজতিদের যদি সরকার কঠোর হস্তে দমন না করতেন তা হলে বাংলাদেশ এতদিনে
আফগানিস্তান হয়ে যেত । যখন গাফ্ফার ভাই আশংকা প্রকাশ করেন যুক্তরাষ্ট্র সহ
কোন কোন দেশ নানা অজুহাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাইছে তার সাথে দ্বিমত
করার কোন অবকাশ দেখি না । চাপাতি দিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে নিরীহ মানুষ হত্যা
করা নিঃসন্দেহে একটি গর্হিত অপরাধ । যারা এই হত্যাকান্ড ঘটায় এবং
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে তা কোন ভাবে সমর্থন করা যায় না
। এটি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ কওে, তাদেও ব্যর্থতার দলিল
। পুলিশ কমকর্তাদের কথাবার্তায় আরো একটু সংযমি হওয়ার প্রয়োজন আছে । কিন্তু
যে ভাবে এই সব ঘটনা ঘটার সাথে সাথে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক সংগঠন সাইট
ইন্টেলিজেন্স বলে উঠে এই হত্যাকান্ডটি আইএস ঘটিয়েছে তখন এটি পরিষ্কার যে
বাংলাদেশকে আইএস-এর ঘাঁটি প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্র সহ কয়েকটি রাষ্ট্র নানা
ছলচাতুরির সাহায্যে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে উদগ্রীব । বাংলাদেশে নিযুক্ত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন ‘চাপাতি পার্টি’ দমন করতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে
প্রস্তুত । এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রী (সেক্রেটারি অব
স্টেট) জন কেরী এই ব্যাপারে ফোনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সতের
মিনিট কথা বলে মার্কিন দূতের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছেন । জন কেরি
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাথে এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলা বেয়াদবির সামিল ।
তার কথা বলা উচিৎ ছিল বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
সাথে । মার্কিন রাষ্ট্রদূত এক মন্তব্যে বলেছেন বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি
সৃষ্টি হয়েছে যেখানে খুনি খুন করে পার পেয়ে যাচ্ছে এবং সরকারের একার পক্ষে
তা সামাল দেয়া সম্ভব হচ্ছে না । সেই কারণেই নাকি যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে
সহযোগিতা করতে প্রস্তুত । যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করতে আসলে কী হতে পারে
আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মিশর, সিরিয়া আর পাকিস্তান তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ
। ২০১৫ সালের ১লা অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত অন-লাইন পত্রিকা হাফিংটন
পোষ্ট লিখেছে সেই দেশে গড়ে দৈনিক ৩৬জন মানুষ খুন হয় যার অধিকাংশেরই কোন
বিচার হয় না । কথায় কথায় যুক্তরাষ্ট্র আর তার মিত্ররা বাংলাদেশে মানবাধিকার
লঙ্গনের কথা বলেন । ২০১৪ সালের জুলাই মাসে জাতিসংঘ সিদ্ধান্ত নিল
প্যালেষ্টাইনের গাজা উপতক্যায় ইসরাইল কর্তৃক নির্বিচারে মানুষ হত্যার তদন্ত
হবে । সঙ্গে সঙ্গে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট চড়া স্বরে ঘোষণা দিল এমন
সিদ্ধান্ত তারা মানে না । ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা, অভিজিৎ রায় হত্যাকান্ড
তদন্ত করতে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই বাংলাদেশে এসেছিল । তাতে কী
হয়েছে? বাংলাদেশে কিছু হলেই ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন পরারাষ্ট্র বিষয়ক
সহকারি সেক্রেটারি নিশা বিশওয়াল বাক্স পেটরা নিয়ে ঢাকায় ছুটে আসেন ।
বাংলাদেশের মিডিয়া এই একজন সহকারি সচিব পর্যায়ের মহিলাকে বেশ গুরুত্ব দেয় ।
তিনি কিছু নসিহত করে আবার ফিরে যান । দূঃখের বিষয় হচ্ছে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র সহ আরো কিছু পশ্চিমা দেশ বাংলাদেশকে তাদের করদ রাজ্য মনে করে
। ঢাকায় নিযুক্ত বর্তমান মার্কিন রাষ্ট্রদূত আসার আগে বাংলাদেশ বেগম জিয়ার
পেট্রোল বোমার আঘাতে আক্রান্ত । চারিদিকে পোড়া লাশ আর লাশ । নব নিযুক্ত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্কিন সিনেট কমিটি হিয়ারিং-এ বাংলাদেশের বেগম জিয়ার
পেট্রোল বোমা যুদ্ধ সম্পর্কে এমন বক্তব্যে দিলেন যাতে মনে হচ্ছিল তিনি
বিএনপি’র ওয়ার্কিং কমিটির একজন সদস্য । মোদ্দা কথা হচ্ছে যে কোন উপায়ে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চায় । নিয়ন্ত্রণ করতে চায় সব
কিছু । ইতোমধ্যে ঢাকার বেশ কিছু সুশীল ব্যক্তি এই ব্যাপারে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করতে একজোট হয়েছেন । সলা পরামর্শ করছেন । ঢাকায়
দু’এক জায়গায় নতুন কাশিম বাজার কুটি সক্রিয় হয়েছে । ‘চাপাতি পার্টি’র মানুষ
হত্যা, ধর্মীয় সংখ্যা লঘুদের মন্দিরে হামলা, সুন্দর বনে আগুন, আওয়ামী লীগের
অঙ্গ সংগঠন সমূহের কিছু অপরিনামদর্শী নেতা কর্মীর লেবাসে তষ্করতের কর্মকা-,
কোন কনো সুশিলের বাচালতা সর্বস্ব হুঙ্কার, কোনা কিছুই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় ।
সামনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন । অর্ধ-উন্মাদ ডোনাল্ড ট্রাম্প বা
হিলারী ক্লিন্টন যেই নির্বাচিত হোক না কেন তারা কেউ শেখ হাসিনা সরকারের
বন্ধু হবেন না । বাংলাদেশকে ঘিরে হিলারি ক্লিনটনের বেশ কিছু এজেন্ডা
অমীমাংসিত রয়ে গেছে । ক্লিনটন নির্বাচিত হলে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা
করবেন । ট্রাম্পতো ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন মুসলমানরা তার জানি দুষমন
। এই সব ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার কতটুকু সচেতন তা নিয়ে গাফ্ফার ভাই
সন্দেহ প্রকাশ করলেন । তাকে বলি হয়তো প্রধানমন্ত্রী ওয়াকেবহাল কিন্তু তাঁর
চার পার্শ্বে যারা সব সময় তাঁর সাথে থাকেন তারা কতটুকু সচেতন বা প্রয়োজনে
তাঁকে সহায়তা করতে প্রস্তুত তা নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে । গাফ্ফার
ভাইয়ের কাছ হতে বিদায় নেয়ার সময় তাকে বলি আমার বইটা নিয়ে কিছু একটা লিখলে
কৃতজ্ঞ থাকব । তিনি বললেন অবশ্যই লিখবেন এবং দোয়া করলেন অন্তত ওটি পড়ার
জন্য যেন ততদিন বেঁচে থাকি । তার ধারণা চাপাতি পার্টির হিট লিস্ট বেশ দীর্ঘ
এবং শেখ হাসিনার শেষ না দেখে তারা ক্ষান্ত হবে না । মাথার মধ্যে বেশ কিছু
দুশ্চিন্তা নিয়ে দেশে ফিরেছি।
লেখক: গবেষক ও বিশ্লষক ।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
[......লেখক আর্কাইভ]
|