|
আমি রক্তজবার বুকে আমার শহীদ ভাইয়ের রক্ত দেখি
তাই কখনো প্রিয়ার খোঁপায় হয়নি গোঁজা রক্তজবা।
পলাশের দেহে গেঁথে আছে, শফিক, রফিক, জব্বারের রক্ত।
পৃথিবীর সব ফুলে আমি কম-বেশি শহীদের রক্ত দেখতে পাই
পৃথিবীর সব ফুলে শহীদের রক্ত মিশে আছে।
শহীদ মিনারের সম্মুখে তোমরা আলপনা আঁকা দেখো
দেখো, রঙ-তুলির এক অপরূপ ব্যঞ্জনা
আমি দেখি, থকথকে রক্ত কারুকাজ।
একুশ হতে একাত্তর এবং একাত্তর হতে আজ অব্দি
আমার বুকের গহীনে কলকল রবে বয়ে চলেছে
এক নদী রক্ত, যে রক্ত নিঃশব্দে ছুটে চলে
মিলিত হতে, মহা সমুদ্র পানে,
যেখানে বিশ্বের সমস্ত শহীদের রক্ত
মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে।
একদা আমার স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণের দেহে
শেকল পড়াতে চেয়েছিলো যে রাক্ষস
তারা আজ ঘৃণিত কীট,
তাদের নামও কেউ মুখে উচ্চারণ করতে চায় না সহসা।
২১ এলে বুকে, অ-আ লিখে কতবার বীরদর্পে দাঁড়িয়েছি
আমার অহংকারের মিনারের সামনে
শহীদ মিনার যেন, আমাদের মা,
তাইতো যে কোনো দাবি আদায়, লক্ষ্য কিম্বা সংগ্রামে
ছুটে যাই তার কাছে।
যেমনি করে মা'র পা সালাম করে একদিন ছুটে গিয়েছিলো
৭১ এ বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা রণাঙ্গনে।
তাই ২১ এবং ৭১ একই সূত্রে গাঁথা
অন্তমিল এক সংগ্রামী প্রতিবাদী কবিতা।
|