প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

নেলসন মেন্ডেলার দেশ হতে ফিরে


আবদুল মান্নান
 


 

একটি দেশের চার চারটি রাজধানী শুনে একটু খটকা লাগলো । দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে বিমান হতে নামতেই সে দেশে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সাব্বির আহমেদ চৌধুরী তথ্যটি জানিয়ে দিলেন । গত কয়েক দশকে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের সুবাধে অনেক রাষ্ট্রদূত বা হাই কমিশনারের সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু সাব্বির চৌধুরীর মতো একজন চৌকশ আর অমায়িক রাষ্ট্রদূতের সাথে দেখা হয়েছে তেমনটি মনে পরে না । তিনি এক সময় রাজশাহী পলিটেকনিকের ইন্সটিটিউটের শিক্ষক ছিলেন । বুয়েটের গ্রাজুয়েট । বিসিএস-এ প্রথম হয়েছিলেন । শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সহযাত্রী হয়ে কেপটাউনে এসেছি একটি আান্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা সম্মেলনে যোগ দিতে । মে মাসের ৩ তারিখ হতে ৫ তারিখ পর্যন্ত কেপটাউনের বিশাল আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলন যৌথ ভাবে আয়োজন করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উচ্চ-শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বৃটিশ কাউন্সিল । অংশ গ্রহণে ৮০টি দেশের আটশ প্রতিনিধি । আগেই জানানো হয়েছিল চারটি দেশ তাদের দেশে উচ্চ শিক্ষার বিকাশ ও তার সাফল্য নিয়ে কথা বলার সুযোগ পাবে যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তভূর্ক্ত । অন্য তিনটি দেশ হচ্ছে আফগানিস্তান, ব্রাজিল ও পেরু । এখন এটি বিশ্ব স্বীকৃত যে বাংলাদেশ কৃষি ছাড়া আর যে ক’টি ক্ষেত্রে চোখ ধাঁধানো অগ্রগতি সাধন করেছে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম । সম্মেলনটি যেহেতু উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেহেতু আগে হতেই নির্ধারিত ছিল বাংলাদেশেন পক্ষে এই বিষয়ে আমিই বক্তব্য রাখব । আমার মূল ফোকাসটা ছিল উচ্চ শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ । মন্ত্রী বিভিন্ন দেশ হতে আগত অন্যান্য মন্ত্রীদের সাথে বাংলাদেশের সার্বিক শিক্ষা বিষযে মত বিনিময় করবেন ।
বিমানে ঢাকা হতে দুবাই । সাড়ে চার ঘন্টার পথ । সেখানে ঘন্টা খানেক যাত্রা বিরতি দিয়ে কেপটাউন পর্যন্ত দশঘন্টার দীর্ঘ ক্লান্তিকর যাত্রা । কেপটাউনে যখন বিমান টাচ ডাউন করলো তখন বিকাল ৫টা । এখনো দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্রীষ্ম । জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ হতে শীত শুরু হওয়ার কথা আছে । বিমান হতে অবতরণের সাথে সাথে দরজায় এগিয়ে এসে আমাদের রিসিভ করলেন হাই কমিশনার । প্রিটোরিয়া হতে পনের ঘন্টা গাড়ী চালিয়ে শুধু আমাদের রিসিভ করতে তিনি কেপটাউন এসেছেন । প্রথমে মনে হয়েছিল প্রটোকল অফিসার । পরিচয় দেওয়ার সাথে সাথে তাঁর বিনম্র ব্যবহার দেখে আমরা বেশ মুগ্ধ । কিছুতেই আমাদের ব্যাগ হাত ছাড়া করতে চান না । বিকল্প পথে সিড়ি দিয়ে নামিয়ে এনে গাড়ীতে তুলে সোজা ভিআইপি লাউঞ্জে । বেশ ছিমছাম লাউঞ্জ । ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সারতে মিনিট পনের লাগল । সহায়তা করলের ভিআইপি লাউঞ্জে কর্মরত একজন স্টাফ । ওটাই নাকি তার কাজ । শিক্ষামন্ত্রীর লাগেজ আসতে কিছু সময় লগলো । বাইরে গাড়ীতে উঠতেই সামনের সিটে একজন সাদা পোষাকধারী সশস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা পুলিশ উঠে পরিচয় দিয়ে বললেন তার নাম ব্রেন্ডা । মনে করিয়ে দিলেন কোন অবস্থাতেই গাড়ীর জানালা খোলা যাবে না । চালক নিশ্চিত করলেন আমরা চাইলেও খুলতে পারব না কারণ তিনি জানালা ও দরজা দু’টাই লক করে দিয়েছেন । ব্রেন্ডা কেপটাইনে অবস্থান কালে আমাদেও সাথে সার্বক্ষণিক ছায়াসঙ্গি হিসেবে থাকবেন । আইন শৃঙ্খলার দিক থেকে কেপটাউন বর্তমানে বিশ্বের অষ্টম ভয়াবহ শহর । ৩৭ লক্ষ জনসংখ্যার একটি শহরে ২০১৫ সালে সরকারি হিসাব মতে ২৪৫০ টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে । দেশটির চারটি রাজধানীর মধ্যে একটি প্রিটোরিয়া। এটি প্রশাসনিক রাজধানী । দেশের সংসদ বসে কেপটাউনে । ব্লুমফন্টেনে দেশের সর্বোচ্চ বিচারালয়ের মূলকেন্দ্র আর জোহানসবার্গ হচ্ছে বাণিজ্যিক রাজধানী । এর কোনটির আইন শৃঙ্খলা অবস্থা সবচেয়ে খারাপ তা নিয়ে মতভেদ থাকলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় এই চারটি শহরের মধ্যে কেপটাউনের অবস্থা খুবই খারাপ । শহরের ফুটপাথ গুলো খুবই চওড়া তবে তেমন একটা পথচারি দেখা যায় না । ফুটপাতে চলাচল নিরাপদ নয় । যে কোন সময় বিপদের সম্মূখীন হতে পারেন । প্রাণও যেতে পারে । সকলে গণপরিবহন ব্যবহার করতে অভ্যস্ত । প্রিটোরিয়ায় সব দেশের দূতাবাস অবস্থিত । সাব্বির জানালেন বাংলাদেশ হাই কমিশনারের বাসভবনে এই পর্যন্ত তিনবার ডাকাতি হয়েছে । কম বেশী সব দেশের রাষ্ট্রদূত বা হাইকমিশনারের একই অভিজ্ঞতা । এই সব নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে তেমন একটা খবর হয় না । বাংলাদেশে কিছু একটা ঘটলেই যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা যে ভাবে পরের ফ্লাইটে ঢাকা যাত্রা করেন তেমনটি দক্ষিণ আফ্রিকা কেন অন্য কোন দেশের বেলায় দেখা যায় না ।
দক্ষিণ আফ্রিকার আইন শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে এমন শোচনীয় পরিস্থিতির কারণ তাদের দেশের কয়েক শত বছরের বর্ণবাদি শাসনব্যবস্থা আর ইউরোপীয়দের দ্বারা প্রাকৃতিক সম্পদের লাগামহীন লুটপাটের কারনে চরম অর্থনৈতিক বৈষম্য । এটি পুরো আফ্রিকার বেলায় সত্য । কিছুটা ব্যতিক্রম মিশর কারণ সেখানে এই লুটপাটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জেনারেল নাগিব ও জেনারেল নাসের মিশরকে বৃটিশদের শাসন হতে ১৯৫৩ সনে মুক্ত করে প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছিলেন । আফ্রিকায় পর্তুগাল, স্পেন, বেলজিয়াম, বৃটেন, ডাচ, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র (বহুজাতিক কোম্পানি গুলোর মাধ্যমে), ইতালি, ডেনমার্ক, সুইডেন সহ এমন কোন দেশ নেই যে এই বিশাল মহাদেশের সম্পদ লুটপাটের ভাগিদার ছিল না । বেলজিয়ামের রাজা দ্বিতীয় লিওপডভিল লুটপাটের সুবিধার্থে কঙ্গো ও তার আশেপাশের এলাকায় প্রায় এক কোটি কৃষ্ণাঙ্গদের হত্যা করে । তিনি দম্ভ কওে বলেছিলেন ইতিহাসে আমি এই জন্য স্মরণিয় হয়ে থাকতে চাই । আফ্রিকা হতে প্রায় তিনশত বছর ধরে ইউরোপীয় লুটেরারা মানব পাচার (কৃতদাস) হতে শুরু করে হীরা, স্বর্ণ, রাবার, তেল, কফি, কয়লা, হাঁতির দাঁত সহ এমন কোন জিনিষ নেই যে লাগামহীন লুটপাট করে নিজ দেশ সমৃদ্ধ করে নি । আফ্রিকার অনেক দেশে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় শোষন শাসন এমন পর্যায়ে ঠেকেছিল যে কৃষ্ণাঙ্গদের কোন ইংরেজি বা কোন ইউরোপিয় শব্দ উচ্চারণ ছিল নিষিদ্ধ । ধারণা করা হতো এই সব ভাষায় শুধু শ্বেতাঙ্গরা কথা বলতে পারবে, মানে এগুলি কুলিনদের ভাষা । আফ্রিকার অনেক দেশে একাধিক ভাষায় মানুষ কথা বলে । যেমন দক্ষিণ আফ্রিকায় এগারটি দাপ্তরিক ভাষা আছে । তারা আবার একটা সর্বজনীন ভাষা তৈরী করে নিয়েছে । নাম দিয়েছে আফ্রিকানা । দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অবসান ঘটানোর জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘ ২৭ বছর কারা বরণ করেন নেলসন ম্যান্ডেলা যার একটি সময় কেটে ছিল কেপটাউনের অদূরে রোবেন দ্বীপের নির্জন কারাগারে । তাঁকে গ্রেফতার করতে সব সময় সহায়তা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ । ম্যান্ডেলা মহাত্মা গান্ধীকে তাঁর রাজনৈতিক আদর্শ মনে করেতন । গান্ধী তাঁর প্রথম জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য সময় দক্ষিণ অফ্রিকায় কাটিয়েছেন । সেখানে তিনি বর্ণবাদের স্বীকার ভারতীয়দের আইনী সহায়তা দিতেন । আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১৯৯০ সালে ম্যান্ডেলা মুক্তি লাভ করেন । ১৯৯৩ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন এবং পরের বছর একটি অবাধ সুষ্ঠু সার্বজনীন নির্বাচনের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণাবাদের অবসান ঘটান । কিন্তু কয়েক শত বছরের বর্ণবাদি শাসন ও চরম বৈষম্যের স্বীকার কৃষ্ণাঙ্গদের সার্বিক অবস্থার উন্নতি করতে আরো অনেক সময় অপেক্ষা করতে হবে । বিমান বন্দর হতে হোটেলে পৌঁছাতে আধ ঘন্টার মতো সময় লাগলো । পথের দু’ধারে মাইলের পর মাইল কৃষাঙ্গদের মানবেতর জীবন যাপনের বস্তি । এই সব তাদের শত বছরের বঞ্চনার সরব স্বাক্ষী ।
শিক্ষা দীক্ষায় পিছিয়ে পরা কৃষ্ণাঙ্গরা মূলত নিম্ন বেতনের কাজেকর্মে নিয়োজিত । হোটেলে সব সাধারণ স্টাফ কৃষাঙ্গ কিন্তু তাদের সকল উর্দ্বতন কর্মকর্তা শ্বেতাঙ্গ । উচ্চ শিক্ষা সম্মেলনে দেশের উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী সহ অনেক বক্তাই স্বীকার করলেন কৃষ্ণাঙ্গদের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে সরকার নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে কিন্তু ফলাফল তেমন একটা আশাব্যাঞ্জক নয় । বেশীর ভাগ উঁচু বেতনের পেশাগত চাকুরী শ্বেতাঙ্গ সহ ভারতীয় ও অন্যান্য বিদেশীদের দখলে । সম্মেলনে বাংলাদেশের শিক্ষার উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে যখন বলি ষোল কোটি মানুষের দেশে শিক্ষিতের হার চল্লিশ বছরে ৪০ শতাংশ হতে ৭১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে তখন সকলে অবাক হয় । বলি বাংলাদেশে বত্রিশ লক্ষ শিক্ষার্থী দেশের একশত একত্রিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত তখন অনেকে চোখ কপালে তোলেন । আর যখন বলি বছরের প্রথম দিন ৩৭ কোটি বই স্কুলের বাচ্চাদের হাতে বিনামূল্যে পৌঁছে দেওয়া হয় তখন আমার দিকে অনেকেই চোখ বড় বড় করে তাকান। সব শেষে বলি যখন বাংলাদেশের মেয়েদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের কথা তখন সমাবেশস্থল করতালিতে মুখরিত হয়ে উঠে । ছোট্ট বাংলাদেশের এই সব সাফল্যের কথা উপস্থিত অনেকের কাছে একেবারে নূতন ।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় দু’লাখ বাঙালি আছেন । তাদের অবস্থা মোটামুটি ভাল । ভাল লাগালো শুনে তাদের কর্মদক্ষতায় সে দেশের মানুষ বেশ সন্তুষ্ট । তারা যে সকলে খুব উচ্চ শিক্ষিত তা নয় । তবে কর্মদক্ষতা আছে যার ফলে স্থানীয়দের কাছে তাদের বেশ কদর । তারা সকলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাব্বিরের চৌধুরীর বেশ ভক্ত মনে হলো । দক্ষিণ আফ্রিকা তেমন শিল্পোন্নত দেশ বলা যাবে না । তবে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর । সেবা খাত বেশ উন্নত । ভোগ্যপণ্যের একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দেশের বাহির হতে আসে । স্থানীয় বাঙালি প্রবাসীরা ও হাইকমিশনার জানালেন দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ব্যবসা করার বেশ ভাল সুযোগ আছে । সস্তায় শ্রম পাওয়া যায় । দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে বেশ অনেক গুলো যার উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের মালিক ভারতীয়রা । দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশ হতে বেশ দূরে হওয়াতে এখানকার মানুষ বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক ও উন্নয়নের চিত্র সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না । আমাদের হাই কমিশনের স্টাফ মাত্র ছয়জন । কিছু স্থানীয় স্টাফ আছে । আর্ন্তজাতিক সেমিনারটিতে না গেলে উপস্থিত আশিটি দেশের মানুষ বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রগতি সম্পর্কে তেমন একটা কিছু জানতো না । এখনো অনেক দেশ বাংলাদেশকে একটি সমস্যা সঙ্কুলিত দারিদ্র্য, অনাহার পীড়িত পশ্চাদপর দেশ হিসেবে চেনে কারণ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে আমরা আমাদের অর্জন গুলো তুলে ধরতে পারি না । আমাদের দেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া বাংলাদেশকে আফ্রিকার সিয়েরা লিয়ন, বর্কিনো ফাসো, আইভরি কোস্ট বা সোমালিয়ার সাথে তুলনা করতে পারলে বেশ সুখ অনুভব করে । তাদের চোখে দেশের নেতিবাচক বিষয় গুলো যত দ্রুত চোখে পরে ইতিবাচক বিষয়গুলো তত বেশী আড়ালে থাকে বা তারা রাখে । বিশ্বের অন্য কোন দেশ পাওয়া যাবে না যেখানে এমন দেশপ্রেম রহিত মিডিয়া পাওয়া যাবে । ৭ মে যেদিন দেশে ফিরি তখন আমার বর্তমান দায়িত্ব নেওয়ার একবছর পূর্তি হয়েছে । দেশ ছাড়ার আগে একজন অনুজ প্রতীম সাংবাদিক এই একবছরে আমার অর্জন কী তা জানতে চেয়েছিল । তাকে একবছরে আমার প্রতিষ্ঠানের যৎসামান্য অর্জনের একটি হিসাব দিয়েছিলাম । সেই সাক্ষাৎকার কখনো ছাপা হয় নি, কারণ সম্ভবত তার সম্পাদক বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠানের সফলতার কথা প্রচারে আগ্রহী নন তার বদলে একটি অন-লাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলো এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান ক’বার বিদেশ গিয়েছেন তার হিসাব । সেই অনুজপ্রতিম সাংবাদিকের ধারণা মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়মিত বিরতি দিয়ে প্রমোদ ভ্রমণে পিকনিক করতে বিদেশ যান । আসলে দেশে নির্বোধদের তালিকা দ্রুত দীর্ঘ হচ্ছে ।

লেখক: বিশ্লেষক ও গবেষক । মে ২৩, ২০১৬

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

 [......লেখক আর্কাইভ]