নতুন স্বপ্ন আর
নতুন প্রত্যাশায় শুরু হলো ইংরেজী নতুন বছরের নতুন দিন। আমরা নতুন
স্বপ্নে শুরু করেছি নতুন বছর ২০১৭ ,পুরাতন বছর ২০১৬ কে বিদায় দিয়ে।
নানা উৎসব-আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশের মানুষ স্বাগত
জানাতে ব্যাস্ত খ্রিস্টীয় নতুন বছর ২০১৭-কে। নবচেতনায়, নতুন
উন্মাদনায় ইংরেজী নববর্ষে বিশ্ববাসী মেতে উঠছে নতুন বছরের নতুন
প্রত্যাশায়। যেখানে প্রাপ্তির হিসেবটা দ্বীর্ঘমেয়াদী। সময়ই বলে দেবে
আশা-নিরাশার মাঝে নতুন বছর আমাদে স্বপ্নকে কতটা পুরণ করতে পারবে।
শুভ নববর্ষ ২০১৭ খ্রিস্টাব্দ।
গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব ও নতুন বছরের পরিকল্পনাকে
আরও উজ্জীবিত করবে এমন ভাবনাকে পুঁজি করে বিশ্বের সকল জাতি-গোষ্ঠীর
মানুষ আশাবাদী হয়ে খ্রিস্টীয় ২০১৭ সালকে বরণ করছে আনন্দ- উল¬াসে ।
নতুন নতুন স্বপ্নের খোঁজে স্বপ্নবাজরা ছক আঁকছেন উন্নত জীবন আর
সামগ্রিক উন্নয়নের।
নববর্ষ বরণের এই শুভক্ষণে সকলেরই অজানা সামনের বছরে কী অপেক্ষা করছে
বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসীর ভাগ্যে। তবে ভাগ্যের ওপর ছেড়ে না দিয়ে
মঙ্গলময় ভাল কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার শপথ সকলের। শুভ
প্রয়াস ও ভাল কিছুর প্রত্যাশা সব সময়ই থাকে। এমন কল্যাণকর উন্নয়নের
আশায়ই পথচলা শুরু হয় একটি নতুন বছরের নতুন দিনের। নতুন প্রত্যাশা
আর স্বপ্নে উদ্ভাসিত নতুন বছর ২০১৭-এর সূচনা হোক আলোকিত দিন আর
নিরাপদ জীবনধারার। আমরা আশাবাদী,কল্পনা আর কর্মে।
আশাবাদী মানুষের অপূর্ণতাগুলো পরিপূর্ণতা পাবে সকল পুরনো সমস্যার
যুগোপযোগী সমাধানে। নবজাগরণে নতুন স্বপ্ন আর প্রত্যাশাগুলো
বাস্তবায়িত হবে প্রতিটা পদক্ষেপে। সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে সমাজে
প্রতিষ্ঠিত হবে ন্যায়বিচার, প্রতিটি মানুষ ফিরে পাবে তার কাংক্ষিত
অধিকার- এমন প্রত্যাশা আজ সবার মনে। সত্যিকারের দেশপ্রেমিকের কর্মঠ
হাতের ছোঁয়ায় আমার জন্মভূমি সমৃদ্ধিতে ভরে উঠবে সেই কামনায়
ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠা হোক আমাদের স্বপেরœ বাস্তবায়নে ।
নতুন বছরে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে
বিভেদহীন সমাজ বির্নিমাণে কাজ করা। অবিচল প্রচেষ্টায় আগামীর সুখময়
বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলস প্রচেষ্টায় কাজ করে যাওয়াও জরুরী।
নি¤œ মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা স্বীকৃতি পেয়েছি। মধ্যম
আয়ের দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের ঐক্যবদ্ধ উন্নয়ন
পরিকল্পনার মাধ্যমে পরিশ্রম, সততা ও আন্তরিকতাপূর্ণ সংকল্প নিয়ে
কর্মোদ্যমী হওয়া দরকার।
শিক্ষা-সংস্কৃতির ধারা বেগবান করা, ব্যাপক হারে শিল্পায়নের মাধ্যমে
বেকারত্ব মোচন, আমদানি-রফতানি বৃদ্ধির দ্বারা বৈদেশিক মুদ্রার
রিজার্ভ, কৃষি খাতকে আধুনিকায়ন, সকল সেক্টরে তথ্যপ্রযুক্তির
ব্যবহার নিশ্চিত করা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি,
সত্যিকারের গণতন্ত্র চর্চার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে
সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে আমরা এ
নতুন বছরকে প্রাপ্তিতে অর্থবহ করে তুলতে পারি। সরকারের উদ্যোগের
পাশাপাশি বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগ দেশ গঠনের শুভ উদ্যোগকে এগিয়ে
নিয়ে যেতে পারে।
নতুন আশায় বুক বেঁধে আমাদের এগুতে হবে, নিরাশ হলে লাভের চেয়ে বরং
ক্ষতিই বেশি। তাই আমরা ইংরেজী নতুন বছরে শপথ নেব দেশ-মাতৃকার
উন্নয়নে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আন্তরিকতার
পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আলোকিত সময় উপহার দেব সকল বাধা-বিপত্তিকে
পেছনে ফেলে । নবউদ্যম আর কর্মচাঞ্চল্যে মুখরিত বছর হিসেবে ২০১৭
সালকে আমরা স্বপ্নের বাস্তবায়ন ও দিন বদলের প্রত্যয়ে সমৃদ্ধ
বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব মানচিত্রে শ্রেষ্ঠত্বের মহিমায় উজ্জ্বল করব-
এমন প্রত্যাশায় বিবেককে জাগিয়ে তুলি সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হিসেবে।
শুভকামনায় কাব্যধারায় বলতে চাই- নতুন বছর নতুন কিছু/মানে স্বপ্ন
নতুন দিন/নতুন বছর নতুন আশা/চাই সমাজ বিভেদহীন।/ইংরেজী সাল
২০১৭/নিউ ইয়ার হ্যাপি/সুখ থাক, উল্লাসে খুব/থাকুন বছর ব্যাপি।/গড়তে
জীবন ধরতে হবে/উন্নয়নের সড়ক/আনন্দে হোক উন্মোচন এ /নব বর্ষের মোড়ক
!
শুভ ইংরেজী নববর্ষ ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ।
______________________________________
সফিউল্লাহ আনসারী
সাংবাদিক
|