প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

বিদেশী কুকুর দিয়ে বাড়ী পাহারা !!


আবদুল মান্নান
 


 

প্রথমে একটি সত্যি গল্প দিয়ে লেখাটি শুরু করি । আমার পরিচিত বাংলাদেশের একজন বড়মাপের সফল শিল্পোদ্যোক্তা, যিনি ইউরোপের বাজারের জন্য তার ঢাকার কারখানায় বেশ নাম করা কয়েকটি ব্র্যান্ডের চামড়াজাত পণ্য তৈরী করেন, একদিন দূঃখ করে বলছিলেন বাংলাদেশের এক শ্রেণীর মানুষের বিদেশ প্রীতির কারনে তিনি বেশ মর্ম পীড়ায় ভোগেন । বলেন তার পেশার অনেক শিল্পপতি আর ব্যবসায়ী আছেন যাদেও জন্য বাংলাদেশকে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল যতক্ষণ এদেশে ব্যবসা করে মোটামুটি গুলশান বনানিতে দু’একটা বিলাস বহুল বাড়ী আর কোটি টাকা দামের গাড়ীর মালিক হতে পারেন । ব্যাংক হতে নেওয়া ঋণের পরিমাণ যখন কয়েক শত কোটি গিয়ে ঠেকে তখন বাংলাদেশ আর নিরাপদ নয় বলে দুবাই, কুয়ালালামপুর অথবা লন্ডন, কানাডায় সেকেন্ড হোমের মালিক হয়ে সেখানে পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে দেন । বলেন ছেলেপেলেদের লেখা পড়া আর পরিবারের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে তাদের এই কাজটা করতে হয়েছে । আমার সেই পরিচতজন আরো জানালেন তিনি যখন প্রতিদিন সাভারে তার কারখানায় আসা যাওয়া করেন তখন একটি বাড়ীর সামনে একটি সাইন বোর্ড দেখে বেশ মজা পান । সেই বোর্ডে লেখা আছে ‘বিদেশী কুকুর দ্বারা এই বাড়ী পাহারা দেওয়া হয় ।’ বলেন আমাদের এক শ্রেণীর মানুষের দেশপ্রেম এমন তলানিতে ঠেকেছে যে বাড়ী পাহারা দেওয়ার জন্য এখন আর দেশী কুকুরের উপর নির্ভর করা যাচ্ছে না । বলেন দেশী হলে সেটি হয় কুত্তা আর বিদেশী হলে তা হয় কুকুর । তার আবার একটা বাহারী নামও থাকে । এই ধরুন ‘টমি’, ‘সিলভি’, অথবা ‘প্রিন্স’। আর কুত্তাদেরতো কোন নাম থাকতে নেই । লেখার শুরুতে এই ভূমিকার অবতারণা করার কারণ হচ্ছে ক’দিন আগে এক ভদ্রলোক আমাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন । তিনি কয়েক বছর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে প্রথম শ্রেণীতে মাস্টারস্ ও একই বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছেন । বিদেশের একটি উঁচু মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েক বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন । একাধিক নামকরা আন্তর্জাতিক স্বীকৃত জার্নালে তার বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধও রয়েছে । কিছু দিন থাকবেন বলে দেশে এসেছেন । বসে না থেকে কোন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন বলে বিজ্ঞাপন দেখে একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদের জন্য দরখাস্ত করেছিলেন । তাকে সাক্ষাৎকারেও ডাকা হয়েছিল । সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হলে ভদ্রলোককে বলা হয় তাকে চাকুরি দেওয়া সম্ভব নয় কারণ তার কোন বিদেশী ডিগ্রী নেই । তিনি পাল্টা জানতে চান বিদেশী ডিগ্রী থাকতে হবে তাতো বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল না । উত্তরে সেই সাক্ষাৎকার বোর্ডের একজন কর্তা ব্যক্তি বলেন তা লিখলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন চরম আপত্তি করে । এতসব ঝুট ঝামেলার মধ্যে না গিয়ে তারা সাক্ষাৎকারে ডেকে প্রার্থীকে দু’একটি প্রশ্ন করে বিদায় করেন । সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশ প্রীতি এমনই চরমে পৌঁছেছে যে ইতিহাস পড়ানোর জন্যও তারা কিছুদিন হলো একজন পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি ভারতীয়কে নিয়োগ দিয়েছেন । অন্য কোন বিভাগের হলে তেমন হয়তো আপত্তি উঠতো না । কিন্তু ইতিহাস পড়ানোর জন্যও বিদেশ হতে শিক্ষক আনতে হবে তাতো অবিশ্বাস্য এবং অগ্রণযোগ্য । আমার সহকর্মী সদ্য অবসরে যাওয়া ডঃ মুনতাসির মামুন এই সম্পর্কে কী মন্তব্য করবেন তা জানি না । যেই বিভাগে এই শিক্ষক কর্মরত সেই বিভাগের প্রধান একজন স্বজ্জন ব্যক্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তাব্যক্তিদের দাপটের কাছে তিনি অনেকটা অসহায় । অন্যান্য বিভাগগুলোর ক্ষেত্রেও তাই । ইতিহাসের সেই শিক্ষক তার বিদেশী স্ত্রীকেও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি দিয়ে নিয়ে আসার পাঁয়তারা করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে । মহিলা বর্তমানে কোলকাতায় অবস্থান করছেন । বাঁধ সেধেছে আমাদের বোর্ড অব ইনভেস্টমেন্ট । তারা নাকি মহিলাকে ওয়ার্ক পারমিট দিতে গড়িমসি করছে । সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত আটজন সাদা চামড়ার শিক্ষক অধ্যাপনা করছেন । তাদের কতজনের বৈধ ওয়ার্ক পারমিট আছে আর কতজন এই দেশে আয়কর দেন তা জানা নেই । এই সাদা চামড়ার শিক্ষকরা যে তেমন কোন খ্যাতিমান প-িত ব্যক্তি তাও না । বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ধারণা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাদা চামড়ার শিক্ষক থাকলে নাকি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শান শওকত আর জেল্লা বাড়ে । এদের বেতন ‘নেটিভ’ শিক্ষকদের তুলনায় সাত-দশগুণ বেশী । আসবাবপত্র সহ এপার্টমেন্ট তাদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে বরাদ্দ। কর্তা ব্যক্তিদের বিদেশ প্রীতি এমন অবস্থায় গিয়েছে যে বছরে দুএকটি বোর্ড সভা অনুষ্ঠান অথবা একাডেমিক সফরের নামে স্বস্ত্রীক বিদেশ ভ্রমণ তাদের জন্য এখন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে । দেশে সভা করলে সিটিং এলাউন্স জনপ্রতি লাখ টাকা । প্রশ্ন উঠতে পারে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি কী বাংলাদেশের বাইরে ? না বাংলাদেশের ভিতরে, কিন্তু তাদের হাত এতই লম্বা যে তারা অনেকটা দেশের মধ্যে অন্য আর একটা দেশ সৃষ্টি করে রেখেছে । তাদের সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন একটি তদন্ত করেছিল । তারপর কেমন করে যেন সব চাপা পরে গেল । এই যাবৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া একাধিক ছাত্র জঙ্গি সম্পৃক্ততার কারণে দেশে এবং দেশের বাইরে আটক হয়েছে । কিন্তু তারপরও কাঁচা পয়সাওয়ালাদের কাছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কদর আকাশচুম্বি ।
উপরের বর্ণনা পড়ে মনে হতে পারে সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেহারা বুঝি এই রকম । মোটেও তা নয় । দেশে এই মুহূর্তে কম পক্ষে ডজন খানেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে যে’গুলোতে এই ধরণের ‘বিদেশী কুকুরের পাহারা’ সংষ্কৃতি নেই । এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোক্তারা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মনে করেন না । সেখান হতে পাশ করে অনেকেই দেশে এবং বিদেশে ভাল প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন । কয়েক ব্যাচ আগে বিসিএস পরীক্ষায় যে ছাত্রটি প্রথম হয়েছে সে একটি দ্বিতীয় প্রজন্মের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করা ছাত্র । বৃত্তি নিয়ে জাপান গিয়েছিল । বিসিএস-এর ফলাফল প্রকাশিত হলে চাকুরিতে যোগ দিতে দেশে ফিরে এসেছে । গত ১৯ তারিখ আঠারো জনের একটি সরকারি প্রতিনিধি দল নিয়ে জাপান গিয়েছিলাম সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় ও গবেষণা ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে । বর্তমান সরকার ২০০৮ সালে সরকার গঠন করে শিক্ষাকে একটি অগ্রাধিকার সেক্টর হিসেবে চিহ্নিত করেছে । এই ক্ষেত্রে বর্তমানে যে সরকারি বাজেট ও প্রকল্প সহায়তা মিলছে তা আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী । উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে তা আরো বেশী প্রযোজ্য । অনেকে বলে থাকেন গবেষণা ক্ষেত্রে সরকার যে সহায়তা দেয় তা চাহিদার তুলনায় বেশ অপ্রতুল । কোন কোন ক্ষেত্রে তা হয়তো সত্য । কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাদের গবেষেণা খাতের বরাদ্দ সময়মতো খরচ করতে পারে না । তারপরও আগামী বছর গবেষণা খাতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে মঞ্জুরী কমিশনের তরফ হতে চলতি বছরের তুলনায় ৭৫ ভাগ বেশী বরাদ্দ দেয়া হয়েছে । ২০০৯ এ সরকার পাঁচটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে সনাক্ত করে সেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পাঁচটি নতুন প্রকৌশল ও কারিগরি বিভাগ খুলে সেই সব বিভাগের উন্নয়নের জন্য কুড়ি মিলিয়ন ডলারের একটি বড় তহবিল বরাদ্দ দিয়েছে । জাপান সফরের উদ্দেশ্য ছিল এই সব বিভাগের জন্য জাপানি বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান হতে সহায়তার ব্যবস্থা করা । জাপানের যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই গিয়েছি তারা বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-গবেষকদের সম্পর্কে বেশ উঁচু ধারণা পোষণ করে । তারা চায় আরো বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-গবেষক জাপান যাক । পড়–য়া শিক্ষার্থীদের মাঝে যেমন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করা শিক্ষার্থী আছে ঠিক একই ভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেখানে বেশ ভাল করছে । আমাদের নতুন প্রজন্মের সফলতা দেখলে কার না ভাল লাগে ? জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে তাদের নিজ দেশের গ্রাজুয়েটদের কদর সবচেয়ে বেশী । সেখানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি অসংখ্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে । সকলের মান যে সমান তা কিন্তু নয় । কিন্তু কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয় অথবা নিয়োগকর্তা কখনো বলে না নিয়োগের ক্ষেত্রে উত্তর আমেরিকার গ্রাজুয়েটদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে যেমন ভাবে বাংলাদেশের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে । অথবা চাকুরির ক্ষেত্রে বলা থাকে শুধু অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটরা আবেদন করতে পারবে । চাকুরি নির্ভর করা উচিৎ মেধার উপর । অধ্যাপক আহম্মদ শরীফ বা অধ্যাপক আনিসুজ্জামান কোন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয় হতে পাশ করেন নি । মেধার স্বীকৃতি না দিয়ে পশ্চিমা ডিগ্রী (তাও উত্তর আমেরিকার হতে হবে ) অগ্রাধিকার দেওয়া চরম হীনমন্যতা । জাপানের মানুষ অসম্বভ ভাবে নিজ দেশের জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে । তাদের প্রতিটি মানুষের দেশপ্রেম প্রশ্নাতীত । যুক্তরাষ্ট্রকে অনেকটা বাধ্য হয়ে সমর্থন করে কারণ চীন বা উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকী মোকাবেলার জন্য দেশটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভরশীল । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মিত্রশক্তিকে দেওয়া মুচলেখার কারণে জাপান কোন বড় ধরণের সামরিক বাহিনী গঠন করতে পারে না । কিন্তু এর বাইরে তারা সব কিছুতেই নিজ দেশকে খুঁজে বেড়ায় । বিদেশী কুকুর দিয়ে বাড়ী পাহাড়া দেওয়ার অভ্যাস তারা কখনো করে নি । মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া একটি দেশের প্রত্যেকটি মানুষের যদি জাপানের মানুষের মতো দেশপ্রেম থাকতো তাহলে বাংলাদেশ বর্তমানের চাইতে আরো কম সময়ে অনেক বেশী উন্নত হতে পারতো । না হওয়ার প্রথম কারণ বিদেশী কুকুর দিয়ে বাড়ী পাহারা দেওয়ার কাজটি করানোর মানুষের সংখ্যা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আছে । শুধু উপরে বর্ণিত বিশ্ববিদ্যালয়ই ব্যতিক্রম নয় । এমন অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে গজিয়ে উঠেছে যেখানে শিক্ষার কারিক্যুলাম এমন ভাবে করা হয় যে সেই সব স্কুলে যারা পড়ালেখা করে তারা দেশ, তার ইতিহাস, সভ্যতা, ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি ইত্যাদি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকে । স্কুলে বাংলায় কথা বলা নিষিদ্ধ । সিডনি অপেরা হাউস কোথায় তারা সহজে বলতে পারে । সাভার স্মৃতি সৌধ কোথায় বা সেটি কী এবং কেন সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞ । বার্গার আর পিৎজা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল । কিন্তু ভাপা পিঠা বা পাটিসপ্তা কী সেই সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা নেই । জাপানে প্রাথমিক শিক্ষায় পঠিত প্রধান বিষয় হচ্ছে নিজ দেশকে জানা । আর বাংলাদেশে স্কুল হতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত দেশ সম্পর্কে না জানাটা বর্তমানে ফ্যাসন হয়ে গেছে । এই না জানার জন্য শিক্ষার্থীদের কোন দোষ নেই । দোষ পরিবার আর শিক্ষা ব্যবস্থার । যতদিন আমরা বিদেশী কুকুরের পিছনে ছুঠতে থাকবো ততদিন পরিস্থিতির কোন উন্নতি হবে না । বিদেশী কুকুর দ্বারা বাড়ী পাহারর সংষকৃতি বর্জন করার এখনই সময় ।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক । জুন ২৮, ২০১৬

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

 [......লেখক আর্কাইভ]