এনআরবি'র জাঁকজমকপূর্ণ ঈদ পুনর্মিলনী
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। অক্টোবর ২০, ২০১৫ ।।
অনাবাসিক বাংলাদেশিদের সংগঠন এনআরবি জাপান গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যেয় রাজধানী
টোকিও'র আকাবানে'তে অবস্থিত বিভিও হলে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে।
শরতের হিমহিম ঠান্ডা আবহাওয়ায় জাপানের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য প্রবাসী
হাজির হন এ অনুষ্ঠানে।
সংগঠনের আহ্বয়ক কমিটির সদস্য নাবি উল্লাহ্ আসিফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান
অতিথি হিসেবে স্বস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ
বিন মোমেন।
সাধারণ প্রবাসীরা ছাড়াও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা বৃন্দ, বিভিন্ন
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে- জাকির হোসেন মাসুম, শেখ এমদাদ, হাফিজুল
আলম, জাকির হোসেন জোয়ার্দার, সাকুরা সাবের, কাজী মাহফুজুল হক লাল। বক্তারা
উপস্থিত সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা ব্যক্ত করেন।
সংগঠনের আহ্বায়ক শহিদুর রহমান হিরু তার বক্তব্যে, দূর-দূরান্ত থেকে
প্রবাসীদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্যে সকলকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ
জানান। তিনি এনআরবি'কে আরো সফল ভাবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
প্রধান অতিথি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন প্রবাসীদেরকে ঈদ ও দূর্গাপূজার
শুভেচ্ছা জানান। তিনি সম্প্রতি বাংলাদেশে নিহত দু'জন বিদেশি নাগরিকের
প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এই ঘটনায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে যে গতিশীলতা ছিলো তা হয়তো
কিছুটা গতি মন্থরতায় পড়েছে। আপনারা যেহেতু জাপানে আছেন তাই জাপানিদের ভেতরে
যে একটি নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে
হবে। তিনি প্রয়োজনে জাপানি নাগরিদেরকে দেশে নিয়ে গিয়ে পরিস্থিত তুলে ধরারও
অনুরোধ জানান। তিনি আরো বলেন, এক্ষেত্রে যদি কোনো সহযোগীতার প্রয়োজন হয় তবে
দূতাবাস নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতা প্রদান করবে।
জনাব মোমেন বলেন, অনেকেই হয়তো বিভিন্ন মন্ত্রীদেরকে ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন
কিন্তু সকলে পৃথক পৃথক ভাবে কাজ করার চেয়ে মিলেমিশে উদ্যোগ নিলেই তা বেশি
ফলপ্রসু হবে, তাই সকলকে সংঘবদ্ধ ভাবে চেষ্টা চালাতে হবে- তাতে লক্ষ্য
অর্জনের সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যের পর তাকে ও তার স্ত্রী সোমা ফাহমিদা জাবীন'কে
সংগঠনের পক্ষ থেকে
ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা
জানান মোঃ আবুল হাসেম, মীর মোঃ মোহসিন ও হাফিজুল আলম বাবুল।
রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীর হাতে ফুলের তোড়া তুলে দেন লুৎফুর রহমান শিপার।
অনুষ্ঠানে ওসাকা, কিয়োদো, নাগোয়া, ফুকুশিমা সহ জাপানের বিভিন্ন স্থান থেকে
প্রবাসীদের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। তাদের সকলকে মঞ্চে আসার অনুরোধ করে
ধন্যবাদ জানানো হয়।
গোটা অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে সংগীত পরিবেশন করে উত্তরণ শিল্পী গোষ্ঠি।
তাদের পরিবেশিত গান প্রবাসীদেরকে মুগ্ধ করে।
সবশেষে কোরবানির মাংস দিয়ে নৈশভোজে উপস্থিত অতিথিদেরকে আপ্যায়ন করা হয়।
অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে থেকেই পুরো অনুষ্ঠান স্থল লোকারণ্য হয়ে পড়ে। এক
পর্যায়ে হলে প্রায় দাঁড়ানোর মতো স্থান ছিলো না। অনেকেই পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
গোটা আয়োজনটি ছিলো অনেক গোছালো ও চমৎকার।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |