[প্রথমপাতা]

 

 

 

চিকিৎসায় নোবেল: যুগান্তকারী কিছু আবিষ্কার

  

ডা. স্বপন কুমার মন্ডল

 

 

দেহকোষে প্রোটিন এবং অন্যান্য সামগ্রীর চলাচলের গতিপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণায় অনবদ্য অবদানের জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানে ২০১৩ সালের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন আমেরিকার জেমস রথম্যান ও রেন্ডি শেকম্যান এবং জার্মান বংশোদ্ভুত গবেষক টমাস সিউডফ। স্টকহোমে নোবেল কমিটি জানিয়েছে, ‘বেসিকল ট্রাফিকে’ তাদের গবেষণার ফলে কোষের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে কোনো কিছু পরিবহণের বিষয়টা বুঝা সহজ হয়েছে। এবার চিকিৎসায় কয়েকজনের যুগান্তকারী কিছু আবিষ্কার এবং নোবেলপ্রাপ্তী নিয়ে কিছু আলোকপাত করা যাক।

ম্যালেরিয়া (১৯০২)
ভারতে জন্মগ্রহণকারী বৃটিশ গবেষক রোনাল্ড রস প্রথম বের করেছিলেন ম্যালেরিয়ার কারণ অ্যানোফিলিশ মশা৷ এই আবিষ্কারের কারণেই পরবর্তীতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ বের করা সম্ভব হয়েছিল৷ তারপরও অবশ্য প্রতি বছর প্রায় ৩০০ মিলিয়ন মানুষ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় তিন মিলিয়ন মারা যায়৷ ম্যালেরিয়া নিয়ে কাজের কারণে রোনাল্ড রস ১৯০২ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন৷

যক্ষা (১৯০৫)
যক্ষা নিয়ে গবেষণা করে ১৯০৫ সালে নোবেল জেতেন জার্মান বিজ্ঞানী রবার্ট কখ৷ সংক্রামক এই রোগটি এখনো বিশ্বে ভয়ংকর রূপ নিয়ে রয়েছে৷ যদিও এখন তার টিকা পাওয়া যাচ্ছে, যেটা অবশ্য শিশুদের জন্য কার্যকরী, বড়দের নয়৷

অঙ্গ প্রতিস্থাপন (১৯১২)
অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট ও ওপেন হার্ট সার্জারি – ফ্রান্সের বিজ্ঞানী অ্যালেক্সিস ক্যারেল প্রথম শুরু করেছেন। শরীরের কোনো অঙ্গ শরীর থেকে বের করে বাইরে রাখার উপায় তিনিই প্রথম বের করেছিলেন৷ তাই ১৯১২ সালে তিনি নোবেল প্রাইজ অর্জন করেন।

ইসিজি (১৯২৪)
ইসিজি ও ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম হৃদরোগের চিকিৎসায় অপরিহার্য এই প্রযুক্তিটি হাসপাতাল পর্যায়ে নিয়ে আসেন নেদারল্যান্ডসের ভিলেম আইন্টহোভেন। ১৯২৪ সালে তিনি নোবেল পান।

রক্তের গ্রুপ (১৯৩০)
রক্তের যে বিভিন্ন গ্রুপ রয়েছে সেটা প্রথম বের করেছিলেন অস্ট্রিয়ান কার্ল লান্ডস্টাইনার৷ তিনি এ, বি, ও গ্রুপের কথা জানিয়েছিলেন৷ পরবর্তীতে তার সহকর্মীরা এবি গ্রুপ আবিষ্কার করেন৷ ১৯৩০ সালে নোবেল পেয়েছিলেন লান্ডস্টাইনার৷

অ্যান্টিবায়োটিক (১৯৩৯, ১৯৪৫, ১৯৫২:)
এই তিন বছর চিকিৎসাবিদ্যার নোবেল যায় অ্যান্টিবায়োটির আবিষ্কারকদের হাতে। এর মধ্যে ১৯৪৫ সালে পেনিসিলিনের জন্য নোবেল পান আলেকজান্ডার ফ্লেমিং৷

সিটি স্ক্যান (১৯৭৯)
সিটি স্ক্যানের জন্য ১৯৭৯ সালে বৃটিশ বিজ্ঞানী গডফ্রে হুনসফিল্ড নোবেল পেয়েছেন৷

এমআরআই (২০০৩)
এমআরআই প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে মার্কিন দুই বিজ্ঞানী পল লটারবুর ও পিটার ম্যানসফিল্ড ২০০৩ সালে নোবেল পেয়েছেন৷

গর্ভাশয়ের ক্যানসার (২০০৮)
জার্মান বিজ্ঞানী হারাল্ড সুয়র হাউজেন বলেছেন হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস (এইচপিভি)-এর কারণে গর্ভাশয়ের ক্যানসার হতে পারে৷ এর উপর ভিত্তি করে টিকাও আবিষ্কৃত হয়েছে৷ ২০০৮ সালে হাইজেন নোবেল পান৷

সূত্র: ওয়েবসাইট।

 

 

 

ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ