প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

পিছন ফিরে দেখা স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন


আবদুল মান্নান
 


 

 এ’বছর জাতি ৬ ডিসেম্বর স্বৈরাচার এরশাদ পতনের ২৫ বছর পূর্তি পালন করবে । দীর্ঘ ৮ বছরের (১৯৮২-৯০) ছাত্র-জনতা-পেশাজীবী ও সাংষ্কৃতিক সংগঠনের আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছিল । এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন ১৫ দল (পরে তা ভেঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ৮ দল ও বাম পন্থিদের নেতৃত্বাধীন ৫ দল) ও বেগম জিয়া নেতৃত্বাধীন ৭ দল । সুযোগ বুঝে জামায়াত রাজনৈতিক ফায়দা লোটা ও তাদের পূনর্বাসনের কৌশল হিসেবে এই আন্দোলনে সামিল হয়েছিল । আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট শামসুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে পেশাজীবীরা । পেশাজীবীদের মধ্যে ব্যারিস্টার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমদ, ডঃ কামাল হেসেন, ব্যারিষ্টার আমিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ফয়েজ আহম্মদ, আবেদ খান, সাহজাহান মিয়া, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংষ্কৃতিক কর্মী ডাঃ কামাল এ খান (চট্টগ্রাম), নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রমূখরা অসামান্য অবদান রাখেন । ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষদের ভূমিকা এই দেশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে । ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে গঠিত হয়েছিল সম্মিলিত পেশাজীবী সংগ্রাম পরিষদ । এক পর্যায়ে দেশের সকল শীর্ষ স্থানীয় পেশাজীবী ও রাজনৈতিক নেতারা গ্রেফতার হয়ে গেলে এই আন্দোলনের হাল ধরে চট্টগ্রামের পেশাজীবী নেতারা যার অগ্রভাগে ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মান্নান ও চট্টগ্রাম বার এর তরুণ নেতা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন বাবুল । এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায় রচনা করেছে । ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ বাংলাদেশে সামরিক শাসন প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশে স্বৈরশাসনের বীজ বপিত হয়েছিল যার সমাপ্তি হয়েছিল ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর যখন এরশাদ তার উপ-রাষ্ট্রপতি ব্যারিস্টার মওদুদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন । ব্যরিস্টার মওদুদ বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের তৎকালিন প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদকে তার উপরাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন এবং তাঁর কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন । বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আন্দোলনরত সকল পক্ষের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী ডিসেম্বরের ৭ তারিখ পরবর্তি জাতীয় সংসদ নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন । সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং তাতে বিএনপি বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে । আওয়ামী লীগের পরাজয় ছিল অনেকটা অপ্রত্যাশিত । তবে এই পরাজয়ের পিছনে কাজ করেছিল বিএনপি’র কূটকৌশল এবং জামায়াতের সাথে অন্তত একশটি আসনে তাদের ভোট ভাগাভাগির অলিখিত আঁতাত । অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নির্বাচন পরিচালনায় চরম আনাড়িপনার পরিচয় দিয়েছিল ।
১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ সেনাপ্রধান এরশাদ নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে হঠিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন । এরশাদ ছিলেন অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি । ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন খোন্দকার মোশতাক । তাতে সায় ািছল জেনারেল জিয়ার । ৫ নভেম্বর জেনারেল জিয়া মোশতাককে উৎখাত করে পুতুল রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সায়েমকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ট করেন । এর কিছুদিন পর ১৯৮১ সালের ২১ এপ্রিল খোদ জিয়া সায়েমকে অপসারণ করে নিজে রাষ্ট্রপতির পদটি দখল করেন । একই বছর ৩০ মে জিয়া চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সেনাবাহিনীর কিছু বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হলে সাংবিধানিক ভাবে উপরাষ্ট্রপতি সাত্তার রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শুরু করেন । পরবর্তিকালে সাত্তার পূর্নাঙ্গ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন । কয়েক মাসের মাথায় এরশাদ সাত্তারকে উৎখাত করেন । জিয়ার মৃত্যুর পরপরই এরশাদ ক্ষমতা দখল করতে পারতেন । কিন্তু এরশাদও জিয়ার মত ধূর্ত ছিলেন । জিয়া মোশতাক ও সায়েমকে ব্যবহার করেছেন চাতুর্যের সাথে ক্ষমতা দখল করতে আর এরশাদ সাত্তারকে সুযোগ দিয়েছেন একজন অপদার্থ ও ব্যক্তিত্বরহিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিজেকে প্রমাণিত করতে । এতে এরশাদ নিজের ক্ষমতা দখলের পথকে সুগম করেছিলেন । দূঃখজনক হলেও সত্য জিয়া-এরশাদকে সহায়তা করেছিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিরা । একই ভাবে পাকিস্তানের সম্ভাব্য গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে সহায়তা করেছিলেন বিচারপতি মুনির যিনি সামরিক বাহিনী কর্তৃক রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকে ‘ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি’ ব্যবহার করে জায়েজ করেছিলেন ।
ক্ষমতা গ্রহণের বেশ কিছুদিন আগে এরশাদ একটি বিদেশী পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে আকারে ইঙ্গিতে ক্ষমতা দখলের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন । ওই সাংবাদিককে তিনি বলেন ‘সামরিক লোকজন রাজনীতিতে সামরিক অ্যাডভেঞ্চার কামনা করে না । কিংবা সশস্ত্র বাহিনীতে তারা রাজনৈতিক অ্যাডভেঞ্চার চায় না । তারা কেবল গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় জনগণকে সাহায্য করতে এবং যে-কোন ভবিষ্যৎ অভ্যুত্থান অপচেষ্টার বিরুদ্ধে ভারসাম্য বজায় রাখতে চায় ।’ [অ্যালবাম: গণআন্দোলন (১৯৮২-৯০) । সম্পাদক ইউসুফ মুহম্মদ, পৃষ্টা ১১ ] একটি দেশের সেনা প্রধানের এই ধরণের দেশে বা দেশের বাইরের কোন সাংবাদিককে সাক্ষাতকার দেয়া নজিরবিহীন । এরশাদের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ডঃ আবু মাহমুদ বলেন ‘উন্নয়নশীল সমাজে সেনাবাহিনীর কার্য পরিধি শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে সীমিত নয় বরং জাতি গঠনমূলক কাজেও সেনাবাহিনী কার্যকর ভূমিকা পালন করে।’ ডঃ আবু মাহমুদ এরশাদের ক্ষমতা দখলকেও সমর্থন করেছিলেন । অন্যদিকে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে আওয়ামী লীগ প্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট হইতে এই অবধি ক্ষমতা দখলের উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা হইয়াছে । কাজেই সেনাবাহিনীর এই ক্ষমতার ভাগাভাগির দাবি খুবই স্বাভাবিক ।‘ তিনি আরো বলেন ‘রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রবেশ কোন গণতান্ত্রিক দেশের জন্যই কাম্য হইতে পারে না ।’ এমন মন্তব্য অনেক রাজনৈতিক ও পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ করলেও এই প্রসঙ্গে বেগম জিয়ার মৌনতা সকলকে অবাক করেছিল । (ইউসুফ মুহম্মদ)
এরশাদ ক্ষমতা দখল করে সংবিধান স্থগিত করেন, মন্ত্রিসভা ও সংসদ বাতিল করেন। নিষিদ্ধ করা হয় সকল রাজনৈতিক তৎপরতা । ঢাকায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয় । ঠিক একই কায়দায় দেশ হতে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন তার পূর্বসূরি জেনারেল জিয়া । তারও আগে পাকিস্তানের সেনাশাসক আইউব খান ও ইয়াহিয়া খান একই কায়াদায় রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করেছিলেন । এরা সকলেই ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে ছিলেন সিদ্ধহস্ত । রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ থাকলেও ১৯৮২ সালে শিক্ষা দিবসকে কেন্দ্র করে এরশাদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম আন্দোলন দানা বাঁধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে । ইসলামি ছাত্র শিবিরকে বাদ দিয়ে গড়ে উঠে সর্বদলিয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ । আবারো এই দেশের ছাত্ররা দেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কারণ তখন পর্যন্ত রাজনৈতিক দলগুলি জোরালো ভাবে মাঠে ছিল না । সেই সময়ের ছাত্র সংগঠনগুলি বর্তমানের মতো সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি নির্ভর ছিল না যদিও কতিপয় ছাত্রনেতা ক্ষুদ্র স্বার্থে নিজেদের এরশাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল । এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মাঠে শুরুতে বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সাত দলীয় জোট মাঠে নামলেও তারা তেমন সফলতা দেখাতে পারেনি শ্রেফ সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে । ১৯৮৬ সনের ৭ মে জাতীয় সংসদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় এবং আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও সমমনা কয়েকটি দল অংশগ্রহন করে যদিও এর আগে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল কোন বিরোধী দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে না । বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি ও সাত দলীয় জোট এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ হতে বিরত থাকে । এই নির্বাচনে যখন আওয়ামী লীগ নিশ্চিত বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন এরশাদ এক মিডিয়া ক্যু’র মাধ্যমে ফলাফল ছিনতাই করে যদিও এরশাদের জাতীয় পার্টি সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠ আসনে বিজয় লাভ করতে ব্যার্থ হয়। । আওয়ামী লীগ প্রমাণ করে এরশাদের অধীনে কোন সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয় । এরশাদ সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেতে ব্যর্থ হলেও তিনি তার গঠিত সরকারকে প্রলম্ভিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন । অন্যদিকে এ’সময় এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তুঙ্গে উঠে । একই সময় সরকারের পক্ষ হতে চলতে থাকে বিরোধী নেতা কর্মী হত্যা, নির্যাতন, জেল, জুলুম, অত্যাচার । হত্যা করা হয় ছাত্র নেতা রওফুন বাসুনিয়া, সেলিম, দেলোওয়ার, মোজাম্মেল, জেহাদ সহ আরো অনেককে । ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে পুলিশ চট্টগ্রামের নিরস্ত্র জনগণের মিছিলের উপর গুলি চালিয়ে ২৩ জনকে হত্যা করে । এই সময় এক ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে শেখ হাসিনা মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন । দলের নেতা কর্মীদের এক মানব বর্ম সে দিন শেখ হাসিনাকে পুলিশের বেপরোয়া গুলিবর্ষণ হতে রক্ষা করেছিল । এই হত্যাকান্ডের হুকুমদাতা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদাকে পরবতির্কালে বেগম জিয়া পদোন্নতি দিয়ে পুরস্কৃত করেন । এই আন্দোলনকে নস্যাত করতে এরশাদেও পুলিশ বাহিনী শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর ট্রাক তুলে দিয়ে নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করেছিল । আন্দোলনের চুড়ান্ত মুহূর্তে গুলি করে হত্যা করা হয় নূর হোসেন আর ডাঃ মিলনকে । এই দুটি হত্যাকান্ড এরশাদের পতনকে তরান্বিত করে । বাস্তবে সংসদ নির্বাচনের পরই এরশাদ বিরোধী আন্দোলন বেগবান হয় যার ফলশ্রুতিতে ৬ ডিসেম্বর এরশাদের পতন । শেষের দিকে এরশাদ চেষ্টা করেছিলেন সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে । সেনাবাহিনী রাজি না হলে এরশাদের সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় । এটি স্বীকার করতে হবে দেশের একটি ক্রান্তিকালে বাংলাদেশে সেনাবাহিনী অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভ’মিকা পালন করে ।
এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের বড় প্রাপ্তি হচ্ছে দেশের শাসন ব্যবস্থা সেনা বাহিনীর হাত হতে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের হাতে ন্যস্ত হওয়া । এই উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত তিন জোট ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র শাসনের জন্য একটি রূপ রেখা ঘোষণা করেছিল যাতে অঙ্গিকার করা হয়েছিল আগামীতে যখনই নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হবে দেশে একটি সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ব্যবস্থা চালু করা হবে । এই রূপ রেখায় বলা হয়েছিল এরশাদকে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ নির্বাচন দিতে হবে যা এরশাদ দিতে বাধ্য হয়েছিলেন । ১৯৯১ সালে বেগম জিয়া ক্ষমতায় এলে সকল দলের সমর্থনে দেশে দীর্ঘদিন পর সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা চালু হয়েছে । স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন দেশের রাজনীতিবিদদের এই শিক্ষা দিয়েছে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বেশী দিন ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না । আরো শিক্ষা দিয়েছে জনগণ সাথে না থাকলে কোন আন্দোলনই সফল হয় না । সফল গণআন্দেলন গড়ে তুলতে হলে চাই যোগ্য নেতৃত্ব । স্বৈরাচার পতনের এই দিনে এই আন্দোলনে যারা নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ।

লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক । ডিসেম্বর ৪, ২০১৫
 

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

 [......লেখক আর্কাইভ]