[প্রথমপাতা]

 

 

 

অনুকাব্যের স্রোতধারায় গা ভাসানো মন
 

মোমিন মেহেদী

 


অনুকাব্য মানেই মনের কথা স্বল্পভাষায় প্রকাশিত একটি অনন্য কাব্যজ ধারা৷ আর এই ধারার উত্‍স মূলত চযর্াপদ৷ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ইতিহাসকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা হয়৷ প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০খ্রিস্টাব্দ), মধ্যযুগ (১৩৫০-১৮০০খ্রিস্টাব্দ) ও আধুনিক যুগ (১৮০০খ্রিস্টাব্দ-বর্তমানকাল)৷ এ-তিন যুগের সাহিত্যই অনুকাব্য এসেছে ঘুরে ফিরে বারবার৷ তবু বিষয় বস্তুতে, রচনারীতিতে এ-তিন যুগের অনুকাব্যই কাছাকাছি ছিল৷ আমরা একটু পেছনে ফিরে গেলে দেখবো প্রাচীন যুগ (৯৫০-১২০০খ্রিস্টাব্দ): চর্যাপদ, জয়দব ও মুকুন্দদাস লিখেছেন অসংখ্য অনুকাব্য৷ সেই অনুকাব্য উচ্চারিত হয়েছে মানুষের মুখে মুখে৷ পথে - প্রানত্মরে মানুষ মনের সুখে করেছে উচ্চারণ৷ চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রাচীনতম সাহিত্য নিদর্শন৷ আর্যভাষারও প্রাচীনতম রচনা এটি৷ খ্রিস্টীয় দশম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে রচিত এই গীতিপদাবলির রচয়িতারা ছিলেন সহজিয়া বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্যগণ৷ ঐ ধর্মের গূহ্যার্থ সংকেতে ব্যাখ্যার উদ্দেশ্যেই রচিত হয় এই পদগুলি৷ স্বল্প পরিসর, কিন্তু বিষয় বিসত্মৃত৷ ১৯১৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে চর্যার একটি খণ্ডিত পুথি উদ্ধার করেন ও আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ভাষাতাত্তি্বক বিশ্লেষণের মাধ্যমে চর্যাপদের উপর বাংলা ভাষার দাবি বৈজ্ঞানিক যুক্তিসহ সুপ্রতিষ্ঠিত করেন৷ চর্যাপদের প্রধান কবিগণ হলেন লুইপাদ, কাহ্নপাদ, ভুসুকুপাদ, শবরপাদ প্রমুখ৷ সমকালীন বাংলা সাহিত্যে অনুকাব্য নামক স্বল্প পরিসরকে অনেকেই দাবী করছেন নিজের আবিস্কার বলে৷ এটা আসলে কেবলমাত্র জানার-ই অভাবের জন্য নয়, বোধেরও অভাবের কারনে হয়েছে বলে মনত্মব্য করেছেন আমাদের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল কবি আসাদ চৌধুরী৷ শুধূ চযর্াপদই নয় অনুকাব্য নির্মিত হয়েছে কবি শেখ সাদী, জালাল উদ্দিন রম্নমী, চন্ডিদাস প্রমুখের মেধার কারখানাতেও৷ আমাদের বাংলা সাহিত্যের দিকে দৃষ্টি ফেরালে দেখা যাবে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও অনুকাব্য লিখেছেন৷ তবে তিনি সেই কাব্যকে অনুকাব্য বলে দাবী করেননি৷ বর্তমানে বাংলা সাহিত্যে যাদের আর কোন পথই খোলা নেই নিজেকে পরিচয় করানোর তাদের কেউ কেউ দাবী করছেন অনুকাব্যের জনক, স্থপতি ইত্যাদি ইত্যাদি৷ মহামহোপাধ্যায় বিধুশেখর শাস্ত্রী ১৯২৮ সালে চর্যার প্রথম পদের সংস্কৃত টীকাটি 'শ্রীলূয়ীচরণাদি সিদ্ধরচিতেই প্যাশ্চর্যচর্যাচয়ে৷ সদ্বতর্্মাবগমায় নিমর্্মল গিরাং টীকাং বিধাস্যে স্ফুটনম৷' উদ্ধৃত করেন৷ সেখানে তিনি বলেন শ্লোকাংশের 'আশ্চর্যচর্যাচয়' কথাটিকে গ্রন্থনাম হিসাবে গ্রহণ করার হোক৷ বাংলা সাহিত্যে চযর্াপদ মানেই আদি ইতিহাস৷ এই ইতিহাসকে ছাপিয়ে আর যাই হোক নিজেদেরকে অনুকাব্য, মহাকাব্য, বা ছড়াকাব্যেও জনক দাবী করার কোন সুযোগ অনত্মত বাংলা সাহিত্যে কারো হবে না৷ যদি কারো খুবই জনক হতে ইচ্ছে করে তাহলে অন্যকোন ভাষায় সাহিত্য চচর্া বা অনুকাব্য চচর্া করে দেখতে পারেন৷ তবে বাংলা সাহিত্যের এই বণ্যর্াঢ্য আকাশে যারা নতুনভাবে নতুনরম্নপে অনুকাব্যের পাল তুলেছেন তাদেরকে হতাশার অন্ধকারে থাকতে হবে তাও নয়৷ ২০০০ সাল থেকে দৈনিক প্রথম আলোর ফান ম্যাগাজিন আলপিন, দৈনিক যুগানত্মরের বিচ্ছুসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার পাঠকদের বিভাগ ও ফান বিভাগে হাস্যরসের ছলে অনুকাব্য নামে স্বল্প পরিসরের ছড়া-পদ্য লেখা শুরম্ন করেন বেশ কিছু তরম্নন ছড়াকার ও কবি৷ আমাদের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বলে, তারও ৭ বছর আগে ১৯৯৩ সালে বেশ কিছু প্রেম, স্বাধীনতা আর সম-সাময়িক রাজনৈতিক চপেটাঘাত সম্মৃদ্ধ অনুকাব্য নিয়ে প্রকাশিত হয় 'চম্বুক' নামক একটি গ্রন্থ৷ সেই সময়ে সমকালিন অনেক কবি ছড়াকারই গ্রন্থটি নিয়ে আশার আলো জ্বেলেছিলেন পরম চেতনায়৷ চম্বুক আকর্ষনের এই অনুকাব্যকার জগলুল হায়দার৷ বয়সের দোলনায় দুলতে দুলতে চম্বুক আজ পার করেছে ১৮ বছর৷ সেই সুবাদে বলা যায়, ২০০০ সালে এসে যারা অনুকাব্য লেখা শুরম্ন করেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দাবী-দাওয়া নিয়ে ছুটোছুটি করছেন যে, অনুকাব্যের জনক৷ অনুকাব্যকার জগলুল হায়দার মূলত ছড়াকার৷ শিকড়ে গেঁথে আছে ছড়া৷ আর তাই ১৯৯৩ সালের পর ২০০০ সালে নতুনভাবে লেখালেখিতে আসেন৷ একদিকে লিখতে থাকে জগলুল হায়দার, অন্যদিকে অনুকাব্যকার ওবায়দুল গনি চন্দন, আনজির লিটন, রনদীপম বসু মুন্না, দনত্ম্যস রওশন,সুমনত্ম আসলাম, পলাশ মাহবুব, আশীষ এনত্মাজ রবী, মুকুল শাহরিয়ার, তানভির আলাদিন, মোমিন মেহেদী, ইশতিয়াক আহমেদ, নাজমুল হুদা রানা, আনজুমান আরা রিমা, নীহার মোশারফ, গোলাম নবী পান্না, ইকবাল খন্দকার, রণক ইকরাম প্রমুখ লিখতে থাকেন৷ দু'হাত খুলে অনুকাব্যর নিজস্ব সংসার গড়ে লিখতে থাকে বাংলাদেশ৷ সেই সময় ভোরের কাগজ পাঠক ফোরাম, আজকের কাগজ পাঠক ইউনিট, স্বজন স্বমাবেশসহ বিভিন্ন সাহিত্য পাতায়ও অনুকাব্যের মেলা বসতে দেখা গেছে৷ এই ইতিহাস বেশিদূর নয় ওই সময়ের পত্রিকার পাতায় এখনো ফুল হয়ে ফুটে আছে৷ এই ফুল অনুকাব্যের ভালোবাসার ফুল৷ যেই ভালোবাসার বাসর সাজাতে ব্যাকুল অনুকাব্যকারেরা, সেই বাসরে আনন্দ চাই৷ আর তাই স্বঘোষিত নয়, জনগন ঘোষিত বর্তমান চাই৷ যেখানে নতুন আলোয় আলোকিত হয়ে ওঠা অনুকাব্যর আকাশে জ্বলজ্বলে তারকা হতে পারেন সবাই৷ যে ক'জন অবদান রেখেছেন তাদের সবাই-ই অনুকাব্যের তারকা; তবে ঔজ্জল্যের দিক থেকে চাঁদ-ই সুন্দর৷ যেহেতু চাঁদ কাছে থাকে সবসময়৷ সেই সূত্রে ছড়াকার-ই বলি আর অনুকাব্যকার; দুটোতেই সমান অবদান রেখেছেন ২০০০ সাল থেকে জগলুল হায়দার৷ আমাদের এই অনুকাব্যের সংসারে এতসময় ধরে কেবলমাত্র ভাত রান্নাই হলো৷ এবার একটু সালুনে চলে যাই৷ অনুকাব্যের এই আকাশকে উজ্জলতর করতে যাদের সরাসরি অবদান ছিল অনস্বিকার্য তাদের মধ্যে কবি আবু হাসান শাহরিয়ার, প্রয়াত শ্রদ্ধাজন সঞ্জিব চৌধুরী, আশরাফুল আলম পিনটু, আনিসুল হক, আফজাল হোসেন প্রমুখ উলেস্নখযোগ্য৷ কেননা, পত্রিকার পাতায় অনুকাব্যের ঠাঁই বিষয়ক দায়িত্বটি কোন না কোনভাবে পালন করেছেন এই মুষ্টিমেয় কয়েকজন৷ চযর্াপদ বা অন্যকোথাও অনুকাব্য লাইন আবদ্ধ না হলেও একটা সময় এসে দেখা যায় অনুকাব্য মানেই চার লাইনের কবিতা৷ কেউ কেউ অবশ্য এই সব নিয়ম না মেনে নিজের মত লিখেছেন অনুকাব্য৷ ছড়াকার জগলুল হায়দারের 'চম্বুক' থেকে কয়েকটি অনুকাব্য তুলে ধরছি৷ তিনি 'লাভার' নামক অনুকাব্যতে লিখেছেন, 'কে কার লাভার/ সময় আছে ভাবার!' ১৯৯৩ সালে প্রেমের প্রতি, ভালোবাসার প্রতি প্রচন্ড আবেগ থেকে তিনি যে প্রশ্ন তুলে ধরেছেন তার বইতে, তারই উত্তর খুঁজতে পাঠক যখন ছুটছিল, তখন ২০০০ সাল৷ এই সময়ে এসে দনত্মস্য রওশন পত্রিকার পাতায় উত্তরের ঝাঁপি মেলে ধরলেন 'আগুন লেগেছে / আগারগাঁয়/ জল ঢাল কেন/ আমার গায়' বা ছেলেটা বাদাম ছিলিত/ মেয়েটা বাদাম গিলিত/ বাদাম হইলো শেষ/ মেয়েটা নিরুদ্দেশ' এমন স্বল্প শব্দের ছড়া-পদ্য ব্যাপক তরম্ননপ্রিয়তা লাভ করে৷ তরম্নণপ্রিয়তা এজন্য বলস্নাম যে, অনুকাব্য লেখাই হয়েছে তরম্নণ প্রজন্মকে সাহিত্যের ঘরে আসা-যাওয়ার ধারা অব্যহত রাখার জন্য৷ যার সূত্র ধরে উচ্চারিত হতে থাকে তরম্ননদের মুখে মুখে ,অনুকাব্যের শুরুটা এমনই৷ প্রথম আলোর ফান ম্যাগাজিন আলপিনে এবং বর্তমানে রস+আলো তে নিয়মিত ভাবে ছাপা হয় দন্তস্য রওশনের চার লাইেনের কবিতা ৷ অনুকাব্যে থাকে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ হাস্যরস আর প্রেম৷ দন্তস্য রওশন মূলত ঠাট্টা-কৌতুক করে চার লাইনে বক্তব্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন৷ মানের দিক বিবেচনা করলে হয়তো তা আর কিছুতেই টিকবে না ইতিহাসের সামনে৷ তারপরও সমসাময়িক উলস্নাস ধরে রাখার চেষ্টাকে সাধুবাদ জানাতেই হবে৷ সময়ের স্রোতে অনেক তুখোর অনুকাব্যকারই হারিয়ে গেছেন৷ দীর্ঘ ৩ বছরে পত্রিকার পাতায় অনুকাব্য চোখে পড়েছে নতুন ধারার আদি অনুকাব্যকার ছড়াকার জগলুল হায়দার আর দনত্ম্যস রওশনকেই৷ অন্যরা জীবনজীবিকার উটের পিঠে এমনভাবে চেপে বসেছেন যে, তাদের অনুকাব্যের দেখাই পাওয়া যায়নি কোথাও৷ এই তালিকায় পলাশ মাহাবুব রয়েছেন সবার আগে৷ তিনি এখন বৈদ্যুতিক প্রচার মাধ্যমে এতটাই ব্যাসত্ম যে, অনুকাব্য তার ভেতরে-বাহিরে আসা-যাওয়া করলেও ধরতে পারছেন না কলম-খাতায়৷ পাশাপাশি অন্যরাও ব্যসত্ম হয়ে আছেন জীবনের যুদ্ধে৷ তবে টিকে আছেন এখনো সেই শুরম্নর রাজসীক মুখ দুটো৷ অনুকাব্যের শুরুটা ফান করে৷ তবে একটা সময় ঠাঁই করে নেয় পাঠকের মুখে৷ অনেক পাঠকের মতে পছন্দের চকলেট খেতে যেমন লাগে ঠিক তেমন লাগে অনুকাব্য৷ তার মানে কিন্তু পরিস্কার যে, পাঠক এই বিষয়টিকে জীবনের অংশ মনে করে না, মনে করে মজারম্ন ৷ যাই হোক তারপরও একটা জায়গা অনত্মত দখল করেছে এই অনুকাব্য, তা-ও বা কম কিসের৷ অনুকাব্য নিয়ে সাধারন মানুষ বলেছেন নানান কথা৷ অল্প কয়েকটা শব্দ,অল্প কয়েকটা লাইনে এমন ভাবে সাজিয়ে ফেলা হয়, তার ভেতর কৌতুক,ব্যাঙ্গ,তিরস্কার, ভালবাসা, হতাশা কিংবা নিছক পাগলামো কে এম ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে, বুঝতে কারো এতটুকু সমস্যা হয় না৷ তবে এই সহজ কাজটা খুব একটা সহজ না৷ ঠাট্টার ছলে আমাদের সময় টাকে দেখিয়ে দেয়ার এই মাধ্যমটি আমাদেরকে সচেতন করবে সেইভাবে যেভাবে সচেতন করেছেন যুগে যুগে, শতাব্দীতে শতাব্দীতে কবি সাহিত্যিকগণ৷ ভালবাসা হয়না বাসি শিরোনামের অনুকাব্যে রওশন লিখেছেন, 'ছেলে মশগুল/খেলছে দাবা/ওল্ডহোমে যায়/বৃদ্ধ বাবা৷' ভালোবাসার এই তুমুল উচ্চারণ দেখে মনে পড়ছে জগলুল হায়দারের অনুকাব্যের কথা৷ তিনি লিখেছেন,' শূণ্য বুকে লাখো জ্বালা/ দেহের শরীর জ্বলে/ ভালোবাসা বিষাদ ভিশন/ ভাত ছাড়া কি চলে?' ভাত ভালোবাসা শীর্ষক এই অনুকাব্যের দৌড়ই প্রমান করে পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে৷ ভালোবাসাকে উদাহরণ দিতে তিনি ছুটে গেছেন তৃণমূল মানুষের মনের কাছাকাছি৷ এই হলো স্বার্থকতা৷ আজ থেকে হয়তো আরো যুগ যুগ পরেও মানুষ মনে রাখবে অমর অনুকাব্যখনি৷ যেই খনির মূলধারা চলছে চম্বুকের আকর্ষণে৷ সময়কে ধরে রাখার চেষ্টামগ্ন মানুষ হিসেবে ব্যাপক সমাদৃত পলাশ মাহবুব৷ তিনি তার মত করে অনুকাব্যকে নামকরন করেছিলেন প্রেমাণুকাব্য৷ এই প্রেমানুকাব্যে পলাশ মাহবুব লিখেছেন, 'বলতে চাই সবিনয়ে/ মেয়ে পটু অভিনয়ে৷' শুধু একটি দু'টি নয় অসংখ্য প্রেমানুকাব্যের জনক পলাশ মাহবুব যে হারে লিখেছেন সে হারে তার পরিচিতিও নির্মিত হয়েছে৷ পরিচয়ের সূত্রটা 'দুনিয়াটা দু'দিনের/তবু আশা সুদিনের!' এই সুদিনটা স্থায়িত্ব পাবে, প্রত্যয় থাকলেও এখন তাকে অনিয়মিত দেখে অনেকেই বুনছেন হতাশার জাল৷ এই জাল ছিন্ন করে এগিয়ে আসবে আমাদের অনবদ্য অনুকাব্যের স্রোত৷ এই স্রোতস্বিনী সময়ে আবারো সচল হবে প্রকৃত ছড়াকাররা৷ গড়ে উঠবে অনুকাব্যের রঙধনু, নামবে বৃষ্টি অনবরত৷ সেই অনুকাব্যের বৃষ্টিতে রিমঝিম করে উঠবে চম্বুকের জলছলছল শব্দেরা৷ উচ্চারিত হবে ছড়াকার জগলুল হায়দারের বুনে চলা ছন্দ-'শিক্ষা হলেও দীক্ষা নেই/ সকলই অনত্মঃসারশূণ্য/ অনত্মরে পুষে অননত্ম ক্লেদ/ বাণিজ্যিকতায় পূণ্য...

 

mominmahadi@gmail.com 
www.mominmahadi.blogspot.com

০১৭১২৭৪০০১৫ 
 

[প্রথমপাতা]

 

 

লেখকের অন্যান্য লেখাঃ

 

>>মো মি ন মে হে দী র ক বি তা

>>ভালোবাসার যতরঙ

>>জানালায় গলে পরে পাতাদের শোক

>>ব্যানার

>>কাগজের ভুত

>>ভুত তাড়াতে মায়ের আদর