অন্তিম যাত্রী
-মঈনুল ইসলাম মিল্টন-
কেবল গুছাতে থাকি, জীবন সায়হ্নে এসেও হয়না গুছানো কিছু
যেতে হবে বহুদূ্রে কেবল এতটুকুই জানি
গন্তব্য কোথায় জানা নেই, কেবল জানি, যেতে হবে
ইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায়, চড়তেই হবে অজানার ট্রেনে।
প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমাণ আমি
তথাপিও এদিক ,ওদিক দৃষ্টি,
এ ক্ষুদ্র সময়েও ইচ্ছা হয় না শেষ
অথচ সব ফেলে যেতে হবে রিক্ত হাতে।
সব কিছুর জন্যে মায়া হয়,
এমনকি ঘরের কোনে বসে থাকা বিড়ালটির দিকে চেয়েও বড্ড মায়া হয়
কিন্তু যেদিকেই তাকাই সব ধুসর বিবর্ণ, বিরান ।
কত শ্রমে কত ঘামে অর্জিত সম্পদ আমার
ফসলী জমি, মাছের পুকুর ,পূর্ব-পুরুষের ভিটে বাড়ি
মন খাঁ খাঁ করে , যেতেই কি হবে সব ফেলে?
যে রমণীর সাথে রঙিন রাত কাটিয়েছি বহু কাল
তাঁর উন্মীলিত বক্ষ খাঁজে নিজেকে লুকীয়ে রাখতে বড্ড ইচ্ছে হয়।
কোথায় যাব আমি? কোথাও যাব না ফেলে মায়ার সংসার
কিন্তু অনিচ্ছায় ঝাপসা চোখে চেয়ে দেখি
পশ্চিমে, সূর্যের দেহেও লেগেছে রক্তিম নিধন
|