|
যত দুরে যাও
-কাজী ইনসানুল হক
চলে গেলেন বিশিষ্ট লেখক অনুবাদক, গবেষক ফখরুজ্জামান চৌধুরী। চির চেনা
পৃথিবীতে ৭৪ বছর কাটিয়ে চিরদিনের জন্য ঠিকানা নিলেন সেই না ফেরার দেশে।
তাকে নিয়ে জাপান প্রবাসী আমাদের কিছু জ্বলজলে স্মৃতি রয়েছে, আজ তার বিদায়
লগ্নে তার সস্ত্রীক জাপান ভ্রমণের সেই ক'টা দিনের কিছু সময়ের কথা মনে পড়ে।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিলারা জামান তার স্ত্রী, তাদের এক মেয়ে জাপান প্রবাসী,
মেয়ে-জামাই আর নাতি দেখতে ওনাদের জাপানে আসা।
আমরা এই দুই গুণীজনকে নিয়ে একদিন (২৮ জুন ২০০৯) একটা আড্ডার আয়োজন করলাম টোকিও'র অকাবানে
বিবিও হলে, মাত্র দুই দিনের প্রস্তুতিতে সম্বর্ধনায় উপস্থিত হয়েছিলেন
অনেকেই। হল ভর্তি দর্শক প্রিয় এই দু'জন মানুষের সন্নিধ্যে একটি মনোরম
সন্ধ্যা
উপভোগ করেন। প্রশ্ন উত্তর আর মধুর আলাপের সেই আনন্দঘন স্মৃতি এখনো অমলিন।
জাপানের বাংলা কাগজ পরবাসে তিনি লিখতেন। দশদিকে তার লেখা যেত। এত বড় লেখক
অথচ জাপানের কাগজের জন্য লেখা পাঠাতেন। বড় বড় লেখক যারা এক লেখা একখানে
ছাপাতেন আর
একই লেখা অন্য কাগজেও পাঠাতেন -তিনি তার ঘোর বিরোধী ছিলেন। বলতেন তোমরা
প্রবাসে এত প্রতিকুলতা কাটিয়েও পত্রিকা বের করো আর আমরা লেখার কপি পাঠিয়ে
নিজের হীনতাই প্রকশ করি।
মনে আছে পত্রিকা প্রকাশ হলে তিনি ঢাকায় আমার বাসায় নিজে গিয়ে পত্রিকা
সংগ্রহ করতেন।
এক সময় তিনি কিছু দিনের জন্য প্রবাসী হয়েসিলেন, স েসময় একদিন ফোন বলেছিলেন
....জীবনভর রেডিও টিভির সরকারী চাকুরে ছিলাম, শেষ বয়সে প্রবাসী হলাম। না
ভাই, প্রবাস জীবন অনেক কষ্টের। আবার ব্যাক টু প্যাভেলিয়ন।
ওনার বিদায়ে আমরাও শোকাহত।
তার আত্মার শান্তি কামনা করি।
পরম করুণাময় তার সহায় হোন।
কাজী ইনসানুল হক,
উপদেষ্টা সম্পাদক
কমিউনিটি নিউজ
ইমেইলঃ
kaziensan@gmail.com
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
লেখকের আগের লেখাঃ
|