[প্রথমপাতা]

 

 

 

কমিউনিটির মুখোমুখি নায়করাজ রাজ্জাকঃ যতদিন বেঁচে থাকবো জহির রায়হান আমার মাঝে বেঁচে থাকবেন

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।।

২৩শে জানুয়ারি নায়করাজ রাজ্জাকের ৬৯তম জন্মদিন। এবার নায়ক রাজ্জাক মুখোমুখি হয়েছেন কমিউনিটির। তার সাক্ষাতকারটি গ্রহন করেছেন কমিউনিটির প্রতিনিধি তানিয়া সিনা।

কমিউনিটিঃ কেমন আছেন, কি করছেন?

রাজ্জাকঃ ভালো আছি। এখন তেমন কিছু করছিনা। নাতি-নাতনিদের সাথে গল্প করছি।

কমিউনিটিঃ এখন কি কাজ করছেন?

রাজ্জাকঃ নতুন করে বেশ ক'টি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এ ছাড়া কলকাতার দু'টি ছবিতে অভিনয় করার কথা আছে। আগামী মাসে কলকাতা যাচ্ছি।

কমিউনিটিঃ এখন যে সব ছবি তৈরি হচ্ছে তা আগের মত মানুষ কেন মনে রাখেনা?

রাজ্জাকঃ আগের দিনের ছবির কাহিনী, পরিচালক, নায়ক-নায়িকা, সবকিছু ছিল যত্ন নিয়ে করা। আমরা কত পরিশ্রম করে ছবি তৈরি করতাম। বছর দুই লাগত একটি ছবি করতে। এখন তিন মাসেই ছবি বানিয়ে ফেলে সুতরাং কি করে ভালো ছবি আশা করা যায়।

কমিউনিটিঃ কোটি টাকার ফকির পরিচালনার কথা কিছু বলুন।

রাজ্জাকঃ আমি এটা পরিচালনা করেছি। আমার পরিচালিত প্রথম ছবি যেখানে আমার দুই ছেলে আর আমি অভিনয় করেছি। গত সপ্তাহে মুক্তি পেল আমরা তিনজন অভিনীত 'মা আমার চোখের মনি' ছবিটি।

কমিউনিটিঃ 'জীবন থেকে নেয়া' ছবির শুটিংয়ের কথা জানতে চাই।

রাজ্জাকঃ পাকিস্তান আমলে ছবিটি নির্মিত হয়। জহির রায়হান খুব সাহসী মেধা সম্পন্ন কারিগর। ছবির শুটিং চলাকালে এফডিসির ৩ নং ফ্লোরে পাকিস্তানীরা এসে হানা দেয়। আমাকে এবং জহির রায়হানকে পাকিস্তানী ক্যাম্পে ধরে নিয়ে যায়। সে সময় তিনি পাকিস্তানীদেরকে বলেন, তোমাদের সেন্সর বোর্ড আছেনা? আগে দেখ কি তৈরি করছি।

তিনি কাউকে বুঝতে না দিয়ে একটি পাকিস্তান বিরোধী চলচ্চিত্র তৈরি করে ফেল্লেন।

কমিউনিটিঃ জহির রায়হান সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন?

রাজ্জাকঃ আমাকে তৈরি করেছেন তিনি। আমাদের সম্পর্ক ছিল গুরু-শিষ্যের। আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি তাকে। তার কোন চাহিদা ছিলনা। শুধু কাজকে প্রাধান্য দিতেন। এমন ক্ষনজন্মা সুপুরুষ যুগে যুগে আসেনা। যতদিন বেঁচে থাকবো জহির রায়হান আমার মাঝে বেঁচে থাকবেন।

কমিউনিটিঃ জীবন থেকে নেয়া ছবিতে কাজের কিছু অভিজ্ঞতা বলবেন কি?

রাজ্জাকঃ পাকিস্তান আমল চলছে। দেশে তখন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গন্ডগোল চলছিলো। সে সময় চ্যালেঞ্জ নিয়ে এ ছবির শুটিং করতে হয়েছিলো। জহির রায়হান শহীদ মিনারে পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে ছবির চিত্রায়ন করেন। আরো অনেক অভিজ্ঞতা আছে যা বলে শেষ করা যাবেনা। জীবন থেকে নেয়া ছবিটি আমার মুক্তিযুদ্ধের দলিল।

কমিউনিটিঃ প্রায় ৪০ বছর ধরে অভিনয়ের সাথে জড়িত আছেন। আমাদেরকে কিছু কি বলার আছে?

রাজ্জাকঃ তেমন কিছুই না। একটা কথা বলতে পারি, বয়স ৬৯ হলেও মনের দিক থেকে আমি তরুণ। তারুণ্যের শক্তি ছিল বলেই আমি একদিন শূন্য হাতে স্ত্রী আর শিশু বাপ্পাকে সংগে নিয়ে ঢাকায় এসেছিলাম, কাজ শুরু করেছিলাম, তারপর পরিশ্রম করে আজকে এতটা পথ পাড়ি দিয়েছি। আমি মনে করি সেই তারুণ্যের শক্তির জোরেই এ বয়সে চলচ্চিত্র নির্মান করছি। ভবিষ্যতে এভাবেই কাজ করে যাব। কারন চলচ্চিত্র ছাড়া অন্য কিছুই মনে আসেনা। তাই এতটুকুই বলতে পারি যে চলচ্চিত্রকে আজীবনের সংগী করে নিয়েই পথ চলতে চাই।

কমিউনিটিঃ কোন ছবিগুলোর কথা খুব করে মনে পড়ে?

রাজ্জাকঃ কাগজের নৌকা, আগুন নিয়ে খেলা, যোগ বিয়োগ, আবির্ভাব, জীবন থেকে নেয়া, রংবাজ -এসব ছবির কথা খুব মনে পড়ে।

কমিউনিটিঃ অভিনয় জীবনের স্মরণীয় ঘটনা কি?

রাজ্জাকঃ অভিনয় জীবনে চার'শর বেশি ছবিতে অভিনয় করেছি। স্মরণীয় ছবি আর ঘটনা তো অনেক, বলে শেষ করা যাবেনা। কয়েকটি ছবির প্রতি দুর্বলতা খানিকটা বেশি। প্রথম নায়ক হিসেবে ব্রেক পাই বেহুলা ছবিতে। এ ছবির একটি দৃশ্যে অভিনয় করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মরতে বসেছিলাম। 'জীবন থেকে নেয়া' ও ওরা এগারোজন' ছবিতে অভিনয় করতে পেরে আমি গর্ব অনুভব করি। নিজের পরিচালনায় প্রথম ছবি 'অনন্ত প্রেম' আমার স্মরণীয় একটি ছবি। একইভাবে 'জোকার' আর 'চাপাডাঙার বউ' আমার পছন্দের ছবি।

কমিউনিটিঃ আপনার ছেলে-মেয়ে কয়জন?

রাজ্জাকঃ ২ ছেলে, ১ মেয়ে। বাপ্পারাজ, সম্রাট ও ময়না।

কমিউনিটিঃ বাপ্পারাজ ও সম্রাট আপনার প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে?

রাজ্জাকঃ চলচ্চিত্রে এগিয়ে যেতে হলে যা যা দরকার বাপ্পা ও সম্রাটের মধ্যে তার সবই আছে। আমার সন্তান হিসেবে বাড়তি কোন সুযোগ তারা পাক তা আমি কখনো চাইনি। আমার হাত ধরে তাদের অভিষেক হয়েছে, এটুকুই যথেষ্ট। বাকীটুকু নির্ভর করছে তাদের উপর।

কমিউনিটিঃ আপনার জীবনে কার অনুপ্রেরণা বেশি কাজ করেছে বলে আপনি মনে করেন?

রাজ্জাকঃ আমার স্ত্রী রাজলক্ষীর। আমি বিশ্বাস করি জীবনের সব সৌভাগ্যের মূলে আছেন আমার স্ত্রী লক্ষী। ও যদি সংসার না সামলাতো তাহলে এত সুন্দর জীবন আমি পেতাম না। কত নায়িকার সাথে অভিনয় করেছি, সব সময় চিন্তামুক্ত হয়ে কাজ করেছি।

কমিউনিটিঃ আপনার জন্মস্থান কোথায়?

রাজ্জাকঃ কলকাতা। আমি ১৯৪২ সালের ২৩শে জানুয়ারি জন্মগ্রহন করি।

কমিউনিটিঃ কমিউনিটির পক্ষ থেকে আপনার জন্য জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

রাজ্জাকঃ সবাইকে আমার পক্ষ থেকে প্রাণঢালা ভালোবাসা।

 

 

>>কমিউনিটির মুখোমুখি চিত্রনায়িকা শাবনুরঃ বছরে দু'টির বেশি ছবি করবোনা

>>কমিউনিটির মুখোমুখি লাকি ইনামঃ মঞ্চ নাটক আর নাটক প্রশিক্ষন নিয়েই ব্যস্ত আছি

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তারিনঃ ঈদের নাটক

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে বিপ্লবঃ প্রমিথিউস এখন তার নতুন প্রজেক্ট ও মঞ্চে গান গাওয়া নিয়ে ব্যস্ত

>>ভারতীয় মিডিয়ার আগ্রাসনে বাংলাদেশে ক্ষতি হচ্ছে 

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে নায়ক সোহেল রানাঃ চলচ্চিত্র অঙ্গনের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে ভাবনা

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিনথিয়া: টাকার পেছনে ছুটছে নতুনরা

>>কমিউনিটির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোশারফ হোসেনঃ ভারত থেকে কয়লা আমদানি করে বিদ্যুত উৎপাদনের সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মিলাঃ বাবা চাননি আমি পেশাদার কণ্ঠ শিল্পী হই

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে পার্থ বড়ুয়াঃ সংগীত-অভিনয়কে কখনো আলাদা করে দেখিনি

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এটিএম শামসুজ্জামানঃ কপালে থাকলে ঠেকায় কে

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মোনালিসা: চলচ্চিত্র আমাকে দিয়ে হবে না

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি’র সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জয়া আহসানঃ
কিছুটা হাততালি হয়তো পাই

>>কমিউনিটির মুখোমুখিঃ অভিনয় মডেলিং ও নতুন সংসার নিয়ে প্রভা

>>কমিউনিটি স্কাইনেটজেপি নিউজের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকার সব কাজই যত্ন নিয়ে করি : চুমকী

>>কমিউনিটির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে চলচ্চিত্র নায়ক ফেরদৌসঃ আমাদের চলচ্চিত্রের কিছু প্রযোজক পরিচালক খুব স্বার্থপর

>>কমিউনিটির সাথে একান্ত সাক্ষাতকারে আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীঃ যে পতাকার জন্য লক্ষ মা-বোনরা ইজ্জত হারিয়েছেন, রাজাকারদের গাড়িতে সেই পতাকাই উঠেছিল

>>কমিউনিটিকে দেয়া সাক্ষাতকারে স্পিকারঃ দুর্যোগ থেকে হাওরবাসীকে বাঁচাতে আলাদা
হাওর মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে

>>কমিউনিটিকে অর্থমন্ত্রীঃ বিদ্যুৎ সংকটের কারনে বাংলাদেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না

>>১৯৪৮ থেকেই ভাষা আন্দোলনের সূচনাঃ বিশিষ্ট ভাষা সৈনিক রওশন আলম

>>প্রবাসীদের দেশের প্রতি গভীর টান চোখে পড়ার মতঃ বিশিষ্ট চিত্রনির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল

  

[প্রথমপাতা]