আবেগ সঞ্চার
যে দিন প্রথম দেখি প্রসন্ন মুখছবি হয়েছি
আত্মহারা
চিত্তকুহরে লাগে দোলা সারা বেলা রুদ্ধ শ্রান্তিহারা।
আমার সাধের প্রেম উচ্ছলিয়ে উঠে হৃদয়ের কাননে
জ্বলে উঠে তরঙ্গিত শিখা মনের পুলকে নীল গগনে।
বক্ষে শত মর্মক্ষত নিয়ে বিলাপে ঘুরি ফিরি সারা দেশ
শ্রান্ত ক্লান্ত হয়ে পথ চলি আবার ফিরে আসি অবশেষ।
কেন হলো আচম্বিতে মনের মধ্যে অজানার বজ্রপাত
চোখের নিদ্রা হয়েছে বিমুখ মনে ভাসে করুণ খরস্রোত।
বেশভূষা অঙ্গরূপ দেখে মনে ভাসে বিস্তর বন্ধনজাল
অতীন্দ্রিয় সৌন্দর্যের সত্তা দেখে মন প্রাণ হয় শীতল।
বিধাতা সাজিয়ে তারে ভূতলে দিয়েছে অপরূপে অনন্ত
সঙ্গে দিয়েছেন সিমাহীন তারে ছড়ায়ে অফুরন্ত গুণবন্ত।
দীর্ঘশ্বাসে বহে ফাগুনের উচ্ছ্বাস হয়েছি অলকে আকুল
আকস্মাৎ তারি স্মৃতি বারে বারে বহে মন হয় ব্যাকুল।
সান্তনী ছিল তার নাম খালেকের এক অনুঢ়া নন্দিনী
শশী যেন হারমানে স্বর্গ হতে এসেছে স্বর্ণ স্রোতস্বিনী।
প্রাণে জাগে অস্থির শিহরণ নব বসন্তের লাগে ছোয়া
প্রাণেশ্বরীকে পাবার আশায় ধ্বনিত হতে থাকে হিয়া।
দেখা হলো অবশেষে দেখিলাম নেত্র ভরে বারে বারে
গোলাপের তোড়া দিলাম হাতে একান্তে স্নেহভরে।
অতি উৎসুক শুভ্রমুখী সযত্নে নিয়েছিল হাত পাতিয়ে
উঠে মোহবন্ধন তনুখানি সহস্র তরঙ্গে উচ্ছ্বলিয়ে।
প্রাণেশ্বর বলিল আমি তোমারি প্রসাদের ভিক্ষারিনী
তোমাকে ঘিরে তীব্র পিপাসা শান্তমুখে কয় অন্তনী।
বিস্ময়ে অব্যক্ত ধ্বনি ভাসে ক্ষণকালের হলো অবসান
হৃদয়ের শূন্যতলে পেলাম সুখ পাখির পুষ্পের সন্ধান।
প্রসন্ন আকাশ ভেসে যায় কলহাস্যে নিথর গগনে
অহর্নিশি অন্তর মন্দিরে রাখিব তোমায় মনস্মরণে।