|
এ.কে.এম. নূরুন্নবী
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ
পরাধীনতার শিকল থেকে মুক্তির দিপালী সংযোজন স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব অর্জন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানী সৈন্য বুলেটের ঝাড়ে বাঙালির করুণ নিশ্বাসে কাঁপিছে সে ক্ষণে। কালের খরস্রোতে ভাসে সবাই নির্মম হত্যাকাণ্ড শঙ্কিত হৃদয় ইতিহাসে থাকবে সুবর্ণলেখায়। বঙ্গবন্ধুকে বন্দী করে নির্মম অত্যাচার করাচীতে নিয়ে বহু ক্লেশে জীবন বন্দিদশায়। পাকবাহিনীর টার্গেট পিলখানার ই.পি.আর অঞ্চলখানিতে ২৫ মার্চ হানাদারের নিষ্ঠুর বুলেট ধ্বনিতে। বত্রিশ ঘণ্টার অবরোধে হাজারো লাশের স্তূপ অলি গলি বাঙালিরা সবে শোকাশ্রুরাশিতে। নিজের জীবন বিপন্ন করে মানুষ মানুষের খোঁজ করে অন্তরালে ঘরবাড়ি ফেলে মানুষ পালিয়ে বেড়ায়। যত তাড়াতাড়ি যাওয়া যায় বিষাদের এলাকার ছেড়ে বহু দূরে পশ্চিমারা বাড়িঘর আগুনে দেয় জ্বালিয়ে। বাঙালিরা বাড়িঘর হারিয়ে অভিমানে শোকের অশ্রুজলে পালাবার কালে হত্যা করে কুলাঙ্গার দলে। জীবন বাঁচাতে মানুষ চলে যায় অরণ্যপরিবেশের অন্তরালে নিষ্ঠুরেরা বুলেট ছুড়ে ধরাতলে। পাকিস্তান বাহিনীর নৃশংসতায় মা বোনের আর্তনাদ সেথায় মায়ের বুক থেকে টেনে হত্যা করে শিশুকে রেল লাইনে আঁচড়িয়ে। দৃশ্য দেখে অনেক মা মারা যায় হৃদযন্ত্রেরক্রীড়া বন্ধ হয়ে যুবককে বেঁধে হত্যা করে সে সময়ে। সহস্র বছরে সে আর কোন দিন ফিরবে না স্নিগ্ধ ছায়াতল নিষ্ঠুর অত্যাচারে স্তম্ভিত হয়ে। বাবা দাঁড়িয়ে দেখে ছেলের মৃত্যু ফেলে নয়নের জল অসহায় হয়ে লাখো নারীর সম্ভ্রম নষ্ট ক্যাম্পে নিয়ে। হিন্দু মুসলিম জীবনে মায়ায় পালায় ভারতের আশ্রয় তলে কোটি লোক ভারতে শরণার্থী অপরাহ্নকালে। ৪ঠা ডিসেম্বর ভারত যোগদিলে মানুষ মুক্তির আশ্বাস পেল ৬ ডিসেম্বর ভারত স্বীকৃতি দিল মহাগগন তলে। যৌথ বাহিনী ১৩ ডিসেম্বরে বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত করে ৯৪ হাজার সৈন্য নতশিরে দাঁড়ায় ১৬ ডিসেম্বরে। যৌথ কমান্ডের কাছে পশ্চিমারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আবনতশিরে লে: জেনারেল নিয়াজী আত্মসমর্পণ করে। জেনারেল অরোরার কাছে উচ্ছ্বসিত মাথা অবনত করে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশে নাম সংযোজিত করে।
WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.
|
লেখকের আগের লেখাঃ |