|
||
|
জলবসন্ত টিকাই সমাধান
- ডা. স্বপন কুমার মন্ডল -
ঋতুপরিবর্তনে কোন না কোন রোগ আসবেই।সেই হিসাবে
বসন্তকালও নিয়ে আসে কিছু রোগবালাই। এর মধ্যে অন্যতম হলো জলবসন্ত বা
চিকেন পক্স। এই সময়েই এর প্রাদুর্ভাব যাবে বেড়ে। দীর্ঘদিন থেকে ধারনা
করা হত, জলবসন্তের কোন চিকিৎসা নেই। শুধু উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা দিতে
হয়। বর্তমানে নতুন নতুন অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ আবিষ্কারের ফলে আধুনিক
বিশ্বে এমনকি বাংলাদেশেও অনেক চিকিৎসক সাফল্যের সঙ্গে এই রোগের চিকিৎসা
করে আসছেন।
এই রোগের প্রাথমিক চিকিৎসা হলো, ফুসকুড়ি না শুকানো পর্যন্ত রোগিকে
আলাদা করে রাখা এবং উপসর্গ ভিত্তিক চিকিৎসা দেওয়া, যেমন জ্ব, চুলকানি,
ও ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের প্রতিরোধ করা। পাশাপাশি অ্যান্টিভাইরাল
এজেন্ট অ্যাসাইক্লোভির জাতীয় ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা যায়।জলবসরন্তর
কার্যকর টিকা রয়েছে। দামি হলেও এটি নিরাপদ। ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে
জলবসন্ত ভ্যাকসিন শিশুকে দেওয়া হয়। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত এক ডোজ, তার
বেশি বয়সে দুই মাস অন্তর পরপর দুই ডোজ ভ্যাকসিন। সংস্পর্শ ঘটার ৭২
ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে সুফল মেলে।
নিয়মিত ভিটামিন ই ওয়েল এবং এলোভেরা জেল (ঘৃতকুমারি) লাগাতে পারেন।
সিলিকন যুক্ত যে কোন ক্রীম দাগে লাগাতে পারেন। ওট এর পেস্ট (গরম পানিতে
ওট ভিজিয়ে রেখে ডলে নিন) লাগাতে পারেন। ডাবের পানি , মধুও দাগ
নির্মূলে সহায়তা করে।
প্রতিরোধঃ
প্রথম ডোজটি বাচ্চারাদেরকে ১২-১৮ মাসের মধ্যে দিন। ২য় ডোজটি ৫-৬ বছরে
দিতে হয়। কারো যদি টীকা দেওয়া না থাকে এবং চিকেন পক্স হয়, লক্ষন
প্রকাশের ৩ দিনের মধ্যে টীকা দিয়ে দিতে পারেন, রোগের প্রকোপ কমে যাবে।
কারো একবার জলবসন্ত হয়ে গেলে আর টীকার প্রয়োজন নেই।
সতর্কতাঃ গর্ভাবস্থার প্রথম ছয় মাসে জলবসন্ত বা চিকেন পক্স হলে গর্ভপাতের আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া বাচ্চার জন্মগত ত্রুটি ও দেখা দিতে পারে। তাছাড়া এই সময়ে ওষুধও খাওয়া যায় না। সুতরাং ডাক্তার এর নিবির তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত। বাচ্চাদের জলবসস্ত হলে কখনোই এসপিরিন খাওয়াবেন না। এটি থেকে অন্য একটি রোগ Reye's Syndrome এর উদ্ভব হতে পারে। এই রোগ থেকে শিশুর লিভার, ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।
ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. |
লেখকের আগের লেখাঃ
|