|
৮ম কাহাল আর্ট
ফেয়ার ২০১৬:জাপান-বাংলাদেশ যৌথ চিত্র প্রদর্শনী
কাজী ইনসানুল হক, টোকিও থেকে
"....গেল ২১-২৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬ টোকিওর
মর্যাদাবান হিল্টন আর্ট গ্যালারীতে প্রদর্শিত হলো বাংলাদেশ ও জাপানী চিত্র
শিল্পীদের আকা ছবির প্রদর্শনী ৮ম কাহাল আর্ট ফেয়ার-২০১৬..."
জাপানের বেশ ক'জন নামী চিত্রশিল্পী ও চিত্রকলা সমালোচক ও প্রবাসীর
উপস্হিতিতে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদুত
মিসেস রাবাব ফাতিমা। উপস্হিত ছিলেন জাপান -বাংলা সোসাইটির চেয়ারপার্সন
বাংলাদেশে জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদুত মাৎসুহিরো হরিগুচি ও জাপানের বিশিষ্ট
চিত্রশিল্পী কিমিয়ে কিইউচি।
জাপান
আর্ট কলেজ থেকে চিত্রকলা বিষয়ক পড়াশুনা শেষে কামরুল হাসান লিপু ২০০৮ সালে
জাপান ও বাংলাদেশের আঁকিয়েদের নিয়ে কাহাল আর্ট গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সে
বছর থেকে ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশে ও জাপানে দুই দেশের শিল্পীদের ছবির
প্রদর্শনী করে আসছেন। বাংলাদেশ থেকে উদীয়মান শিল্পীদর জাপানে এনে এবং জাপান
থেকে জাপানি চিত্রশিল্পীদের বাংলাদেশে নিয়ে তাদের আঁকা ছবির প্রদর্শনী করে
দু'টো বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সেতু বন্ধনের পথটি বেশ
আলোকিত করে চলেছেন। শিল্পকলায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রতিবছর একজনকে বিশেষ
সম্মাননা দেয়া হয়। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বরেন্য চিত্রশিল্পী রফিকূননবী,
জাপানের বিখ্যাত মৃৎশিল্পী কেওইচি তাকিতা কাহাল সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য চিত্রশিল্পী তাকিতার হাত ধরেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে
মৃৎশিল্প বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
জাপানে আসা বাংলাদেশের প্রায় সকল প্রবীন শিল্পীদের 'জাপানী গাইড 'হিসেবে
লিপু র সম্পর্ক মনে হয় "কাহাল আর্ট গ্রুপে"র এই কার্যক্রমের জন্য বিশেষ
সহায়ক ভুমিকা পালন করে আসছে।
শিল্পাচার্য ওকাকুরা তেনশিন জাপান-ভারত ও পরবর্তি বাংলাদেশের
শিক্ষা,সাংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করেন,
পরবর্তীতে রবীন্দ্রনাথ তা অনেকটাই এগিয়ে নেন। জাপানে বাংলাদেশী
চিত্রশিল্পীদের হাতে খড়ি হয় এক্সপ্রেশানিজমের ধারবাহক প্রয়াত মোহাম্মদ
কিবরিয়াকে দিয়ে। জাপানী ওয়াশ টেকনিক প্রয়োগ করে চিরায়িত বৃত্তের বাইরে নতুন
ঘারানের আঁকাআকি শূরূ করেন তিনি, সুবিশাল স্পেসে আলোর রকমারী খেলা বাংলার
ঐতিহ্য থেকে সরে না গিয়ে বৈশ্বিক আঁকিঝুকি জাপানী শিল্পবোদ্ধাদের নজর কারে।পরবর্তিতে
জাপান প্রবাসী কাজী গিয়াসউদ্দীন ও অন্যান্য কজন তাদের চিত্রকলা দিয়ে
বাংলাদেশকে পরিচিত করেন।
৮ম কাহাল আ্রর্ট এওয়ার্ড ১ম গ্রান্ড পুরুস্কার পান আসামি কুসাদা,২য় গ্রান্ড
যৌথভাবে নাগাইয়োযি কাওরীন নার্গিস পলি ও ৩য় গ্রান্ড যৌথ ভাবে মিন্টু দে ও
নার্গিস পারভিন এবং বিশেষ এওয়ার্ড পান ফাতেমা আহমেদ, উম্মেলহাবীবা সূচি,
রাবেয়া আখতার, কাওসার হোসেন ও আশিষ আচার্য।
প্রদ্দর্শনী গ্যালারীতে ১ জূলাই গুলশান ট্রাজেডীতে জঙ্গি হামলায় নিহত
শিল্পকলার পৃষ্ঠপোষক ও আয়েজক ইশরাত আকন্দ স্মরনে একটি মূক্ত চিত্র ক্যানভাস
উন্মুক্ত রাখা হয়।কামরুল হাসান লিপু জানালেন, পরবর্তিতে জাপান ও বাংলাদেশের
আকিয়েদর দিয়ে ওই মুক্ত ক্যনভাস পুরোটাই চিত্রকলা দিয়ে সাজিয়ে নিহত সাত
জাপানী সহ সবাইকে উৎসর্গ করে শ্মৃতিস্মারকটি তার পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে যেয়ে বাংলাদেশে জঙ্গি হামলায় নিহত সাত
জাপানীর প্রতি কাহাল আর্ট গ্রূপের এই মহান প্রচেষ্টাতে সাধুবাদ জানাই।
কাহাল আর্ট ফেয়ারের পরবর্তী প্রদর্শনী হবে ঢাকায় ২০১৭ র মাঝামাঝি এবং যথাযথ
আগামী বছরের শেষভাগে সম্মাননা ও যৌথ প্রদর্শনী হবে জাপানে।"
kaziensan@gmail.com
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
|