প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

 

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ


আবদুল মান্নান
 


 

২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগের কথা । সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর ফলে নির্বাচিত সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাদকতা সংবিধানে প্রতিস্থাপিত হয়েছে । বিএনপি-জামায়াত জোট ধূয়া তুললো তারা এই ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনে যাবে না । নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহনের পূর্বশর্ত হচ্ছে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে না হলে দেশে আগুন জ্বলবে । একই আওয়াজ তুললেন লন্ডনে অবস্থানরত বেগম জিয়ার পলাতক পূত্র তারেক রহমান । জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জামায়াত-বিএনপি জোটের একদল অনুগত বুদ্ধিজীবীরাও দাবি জানালো জামায়াত-বিএনপিকে সাথে নিয়েই নির্বাচনটা হোক । আওয়ামী লীগ প্রধান ও দেশের প্রধানমন্ত্রী উত্তরে জানালেন সংবিধান ঠিক রেখে তাতো সম্ভব নয় । তিনি এমনও প্রস্তাব দিলেন নির্বাচনকালীন সময় নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের নিয়ে একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার হোক, সেই সরকারের মন্ত্রী সভায় গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদটাও বিএনপি নিক তারপরও সাংবিধানিক উপায়ে নির্বাচিত গণপ্রতিনিধিদের অধীনেই নির্বাচন হোক । নাহ্ অটল জামায়াত-বিএনপি জোট । তারা সাথে পেল এদেশের বেশ কিছু মিডিয়া । এই সব কিছুতে বলিয়ান হয়ে এই জোট দেশের নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে পেট্্েরাল বোমা যুদ্ধ শুরু করলো । প্রতিদিন আগুনে পুড়ে মারা পরছে নিরীহ মানুষ । শিশু, মহিলা, রুগি, পুলিশ, সশত্রবাহিনীর সদস্য, ডাক্তার, ঘরে ফেরা কেরানি, অবুঝ গবাদি পশু বাদ গেল না কিছু । শেখ হাসিনা ফোন করলেন বিএনপি প্রধান এবং পেট্রোল বোমা যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি বেগম জিয়াকে । বললেন ‘আসুন আমরা মিলে মিশে একটি নির্বাচন করি। আপনারা মন্ত্রী সভায় যে ক’টি পদ চান তা দিতে আমার কোন আপত্তি নেই’ । বেগম জিয়া শেখ হাসিনার এই আমন্ত্রণতো গ্রহণ করলেনই না বরং তাঁকে চরম ভাবে অপমান করলেন ।
যুক্তরাষ্ট্র হতে উড়ে এলেন জাতীসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত ওসকার তারানকো । পৃথক ভাবে বৈঠক করলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্বের সাথে । দেখা করলেন শেখ হাসিনা ও বেগম জিয়ার সাথে । একটা সমঝোতায় পৌঁছেছিলেন তেমন খবর মিডিয়াতে প্রকাশিত হলো । শেখ হাসিনাকে অন্তবর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী রেখে নির্বাচন হতে পারে । বেগম জিয়া বললেন কখনই না । ভেস্তে গেল সব কিছু । পেট্রোল বোমা যুদ্ধ অব্যাহত থাকলো । এই সময় খোদ আওয়ামী লীগের ভিতরেও কিছু নেতা নেত্রীর মধ্যে দ্বিধা দেখা দিল । কারো কারো শংকা হলো এই সব অরাজকতাকে পূঁজি করে আবার কোন তৃতীয় শক্তি না ক্ষমতা দখল করে । বেগম জিয়াতো প্রকাশ্যে উস্কানি মূলক বক্তব্য দিয়ে সেনা বাহিনীকে ক্ষমতা দখলের আমন্ত্রণই জানালেন । অবিচল থাকলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা । সব বাধা উপেক্ষা করে জামায়াত-বিএনপি’র বয়কটের মধ্যে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচন হলো । জামায়াত বিএনপিকে তাদের কোন কোন বিদেশী বন্ধু আশ্বাস দিল হয়ে যাক এই নির্বাচন । বছর না ঘুরতেই শেখ হাসিনা আর একটা নির্বাচন দিতে বাধ্য হবেন । মধ্যবর্তী নির্বাচন গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় নতুন কিছু নয় । কিন্তু তার জন্য কারণ থাকতে হবে । তেমন পরিস্থিতিতে একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন না হলে বিরোধী দল গণআন্দোলনের মুখে তা দিতে ক্ষমতাসীন দল বা জোটকে বাধ্য করে । কিন্তু জামায়াত-বিএনপি জোটের এমনই দূর্ভাগ্য যে তাদের পেট্রোল বোমা যুদ্ধের কারণে তারা জনগণ হতে অনেকটা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছিল । তারা বুঝতে অক্ষম ছিল যে যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে সাথে নিয়ে আর যাই হোক গণআন্দোলন সম্ভব নয় । তাদের বিদেশী বন্ধু এবং সুহৃদরা ইতোমধ্যে বুঝে গেছে যে বিএনপি-জামায়াতকে দিয়ে বাংলাদেশে আর কোন গণআন্দোলন সম্ভব নয় । তাদের সামনে এও পরিষ্কার যে বিএনপি’র রাজনীতি বর্তমানে এই দেশে অপ্রাসঙ্গিক হয়ে গেছে । আর জামায়াত এখন অস্তিত্বের সংকটের মুখে । সময় সুযোগ বুঝে এখন তাদের ক্যাডাররা এবিটি বা হিযবুত তাহরিরের মতো নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনের ভিতর ঢুকে পরছে আর সুযোগ পেলে নিরীহ মানুষ হত্যা করছে আর আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে প্রাণ হারাচ্ছে । আর যখন হান্নান শাহ্র মতো বিএনপি নেতারা বলেন সরকারের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে যে সকল জঙ্গি প্রাণ হারাচ্ছে তাদের বেশীর ভাগই তাদের কর্মী তখন তাদের বিদেশী বন্ধুদের বুঝতে অসুবিধা হয় না বিএনপি’র কোন ভবিষৎ নেই বরং শেখ হাসিনার সাথেই মিত্রতাটা ঝালাই করে নেই । বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান বিশ্বের সকল পরা শক্তির জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । হঠাৎ দেখা গেল যে সকল দেশ শেখ হাসিনার সরকারের নাম শুনলেই অস্বস্তি বোধ করতো তাদের গুরুত্বপূর্ণ নীতি নির্ধারকরা ছুঠে আসছেন বাংলাদেশে ।
এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি অনেকটা সকলের অগোচরে ঘটে গেল । যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে প্রত্যাহার করা বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ঢাকায় ফিরে আসার মাধ্যমে । তুরস্কের ক্ষমতাশীন সরকারি দল জামায়াতের বড় মিত্র ও সমর্থক । সে দেশের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি আর জামায়াতের মতাদর্শগত ভাবে মিল আছে অনেকটা । বাংলাদেশে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের বিচার শুরু হলে এরদোগান নিজে চিঠি লিখে এই বিচার বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন । একটি প্রতিনিধি দল এসে ট্রাইবুনালে বিচার প্রক্রিয়াও দেখে গেলেন । মতিউর রহমান নিজামির ফাঁসি হলে ঢাকা ছাড়লেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত । এরই মধ্যে সেই দেশে ঘটে গেল একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যূত্থান । অবকাশ যাপন হতে এরদোগান ফিরে এসে ঢাকায় তাঁর নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে ফেরত পাঠালেন । এসে রাষ্ট্রদূত সাংবাদিক ডেকে বললেন তুরস্ক বাংলাদেশ ভাই ভাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে আর কোন চিন্তা নেই । এই সব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় । গত মে মাসে জাপানে অনুষ্ঠিত হলো ধনী দেশগুলোর জি-৭ সামিট । বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হলো কী যাদুমন্ত্র বলে তিনি বাংলাদেশকে উন্নয়নের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাঁর কাছ হতে তা শোনার জন্য । নানা প্রতিকূলতার মাঝেও শেখ হাসিনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জনের কাহিনী শোনালেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে । শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রশংসিত হলো তাদের কাছে । ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান ঘটনার পর বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ইমেজের কিছুটা হলেও ক্ষতি হয়েছে । এই দেশে কর্মরত বিদেশীদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বাভাবিক কারণেই বিচলিত হলেন কেউ কেউ । জাপানের প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন যদিও তাদের সাতজন নাগরিক ঘাতকদের হাতে নিহত হয়েছেন তথাপি বাংলাদেশের প্রতি তাদের সহযোগিতার হাত পূর্বের মতো প্রসারিত থাকবে । ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিম বাংলাদেশে খেলতে আসার কথা রয়েছে সেপ্টম্বও মাসে । নিরাপত্তার বিষয়টা সামনে চলে আসাতে এই সফর নিয়ে দেখা দিল অনিশ্চয়তা । লন্ডন হতে উড়ে এলেন তাদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ । ফিরে গিয়ে জানিয়ে দিলেন নিরাপত্তা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট । ইংল্যান্ড দল যথা সময়ে খেলতে আসবে ।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে যুক্তরাষ্ট্র বেশ বেজার থাকে । সামরিক জান্তা বা তাদেও সমর্থিত সরকার যুক্তরাষ্টের বেশ পছন্দ । আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে এদেশে তাদের রাষ্ট্রদূতরা সব সময় নানা পরামর্শ দিয়ে সরকারকে অস্বস্তিতে রাখে । নিয়মিত বিরতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে কারণে অকারণে বাংলাদেশ বিষয়ে শুনানি হয় । সেখানে বাংলাদেশ হতে উড়ে যান কট্টর আওয়ামী লীগ বিরোধী সুশীল ব্যক্তিরা । সাথে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিছু ভাড়াটে বুদ্ধিজীবী । একই রকম অর্থহীন শুনানি হয় যুক্তরাজ্যের হাউজ অব লর্ডসে । বাংলাদেশে আসার পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনেট কমিটিতে বাংলাদেশে নব নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্ণিকাট ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে এমন সব মন্তব্য করলেন যাতে মনে হতে পারে তিনি বিএনপি’র ওয়ার্কিং কমিটির একজন সদস্য । সেই বার্ণিকাট এখন বলছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে । ২৭ আগস্ট যুক্তরাজ্যের আন্তজার্তিক উন্নয়ন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ররি স্টুয়ার্ট দু’দিনের সফরে এলেন বাংলাদেশে । নতুন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই ব্রিটেনের কোন মন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর । অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গিকার ব্যক্ত করলেন তিনি । বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার বৃটেন । অনেককে অবাক করে দিয়ে বাংলাদেশে এক দিনের সফরে ২৯ তারিখ ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি । কেরি সাহেব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে বাংলাদেশ তথা শেখ হাসিনা সরকারের উপর বেশ বিরক্ত ছিলেন । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের ফাঁসি না দিতে জোর দাবি জানিয়েছিলেন । এই বিষয়ে শেখ হাসিনা তার সিদ্ধান্তে অবিচল থেকেছেন । কেরির ঢাকা সফর বেশ গুরুত্বপূর্ণ নানা কারনে । ঢাকা সফরকালে তিনি ধানম-ি বত্রিশ নম্বরের সেই ঐতিহাসিক বাড়ীটিতে গেলেন যেখানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করেছিল । যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোন শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তির এই ঐতিহাসিক বাড়ীতে প্রথম আগমন । বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলের স্তবক দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালিকে শ্রদ্ধা জানালেন কেরি। সেখানে তিনি চল্লিশ মিনিট অবস্থান করেছেন । শুনেছেন সেই কালো রাতের ঘটনার বিবরণ । মন্তব্য খাতায় লিখেছেন বঙ্গবন্ধুকে কাপুরুষের মতো হত্যা বিরাট ট্র্যাজেড । এই হত্যা সাহসী ও উজ্জল এক নেতৃত্বকে কেড়ে নেওয়া হয় । হয়তো কেরি সাহেব জানেন না সেই কাল রাতের ঘটনায় তার দেশ কতটুকু নিবিড় ভাবে জড়িত ছিল । অনুভ’তি প্রকাশ করতে গিয়ে লিখেছেন তাঁরই কন্যার দৃঢ় ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ । ঢাকা ছাড়ার আগে বললেন যুক্তরাষ্ট্র সব সময় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলদেশের পাশে থাকবে । প্রয়োজনে জঙ্গি মেকাবেলায় বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র এ সঙ্গে লড়াই করবে । ২০০২ সালে তৎকালিন মার্কিণ পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে এসছিলেন । তখনো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় । কেরি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে দেখা করে বললেন তার দেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদেও তিনি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করবেন । পড়ন্ত বিকেলে বিএনপি’র চেয়্যারপারসন অনেকটা যেঁচে গিয়ে জন কেরির সাথে দেথা করে তার কাছে নালিশ করলেন শেখ হাসিনার সরকার তার ব্রা-ের গণতন্ত্র চর্চায় তাকে বাধা দিয়ে মানবাধিকার লংঘন করছেন । ১০ অক্টোবর চীনের প্রেসিডেন্ট আসছেন বাংলদেশে । চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়া বাউ ২০০২ সনে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন । চীনের সাথে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক যে কোন সময়ের চাইতে এখন অনেক সুদৃঢ় । পদ্মা সেতুর মতো মেগা প্রজেক্ট এখন তাদের হাতে । কথা আছে আগামীতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বাংলাদেশে আসবেন ।
বিদেশী অতিথিদের বাংলাদেশে এত ঘন ঘন আসা যাওয়াটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ । জন কেরির এই সফরতো বটেই । এই অঞ্চলে আঞ্চলিক নিরাপত্তার দিক থেকে বাংলদেশের অবস্থান কৌশলগত ভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ । বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক ভাল থাকলে ভারত মহাসাগরের উপর নজরদারি বাড়ানো যায় । বাংলাদেশ একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করবে । ষোল কোটি মানুষের দেশের এত বিশাল বাজারের দিকে সকলের নজর থাকাটা স্বাভাবিক । তার জন্য চাই একটি স্থিতিশীল সরকার । ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর হতে বহির্বিশ্ব বুঝে গেছে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অন্য যে কোন সময়ের তুলনায় ভাল । শেখ হাসিনার পক্ষে বাংলাদেশে অনেক কিছুই করা সম্ভব । বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপি অনেকটা অপ্রাসঙ্গিক । শেখ হাসিনা সরকারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারলে সকলেরই লাভ । হতে পারে সেটা যুক্তরাষ্ট্র অথবা ভারত বা চীন ।

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক । ২, সেপ্টম্বও , ২০১৬

 

 

 

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 

 

[প্রথমপাতা]

 

 

 

লেখকের আগের লেখাঃ