প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্ত একটা হচ্ছে


আবদুল মান্নান
 


 

ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসী না হয়েও সাম্প্রতিক কালে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা-দূর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে বলা যায় দেশে এবং বিদেশে এই মুহূর্তে ক্ষমতাসীন সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য নানামূখী তৎপরতা বা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে । এই তৎপরতায় যেমন যুক্ত আছে বর্তমান সরকার-বিরোধী দেশী শক্তি একই ভাবে জড়িত আছে কিছু বিদেশী শক্তিও । ২৮ সেপ্টম্বর ইতালিয় নাগরিক সিজার তাভেলা আততায়ীর গুলিতে ঢাকায় নিহত হলেন । সেই হত্যাকান্ডের রেশ না কাটতেই ৩ অক্টোবর রংপুরে প্রকাশ্যে দিনের বেলায় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যা করা হলো । বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক কালের এমন খুন খারাবির পরপরই দেখা যায় আইএস নামক মধ্য প্রাচ্যের একটি ভয়াবহ মধ্যযুগীয় জঙ্গী সংগঠনের নামে গণমাধ্যমে ই-মেইল পাঠিয়ে তার দায়দায়িত্ব স্বীকার করা হয়, যদিও আইএস এর নিজস্ব ওয়েব সাইট তারা বাংলাদশের ব্যপারে সম্পূর্ণ নিরব । বাংলাদেশে এই জঙ্গী গোষ্ঠির কোন হদিস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি । তবে কখনো কখনো বাংলাদেশ হতে কোন কোন বিভ্রান্ত যুবক এই জঙ্গী সংগঠনে যোগ দিতে মাধ্যপ্রাচ্যে গিয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে । মাঝে মধ্যে পুলিশের হাতে আটক কিছু সন্ত্রাসী স্বীকার করেছে তারা বাংলাদেশ হতে আইএস-এর জন্য সদস্য রিক্রুট করার চেষ্টা করছে । এমন চেষ্টা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপের অন্যান দেশ ও অস্ট্রেলিয়ায়ও হয়েছে । তবে এও সত্য কারা এই সব খুন খারাবির সাথে জড়িত তা আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী সময় মতো বের করতে পারে না অথবা প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয় যার উৎকৃষ্ট প্রমাণ মের্হারমের আশুরার আগের দিন রাতে শিয়াদের তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতিকালে ঢাকার হুসেনি দালানে দেশে বানানো গ্রেনেড হামলা । সে হামলায় একজন কিশোর নিহত ও প্রায় দেড়শত জন আহত হয়। উল্লেখ্য নিহত ব্যক্তি একজন সুন্নি মুসলমান ছিলেন, আহতদের বেশীর ভাগও তাই । অনেক জেলায় সুন্নিরাও তাজিয়া মিছিল বের করে । বাংলাদেশে বসবাসরত শিয়া সম্প্রদায়ের সংখ্যা অতি নগণ্য । কয়েকশত বছর ধরে এই সম্প্রদায়ের মানুষ এই দেশে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্তান করলেও এই প্রথমবার তাদের উপর কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামলা করলো যদিও পাকিস্তান ও ইরাকে শিয়াদের উপর হামলা একটি দৈনন্দিন রেওয়াজে পরিণত হয়েছে । এর আগে নিয়মিত তল্লাসি চালানোর সময় গাবতলিতে পুলিশের একজন এএসআই এক দূর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হলেন । এটি ছিল পুলিশের আনাড়িপনা ও সতর্কতার অভাব ।
সিজার তাভেলা নিহত হওয়ার পর তড়িত যুক্তরাষ্ট্র তাদের ওয়েব সাইটে নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাফেরায় সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয় । যুক্তরাষ্ট্রের দেখা দেখি যুক্তরাজ্যও তাদের দেশের নাগরিকদের একই পরামর্শ দেয় । এই পরামর্শকে কোন কোন মিডিয়া প্রচার করলো এই দু’টি দেশ বাংলাদেশে নিরাপত্তা বিষয়ে রেড এলার্ট জারি করেছে । পরামর্শ আর রেড এলার্ট এক কথা নয় । যুক্তরাজ্যের বিদেশ মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে সেই দেশে চলাফেরা করার সময় যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলে একটি স্থায়ী পরামর্শ দেয়া আছে কারণ সেই দেশে প্রায়ঃশ অস্ত্র নির্ভর সন্ত্রাস হয় । এটি অনেকটা বাড়ী হতে বের হওয়ার সময় ‘সাবধানে যাস’ বলার মতো । যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন যত মানুষ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয় (গড়ে ৪৪ জন) তা বিশ্বের অন্য কোন দেশে (গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশ ছাড়া) হয় না । গত তিন বছরে যুক্তরাষ্ট্রে ছয়জন বাংলাদেশি আততায়ীর হাতে নিহত হয়েছেন । তাই বলে বাংলাদেশ সেই দেশে বাংলাদেশীদের জন্য কোন এলার্ট জারি করে নি । আর বন্দুকধারীদের শিক্ষাঙ্গনে ঢুকে নিরাপরাধ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হত্যা এখনতো সেই দেশে একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে পরেছে । যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের দেখা দেখি অস্ট্রেলিয়া তাদের ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর বাতিল করলো এই বলে এখন বাংলাদেশে আসা নিরাপদ নয় । ঠিক তার ক’দিন পর অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনির পুলিশ সদর দপ্তরের সামনে একজন সন্ত্রাসী সেই পুলিশ অফিসে কর্মরত একজন কর্মচারিকে গুলি হত্যা করে ।
এবার দুই বিদেশী হত্যাকা-ের সাথে জড়িত হয়েছে রিতা কাৎজ নামক এক রহস্যজনক মহিলা । দুই বিদেশী নাগরিক নিহত হওয়ার পর পর এই মহিলা পৃথক দুই টুইটার বার্তায় দাবি করেছেন এই হত্যাকা- আইএস ঘটিয়েছে । রিতা কাৎজ যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দি সার্চ ফর ইন্টারন্যাশনাল টেরোরিষ্ট এন্টারপ্রাইজ (এসআইটিই) এর সাথে জড়িত । ইন্টারনেটে প্রাপ্ত তথ্য মতো ২০০২ সালে রিতা কাৎজ ও জস ডেভন এসআইটিই প্রতিষ্ঠা করেন । পরে অবস্য জস ডেভন প্রতিষ্ঠানটি ত্যাগ করেন । এই প্রতিষ্ঠানের কাজ হচ্ছে বিভিন্ন দেশের জঙ্গী সংগঠনের অন লাইন যোগাযোগের উপর নজরদারি করা । রিতা কাৎজ ইরাকি বংশোদ্ভুত একজন মার্কিন ইহুদি মহিলা। অভিযোগ আছে রিতা ইসরাইলের মোসাদ, যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই এর হয়ে পূর্বে কাজ করেছেন বা এখনো করেন । এই মুহূর্তে এই মহিলার প্রধান কাজ হচ্ছে যে কোন অজুহাতে কোন একটি মুসলমান প্রধান দেশকে জঙ্গী রাষ্ট্র হিসেবে বহির্র্বিশ্বে পরিচিত করা । এর অন্যতম কারণ হচ্ছে রিতার পিতাকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ইসরাইলের হয়ে গোয়েন্দাগিরি করার অভিযোগে ফাঁসি দিয়েছিলেন । যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেন ইরাক অভিযানের পূর্বে তাদের নানা রকম ভুল তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল বলে রিতার সংগঠনটির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে । সম্প্রতি বৃটেনের তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন ইরাক অভিযান ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছিল । রিতা কাৎজের সংগঠন নিয়ে বিদেশের শীর্ষ স্থানীয় পত্রপত্রিকায় একাধিক সমালোচনা প্রকাশিত হয়েছে । বাংলাদেশে আইএস এর অস্থিত্ব সম্পর্কে রিতা কাৎজের টুইটার বার্তা, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অতি মাত্রায় রিএকশান, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যু দ-প্রাপ্ত সাকা চৌধুরীর পক্ষে মৃত্যুদ- পর্যালোচনার সময় পাকিস্তান হতে পাঁচ জন সাক্ষী আনার আবদার, তাদের পক্ষে বাংলাদেশে অবস্থানরত একজন বিতর্কিত বিদেশী সাংবাদিকের ওকালতি, নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থান কালে তাঁর বিরুদ্ধে জামায়াত-বিএনপি’র বিক্ষোভ চলাকালে সেখানে হঠাৎ বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য ব্যক্তির উপস্থিতি ইত্যাদি বিষয় মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছে না ।
ইতোমধ্যে সিজার তাভেলা হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে । তারা আদালতে জবানবন্দি দিয়ে বলেছে সিজার তাভেলাকে তারা ‘বড় ভাই’ এর নির্দেশে হত্যা করেছে । পুলিশের ভাষ্য মতে এই চারজন ছিল ভাড়াটে খুনী আর ‘বড় ভাই‘ হচ্ছে বিএনপি নেতা, তবে একজন নয় দু’জন । এদের একজন দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে অন্যজন এই হত্যাকা-ের পর দেশ হতে পালিয়ে গেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অভিযুক্ত খুনিরা স্বীকার করেছে তাদের দায়িত্ব ছিল একজন বিদেশীকে হত্যা করা । ঘটনা চক্রে সে বিদেশীটি হয়ে গেল সিজার তাভেলা । একজন বিদেশীকে হত্যা করতে পারলে সরকারকে বেকায়দায় ফেলা যাবে এবং সরকারের উপর একটি মধ্যবর্তি নির্বাচন দিতে বিদেশী চাপ বাড়বে বলে ‘বড় ভাইরা’ ঘাতকদেও বুঝিয়েছে । কোন কোন বিদেশী রাষ্ট্র শুরু থেকেই চাইছে সরকার পরিচালনায় আওয়ামী লীগের পরিবর্তে জামায়াত-বিএনপি জোট ক্ষমতায় থাকুক । বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহ বিশ্লষণ করলে এটাই মনে হয় এই বিদেশী রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম । তারা পাশে পেয়েছে বৃটেনকে । এই চাওয়ার জন্য কিছু অর্থনৈতিক স্বার্থও জড়িত । শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য রাশিয়া ও চীনের কাছ হতে কয়েক মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়েছে । তারপর শুরু হলো পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে বিশ্বব্যাংকের নানা টালবাহানা । এতে যে যুক্তরাষ্ট্রের হাত ছিল তা এখন পরিষ্কার । তাদের মদদ দিয়েছে এই দেশের কিছু সুশীল ব্যক্তি । কিন্তু বিশ্বব্যাংক ধারণা করতে পারে নি বাংলাদেশ এই পদ্মা সেতুর মতো এত বড় একটা মেগা প্রকল্প নিজের অর্থায়নে নির্মাণ শুরু করবে এবং সেই কাজের ঠিকাদারি পাবে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান । বিশ্বব্যাংক এখন প্রকাশ্যে স্বীকার করে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন না করা ছিল তাদের একটি মস্ত বড় ভুল । রাশিয়া রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ পেল । প্রধানমন্ত্রীর ২০১৩ সালে জাপান সফরের সময় জাপান বাংলাদেশকে সাতশত মিলিয়ন ডলারের ঋণ দেয়ার অঙ্গিকার করে । ধারণা করা হচ্ছে কক্সবাজারের অদূরে সোনাদিয়া গভীর সমূদ্র বন্দর নির্মাণের ঠিকাদারি জাপানের ভাগ্যে জুটবে । ফ্রান্স বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ নিক্ষেপ করার জন্য নির্বাচিত হয়েছে । এই সব অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের কোনটাই যুক্তরাষ্ট্র অথবা বৃটেনের ভাগ্যে জুটেনি । তারা ভাবছে ক্ষমতায় শেখ হাসিনা না থাকলে হয়তো এই সব বড় ব্যবসার কিছুটা হলেও তাদের ভাগ্যে জুটতো । সুতরাং দেখা যায় যে কোন অজুহাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য গেল গেল রব তোলে । লক্ষণীয় যে ইউরোপিয় ইউনিয়নের আচার আচরণ অনেকটা সংযত । কুনিও হোসির ঘাতকরা এখনো অধরা । পুলিশ বলছে ঘাতকদের আটকে তারা আশাবাদী । তবে হোসি নিজেও সন্দেহ মুক্ত নয় । তিনি রংপুরে তিন একর জমি নিয়ে আলু আর ঘাসের চাষ করেন তা তেমন একটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না । তিনি এর মধ্যে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হয়েছিলেন । তার নিকটজনরা অথবা জাপানি দূতাবাস হোসির মৃতদেহ জাপানে পাঠানোর কোন আগ্রহ দেখায় নি । তাকে রংপুরেই দাফন করা হয়েছে । হোসেনি দালানে যে ধরণের গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে পুলিশের মতে তা ছাত্র শিবির, জেএমবি বা সমমনা সন্ত্রাসী সংগঠন গুলি ব্যবহার করে থাকে । পুলিশের কাছ হতে প্রাপ্ত তথ্য মতে এই রকম একটি হামলা হবে তা তারা আঁচ করতে পেরেছিল । কোন কোন বিদেশী দূতাবাসের কাছেও এমন খবর ছিল । কিন্তু হামলা যে হোসেনি দালানে হবে তা তাদের ধারণা ছিল না, যদিও ঘটনার দিন রাতে এলাকায় প্রায় দেড় হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য দায়িত্বপালন করছিলেন । পুলিশের তদন্তকারি দল বলছে হাতে বানানো গ্রেনেডগুলি বাহির হতে ছোড়া হয়েছিল । এই ঘটনার পর পুলিশ কয়েকজনকে আটক করেছে । গোয়েন্দা সূত্রমতে দূর্বৃত্তদের হামলার টার্গেট ছিল কোন একটি পূজামন্ডপ । এতে ক্ষয় ক্ষতি আরো ব্যাপক হতে পারতো এবং দেশে একটি বড় ধরণের সাম্প্রদায়িক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারতা । তবে এটাও উল্লেখ করতে হবে যে এবারের পূজার সময় কয়েকটি জায়গায় প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে এবং দু’এক স্থানে সাম্প্রদায়িক উস্কানিও দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে ।
এই মুহূর্তে জামায়াত ও বিএনপি দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে আপ্রাণ চেষ্টা করবে । জামায়াত করবে যে কোন উপায়ে হোক তাদের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুজাহিদের মৃত্যুদ- কার্যকরকে বানচাল করতে । বিএনপি’র কাছে সাকা চৌধুরীর তেমন কোন গুরুত্ব নেই । তাদের উদ্দেশ্য দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষকে ক্ষেপিয়ে তোলা এবং বিদেশীদের দেখানো আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনায় অক্ষম । সুতরাং যে কোন উপায়ে জামায়াত-বিএনপি জোটকে ক্ষমতায় আসতে হবে । ইতোমধ্যে বিএনপি নেতা হান্নান শাহ্ তার এক নিয়মিত হুমকীতে বলেছেন ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে। সময় থাকতে সাবধান হয়ে যান।’ বলা বাহুল্য তিনি ১৫ই আগষ্টের ঘটনাপ্রবাহের দিকে ইঙ্গিত করেছেন । এমন ইঙ্গিত সাকা চৌধুরী প্রায়শঃ করতেন । শেখ হাসিনা সরকারকে বোকয়দায় ফেলার জন্য ইতোমধ্যে বিএনপি যুক্তরাষ্ট্রের লবিস্ট ফার্ম ‘আকিন গাম্পের’ সঙ্গে কোটি টাকার চুক্তি করেছে এমন খবর সে দেশের আইন ও বিচার বিভাগ ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে ।
বর্তমানে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়ার জন্য অপেক্ষমান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত দেশে নানা রকমের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালু থাকার সম্ভাবনা বেশী । বিমান ছিনতাই-এর পরিকল্পনাও আছে বলে জানা গেছে । তাদের সহায়তা করবে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই সহ আরো কিছু দেশ । এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে আরো বেশী কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে । ইতোপূর্বে সরকার বেশ কিছু কঠিন সংকট সফল ভাবে মোকাবেলা করেছে । তা অনেকাটা প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও সাহসের কারণে সম্ভব হয়েছে । সময় মতো ব্যবস্থা নিলে সম্ভাব্য যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব ।

লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক। অক্টোবর ২৮, ২০১৫

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

 [......লেখক আর্কাইভ]