[প্রথমপাতা]
|
পেছনে ফেলে আসি-০১: ‘এইইই গানের বই গানের বই গানেব্বই
গানেব্বই’
-লুৎফর রহমান রিটন-
গানে পাওয়া মানুষ আমি। একেক সময় একেকটা গান পেয়ে বসে আমাকে। কখন কোন
গানটি কেনো আমাকে পেয়ে বসবে তার কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।
বাংলা-ইংরেজি-হিন্দির বাছ-বিচার নেই।
সাবিনা-রুণা-বন্যা-বনিএম-য়্যাবা-লতা-কিশোর-আশা-অলকা-শ্রেয়া-হরিহরণ-নচিকেতা-সুমন-অঞ্জন-ব্রিটনি-মাইকেল-লেডি
গাগার পাশাপাশি শচিন-ফরিদা পারভীন-বেগম আখতাররা প্রায়শই পাকড়াও করে
আমাকে। জব্বার-হাদী-বশীর-সামিনা-এন্ড্রু-বিশ্বজিৎও আমাকে আপ্লুত করে
রাখে। আমি ডুবে থাকি। আকণ্ঠনিমজ্জত আমাকে পেয়ে বসা গানটি বারবার শুনি।
বারবার। বিরামহীন। সকাল-দুপুর-সন্ধ্যা-রাত্রিজুড়ে বারবার সেই একটি গানই
শুনি। ক্লান্তিহীন। একটি বিশেষ গানের ওপর আমার ওরকম হামলে পড়া দেখে যে
কেউ আমাকে পাগল ঠাওরাবে। সত্তর-আশির দশকে যখন প্রথম ক্যাসেট প্লেয়ার
এলো তখন জগন্ময় মিত্রের ‘তুমি আজ কতো দূরে’ গানটি একটি ক্যাসেটের এ এবং
বি সাইডে রেকর্ড করিয়ে এনেছিলাম স্টেডিয়াম এলাকা থেকে। পুরো ক্যাসেটে
বারবার একটিমাত্র গান! দোকানি লোকটা আমাকে পাগল ঠাওরেছিলো।
বলেছিলো—‘কঙ্কী!পুরা ক্যাসেটে মাত্র একটা গান!’ আরেকবার ষাট মিনিটের
একটা ক্যাসেটের এ এবং বি সাইডে জাদুর বাঁশী সিনেমার ‘আকাশ বিনা চাঁদ
হাসিতে পারে না’ গানটা রেকর্ড করিয়েছিলাম। দোকানি লোকটা তার গানের
তালিকা সম্বলিত খাতাটা ফিরিয়ে নিতে নিতে ‘ আপ্নের ঘটনা কী?’ বলে এমন
একটা লুক দিয়েছিলো আমার দিকে যে আমি না হেসে পারিনি। আমার সেই পাগলামি
আজও বহাল আছে। একেকটা গান আমাকে পেয়ে বসে আর আমি বারবার সেই গানটা
শুনতে থাকি। আমাদের বাংলা সিনেমার সোনালি যুগের সব গান আমার মুখস্ত।
প্রিল্যুড-ইন্টারল্যুড মিউজিকসহ।
ইদানিং পেয়ে বসেছে আবদুল্লাহ আল মামুনের ‘সারেং বউ’ ছবিতে আবদুল
জব্বারের গাওয়া ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানটি। এই গানটির গীতিকার মুকুল
চৌধুরী। সুর আলম খানের। আমার খুব প্রিয় গান এটা। কিন্তু গানের সুরটা
নকল। আমি মামুন ভাই অর্থাৎ আবদুল্লাহ আল মামুনকে বলেছিলাম কথাটা। তিনি
বিস্মিত হয়েছিলেন। সারেং বউ-এর সুরকারের সঙ্গে কথা বলে ব্যাপারটা আমাকে
জানাবেন বললেও পরে আর জানাননি। এলিফ্যান্ট রোডে থাকতে গীতিকার মুকুল
চৌধুরীর প্রায় প্রতিবেশীই ছিলাম। বহুবার দেখা হয়েছে আমাদের। নিন্মকণ্ঠ
বিনয়ী এই মানুষটাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে পারিনি। কিন্তু আমি নিশ্চিত
রেডিওর কোনো এক অজানা অচেনা স্টেশনে এই গানটা বাজছিলো ভিন্ন ভাষায় এবং
আমি সেটা শুনেছি। এ প্রসঙ্গ থাক।
কিছুকাল আগে পেয়ে বসেছিলো ‘উই আর ইয়াং’ গানটি। গাড়িতে বাড়িতে সর্বত্র
সারাক্ষণ অবিরাম বেজে চলেছে উই আর ইয়াং। কী আছে এই গানটায়? ক’দিন আগে
পড়েছিলাম লায়ন কিং মুভির ‘ক্যান ইউ ফিল দ্য লাভ টু নাইট’ গানের খপ্পরে।
এই মুভির ‘সার্কেল অব লাইফ’ গানটাও ভুগিয়েছে বেশ। গাড়ি স্টার্ট দেয়া
মাত্রই গেয়ে ওঠেন এলটন জন। কী অসাধারণ কণ্ঠ এই মানুষটার!
হয়তো লিখতে বসেছি একটা কিশোর উপন্যাস। হঠাৎ করোটির ভেতরে গুণগুণিয়ে
উঠলেন বেগম আখতার—‘জোছোনা করেছে আড়ি/আসে না আমার বাড়ি।/গলি দিয়ে চলে
যায়/লুটিয়ে রুপালি শাড়ি।’ আহা। উপন্যাস শিকেয় উঠলো। ল্যাপটপে বেগম
আখতারের স্টিল ফটোগ্রাফের পেছনে জোৎস্নার বাড়াবাড়ি রকমের
আলোছায়ামাখারূপ-যৌবন আমাকে বসিয়ে দিলো । মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম।
আসলে বসেই তো ছিলাম। মাথার ওপরে হাতদুটো রাখলাম শুধু। এই গান আমাকে
বসিয়ে রাখলো দীর্ঘক্ষণ।
আশির দশকে ‘যাদুর বাঁশী’ চলচ্চিত্রে রুণা লায়লার গাওয়া—‘আকাশ বিনা চাঁদ
হাসিতে পারে না/যাদু বিনা পাখি বাঁচিতে পারেনা’ গানটি এমন ভাবে পেয়ে
বসেছিলো আমাকে যে বারবার বহুবার ছুটে গেছি সিনেমা হলে। তখন ডিভিডি
কিংবা ভিডিও ক্যাসেটের আগমন ঘটেনি। সুতরাং পছন্দের একটি গানের জন্যে
একটি সিনেমাই বারবার দেখতে হতো আমাকে।
সিনেমা আমার খুব প্রিয় সেই ছেলেবেলা থেকেই। মোহাম্মদ আলী, জেবা, ওয়াহিদ
মুরাদ, নাদিম অভিনীত বেশ কিছু উর্দু ছবি দেখেছিলাম পরিবারের সিনিয়রদের
দয়ায়। নিজের টাকায় একটা পটেটোচিপ্স্ কেনারও যোগ্যতা বা ক্ষমতা তখনো
হয়নি। সিনেমা দেখবার সময় খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করতাম ইন্টারভেল কখন
হবে। ইন্টারভেল হলে সিনিয়রদের দাক্ষিণ্যে এক প্যাকেট পটেটোচি্প্স জুটলে
জুটতেও পারে সেই আশায় বসে থাকতাম। মুখ ফুটে লজ্জায় কিছু চাইতে পারতাম
না। খুব ইচ্ছে করতো ঠান্ডা এক বোতল ফান্টা খেতে। কিন্তু চেয়ে খাওয়ার
লজ্জা আর দ্বিধায় প্রায়শ সেটা হয়ে উঠতো না। সিনেমা হলের আলো আঁধারীতে
আমি আমার মতোই কতিপয় ভাগ্যবান কিশোরকে মুখে স্ট্র লাগিয়ে চুড়ুক চুড়ুক
চুরুক চুরুক করে ফান্টা খেতে দেখতাম আর ভাবতাম—একদিন বড় হবো। বড় হয়ে
সিনেমা হলের সমস্ত ফান্টা আমি কিনে নেবো। কিনে ফেলবো সমস্ত
পটেটোচিপ্স্। কিন্তু ওটা আর হয়নি। বড় আমি হয়েছি। সিনেমা হলের সমস্ত
পটেটোচিপস আর ফান্টা কিনে ফেলার মতো টাকাও আমার হয়েছে। কিন্তু সেই
ইচ্ছেটা কোথায় যেনো উবে গেছে।
বড় বেলার কথা থাক। শৈশবের কথাই বলি। স্কুলে টিফিনের পয়সা বাঁচিয়ে ক্লাশ
পালিয়ে একা একা লুকিয়ে সিনেমা দেখেছি প্রচুর। শৈশবে আমার প্রধান বিনোদন
ছিলো রেডিওতে গান শোনা আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। বাড়িতে ক্যাসেট
প্লেয়ার না আসা পর্যন্ত সুদীর্ঘকাল আমি গান শুনেছি শুধুই রেডিওতে।
প্রিয় ছিলো বানিজ্যিক কার্যক্রমের অনুষ্ঠান ‘বিজ্ঞাপন তরঙ্গ’।
বিজ্ঞাপনের ফাঁকে ফাঁকে গান। অনুরোধের আসর। সৈনিক ভাইদের জন্য অনুষ্ঠান
‘দুর্বার’। উপস্থাপনা করতেন দুজন মিলে—একজন পুরুষ ও একজন নারী। মনে পড়ে
আজও সেই কণ্ঠ—‘দুর্বার অনুষ্ঠান থেকে হাবিবুর রহমান জালালো তাহমিনা
আপনাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’ লোকটার নাম যে হাবিবুর রহমান জালাল এটা
বুঝতে আমার ঢের বিলম্ব হয়েছিলো। ওর উচ্চারণজনিত ঘাপলার কারণে দীর্ঘদিন
আমি ওকে হাবিবুর রহমান জালালো বলেই জানতাম। আসলে বাক্যটা ছিলো—হাবিবুর
রহমান জালাল ও তাহমিনা আপনাদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। কিন্তু জালাল-এর শেষ
ল-য়ে সামান্য একটা হসন্ত ব্যাটা বাদ দেয়াতে এবং কোনো পজ না দেয়াতে
ও-শব্দটা এসে ল-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ‘লো’ হয়ে গেছে আর আমার মতো এক নাদান
কিশোর জালাল নামের সেই উপস্থাপক লোকটাকে জালালো মনে করে দুর্বার-এর
নিষ্ঠাবান শ্রোতা হয়ে গান শুনেছে প্রতি সন্ধ্যায়। দুর্বার শুরু হলে
আমাকে কেউ আটকে রাখতে পারতো না। রেডিও আমি শুনতামই শুনতাম। বেশ পরে
রেডিও টিভিতে নিজে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে দেখেছি অনুরোধের আসর নামের এইসব
অনুষ্ঠানে অনুরোধকারী হিশেবে যে সমস্ত নামের তালিকা পড়া হয় তার
নিরানব্বুই ভাগই ভূয়া। ঢাকা থেকে রফিক বল্টু সেলিম কিংবা রাজশাহী থেকে
মঞ্জুর মকবুল রিফাত সঞ্জয় নামের কেউ কোনো গান শোনাবার জন্যে অনুরোধ না
করলেও অনুষ্ঠান নির্মাতারা বানোয়াট এবং কাল্পনিক চিঠির কারণ বা অজুহাত
দেখিয়ে বিশেষ বিশেষ গানগুলো প্রচার করতো। কিছু চিঠি অবশ্যই আসতো কিন্তু
বেশির ভাগই অই যে বললাম ভূয়া। দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকার চিঠিপত্র
বিভাগের ক্ষেত্রেও একই কাহিনি। প্রথম সংখ্যাতেই দেখবেন চিঠিপত্র
বিভাগটি আছে এবং পাঠকের একগাদা চিঠিও ছাপা হয়েছে সেই বিভাগে। প্রশ্ন
হচ্ছে পত্রিকা ছাপা হয়ে বাজারে আসার আগেই পাঠক চিঠি লিখলো কেমন করে?
পত্রিকার এইসব টেবিলমেইড চিঠির মতোই রেডিও টিভির অনুরোধের আসরের
চিঠিগুলোও টেবিলমেইড। জীবিকাসূত্রে এরকম অজস্র চিঠি আমিও লিখেছি অফিসে
বসে। বহু ইন্টারেস্টিং কাহিনি আছে সংশ্লিষ্ট ঘটনার। এগুলো তোলা থাকুক।
আলাদা অন্য কোনো পোস্টে লিখবো। গানেই থাকি আপাতত।
এই লেখাটা যখন লিখছি তখন আবহসঙ্গীত হিশেবে আমার ল্যাপটপে বাজছে বশীর
আহমেদের বিখ্যাত গান--অনেক সাধের ময়না আমার বাঁধন কেটে যায়/মিছেই তারে
শিকল দিলাম রাঙা দুটি পায়...। আহারে ময়নামতি! রাজ্জাক-কবরী!
শৈশবে আমার একটা হবি ছিলো ‘গানের বই’ জমানো। স্বাধীনতার আগে এবং
স্বাধীনতার পরেও বেশ অনেক বছর সিনেমা রিলিজের পাশাপাশি সেই সিনেমার
কাহিনির সিনপসিস,অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নাম, একটি দুটি স্টিলফটোগ্রাফ
এবং সিনেমায় ব্যবহৃত গানগুলো নিয়ে আধা ফর্মা একফর্মার চটি একটা বই
প্রকাশিত হতো। সেটাকে বলা হতো ‘গানের বই’। মুভি শুরু হবার আগে এবং পরে
সিনেমা হলের সামনের জটলায় দাঁড়িয়ে টিকিট ব্ল্যাকারদের কেউ কেউ – ‘এইইই
গানের বই গানের বই গানেব্বই গানেব্বই’ বলতে বলতে উঁচিয়ে ধরতেন চটি একটি
বই। অনেকেই কিনতেন। তবে আমি ছিলাম এই ধরণের বইয়ের নিয়মিত ক্রেতা।
এইভাবে কতো যে গানের বই জমিয়েছিলাম! সেইসব গানের বইতে সিনেমার গল্পের
কাহিনি সংক্ষেপের শেষ লাইনে থাকতো—বাকি অংশ রূপালি পর্দায়। খুবই মজা
পেতাম পড়ে। সেই গানের বইতে সিনেমায় অভিনয়কারী শিল্পীদের নাম ছাপা হতো।
তাঁদের নামের আগে লেখা থাকতো—শ্রেষ্ঠাংশে। আট পৃষ্ঠা কিংবা ষোল পৃষ্ঠার
এইসব চটি বইয়ের প্রচ্ছদে সেই সিনেমার নায়ক নায়িকার একটা স্টিল ছবি এবং
সিনেমার নামলিপি বা লোগোটি ছাপা হতো একরঙে। সেই রঙ-ও ছিলো ভারী মজার।
গাঢ় নীল, হালকা নীল, বেগুনী, মেজেন্টা, সবুজ, খয়েরি এরকম আরো কিছু রঙ।
সরাসরি কালো ছাপা হতো কমই। গানের বইগুলো ছিলো বীভৎস রকমের ভুল বানানে
ঠাঁসা। তখন প্রুফ দেখা কাকে বলে জানতাম না। কিন্তু ভুল বানান আর ভুল
বাক্য পড়ে যারপরনাই বিস্মিত হতাম। পরে বুঝেছি—এগুলো কম্পোজ হবার পর
প্রুফ-ট্রুফ দেখার বালাই ছিলো না। থাকলেও খুব একটা গুরুত্ব দেয়া হতো
না। কোনো রকমে অদক্ষ মুদ্রণবিদের কৃপায় কিছু একটা বের করলেই হতো।
ভুল-টুল নিয়ে কেউ কিছু বলতো না। ১৯৬৯ সালে মুক্তি পেলো ‘আগন্তুক’।
রাজ্জাক-কবরী জুটির বিখ্যাত ছবি। এই ছবির—‘বন্দি পাখির মতো মনটা কেঁদে
মরে/মুক্ত আকাশখানি কে আমার নিলো কেড়ে’ গানটি দিয়েই সিনেমার গানের
অনিবার্য কণ্ঠ খুরশিদ আলমের অভিষেক ঘটেছিলো। বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন
করেছিলো গানটি। জীবনের প্রথম ফিল্মিগানেই বাজিমাৎ করেছিলেন খুরশিদ আলম।
গানের কথা লিখেছিলেন ‘কুয়াশা’ সিরিজের বিখ্যাত লেখক আবু হায়দার সাজেদুর
রহমান। সুর করেছিলেন আজাদ রহমান। সিনেমার গানের ক্ষেত্রে আজাদ রহমানেরও
প্রথম ছবি ছিলো ‘আগন্তুক’। ‘গানেব্বই গানেব্বই’ বলে চেঁচিয়ে ফেরি করা
ব্ল্যাকারের কাছ থেকে কেনা ‘আগন্তুক’ সিনেমার গানের বইতে ভুল বাক্যের
কী রকম ছড়াছড়ি ছিলো সেটার প্রমাণ হিশেবে স্মৃতি থেকে সামান্য উদ্ধৃত
করি। গানেব্বইতে ‘বন্দি পাখির মতো মনটা কেঁদে মরে/মুক্ত আকাশখানি কে
আমার নিলো কেড়ে/ও পাহাড় ও নদী বলে দাও কী নিয়ে থাকি/ এ ব্যথা কি দিয়ে
ঢেকে রাখি’ গানটি ছাপা হয়েছিলো এভাবে—‘হলদে পাখির মতো উলটা খেলে মরে/
মুক্ত আকাশবানী কে আমারে নিলো কে রে/ ও পাহার ও নদী বলে দাও তুমি
যে/আঁখির এ বেথা কি দিয়ে ঢেকে রাখি...।’
আমার শৈশব-কৈশোরকে মাতিয়ে রাখা ভুল বাক্যের ভুল বানানের চটি গানের
বইগুলো কোথায় হারিয়ে গেছে! অথচ কতো মমতা আর ভালোবাসায় সেগুলো সংগ্রহ
করেছিলাম! আগলে রেখেছিলাম যক্ষের ধনের মতো। ওই বইগুলোকে তখন আমার কাছে
মনে হতো খুব দামি কোনো সম্পদ। মনে হতো ওগুলো না থাকলে আমি নিঃশ্ব হয়ে
যাবো। হায়রে বোকা বোকা শৈশব!
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content
is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to
legal action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
|