ডক্টর কালী প্রদীপের স্বপ্নের 'আইকনিক
টাওয়ার' আকাশচুম্বী উচ্চতায় বাংলাদেশ
কাজী ইনসানুল হক
ঢাকায় নির্মিত হচ্ছে দক্ষিন এশিয়ার সর্বোচ্চ টাওয়ার। ৭৩৪ মিটার উচ্চতা, ১৪২
তলা 'আইকনিক টাওয়ার'(Mega Tall Skyscraper) ঢাকার পূর্বাচলের ১৯
নম্বরসেক্টরের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট অঞ্চলের ৬০ একর জমি ইতিমধ্যে
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বরাদ্ধ করেছে, নকশা চূড়ান্ত হয়েছে। নকশা-তে
বাংলাদেশকে খুঁজে পাওয়া যাবে।
সুউচ্চ টাওয়ারটিকে ঘিড়ে কনভেনসন সেন্টার, স্পোর্টস কমপ্লেক্স সহ আরও কিছু
স্থাপনা থাকবে। টাওয়ার নির্মাণ সমাপ্ত হলে দুদিক থেকে ৭১ লেখা ফুটে উঠবে।
সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বে(পিপিপি) দুই হাজার ফুটের বেশী উচ্চতার দক্ষিন
এশিয়ার সর্বোচ্চ টাওয়ারের নির্মাণ ব্যায় চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ত্রিশ
হাজার কোটি টাকা ধরা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক কেপিসি গ্রুপ এই
প্রস্তাবিত আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ করবে।
সিলেটের গোপালগঞ্জ উপজেলার দত্তরাইল গ্রামের ছেলে, আমেরিকা প্রবাসী চিকিৎসক
কালী প্রদীপ চৌধুরী মেধা, পরিশ্রম আর নিজ যোগ্যতায় বিশ্বখ্যাত কেপিসি
গ্রুপ গড়ে তুলেছেন। বিশ্বের বহু দেশে কেপিসি গ্রুপ অনেক বড় বড় স্থাপনা
নির্মাণ করেছে।
ডক্টর কালী প্রদীপ
চৌধুরী বিশ্ব বরেণ্য অর্থোপ্যাডিক চিকিৎসক। চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু
করলেও পরবর্তীতে ব্যাবসা সম্প্রসারন করেন। তিনি এখন বিশ্বের সেরা ধর্নাঢ্য
ব্যাক্তিদের একজন। বিশ্বের নানা দেশে ২৫ রকমের ব্যাবসা। ভারতে ১৬ টি চা
বাগান। ৫০০০ একরের চা বাগানও আছে। ইউক্রেনে আছে বিশাল নিউক্লিয়ার পাওয়ার
প্লান্ট। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতে ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট বিশ্ব মানের ২৬ টি
হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ। সেখানে ৫০০০ চিকিৎসক ও ১৩ হাজার নার্স ও
স্বাস্থ্য সেবীরা কাজ করেন। আমেরিকায় ৭০০০, একর জমির মালিকানা তার। কেপিসি
গ্রুপের ৩০ লাখ বর্গফুটের বিশাল বানিজ্যিক ভবনকেপিসি সামিট। লসএঞ্জেলসের যে
বাড়ীতে বাস করেন তা সাড়ে তিন বর্গ কিলোমিটার ব্যাপী রাজপ্রাসাদ। আমেরিকার
সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্টরা তার ডিনার। ও গল্ফ মেট।
বাংলাদেশে নিজ গ্রামে তিনি তিনটি কলেজ করেছেন। ইচ্ছে আছে পৈতৃক সম্পত্তি ৩৫
একর জমিতে আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজকরার। ২০১৭ সালে
আইকনিক টাওয়ার নির্মান শুরুকরে ২০১৯ এ নির্মাণ শেষে মেডিকেল কলেজ নির্মাণ
শুরু করবেন।
নিউ ইয়র্কেরমুক্ত ধারার বিশ্বজিৎ রায়েরসাথে আগেইকথা হয়েছিল ৪ সেপ্টেম্বর
দেখাহবে ওয়াশিংটন ডিসির ফোবানা সম্মেলনে। গত কাল সন্ধ্যায় সাউথ ক্যারোলিনা
থেকে সন্ধায় রওনা দিয়ে গভীর রাতে ভার্জিনায়ায় ডিকো-শান্তাদের বাসায় পৌঁছেছি
। সবাই দেরী করে উঠবে কিন্তুআমার তো বেরুতে হবে। গাড়ী চালাবে কে? ভাগনেইকোকে
রাজী করালাম। শাড়ী, সালোয়ার, বই আছে, বাংলাদেশ থেকে একঝাক শিল্পী এসেছে বলে
দুইভাগনীকে নানান লোভ দেখিয়ে সঙ্গে নিয়ে চলে এলাম আলিংটনে শেরাটন পেন্টাগন
সিটি হোটেলে। এখানেই শুরু হয়েছে তিন দিন ব্যাপী ফোবানার জমজমাট আয়োজন।
বিশ্বজিৎ দা ফোবানার চেয়ারম্যান নাভিদ চৌধুরী সহ অনেকের সাথে পরিচয় করিয়ে
দিলেন। দেখা হলো সাংবাদিক আকবর হায়দার কিরন, নেহার সিদ্দিকীরসাথে। ওনারা
নিয়ে গেলেন ভয়েস অব আমেরিকার বাংলা বিভাগের সবার কাছে। একসময় ঢাকা
বেতারেটুক টাক কাজ করেছি, রোকেয়া হায়দার, সরকার কবীর শুরু করলেন পুরোনো
স্মৃতিচারণ। লাসভেগাসে থিতু হয়েছেন হাউজিং ব্যাবসায়ী বেলায়েত ভাই, তিনি
কালীপ্রদীপ চৌধুরীর সাথে দেখা করার সমন্ময় করবেন তাই অপেক্ষা করছি। শুনলাম
ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাবিভাগও ওনার সাক্ষাৎকার নিতেই অপেক্ষা করছেন।
নিশিচন্ত হলাম, দেখা হবে, কথা হবে।
যথাসময়ে ডক্টর কালী প্রদীপ চৌধুরী এলেন, একেবারে সাদামাটা, সরল হাঁসি দিয়ে
সবার সাথে করমর্দন করলেন। একজন মাত্র সহকারী, সিকিউরিটি হতে পারে। বেলায়েত
ভাই আমার পরিচয় দিতেই এগিয়ে এসেহাতটা ধরে ফেললেন...জাপান থেকে এসেছেন!
খুবইপরিস্কার শহর টোকিও, কিয়োতো......পাসের চেয়ারে বসতে বললেন। আমার ভাগিনী
দুজনকে পরিচয় করিয়ে দিলাম। ওদের সাথে কথা বললেন। ইতিমধ্যে VOAক্যামেরা নিয়ে
ব্যাস্ত। একটা শট দেন এসে আমার পাশে বসেন, আমিও টুকটাক জানতে চাই।
যা জানলাম...দেশে কিছু করতে চাই তাই আইকনিক টাওয়ার করার ইচ্ছে। চেষ্টা করতে
যেয়ে আমলাতান্ত্রিক হয়রানী হয়েছে। বহুবার দেশে গেছি, ফিরে এসেছি। তবে
জাতিসংঘের স্থায়ী প্রতিনিধি(তৎকালীন) ডঃমোমেন, অর্থ মন্ত্রী ও
প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর আমি আশাবাদী, আশা করছি আমার স্বপ্নের
টাওয়ার বাংলাদেশে নির্মিত হবে। আরও বললেন, সিলেটে আমার গ্রামে, আমাদের
পৈত্রিক জমির উপর একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করার ইচ্ছে।
বিশ্বের সেরা ধনীর একজন, দানবীর ও প্রচন্ড মেধাবী ডক্টর কালী প্রদীপ
চৌধুরীর সহজ বিনয়, আন্তরিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তাকে সালাম। ডক্টর চৌধুরীর
স্বদেশের প্রতি দায়বদ্ধতার উপহার তার স্বপ্নের "আইকনিক টাওয়ার" ঢাকার
পূর্বাচলের নতুন ঠিকানায় সদম্ভে দাড়িয়ে জানান দিক ..এই যে আমি এখানে...বহির্বিশ্ব
খুঁজে পাবে নতুন মাত্রার বাংলাদেশকে।
kaziensan@gmail.com
|