আমরা কবে দায়িত্ববান সভ্য মানুষ হয়ে উঠবো?
ইয়াগুচি সুমন
করোনাকালীন ইমার্জেন্সীর কারণে যেনো থমথমে মুত্যুপুরীতে আচ্ছন্ন জাপানের
টোকিও নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর!করোনার ছোঁয়া থেকে বাঁচার জন্য এখানে
নেওয়া হয়েছে আইনানুগ কঠিন নিরাপত্তা বলয়।এক সময় প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত
এই ব্যস্ত বিমানবন্দরটি এখন বলতে গেলে জনমানবশূণ্য এবং দেখলে সহজেই অনুমেয়
করোন ভাইরাস পৃথিবীর গতি চেপে ধরে কতটুকু আটকে দিয়েছে।আর তা সত্বেও কঠিন
স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন ওঠানামা করছে হাতেগোনা কয়েকটি ইমার্জেন্সী
আন্তর্জাতিক ফ্লাইট।তেমনই একটি আবুধাবির ইমার্জেন্সী ফ্লাইট গত ১মে ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে এসে আবুধাবি হয়ে গত ২ মে
বিকাল ৪:০৩টায় জাপানের টোকিও নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।এই
ফ্লাইটেরই যাত্রী ছিল ১০/১২জন প্রবাসী বাংলাদেশী এবং তারা ঢাকা হযরত
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য অফিসারের কাণ্ডজ্ঞানহীন
দায়িত্ব অবহেলার কারণে কঠিন বিপাকে পড়ে।দেশ ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের
সাথে কথা বলে জানা গেছে যে,ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের
স্বাস্থ্য অফিসারের করোনা চেকিং সংক্রান্ত কাণ্ডজ্ঞানহীন দায়িত্ব অবহেলার
কারণেই বিপাকে পড়তে হয়েছে জাপানের টোকিও নারিতা আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে
এই ১০/১২ জন প্রবাসী বাংলাদেশীকে!বর্তমানে যেকোন দেশে ভ্রমন করতে চাইলে
সরকারের নির্ধারিত হাসপাতাল থেকে COVID-19 Test করে নেগেটিভ হলে এবং
ভ্রমণের আগে হাসপাতাল কর্তৃক প্রদত্ত 'COVID-19 Test negative'-রিপোর্ট
বিমান বন্দর স্বাস্থ্য অথোরিটি যাচাই-বাচাই করে 'Certificate of testing
for COVID-19' প্রদান করে থাকে।এ দু'টো ডকুমেন্ট ছাড়া কেউ বিমান ভ্রমণ করতে
পারেনা।বিমানবন্দর অথোরিটি কর্তৃক প্রদত্ত 'Certificate of testing for
COVID-19' মূলত ভ্রমণকারী কোন ধরণের মেডিক্যাল টেস্ট করিয়েছে তা টীক(√)
চিহ্নের মাধ্যমে নির্ধারণ করে টেস্টের ফলাফল লিখে নিচে সীল এবং
স্বাক্ষর(ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্বাস্থ্য অফিসার) করতে
হয়।
কিন্তু গত ১মে ২০২১ তারিখে ১০-১২জন বাংলাদেশীর 'Certificate of testing for
COVID-19'-তে কোন প্রকার টীক(√) চিহ্ন না দিয়েই ঢাকা হযরত শাহজালাল
বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য অফিসার স্বাক্ষর এবং সীল দিয়ে দেন।সেই
সার্টিফিকেটই বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায় টোকিও নারিতা বিমানবন্দরে।ফলে
প্রায় ৮/১০ ঘন্টা চরন হয়রানি ও জেরার মুখে পড়তে হয় এই প্রবাসী
বাংলাদেশীদেরকে।
বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কথা বলে আর লাভ নেই।আমরা উন্নয়নের
জোয়ারের কথা বলে যতই মুখে ফেলা তুলি না কেনো,আমাদের কাণ্ডজ্ঞানহীন
কর্মকান্ডই প্রমাণ করে দেয় আমরা কতটা পিছিয়ে আছি।আমরা অন্যকে দেখেও শিক্ষা
নেই না কিংবা নিজেকে যোগ্য করে তুলতেও চেষ্টা করি না-এটাই বড় আফসোসের
কথা!যাই হোক,কেউ ভ্রমণ করলে নিজ দায়িত্বে নিজের প্রয়োজনীয় সবকিছু যথাযথ
ঠিক আছে কিনা-যাত্রার প্রাক্কালে একটু চেক করে নেওয়ার অনুরোধ জানাই।আমাদের
কপাল মন্দ;আমরা দুর্ভাগ্য জাতি-আমাদের আর কিই-বা করার আছে?
হিগাশি জুজো , কিতা কু , টোকিও
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |