|
সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো টোকিও বৈশাখী মেলা
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
এপ্রিল ২১, ২০১৫ ।।
গত ১৯ এপ্রিল রোববার টোকিওর নিশিগুচি উদ্যানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাপান
প্রবাসীদের প্রাণের মেলা "টোকিও বৈশাখী মেলা ১৪২২ ও কারি ফেস্টিভাল"।
মেঘাচ্ছন্ন দিনেও প্রবাসীদের প্রবল উৎসাহ-উদ্দীপনার কোনো কমতি ছিলো না।
সকালের বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর মেলায় নামে প্রবাসীদের ঢল।
টোকিও বৈশাখী মেলা শুধুমাত্র একটি সাধারণ মেলাই নয়, প্রতি বছর টোকিও বৈশাখী
মেলা পরিণত হয় প্রবাসীদের এক বিশাল মিলন মেলায়। রাজধানী ও তার আশেপাশে
বসবাসরত হাজার হাজার প্রবাসী ছুটে আসেন একেবারে নির্ভেজাল বাঙালীদের এই
আয়োজনে। ফলে দেখা হয় অনেক পুরোনো বন্ধু-বান্ধবদের সাথেও। মেলায় বসে হরেক
রকমের দেশী খাবারের স্টল -সচরাচর ব্যস্ত প্রবাস জীবনে দেশী যে সব সুস্বাদু
খাবার চেহারা পর্যন্ত দেখা যায় না পান্তা-ইলিশ থেকে শুরু করে সে সব খাবার
মিলে যায় এই বৈশাখী মেলায়। আশেপাশে গোটা এলাকাতে হাঁটলে মনে হবে বাংলাদেশেই
আছি।
স্থানীয় জাপানিরাও এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন না। তারাও বসে যান বাংলাদেশের
স্বাদ পেতে -একেবারে থালা হাতে!
মেলার শুরুতে শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন আয়োজন, এরপর স্থানীয় জাপানি
সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং পরবর্তীতে আসে প্রবাসীদের স্থানীয় সাংকৃতিক সংগঠন গুলো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত
মাসুদ বিন মোমেন। বিশেষ অতিথি জাপান বাংলাদেশ পার্লামেন্টারী কমিটির
মহাসচিব সুকাদা ইচিরো'র বক্তব্য পাঠ করে শোনানো হয়। অন্যান্যদের মধ্যে
বক্তব্য রাখেন নিহন বাংলা কিওকাই'র প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশে জাপানের সাবেক
রাষ্ট্রদূত হরিগুচি মাৎসুহিরো, তশিমা-কুর স্থানীয় ডেপুটি মেয়র মিজুশিমা
মাসাহিকো এবং আয়োজক সংগঠন জেবিএস এর চেয়ারম্যান ওৎসুব ওসামু।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপান প্রবাসীদের সুপরিচিত দু'টি গ্রুপ
উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ এবং স্বরলিপি কালচারাল একাডেমি।
শিল্পীরা বেশ জমিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত
মানুষ তাদের গান উপভোগ করেছেন।
বৈশাখী মেলায় টোকিও সহ আশেপাশের অঞ্চল থেকে অসংখ্য প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন,
এছাড়াও ছিলেন দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা, প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক,
সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মেলার প্রধান সমন্বয়ক ডা. শেখ আলীমুজ্জামান সহ তার পুরো টিম অত্যন্ত সচেতন
ভাবে দায়িত্ব পালন করায় তাদেরকে প্রশংসা না দিয়ে উপায় নেই। অনুষ্ঠানে
উপস্থাপক ছিলেন জুয়েল আহসান কামরুল ও সহযোগিতায় ছিলেন মঞ্জুর মাহতাব ও
নারমিন হক।
WARNING:
Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly
prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|