|
শিশুকে কিভাবে
সুস্থ রাখবেন
ডা. স্বপন কুমার
মন্ডল
সহকারী অধ্যাপক, শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ
(প্রতিটি শিশুর মা-বাবা অসুখ হলেই তাড়াতাড়ি ঔষধ খাওয়ানো শুরু করেন। শিশুদের
ক্ষেত্রে ঔষধের অপব্যবহার বেশি হয়। বাববার ডাক্তার পরিবর্তন, নিজে নিজে বা
ঔষধের দোকানদার এর পরামর্শ বেশি গ্রহন শিশুকে ঔষধ, বিশেষ করে,
এ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স বা বাধাগ্রস্থ করে ফেলে, ফলে একই ঔষধ ২য় বা ৩য়
বার সেবনে কাজ করে না।) |
ছোট বাচ্চাদের অসুখ লেগেই থাকে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনে তাদের দেহ-মন
পরিবর্তিত আবহাওয়াতে খাপ খাওয়াতে পারে না। ফলে সারা বছর কোন না কোন অসুখে
তারা ভুগে। গ্রামের বাচ্চাদের চেয়ে শহরের বাচ্চারা বেশি রোগে ভুগে।
প্রতিটি শিশুর মা-বাবা অসুখ হলেই তাড়াতাড়ি ঔষধ খাওয়ানো শুরু করেন। শিশুদের
ক্ষেত্রে ঔষধের অপব্যবহার বেশি হয়। বাববার ডাক্তার পরিবর্তন, নিজে নিজে বা
ঔষধের দোকানদার এর পরামর্শ বেশি গ্রহনÑ শিশুকে ঔষধ, বিশেষ করে,
এ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্স বা বাধাগ্রস্থ করে ফেলে, ফলে একই ঔষধ ২য় বা ৩য়
বার সেবনে কাজ করে না।
জ্বর হলে দুটি দিন দেখা উচিত, জ্বর নিজে নিজেই সারে কিনা। এর ফলে বাচ্চার
দেহে ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধের প্রতিষেধক তৈরী হয়। গ্রামে বা দরিদ্র
পরিবারের বাচ্চাদের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধের প্রতিষেধক দেহে বেশি থাকে,
ফলে জ্বর এমনিতেই সেরে যায়, রোগ বালাইও কম হয়।
বাচ্চারা ফল খেতে ভালবাসে। তাজা ও শুকনো ফল বাচ্চাদের নানান অসুখে বেশ কাজ
করে। তাজা ফলের মধ্যে কমলালেবু, আঙ্গুর, কলা, আপেল, পেয়ারা, ডালিম এবং শুকনো
ফলের মধ্যে বাদাম নিয়মিত খাওয়ালে বাচ্চা সুস্থ্য থাকে, রোগও কম হয়, জীবনী
শক্তিও বাড়ে।
যে সব শিশুরা মায়ের দুধ কম পায় বা একবারেই পায় না তারা বেশি দুর্বল থাকে।
এই শিশুদের নিয়মিত কমলালেবুর রস ও পাকা কলা খাওয়ালে স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়
এবং নানান অসুখ থেকে ভাল থাকে। তবে বেশি বেশি খাওয়ালে পেট খারাপ হতে পারে
বা পায়খানা শক্ত হতে পারে। শিশুর ওজন বাড়াতে গরু বা ছাগলের টাটকা দুধ
সামান্য গরম পানি ও কমলা লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ালে সর্দি-কাশি তথা নানান
অসুখ থেকে শিশুরা মুক্তি পায়।
বাংলাদেশের মায়েদের শতকরা প্রায় আশি জনের বুকে পর্যাপ্ত দুধ থাকে না। ফলে
শিশুর স্বাস্থ্যও খারাপ থাকে। কমলালেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন থাকায়
নিয়মিত শিশুর মাকে কমলালেবুর রস খাওয়াতে পারলে বুকের দুধ বাড়ে।
প্রতিদিন এক চামচ করে আঙ্গুরের রস খাওয়াতে পারলে শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য রোগ
ভাল হয়, শরীরে শুকনো ভাব, শুকনো কাশিও, অকারণে কান্না, ঘ্যানঘ্যানানি ভাবও
কমে। দাঁত ওঠার সময়ে এই রস দাঁতের বেশ উপকার করে।
যে সব শিশুদের তড়কা বা ফিট হবার মতো রোগ থাকে তাদের দিনে তিনবার আঙ্গুরের
রসের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়ালে তাড়াতাড়ি এই অসুখের হাত থেকে মুক্তি পাবে,
শিশুও হাসি-খুশি থাকবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, আঙ্গুরের রস বেশি খাওয়ালে
বাচ্চার পেট খারাপ হতে পারে।
স্কাভি ও চর্ম রোগে পাতি লেবুর রস, মধু ও কড লিভার অয়েল মিশিয়ে খাওয়ালে বেশ
উপকার হয়।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
|