|
তোমার অবজ্ঞাই আমার অনুপ্রেরণা
কখনো কষ্টে, বুক মুচড়ে ওঠে
তথাপিও, তোমার প্রতিটি অবজ্ঞা
আমাকে এক একটি নতুন কবিতা লেখায়
তাই তোমার অবজ্ঞার কাছে আমি ঋণী।
তুমি যতই আমায় অবহেলা করো
আমি ততই তোমার দরজার সামনে
নেড়ি কুকুরের মত বসে থাকি,
কি নিলজ্জতায়।
আমার কুন্ঠিত হস্তদ্বয় লজ্জার মাথা খেয়ে
তোমার কাছেই ভিখ মাঙে বারবার।
আমার চাই নারী সঙ্গ অনন্ত
কিন্তু সে চাওয়া একটু আলাদা,
আর দশ জনের মত নয়।
তোমরা আমাকে একটি নারী দাও,
আমি তোমাদের পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ
একটি কবিতা উপহার দেবো।
প্রতিরাতে নিঃসঙ্গতা খামচে ধরে
আমার শ্বাস নালী
নিঃসঙ্গতা আমায় আষ্টেপৃষ্ঠে,
বেঁধে ফেলে আসামীর মত।
অথচ আমি, অসংখ্য নারী সংশ্রবে
রাত কাটাই, তাদের দেহে চোখ বুলাই
আমার নির্লজ্জ মন তাদের লেহন করে,
খুঁটে খুঁটে দেখি তাদের,
তাদের শরীরে আমার আঙুল স্পর্শ করে
কী মায়ায়!
তারা কোমল সরের মতো কিম্বা
শিউলীর মত নরম, মোলায়েম।
কখনো শীতের রুক্ষতায় শুষ্ক পত্র পল্লবের ন্যয়
তাদের উষ্ণ ঠোঁট আমার ওষ্ঠ চুম্বন করে।
যেমনি করে গাছ মাটি থেকে রস শুষে নেয়
আমিও তাদের দেহ লাবণ্য শুষে নেই।
আমি সারা নিশি সঞ্জীবনী সুধা পানে মত্ত থাকি।
তাদের দেহ রস অনুরিত হয় আমার ভেতর
আমার শিরায় উপশিরায়,
তারা অবগাহন করে রাত ভর।
সারা রাত, তারা আমার সাথে
ছলা করে, কলা করে।
তারা আমার সাথে কথা বলে আমার রাতের একাকীত্বকে
লাঘব করে দেয়।
তাদের দেহে হাত না বুলালে দীর্ঘদিন
তারা আমার সাথে অভিমান করে
তারা অপরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে,
তাদের দেহ ধুলায় একাকার হয়।
রাতে, তাদের আদর করতে করতে
বুকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়ি কখন জানিনা।
কিশোরীর দুই স্তনের আলিঙ্গনে
কি শান্তির কোমল নিদ্রা
তোমার অবজ্ঞা তখন খুবই তুচ্ছ,
ঘুম ভেঙে দেখি, আমার বুকে লেপ্টে থাকা
মাখন সম মোলায়েম,
কিশোরীর কোমল স্তনদ্বয় বইয়ের দু'টি পৃষ্ঠা
আর অপ্সরীর মত অতি সুন্দর নারী গুলো
প্রত্যেকে আমার
"অতি প্রিয়- কবিতার বই"। |