- ডা. স্বপন কুমার মন্ডল -
শীতকালে গরম পানির
গোসল!
শীতকালে গরম পানি দিয়ে গোসল করাকে অনেকে জলচিকিৎসা বলে। তবে এটা ক্ষতির
কারণ হতে পারে যদি জল বেশি গরম হয়। সহনীয় পর্যায়ে আরামদায়ক উষ্ণতার
পানিতে গোসল করতে হবে। শীতকালে গরম পানির স্নানের সঠিক তথ্য জেনে নেই।
গর্ভবতী নারীদের ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট এর ওপরে গরম পানি দিয়ে গোসল করা
উচিত নয়। অনিদ্রায় যারা ভোগেন, তাদের জন্য অধিক উষ্ণতায় গোসল করলে
রাতের ঘুম আরো কমে যাবে। ডিহাইড্রেশনের সম্ভাবনা দেখা দিতে, তাই
পরিশ্রমের পর বেশি গরম পানি ব্যবহার করা উচিত নয়। আমরা শীতকালে সহনশীল
উষ্ণতার গরম পানি হাতে পায়ে মাথায় তথা সারা গায়ে ঢালি--এটা ভুল। গরম
পানি শুধু গায়ে ঢালতে হবে। হাতে, পায়ে আর মাথায় দিতে হবে ঠাণ্ডা পানি।
মাথা বা হাত বা পা অথবা তিনটিই গরম পানি থেকে দুরে রাখবেন। কারণ অধিক
তাপ সাধারণত দেহের ওই তিন অংশ দিয়ে বের হয়ে যায়।
অ্যাজমা প্রতিরোধে করণীয়
শীতকাল কারো জন্য পৌষমাস হলেও কারও কারও সর্বনাশের কারন হয়ে থাকে।
কারন শীতেই ঠান্ডাজনিত সমস্যা, বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা প্রকট
আকার ধারন করে। তাই জানা দরকার অ্যাজমা প্রতিরোধে করণীয় কি?
ঘরের ধুলা ময়্লা ঝেরে পরিষ্কার রাখতে হবে। কাপড় চোপড়,লেপ তোষক,
কাথা, কম্বল, বিছানার চাদর, বালিশের কভার নিয়মিত রোদে শুকাতে দিতে
হবে। সপ্তাহে কমপক্ষে একবার দরজা জানালার পর্দা, মশারী এগুলও নিয়মিত
রোদে শুকাতে দিন। কার্পেট, ম্যাট সরিয়ে ফেলই ভালো। সম্ভব হলে সপ্তাহে
একবার নিজের ঘর ভ্যাকিয়ুম ক্লিন করা উচিত। চাদর দিয়ে বালিশ ঢেকে রাখতে
হবে। বাইরে চলাচলের সময় ধূলা-বালি এড়ানোর জন্য মাস্ক ব্যবহার কর ভালো।
পর্যাপ্ত হালকা গরম পানি বা স্বাভাবিক পানি পান করা উচিত।: শুষ্ক
আবহাওয়ায় বাতাসে ধূলাবালির পরিমাণ বেড়ে যায়। ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস
হাঁপানি রোগীর শ্বাসনালিকে সরু করে দেয়, ফলে হাঁপানির টান বাড়ে। শীতে
ঠান্ডা আবহাওয়ায় হাপানীর প্রকোপ যেহেতু বাড়ে তাই রোগীদের গরম থাকার
পাশাপাশি ইনহেলার ও নেব্যুলাইজেসনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি থাকা দরকার।