প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় নিজের জীবনকে নিয়তির উপর ছেড়ে দেবেন না


আবদুল মান্নান
 

 

হাঙ্গেরির পথে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানটি অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে সেই খবর এখন অনেকটা পুরানো । যারা যন্ত্র আর কলকব্জার সামান্য খবরা খবর রাখেন তাদের বুঝতে অসুবিধা হবে না যে বিমানটিতে যে কোন সময় আগুন ধরে যেতে পারতো এবং ঘটে যেতে পারতো একটি ভয়াবহ বিয়োগান্তক মর্মান্তিক দূর্ঘটনা যা ঘটার জন্য দেশে এবং দেশের বাইরে একটি মহল সেই পঁচাত্তর সাল হতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে । এই মহলটি দ্রুততম সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে পৃথিবী হতে সরিয়ে দিতে সদা তৎপর । এরা জানে শেখ হাসিনাই এই মুহূর্তে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বকারী সব চেয়ে বড় প্রতীক । পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা দেশে থাকলে বঙ্গবন্ধু যে নির্বংশ হয়ে যেতেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না । এটি আল্লাহর রহমত যে দেশের বাইরে থাকার কারণে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেই যাত্রায় বেঁচে গিয়েছিলেন । শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরও ইতোপূর্বে তাঁকে ঊনিশবার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে । ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারী চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে তাঁর জনসভা স্থলে যাওয়ার পথে তাঁকে বহনকারী ট্রাকের উপর পুলিশ আর বিডিআর নির্বিচারে গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ২৩ জন নিহত হয় । কর্মীরা নিজের জীবন দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সে দিন রক্ষা করেছিলেন । পরদিন সকালে তাঁর সাথে আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরীর বাসভবনে দেখা হলে তিনি আমার কাছে আগের দিনের ঘটনার বিস্তারিত তথ্য জানতে চান । অবাক হয়েছি যে তিনি নিজের কথা তেমন একটা চিন্তা না করে প্রথমে দলের কর্মীদের খোঁজ খবর নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন । সেখানে দলের বেশ ক’জন নেতা উপস্থিত থাকার কারণে তারা বিষয়টি সম্পর্কে আমার চাইতেও বিস্তারিত ব্যাখা দেন । এই ঘটনার পরদিন সারা চট্টগ্রামে কারফিউ অবস্থা বিরাজ করছিল । মুফতি হান্নান শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য কোটালি পাড়ায় শক্তিশালী বোমা পুঁতেছিলেন । ২০০৪ সনের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভেনিউস্থ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা সব চাইতে ভয়াবহ ছিল । সেবারও তাঁকে রক্ষা করার জন্য ২৪ জন দলীয় নেতা কর্মী জীবন দিয়েছিলেন । আহত হয়ে এখনো শরীরে স্পিøন্টার বহন করে চলছেন প্রায় তিনশত নেতা কর্মী । ঘটনা স্থলে নিহত হয়েছিলেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান । এই ঘটনার দু’দিন পর শেখ হাসিনার সাথে সূধা সদনে দেখা করতে গেলে তিনি তখনো অনেকটা আতঙ্কগ্রস্থ থাকলেও বার বার বলছিলেন ‘আমার জন্য এতজন মানুষ প্রাণ দিল?’ কোন একজন রাজনৈতিক নেতার জীবন বাঁচাতে জেনে শুনে নিজের জীবন দিতে পারে তেমন উদাহরণ বিশ্বের রাজনীতির ইতিহাসে খুঁজলে পাওয়া যাবে না । একটি বিষয় ইতিহাসের দায়বদ্ধতার স্বার্থে বলে রাখা ভাল, শেখ হাসিনাকে হত্যা করার এই তিনটি বড় ঘটনার সাথে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে বিএনপি ও তার কতিপয় নেতানেত্রী যে জড়িত তা এখন অনেকটা পরিষ্কার । চট্টগ্রামের ঘটনার সময় মেট্রেপলিটন পুলিশ কমিশনার ছিলেন মির্জা রকিবুল হুদা । কে এই রকিবুল হুদা ? ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তান সেনা বাহিনীর আর্টিলারী রেজিমেন্টের একজন মেজর ছিলেন । কর্মস্থল ছিল যশোর সেনানিবাস । একাত্তরে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যুদ্ধবন্দী হিসেবে পাকিস্তানে ফেরত গিয়েছিলেন । দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রচেষ্টায় অন্যান্য বাঙালি সেনা সদস্যদের সাথে তিনি দেশে ফিরে আসেন তবে সেনাবাহিনীতে তাকে আত্মিকরণ করা হয় নি তার অতীত কর্মের কারণে । জিয়া ক্ষমতা দখল করে এমন ঊনিশজন সেনা কর্মকর্তাকে পুলিশ বাহিনীতে আত্মিকরণ করেছিলেন যাদের মধ্যে পরবর্তিকালে দু’জন পুলিশের মহাপরিচালক ও বাকিরা অতিরিক্ত আইজি/ডিআইজি পদ অলংকৃত করেছেন । একজনকে বেগম জিয়ার আমলে নির্বাচন কমিশনের সদস্য হয়েছিলেন । ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে বেগম জিয়া মির্জা রকিকুল হুদাকে অতিরিক্ত আইজি পদে পদোন্নতি দিয়ে পুরষ্কৃত করেছিলেন । মুফতি হান্নান যে কোটালিপাড়ায় বোমা পুঁতেছিল সে তারেক জিয়ার হাওয়া ভবন ঘনিষ্ঠ ছিল । ২১ আগষ্টের গ্রেনেড হামলার সাথে যারাই জড়িত ছিলেন তারা সকলেই বিএনপি’র হয় শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিলেন অথবা তারা এই ঘটনা ঘটানোর আগে নিয়মিত হাওয়া ভবনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতেন । এই সব তথ্য কোন দল, গোষ্ঠী বা ব্যক্তিতে খাটো করার জন্য উল্লেখ করা হয়নি । করা হলো এই কারণে দেশে একধরণের বুদ্ধিজীবী আর সুশীল ব্যক্তি আছেন যারা মনে করেন দেশে কোন বড় ধরণের ঘটনা দূর্ঘটনা ঘটলে সরকারি দল বা তার হিতাকাক্সিক্ষরা এই সব ঘটনার জন্য অহেতুক বিএনপি বা তাদের মিত্রদের দায়ি করেন । ইতিহাস বলবে বিএনপি বা তার মিত্রদের দায়ি করার পিছনে অনেক যুক্তি আছে ।
কুড়িবার (সম্প্রতি বিমানের ঘটনা সহ) শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টার পরও তিনি যে এখনো বেঁচে আছেন হয়তো তাঁর হাত দিয়ে আল্লাহ কোন ভাল কাজ করাবেন বলে তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন । কিউবার নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রোকে হত্যার জন্য সিআইএ ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করেছে । ক্যাস্ট্রো ও কিউবার নিরাপত্তা বাহিনীর সতর্কতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টা সফল হয় নি । লিবিয় নেতা গাদ্দাফিকে হত্যা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বছরের পর বছর চেষ্টা করেছে । ব্যর্থ হয়ে দেশটাকেই শেষ পর্যন্ত দখল করে নিয়েছে । আফ্রিকার কঙ্গোর স্বাধীনতার মহানায়ক পেট্রিস লুবুম্বাকে যুক্তরাষ্ট্র (সিআইএ) ও কঙ্গোর যৌথ প্রচেষ্টায় ১৭ জানুয়ারী ১৯৬১ সালে হত্যা করা হয়েছিল । একই বছর যুক্তরাষ্ট্র ও বৃটেনের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রে নিহত হন জাতিসংঘের মহাসচিব ড্যাগ হামারশোল্ড । হামারশোল্ডকে বহনকারি বিমানে ভূমি থেকে গুলি করা হয়েছিল । ধারণা করা হয় এই হত্যাকান্ডের সাথে বৃটেনের সেনা গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ জড়িত ছিল । হামারশোল্ড আফ্রিকায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের সম্প্রসারণবাদ বিস্তারে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন । ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে সিআইএ বা এমআই-৬ হয়ত হত্যা করতে পরিকল্পনা করবে না তবে তিনি বিদেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা অথবা ভিতরের শত্রুদের হাত হতে কতটুকু নিরাপদ তা এই মুহূর্তে চিন্তা করার সময় এসেছে । বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পিছনে সিআইএ ও পাকিস্তানের আইএসআই’র প্রত্যক্ষ মদদ ছিল যা এখন প্রমাণিত । বর্তমান বিশ্বে একজন রাজনৈতিক নেতাকে কোন বিদেশী গোয়েন্দাদের পক্ষে হত্যা চেষ্টা করা সহজে সম্ভব নয় । তা করতে হলে প্রয়োজন কাছের মানুষকে তাদের বন্ধু বানানো । এই কাজটি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পূর্বে ঘাতকরা বেশ দক্ষতার সাথে করতে পেরেছিল । সেই কারণেই শত্রু বাইরে খোঁজার পূর্বে খুঁজতে হবে ঘরের ভিতর । সম্প্রতি শেখ হাসিনাকে বহনকারী হাঙ্গেরিগামী বিমানের নাট বল্টু ঢিলা হওয়ার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । তবে সেই তদন্ত কমিটি কতটুকু কার্যকর ভাবে কাজ করতে পারবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে । হয়তো দেখা যাবে সব শেষে কমিটি পুরো বিষযটি দৈবের উপর ছেড়ে দিয়েছে যদিও ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সহ অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন এই বল্টু ঢিলা হওয়ার পিছনে মানুষের হাত ছিল । বাংলাদেশ বিমানের বর্তমান যে নাজুক অবস্থা তেমনটি এর আগে কখনো ছিল না বলে মনে হয় । মোট ১০টি (বিমানের এক ইউনিয়ন নেতার মতে ১২টি) এয়ারক্রাফট আছে । এই ক’টি বিমানের জন্য কর্মকর্তা আছে চার হাজার । এর অর্থ হচ্ছে প্রতিটি বিমানের পিছনে ৩৩০ হতে ৪০০ জন কর্মকর্তা কর্মরত আছেন । এরা সকলে জনগণের অর্থে বেতন ভাতা পান । জনগণের অর্থের এত বিশাল পরিমাণের অপচয় অন্য কোন খাতে হয় বলে মনে হয় না । বিমানের মতো এত অথর্ব একটি বিমান সংস্থা অন্য কোন দেশে নেই, তা হলফ করে বলা যায় । তবে এই কথাটি বিমানে কর্মরত কেউ কখনো স্বীকার করবেন না । তারা সব সময় তাদের সার্বিক অযোগ্যতাকে নানা যুক্তি দিয়ে খ-ন করতে বেশ পারদর্শি । একটি পুরানো প্রবাদ আছে । ‘যদি থাকে জোর ঈমানে, চড়তে পারেন বিমানে ।’ এই প্রবাদটি বর্তমানের মতো আর কখনো সত্য ছিল না ।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি একটি ভিআইপি বিমান ছিল যা যাত্রার কমপক্ষে ৪৮ ঘন্টা আগে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয় । কোন ভিভিআইপি নিরাপত্তা সংস্থার কাছে বিমানের মতো একটি হাইটেক যন্ত্রের সব ধরণের নিরাপত্তা চেক করার মতো সক্ষমতা থাকার কথা নয় । বাংলাদেশেও নেই । তারা শুধু বিমানের ভিতরের ও বাইরের নিরাপত্তা দিতে পারেন যা তারা দেন বলে মনে হয় । একবার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবেও তা দেখেছি । কিন্তু ইঞ্জিন তথা অন্যান্য জটিল কারিগরি বিষয় সম্পর্কিত নিরাপত্তার জন্য বিমান সংস্থার উপরই নির্ভর করতে হয় । সুতরাং এই সবের দায়িত্বে যারা থাকেন তাদের উপর আস্থা প্রশ্নাতীত হতে হবে । এই ক্ষেত্রে তার ব্যতয় ঘটেছে বলে মনে হয় । সংবাদে প্রকাশ একজন পাইলটের নিরাপত্তা ক্লিয়ারেন্স নেওয়া হয়েছিল তদবিরের জোরে । এই সব বিষয় তদন্তে বের হয়ে আসলে ভাল । কেউ কেউ প্রস্তাব দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিমান সংগ্রহ করা হোক । প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করে দিয়ে যথার্থ কাজ করেছেন । বিমান ক্রয় বড় কথা নয় তার নিরাপত্তা বিধানই বড় কথা । পাস্তিানের সেনা শাসক জেনারেল জিয়াউল হককে যে বিমান উড়িয়ে আকাশে হত্যা করা হয়েছিল তা বিমানবাহিনীর বিমান ছিল । সর্ষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে তা হলে সমস্যা ।
প্রধানমন্ত্রীর একজন সফর সঙ্গী সাংবাদিক লিখেছেন ঐদিনের ঘটনার সময় প্রধানমন্ত্রী পুরো বিষয়টা অবহিত হওয়ার পর খুব স্বাভাবিক ছিলেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যারা কাছ থেকে চেনেন তারা এতে অবাক হবেন না । ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হতে বলতে পারি শেখ হাসিনা অনেক জাতীয় সংকটেও তাঁর ধৈর্য্য ও সাহস দিয়ে তা মোকাবেলা করেছেন । ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহ আর ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দেশের বিরুদ্ধে বেগম জিয়ার পেট্রোল বোমা যুদ্ধ শেখ হাসিনা একক ভাবে মোকাবেলা করেছেন বললে অত্যুক্তি হবে না । ২০১৪ সালের নির্বাচন নিয়ে দলের ভিতরও অনেকের দ্বিধা দ্বন্ধ ছিল । তেমন একটি প্রতিকূল অবস্থা মোকাবেলা করে তিনি নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সংবিধান সম্মুন্নত রেখেছেন । এটি মনে হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে কোন একটি জাতীয় সংকটের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর চারপার্শ্বে যে সব নেতা কর্মী থাকেন বা যে সব কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীকে জনবিচ্ছিন্ন করতে সর্বধা ব্যস্ত থাকেন তাদের অনেক কে সময় মতো পাওয়া যায় না । ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় মনে হয়েছে সত্যিকার অর্থেই শেখ হাসিনা একজন নিঃসঙ্গ শেরপার দায়িত্ব পালন করছেন । এমনটি হওয়ার প্রয়োজন ছিল না । তিনি তাঁর মৃত্যুকে নিয়তির উপর ছেড়ে দিয়েছেন যা তিনি সব সময় বলে থাকেন । তবে এটা মনে রাখতে হবে নিয়তির উপর হয়তো কারো কোন হাত নেই তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই । সংসদে বিরোধী দলীয় নেত্রী রওশন এরশাদের মতো বলবো না ‘আপনি আরো দুই শত বছর বাঁচুন’। কিন্তু এটাতো বলতে পারি নিজের জন্য নয় দেশের ষোল কোটি মানুষের জন্য শেখ হাসিনাকে আরো অনেক দিন বেঁচে থাকতে হবে । এই মুহূর্তে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই । তা দেশের জন্য হোক বা দলের জন্য । তাঁকে হত্যার জন্য চেষ্টা অব্যাহত থাকবে । তা মোকাবেলা করার জন্য চাই তাঁর চার পার্শ্বে বিশ্বস্ত নেতা কর্মী আর দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও প্রগতিশীল চিন্তা চেতনায় উদ্ভুদ্ধ সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলি ঘাতকরা আপনার কোন ক্ষতি করুক তা দেখার জন্য আপনার অসংখ্য নেতা কর্মী তাদের জীবন দেয় নি । বিজয়ের এই মাসে শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি ।

লেখক । বিশ্লেষক ও গবেষক । ডিসেম্বর ১১, ২০১৬

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ

 

 

 [......লেখক আর্কাইভ]