![]()
|
||||||||||||||||||
|
যতগুণঃ কাঁচা আম
ডা. স্বপন কুমার মন্ডল কাঁচা আমে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ থাকে। চোখের স্নায়ু ও মাংসপেশি শক্তিশালী করতে ভিটামিন ‘এ’ এর ভূমিকা অপরিহার্য। আর ভিটামিন ‘সি’ যুদ্ধ করে ছোঁয়াচে রোগের বিরুদ্ধে। মুখের ভেতরের চামড়া উঠে যাওয়া, মাড়িতে ঘা হওয়া, ঠোঁটের কোনায় ঘা, ঠোঁটের চামড়া ফেটে যাওয়া—এসব রোগ প্রতিরোধে দরকার ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’, যা রয়েছে কাঁচা আমে। ইহাতে ভিটামিন ‘বি সিক্স’ বা পাইরিডক্সিন রয়েছে । পাইরিডক্সিন মানুষের মস্তিষ্কে গাবা নামের এক ধরনের হরমোন তৈরি করে, যা প্রতিরোধ করে স্ট্রোক ও মস্তিষ্কের অন্যান্য জটিল রোগ। এতে রয়েছে কপার নামের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা দেহে রক্ত বাড়াতে সাহায্য করে। বিটা ক্যারোটিন থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে, পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে। কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তস্বল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী, ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ হওয়ায় গরমে ঠাণ্ডাজাতীয় রোগ প্রতিরোধ, কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ সাহায্য করে, লিভার ভালো রাখে, নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করে, অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে, ত্বক উজ্জ্বল করে, দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে, ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, এ ছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। গর্ভবতী মায়েরা কাঁচা আম খেলে বাচ্চার মেধা ভালো হয়, জন্মের পর বাচ্চার সংক্রামক রোগগুলো তুলনামূলকভাবে কম হয়। চর্বি কমাতে, ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে কাঁচা আম। যেকোনো কাটা-ছেঁড়া বা অপারেশনের পরে এই ফল কাটা স্থান দ্রুত শুকাতে সাহায্য করবে। তবে ফল অতিরিক্ত টক হলে খাবেন না। এতে কাটা স্থান পেকে পুঁজ জমতে পারে। হালকা টক খাওয়াই উত্তম। আবার বেশি উপকারের আশায় কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হতে পারে। ডায়ারিয়া চলাকালে কাঁচা আম খাবেন না।
ARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. |
লেখকের আগের লেখাঃ
|