[প্রথমপাতা]
|
গোপন আগুনের প্রকাশ্য রেখাগুলো
শরীফা বুলবুল
দু’দুবার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও হাসলে এখনও মাহিনের গালে টোল পড়ে। এখনও পুরুষ্টু
যৌবন তার। ছিপছিপে গড়ন। উজ্জল শ্যামলা। কিন্তু বোরকায় ঢেকে রাখে সৌন্দর্য। তাকে
দেখলে কেউ বলতে পারবে না যে দুজন পুরুষ তাকে বহুবার ব্যবহার করেছে। সে আমার দূর
সম্পর্কের ভাইঝি। তার বাবা আমার কাছে এনে পরম বিশ্বাসে বলেছে, ইনি তোর চাচা
মোকাদ্দেস বড় ব্যবসায়ী, শহরে কোনো বিপদ আপদ হলে তার কাছে ছুটে আসবি। মাহিন ফিক
করে হাসি দিয়ে বলল, আইচ্ছা। ওর মুক্তোঝরা হাসিটা যেন আমার বুকের মধ্যে আনন্দের
ঢেউ তুলে গেল। আমি ভেতরে ভেতরে উত্তেজিত হয়ে উঠি। সে তো আপন ভাইঝি নয়, এলাকার
মেয়ে। মাহিন শহরের মেয়েদের মতো অতো চালাক নয়। একটু বোকা এবং সরল টাইপের। ওকে
সহজেই জয় করা যাবে। আমি ওকে ফোন নাম্বার দিয়ে বলি যখনই প্রয়োজন হবে তুমি
নির্দ্বিধায় চলে আসবে অথবা মিসকল দিও আমি কলব্যাক করবো। ও আবারও মার্ভেলের মতো
হাসি ছড়িয়ে দিল আমার সামনে। আমি অপলক চেয়ে থাকি। ইচ্ছে করছে বোরকার আড়ালে ঢেকে
রাখা মাহিনকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করি। ওর বাবার কড়া আদেশ চাকরি করো, কিন্তু
ইসলামের অনুশাসন মানতে হবে। বোরকার আড়ালে চাপা দিতে হবে সৌন্দর্য। পর পুরুষকে
দেখানো যাবে না শরীরের এতোটুকু কনাও। তাছাড়া মাহিনও অহরহ রিকশার পেছনে, নানা
মিলাদ মাহফিলেও শুনেছে পর্দা নারীর মর্যাদা বাড়ায়। মাহিন পিতার বানী অক্ষরে
অক্ষরে পালন করে পটিয়ার হাছনদণ্ডি থেকে পতেঙ্গার কাঠগড়ে চট্টগ্রাম সিটি
কর্পোরেশন পরিবার কল্যান কেন্দ্রে কাজ করতে ছুটে আসে।
সপ্তাহখানেক পরেই মাহিন ফোন করে। চাকরীর পদোন্নতির জন্য প্রধান স্বাস্থ্য
কর্মকর্তাকে একটু সুপারিশ করতে হবে। বিনয়ের স্বরে বলে মাহিন। আমি ওকে আশ্বস্থ
করে বলি তুমি চিন্তা কোরো না আমি স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বলবো। সে বলে চাচা আমি
একটু কালকে আসতে চাচ্ছি। আমি বলি কোনো সমস্যা নেই সকাল আটটায় চলে এসো অফিস
যাওয়ার পথে। অপর প্রান্ত থেকে মাহিনের হাসির শব্দে আমি দুলে উঠি, আমার চোখে
ভাসতে থাকে বাংলার বনের মতো শ্যামল একটি মুখ, যে মুখ সপ্তাহখানেক আগে আমার
বুকের পাড়ায় ঝড় তুলে গেছে। আমি সকালেই অফিসে চলে আসি মাহিনের জন্য। মাহিন একটু
পরেই আসে। থাই এলুমনিয়ামের দরোজা ফাঁক করে হাসি ছড়িয়ে মাহিন বলে, আসসালা
মালাইকুম চাচা আসবো? আমি বলি, এসো এসো। ঘর্মাক্ত মাহিন ঢুকেই একটা দীর্ঘশ্বাস
ফেলে আমাকে বলে, চাচা পুরো শরীর ঘামে ভিজে গেছে একটু বোরকাটা খুলে বসি? আমি বলি
কেন নয়! তোমার যেভাবে আরাম লাগে সেভাবেই বসো। আমার কোনো সমস্যা নেই। বলার সাথে
সাথে মাহিন আমার সামনে টপাস টপাস করে বোরকার সবকটি বোতাম খুলে চেয়ারে ছুঁড়ে
মারল বোরকাটি। যেন সে একেকটি সৌন্দর্যের জানালা আমার সামনে মেলে দিচ্ছে আর আমি
মুগ্ধ হয়ে দেখছি। এ যেন এক অচেনা গুপ্তধন! আমি ওকে আমার চেয়ারে লেপ্টে থাকা
তোয়ালেটি বাড়িয়ে দিয়ে বলি, নাও ঘামটা মুছে ফেলো। তোয়ালে হাতে নিয়ে ও লাজুক লতার
মতো নেতিয়ে পড়লো চেয়ারে। একটু আবেগী এবং মুগ্ধ ভঙ্গীতে আমার চোখে চোখ রাখলো।
মাহিন গ্রামের নিুবিত্ত পরিবারের মেয়ে। কোনোমতে ইন্টার পাশ করেছে নকল টকল করে।
এমন গোছানো স্মার্ট অফিসে ওর খুব বেশী যাতায়াত নেই, হয়তো এইই প্রথম। তা ওকে
দেখলেই টের পাওয়া যায়। এখানে সে সহজ হতে পারছে না। একটু আড়ষ্টতায় নিজেকে
শামুকের মতো গুটিয়ে রেখেছে সংকোচে। আমি সংকোচ কাটাতে ওকে বলি, তুমি আরাম করে
হেলান দিয়ে বসো। ও হাসতে হাসতে রঙিন হয়ে ওঠে। ওর অন্তর ছুঁয়ে যাওয়া নদীর ঢেউয়ের
মতো হাসি আমি মুগ্ধ হয়ে দেখতে থাকি! আমি দেখতে থাকি আমার সামনে ঝুলে থাকা একটি
পাকা কামরাঙা! ওর মেদহীন শরীর আমি চোরাচোখে দেখতে থাকি। কখনওবা সরাসরি। মাহিন
ব্যাগ থেকে দুমড়ানো মোচড়ানো একটা কাগজ বের করে আমার সামনে মেলে ধরে এবং ভুল
বাংলায় ভুল উচ্চারনে বলল, এই আমার এফয়েনমেন্ট লেটার আফনি আমার জইন্য স্বাস্থ্য
কর্মকর্তাকে একটু সুপারিশ করলে আল্লার রহমতে আমার পরমশন হই যাইব। আমি ওকে
আশ্বস্থ করে বলি, এটা করা আমার জন্য এক ঘন্টার ব্যাপার। মাহিন আবারও মুগ্ধ হয়ে
আমার চোখে চোখ রাখে এবং ন্যাকা গলায় বলে, তাইলে দেরী করবেন না কালকেই যাইতে
হবে, আমার কষ্ট আর সহ্য হচ্ছে না। আমি ওকে কথা দেই কালকেই যাবো বলে। মাহিন
হিল্লোল তোলা খুশিতে আমার রিভল্বিং চেয়ারে নেচে ওঠে, নেচে ওঠে ওর সারা অঙ্গ।
আমি ওর উচ্ছ্বাস উপভোগ করি নিজের ভেতরের পশুটাকে দমন করে। ইচ্ছে করছে ছুঁয়ে
ফেলি। কিন্তু সম্পর্ক আমার সামনে বারবার নিষেধের আঙ্গুল তুলে ধরছে! এক অদৃশ্য
প্রাচীর আমাকে বলছে, না! বার্লিন প্রাচীরের চেয়েও সে প্রাচীরকে ভাঙ্গা আমার
কাছে জরুরি মনে হচ্ছে। আমি এ প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলবো। আবেগের নদীকে দমন করবো
ইচ্ছের বিরুদ্ধে এমন সাধু সন্ত আমি নই। কিছুই না মানা আপাত মানুষ আমি মৌনতা
রচিত মাঠ, আমি আরো মাঠের দিকে যেতে চাই! আমি এই তথাকথিত সম্পর্ককে থোড়াই কেয়ার
করি। আমাকে চুপচাপ দেখে মাহিন বলে, চাচা আমি আজকে যাই? আমি বলি, ঠিক আছে যাও।
কিন্তু কালকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বাসায় আমার সঙ্গে তোমাকেও যেতে হবে। আসতে
পারবে তো? মাহিন বলে, অবশ্যই পারবো। আমি বলি, কাল তাহলে আরো একটু সকালের দিকেই
চলে এসো। লাস্যময়ী হাসি দিয়ে মাহিন বলে, এবার আমি যাই? আমি বলি, আরেকটু বসো,
যাবে আরকি। মাহিন ঝুপ করে আবার চেয়ারে বসে পড়ে। আমি ওকে দেখতে থাকি নেশাভরা
চোখে, ওর প্রতি আমার দৃষ্টি নিবদ্ধ দেখে লজ্জায় সে মাথা নীচু করে রাখে। কিছুটা
কৃতজ্ঞতা আর কিছুটা বিনয়ে! নিুবিত্ত ভদ্রতা! একটু ছুঁয়ে দিলেই মনে হচ্ছে নুয়ে
পড়বে। নিজেকে আবারও শাসন করি। না থাক, আজ ছুঁবো না। সামনে সময় আছে। এতো তাড়া
কিসের! আমি ওকে বলি, ঠিক আছে আজ আর দেরী না করে অফিসে চলে যাও। কাল তাড়াতাড়ি
চলে এসো। মাহিন আবারও বিগলিত হাসি থ্রো করে বোরকার আড়ালে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
আমি উঠে ওকে দরোজা খুলে দিয়ে পিঠে আলতো হাত রেখে বলি, চিন্তা কোরো না আমি আমার
সাধ্যমতো তোমার জন্য চেষ্টা করবো। কাল তাড়াতাড়ি চলো এসো কিন্তু! মাহিন চলে
যাওয়ার পর এক ধরনের অনামা ভালোলাগার আবেশ ছড়িয়ে পড়ে আমার শরীর মনজুড়ে। আমি
সীমাহীন সুখে ভরে যেতে থাকি। আমার চোখে ভাসতে থাকে গ্রামীন বাতাসে মদির মাহিনের
ঝিলিক দেয়া হাসি, নির্মেদ শরীরের একেকটি বাঁক, গালের দু’পাশের টোল। বুকের
অসাধারন সৌন্দর্য! অফিসে সারাদিন অস্থিরতায় কোনো কাজে মন বসাতে পারিনি। রাত হয়ে
উঠেছে মাহিনময়! সকালে উঠে প্রাতঃভ্রমণ সেরে নাস্তা করে ছুটে যাই অফিসের
উদ্দেশ্যে, দেখি মাহিন আমার আগেই অফিসের গেটে হাজির। ভোরের শুভ্রতা ওর চোখে
মুখে একধরনের অনাবিল øিগ্ধতা বিলাচ্ছে। ঘামে ভিজে শ্যামলা মুখটি আপেলের মতো
লালচে হয়ে উঠেছে। অফিসে ঢুকে মাহিন অনুমতি ছাড়াই কালো বোরকাটি ছুঁড়ে মারলো
চেয়ারের উপর। আমি তোয়ালে এগিয়ে দেই ঘাম মোছার জন্য। গতকালের চেয়ে আজ ওকে অপূর্ব
লাগছে। ফিনফিনে কালো জর্জেটের থ্রিপিছ পড়েছে। চোখে কাজল দিয়েছে, ঠোঁটে চকলেট
কালারের লিপস্টিক এবং টোলপড়া গালের দু’পাশে সামান্য রুজ মেখেছে, এক হাতে কালো
ঘড়ি অন্যহাতে কাঁচের চূঁড়ি। একটু নড়াচড়া করলেই রিনিঝিনি বেজে উঠছে। ওর জর্জেটের
ভেতর থেকে উঁকী মারছে সুন্দরবন! যেন জর্জেট জ্যোৎøা! ইচ্ছে করছে ঐ জ্যোৎøামাখা
সুন্দরবনে ঢুকে তছনছ করে ফেলি! আমি ভেতরে ভেতরে অবাক হয়ে যাই। তবে কি মাহিন
আমার মুগ্ধতা টের পেয়ে গেছে! গতকাল আর আজকের মাহিনের মধ্যে কোথায় যেন সাদৃশ্য
খুঁজে পাচ্ছি না। একধরনের রহস্যময়তা খেলা করছে ওর চোখের ছায়ায়! যেন চোখে মুখে
ফুটে উঠেছে গোপন আগুনের একেকটি প্রকাশ্য রেখা। কিছুটা মুগ্ধতাও! রহস্যের জাল
ছিঁড়ে মাহিন বলল, চাচা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে কটায় যেতে হবে? আমি বলি,
দশটায়। তাহলে এতো তাড়াতাড়ি আসলাম যে! আমি বলি, কোথাও যেতে হলে প্রস্তুতি নিয়ে
একটু ধীরে সুস্থে যেতে হয়। কেন তোমার কোনো সমস্যা আছে নাকি! ও বলল, না না আমার
কোনো সমস্যাই নেই। আমি আজকে ছুটি নিছি। ভাবতেছি আপনার সমইস্যার কথা, আপনি তো
ব্যস্ত মানুষ, আমার জইন্য আপনার কোনো ক্ষতি হলে...। আমি বলি, সেটা নিয়ে তুমি
চিন্তা কোরো না। মাহিন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে চেয়ারে নিজেকে ছড়িয়ে দেয়। বুক
থেকে ওর ফিনফিনে জর্জেট ওড়না গড়িয়ে পড়ে চেয়ারের হাতলে! ভেতর থেকে উঁকী মারছে
মোমের মতো সৌন্দর্য! মনে মনে বলি অফিস চুলোয় যাক। আমি তোমার জন্য অনন্তকাল
এভাবে বসে থাকতে পারি। মাহিন তোমার অমল যৌবনের নদীতে আমাকে ভাসিয়ে নিও প্লাবিত
হলে। আমি তাড়াহুড়োর ভান করে মাহিনের হাত টেনে ধরে বলি, দেখি দেখি তোমার ভাগ্যে
কি আছে! ও সীমাহীন উৎসাহে দুহাত বাড়িয়ে দেয়! আমি ওর এক হাত আমার হাতের মুঠোয়
ধরে রাখি, আরেক হাত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে থাকি। যেন আমি মহাজাতক! থাই
এলুমনিয়ামের কালো গ্লাসটা টেনে দিয়ে দরজা লক করে দেই। ওকে বলি, তুমি আমার পাশে
চলে এসো দেখতে সুবিধা হবে। ও কবুতরের মতো অনেকটা বাকবাকুম খুশিতে একেবারে আমার
গা ঘেঁষে লেপ্টে থাকে। আমি কেঁপে উঠি। আমি হাত দেখতে দেখতে মাহিনের দুহাত আমার
দুহাতে নিয়ে খেলতে থাকি! ওকে পিষতে থাকি! ও একটুও না করেনি। বরং হেসে কুটি কুটি
হচ্ছে। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে ওর টোলপড়া গালে চুম্বন এঁকে দেই। ও চোখ দুটো বুঁজে
রাখে। আমি ওকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে থাকি। আমি সুখে ভরে যেতে থাকি। আমি ওকে বলি,
প্রতিদিন তুমি আমার কাছে এভাবে আসবে তো? তোমার জন্য আমি সব কিছু করবো। ও বলে,
আমার মতো এমন আনপড়া নগণ্যের ঠাঁই হয়েছে আপনার মতো এতো বড় শিক্ষিতের কাছে এইটা ত
আমার জইন্য ভাইগ্যের ব্যাপার! আমি বলি, নিজেকে অতো ছোটো মনে কোরো না তো! একজন
শিক্ষিতের কাছে যা আছে তোমার কাছেও তাই আছে। তুমি অনেক শিক্ষিতের চেও সুন্দর,
তুমি আমার পরী, তুমি আমার সুখ! তোমাকে আমি সুখ বলেই ডাকবো কেমন! মাহিন বলে,
আইচ্ছা। আমি ওকে বলি, তুমি কালকে আসবে? ও বলে, আমি প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে
এদিকে আসবো। শয্যা ও শরীরের টান কতোটা আগ্রাসি তা মাহিনের অজানা নয়। মাহিন অল্প
শিক্ষিত তাতে কি! আমি কি ওর কাছে তো শিক্ষা চাই না, চাই শরীরের সুখ, প্রেম নয়,
কাম।
আমি শিলাকে ভালোবাসি। শিলা একটা ফোন কোম্পানীতে চাকরি করে। ওর অফিস ছুটির পর
আমরা বিকেলে মিলিত হই। শিলা আধুনিক হলেও একটু রক্ষণশীল। বিবাহপূর্ব শারিরীক
সম্পর্কে জড়াতে সে রাজি নয়। ওর ওই মানসিকতায় আমি ভেতরে ভেতরে একধরনের অভিমান
এবং ক্ষোভ পুষে রাখতে রাখতে ফেড আপ। তাই শিলাকে আমি বাকির খাতায়ই রেখে দিয়েছি।
সে থাক তার রক্ষণশীল সেন্টিমেন্ট নিয়ে। শিলার কাছেই শুনেছি ্শিল্পী নন্দিতা
রোজারিও নিজের চেয়ে বছর পাঁচেক ছোটো এক ছোকরার সঙ্গে ফষ্টিনষ্টি করতে। ওর কি
মাঠের দিকে যেতে ইচ্ছে করে না! আমি ওকে বহুবার এই প্রশ্ন করে, অসভ্য ছাড়া কোনো
উত্তর পাই নি। এক ব্যতিক্রমী প্রানী শিলা। ওকে ভালো না বেসেও পারি না। ছাড়তেও
পারি না। তাই বলে নগদ যা পাই নেবো না কেন! পেটের ক্ষুধা অন্নে মেটে, শরীরের
ক্ষুধা মেটাতে শরীর চাই।
আমার অফিসটা প্রাইভেট ফার্ম। এগারোটার আগে কেউ আসে না। আমি মাহিনকে জড়িয়ে ধরে
বসে থাকি। ও কবুতরের মতো আমার বুকের ভেতর গুটিসুটি হয়ে মুখ গুঁজে থাকে পরম
নির্ভরতায়!
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
লেখিকার আগের লেখাঃ
|