[প্রথমপাতা] |
ওওকুরায়ামা
স্মৃতিসদনে রবীন্দ্রনাথ
প্রবীর বিকাশ সরকার
জাপানি
রবীন্দ্রভক্ত শ্রীমতী তামিকো ওওবা কয়েক বছর ধরেই ইয়োকোহামা শহরে একটি
বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখছেন এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। সেই
বিদ্যালয়টি হবে শিশুদের জন্য যার চারদিকে থাকবে সবুজ ঘাস আর বৃক্ষাদি।
রবীন্দ্রনাথের শান্তিনিকেতনের পাঠ্যসূচি ছেলেমেয়েদের শিক্ষা দিতে আগ্রহী।
তামিকোসানের (সান=শ্রী/শ্রীমতী) সঙ্গে আমার আমার পরিচয় ২০০১ সালে বন্ধুবর
রফিকুল আলমের মাধ্যমে। এ বছর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম
জন্মবার্ষিকী। বিশ্বের বড় বড় দেশে কবিগুরুর অসংখ্য ভক্ত এবং ইউনেসকো সংস্থা
বিভিন্ন অনুষ্ঠানাদির মধ্য দিয়ে কবির সার্ধশত জন্মবর্ষকে উদযাপন করবেন।
ভারত ও বাংলাদেশ সরকার যৌথউদ্যোগে নানা রকম পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
জাপানেও বেসরকারিভাবে গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে অনুষ্ঠানাদি। এদেশেও রয়েছে
কবির প্রচুর ভক্ত। তামিকোসান তাঁদের একজন। তিনিও প্রবাসী ভারতীয় ও বাংলাদেশি
বন্ধুদের নিয়ে গত বছর থেকেই শুরু করেছেন কবির জন্মবার্ষিকীকে অভিবাদন জানিয়ে
বিভিন্ন কাজ। মূল লক্ষ্য: এই জন্মবার্ষিকীর মাধ্যমে 'তাগো-রু মোরি নো
গাক্কোও' অর্থাৎ 'ঠাকুর অরণ্য বিদ্যাপীঠ' স্থাপন করা যেখানে শান্তিনিকেতনের
মতো বৃক্ষের তলে সবুজের মধ্যে শিশুদেরকে 'সম্পূর্ণ মানুষ' হওয়ার শিক্ষা
দেবেন যেটা রবীন্দ্রশিক্ষার মূল শর্ত। শিশুদের পাশাপাশি বয়োজ্যেষ্ঠ
নাগরিকবৃন্দও অংশ নিতে পারবেন।
শতবর্ষ পূর্বে ওকাকুরা তেনশিন, স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
যৌথ পৌরহিত্যে জাপান-বাংলা
সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সূচনা হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতার মধ্যে রয়েছে একাধিক
উত্থান-পতন। সমান্তরালভাবে সে ধারা বজায় থাকেনি। যে কারণে একটি রবীন্দ্র
প্রতিষ্ঠান এই দেশে গড়ে ওঠেনি যার প্রয়োজন ছিল অনস্বীকার্য। সেদিকে নজর
পড়েছে অনেকের মতো তামিকোসানেরও। ইয়োকোমায় জন্ম তিনি জানেন যে রবীন্দ্রনাথ
১৯১৬ সালে এই বন্দরনগরস্থ প্রকৃতির অমৃতবাগ 'সানকেইএন' বাগানবাড়িতে তিন মাস
ছিলেন। ইয়োকোহামাকে কবি খুব ভালোবেসেছিলেন। সুতরাং এই বন্দরনগরেই হোক
বিশ্বকবির নতুন ঠিকানা। এবার থেকে নতুন প্রজন্মের জাপানিরা জানুক কবিকে
সেইসঙ্গে শতবর্ষপ্রাচীন জাপান-বাংলা সম্পর্ককে।
গেল ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে ফোন করে বললেন, 'ইয়োকোহামাস্থ ওওকুরায়ামা
শহরে 'ওওকুরা সেইশিন বুনকা কেনকিউজো' (ওওকুরা আধ্যাত্মিক সংস্কৃতি গবেষণা
কেন্দ্র' বা 'ওওকুরায়ামা স্মৃতি সদন') সংস্থার গ্রন্থাগারে রবীন্দ্রনাথের
অনেকগুলো গ্রন্থ আছে। আপনি জানেন কিনা?'
আমি বললাম, 'জানি। ২০০০ সালেই আমি এগুলোর খোঁজ পাই। সেখানে গিয়েছিও এবং
বইগুলো দেখেছি। বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে ১৫৫ টি আছে বলেছিলেন সেখানকার একজন
গবেষক হোরিকোশিসান। তবে সংখ্যা নিয়ে মতান্তর আছে। কেউ বলছেন ১৭০, কেউ বলছেন
১৫৫টি। গ্রন্থগুলো ১৯২৯ সালে কবি তাঁর বন্ধু উপরোক্ত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা
বিশিষ্ট কাগজ ব্যবসায়ী ও পরবতর্ীতে তোয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ডঃ কুনিহিকো
ওওকুরাকে উপহার হিসেবে পাঠান। শুধু বইই নয়, ভারতীয় নেকৌর মডেলও পাঠান
বন্ধুত্বের স্মারকবস্তু হিসেবে। এটা সংস্থার ভবনে এখনো সংরক্ষিত আছে। ১৯২৯
সালে রবীন্দ্রনাথ কুনিহিকোর টোকিওস্থ বাসভবনে প্রায় মাস খানেক আতিথ্যগ্রহণ
করেছিলেন। এবং তাঁরই নেতৃত্বে ১৯৬১ সালে টোকিওতে কবিগুরুর শততমজন্মবর্ষ তিন
বছরের জন্য এক মহাপরিকল্পনার অধীনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যার তুলনা অন্যান্য
দেশে নেই বললেই চলে একমাত্র ভারত ব্যতীত।'
তিনি অবাক কন্ঠে বললেন, 'তাই নাকি! এসব ইতিহাসতো আমরা জানি না। কিভাবে জানা
যাবে?'
আমি বললাম, 'রবীন্দ্র-জাপান সম্পর্কের ইতিহাস এখনো কোন ভাষাতেই লিপিবদ্ধ
হয়নি বিচ্ছিন্নভাবে প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখা ছাড়া। বেশ কয়েক বছর ধরে আমি সেই
ইতিহাসের তথ্যউপাত্ত ও ঘটনাসমূহ বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমে লিখে আসছি
বাংলা ভাষাতে। গত বছর দৈনিক সমকালের সামায়িকী 'কালের খেয়া' এবং 'সাপ্তাহিক
২০০০'-এ দুটি বড় প্রবন্ধ লিখেছি যথাক্রমে: 'ইতিহাস আছে, ইতিহাসে নেই: জাপানে
রবীন্দ্রচিহ্নের সন্ধানে' এবং 'জাপানে রবীন্দ্রনাথ'। প্রথম প্রবন্ধটিতে
জাপানের বিভিন্ন স্থানে রবীন্দ্রনাথ ভ্রমণ ও অবস্থান করেছেন সেগুলোর বর্ণনা
আর পরের প্রবন্ধটিতে ছিল: জাপানে কিভাবে রবীন্দ্রনাথের শততমজন্মবার্ষিকী
উদযাপিত হয়েছিল তার অজানা ইতিহাস।
তামিকোসান বললেন, 'এত ঘটনা 'তাগো-রু'কে নিয়ে ঘটেছে জাপানে অথচ আমরা কিছুই
জানতে পারছি না! আশ্চর্য! নতুন প্রজন্মের জাপানিদের তা জানা উচিত। আপনি কি
আপনার লেখাগুলো জাপানিতে অনুবাদ করতে পারেন না?'
আমি
বললাম, 'আমি তো সব তথ্যউপাত্ত জাপানি ভাষায় লিখিত উৎস থেকে সংগ্রহ করেছি।
কিন্তু সেগুলো সাজিয়ে লেখা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে এই বছর একটি ইংরেজি
গ্রন্থ আমার প্রকাশিত হবে তাতে ১৫টি প্রবন্ধ থাকবে জাপান-রবীন্দ্র সম্পর্ক
নিয়ে সেখানে আনুপূর্বিক একটি ধারণা পাওয়া যাবে। সেটার জাপানি অনুবাদ করা
যেতে পারে। সম্ভবত নতুন একটি বাতায়ন খুলে দেবে প্রবন্ধগুলো এই অর্থে যে:
নতুন করে রবীন্দ্র-আলো এসে প্রবেশ করবে আমাদের মনোভূবনে। কিভাবে
রবীন্দ্রনাথকে জাপানিরা ভেবেছেন, এখনো ভাবছেন, যারাই পড়বেন বুঝতে সক্ষম
হবেন। রবীন্দ্রকেন্দ্রিক এই আন্দোলনটি আর কোথাও এত ব্যাপকভাবে বিস্তৃতলাভ
করেনি জাপান ছাড়া। আমার ধারণা রবীন্দ্রনাথের ভারতবর্ষেও নয়!'
'আমারও তাই মনে হচ্ছে।' বললেন, তামিকোসান। আরও বললেন, 'আপনার কি সময় হবে ১৮
ডিসেম্বর তারিখ 'ওওকুরা সেইশিন বুনকা সেন্টারে' আমাকে একটু গাইড করার জন্য?
সেখানে রক্ষিত গ্রন্থগুলোতো বাংলাভাষায় লিখিত আপনি পড়ে ব্যাখ্যা করে দিলে
খুব উপকৃত হতাম। এই তথ্যগুলো আমাদের পরিকল্পনার জন্য বিশেষভাবে দরকার।'
একজন ক্ষুদ্র লেখক হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার গুরু। তাই গুরুদেব বলে কথা!
গুরুদেবের জন্য আমি যাবো না তো কে যাবে! ছুটলাম ইয়োকোহামার দিকে, সেদিন ছিল
শনিবার, ছুটির দিন। ঠিক এগারোটার সময় ওওকুরায়ামা স্টেশনে তামিকোসানকে দেখতে
পেলাম দাঁড়িয়ে আছেন আমার জন্য। শুভেচ্ছা বিনিময় করার পর দুজনে ওওকুরায়ামা
পাহাড়ের ওপরে উঠে প্রবেশ করলাম উক্ত সংস্থায়। যা ছিল একসময় ডঃ কুনিহিকো
ওওকুরার বাসভবন। এখন ইয়োকোহামা স্থানীয় প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে একটি
সাংস্কৃতিক সম্পদ। আদি-হেলেনিস্টিক শৈলীতে নির্মিত সুদৃশ্যমান এই ভবনটি
জাপান-বাংলা সম্পর্কের অন্যতম একটি স্মৃতিবিজড়িত স্থান। উভয় বাংলার একাধিক
বিশিষ্ট বাঙালি এই ভবনে এসেছেন।
গবেষক হোরিকোশিসানের সঙ্গে বেশ কয়েক বছর পর দেখা হলো। তিনি হেসে আমাদেরকে
অভ্যর্থনা জানালেন। বললেন, 'টেবিলে সাজিয়ে রেখেছি বইগুলো। শুধু বাংলাগুলো
এনেছি তামিকোসানের অনুরোধে। সব মিলিয়ে ১২৯টি বই আর বাকিগুলো ইংরেজি। আপনারা
ধীরেসুস্থে দেখুন।' তাকে ধন্যবাদ জানালাম। গুরুদেব হাতে নিয়ে বেছে বেছে এই
গ্রন্থগুলো তাঁর বন্ধুকে পাঠিয়েছিলেন আজ থেকে ৮১ বছর আগে। বয়সের কারণে
বইগুলো রুগ্ন, দুর্বল, ছেঁড়াফারা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। সুদীর্ঘ বছরের
বন্দিত্বে থাকা ওদের দেহে একটা পুরাতন-পুরাতন মন কেমন করা গন্ধ। একসঙ্গে
রবীন্দ্রনাথের এতগুলো গ্রন্থ বিদেশে এই প্রথম দেখার অভিজ্ঞতা হলো। জানি না
আমার আগে এই বইগুলো আর কোন বাঙালি ছুঁয়ে দেখেছেন কিনা! অনির্বচনীয় এক
অনুভূতিতে বুকটা ভরে গেল। তামিকোসান বললেন, 'কী সৌভাগ্য আমার 'তাগো-রুসান'
স্পর্শিত বইগুলো আমিও আজ স্পর্শ করতে পারছি! সত্যিই ব্যাখ্যার অতীত এক
অনুভব! আপনারও কি তাই মনে হয় না?'
আমি বললাম, 'আমি বাঙালি আমার তো হবেই!' বলেই বইগুলোকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে
ভাগ করে রাখতে শুরু করলাম। কোন্ বিষয়ে ক'টা বই আছে সেই সংখ্যা এবং সে বই
সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যাসহকারে তাকে বলতে লাগলাম। তিনি সেগুলো খাতায়
টুকে নিচ্ছিলেন। মাঝখানে বললেন, 'এত বিচিত্র বিষয়ে তাগো-রু লিখেছেন ভাবতে
সত্যি আশ্চর্য লাগছে! মনে হচ্ছে অদ্ভুত এক জগতে প্রবেশ করছি।'
সেদিন টেবিলে গুণে দেখলাম সর্বমোট ১৩০টি গ্রন্থ, সেগুলো হলো:
ব্রহ্মচর্যাশ্রম শান্তিনিকেতনের পাঠ্যবই (?): শান্তিনিকেতন,
২,৩,৪,৫,৬,১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬,১৭ পর্যন্ত সর্বমোট ১২টি। শান্তিনিকেতন, (তৃতীয়
ভাগ) ১টি। মানবচরিত: বিদ্যাসাগরচরিত ১টি। সঙ্গীত: ধর্মসঙ্গীত, গান, ধমর্্ম
সর্বমোট ৩টি। শব্দতত্ত্ব: বাংলা শব্দ ও ব্যকরণ গ্রন্থ ১টি। ইংরেজি শিক্ষা:
ইংরেজি সোপান ১টি। প্রবন্ধ: কর্তার ইচ্ছায় কর্ম, সংকলন, সাহিত্য, প্রাচীন
সাহিত্য, আধুনিক সাহিত্য, সমূহ, রাজা প্রজা, চারিত্র পুজা, স্বদেশ, সঞ্চয়,
বিচিত্র প্রবন্ধ, সমাজ, শিক্ষা, পাঠসঞ্চয়, পরিচয় সর্বমোট ১৫টি। কাব্য:
সংকল্প ও স্বদেশ, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, ক্ষণিকা, মানসী, পলাতকা, স্মরণ,
কথা ও কাহিনী, চয়নিকা, নৈবেদ্য, শিশু ভোলানাথ, খেয়া, উৎসর্গ, কল্পনা, চৈতালী,
সোনার তরী, শিশু, পূরবী, প্রবাহিণী, গীতিমাল্য, গীতালি, বলাকা,
প্রভাতসঙ্গীত, ছবি ও গান, লেখন, গীতচর্চা, কড়ি ও কোমল, সন্ধ্যা সঙ্গীত,
কণিকা, গীতাঞ্জলি সর্বমোট ২৯টি। কাব্যনাট্য: গুরু, রাজা, অচলায়তন,
প্রায়শ্চিত্ত, নটীর পুজা, ঋণশোধ, মুক্তধারা, ঋতুউৎসব, শেষরক্ষা, প্রহসন,
গান, বিদায় অভিশাপ, মালিনী, প্রকৃতির প্রতিশোধ, রাজা ও রানী, কাহিনী, অরূপ
রতন, মুকুট, গৃহপ্রবেশ, চিত্রা, কথা, শোধ-বোধ, চিরকুমার সভা, বিসর্জন,
ফাল্গুনী, পরিত্রাণ, রক্তকরবী সর্বমোট ২৭টি। গল্পগুচ্ছ: ১ম খন্ড, ২য় খন্ড ও
৩য় খন্ড; চতুরঙ্গ, গল্প চারিটি, গল্প সপ্তক, লিপিকা সর্বমোট ৭টি। উপন্যাস:
রাজর্ষি, ঘরে বাইরে, যোগাযোগ, বৌ ঠাকুরানীর হাট, নৌকাডুবি, গোরা, চোখের
বালি সর্বমোট ৭টি। চিঠিপত্র: ছিন্নপত্র ১টি। ভ্রমণ: যাত্রী, জাপান যাত্রী
সর্বমোট ২টি। ছুটির পড়া (পাঠ্যপুস্তক?): ১টি। লোকসাহিত্য: (ছেলেভোলানো ছড়া,
কবি সঙ্গীত, গ্রাম্য সাহিত্য ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত) ১টি। হাস্যকৌতুক: ১ এবং
হাস্যকৌতুক ২ সর্বমোট ২টি। স্মৃতি: জীবনস্মৃতি ১টি।
সঙ্গীত স্বরলিপি: গীতলিপি ৬ষ্ঠ, গীতলিপি ২য় খন্ড, বাল্মিকী প্রতিভা, বসন্ত,
গীত মালিকা, গীতলিপি, কেতকী, মায়ার খেলা, শেফালি, গীত বীথিকা, গীতলেখা,
বৈকালিক, গীত পঞ্চাশিকা, গীত লেখা প্রথম ভাগ, কাব্যগীতি, নব গীতিকা ১ম খন্ড,
নব গীতিকা ২য় খন্ড, গীত লেখা ২য় ভাগ সর্বমোট ১৮টি। নাটক: ডাকঘর ১টি।
অধিকাংশ গ্রন্থই আমাদের বহুপঠিত। কিন্তু এসবের মধ্যে তিনটি বিষয় আমার মনকে
আন্দোলিত করলো। প্রথমত, ব্রহ্মচর্চাশ্রমের জন্য তৈরি সম্ভবত পাঠপুস্তক 'শান্তিনিকেতন'
নামে। দ্বিতীয়ত, বিদ্যাসাগরের জীবনী লিখেছেন 'বিদ্যাসাগরচরিত' শিশুদের জন্য।
তৃতীয়ত, ছোট্ট একটি ইংরেজি ভাষা শেখার পাঠ্যবই 'ইংরেজি সোপান' নিজেই তৈরি
করেছেন। জানি না এইসব অমূল্য গ্রন্থগুলো সাংস্কৃতিক সম্পদ হিসেবে বিশ্বভারতী
বা দিল্লীর সাহিত্য একাডেমি সংরক্ষণ করছে কিনা? পড়তে পড়তে মনে হলো:
রবীন্দ্রনাথ এতদূর পর্যন্ত ব্যাপৃত করেছিলেন নিজেকে যে তার সীমানা খুঁজে
পাওয়া মুশকিল। শান্তিনিকেতন, বিদ্যাসাগর এবং ইংরেজি সোপান এগুলো জেরোঙ্ কপি
করে নিলেন তামিকোসান।
টোকিও.জাপান ১০.১.২০১১
probirsrkr06@gmail.com
[প্রথমপাতা] |
|