|
||||||||||||||||||
|
পেছনে ফেলে আসি—০৫: আহা কী আনন্দ আকাশে বাতাসে...
-লুৎফর রহমান রিটন-
সত্যজিৎ রায় আমার খুব প্রিয়। সত্যজিৎ রায়ের
সঙ্গে দেখা করতে আমি আর শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম একবার (১৯৮৪ সালে) চলে
গিয়েছিলাম বেনাপোল বর্ডার দিয়ে বনগাঁ পেরিয়ে কলকাতা বিশপ লেফ্রয় রোডের
কাঠের সিঁড়িঅলা বিখ্যাত সেই বাড়িতে। ( আমার স্মৃতিগদ্য ‘নয়ন তোমারে পায়
না দেখিতে রয়েছ নয়নে নয়নে’ বইতে এ নিয়ে বিস্তারির লিখেছি। প্রকাশক
চন্দ্রাবতী।) যেথায় বসত করেন সত্যজিৎ। আমার প্রিয় সত্যজিৎ। কতো প্রিয়?
ভীষণ প্রিয়। কী প্রিয় নয় সত্যজিতের! তাঁর ফিকশন প্রিয়। তাঁর বুক
ডিজাইন, লেটারিং, ইলাস্ট্রেশন, প্রচ্ছদ, পোস্টার ডিজাইন প্রিয়। তাঁর
ডিরেকশন, মুভি, মিউজিক সব প্রিয়। স্কুলে ম্যাট্রিক পরীক্ষার সময় ফিলাপ
করতে হয় ফরম। ওখানে জন্মতারিখের একটা ঘর থাকে। দেশের অধিকাংশ শিক্ষক
ছাত্রদের উপকারার্থে চাকরির বয়েসের হিশাব ঠিক রাখতে বানোয়াট একটা তারিখ
বসিয়ে দেন। যে কারণে ‘‘১লা জানুয়ারি’’ এতো অধিকসংখ্যক মানুষের জন্ম!!
নবাবপুর স্কুলে আমার জন্মতারিখটাও ১লা হয়ে যাচ্ছিলো প্রায়! আমি একলা ওই
১লা-কে ঠেকিয়েছিলাম তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে! স্যারের সঙ্গে লড়াই করে ১লা
জানুয়ারি থেকে এক লাফে চলে গিয়েছিলাম মে মাসে। জন্মতারিখের ঘরে আমি
জবরদস্তি বসিয়েছিলাম দোসরা মে। কারণ ওইদিন আমার প্রিয় সত্যজিৎ রায়ের
জন্মদিন!
WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.
|
লেখকের আগের লেখাঃ |