স্বরলিপির ২২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীঃ জমজমাট আনন্দঘন কনসার্ট
কমিউনিটি
রিপোর্ট ।। অক্টোবর ১৪, ২০১৪ ।।
জাপান প্রবাসীদের প্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন স্বরলিপি কালচারাল একাডেমি টোকিও
প্রবাসী কমিউনিটির মাঝে আমাদের ঐতিহ্যবাহী ও মর্যাদাপূর্ণ বাংলা সাংস্কৃতির
সাথে যোগাযোগ রক্ষার দায়বদ্ধতার প্রত্যয় নিয়ে সূচনা লগ্ন থেকে স্বরলিপির এই
সম্মুখ যাত্রা। দীর্ঘ প্রায় দু'যুগ ধরে এই সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটি
প্রবাসীদের কর্মক্লান্ত জীবনে সামান্য অবসরে আমাদের দেশ সাংস্কৃতির সাথে
মেলবন্ধন ঘটিয়ে চলেছে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে।
স্বরলিপির বড় সাফল্য সূচনা থেকে তাদের প্রচেষ্টায় এ দেশে বেড়ে ওঠা দ্বিতীয়
প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা শেখানো ও বাংলা সাংস্কৃতির চর্চায় স্কুল পরিচালনা।
শত প্রতিকূলতার মাঝেও এটি এখনো চলছে এবং চলবে বলে মনে হয়।
হ্যাঁ মাঝখানে ক'টি বছর স্বরলিপির কার্যক্রম কেবলমাত্র স্কুলের কার্যক্রমের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিলো। কারণটি সেদিন মুনসী খ আজাদ, একাডেমীর প্রিন্সিপাল
হাকিম মোঃ নাসিরুল অকপটে বললেন। আমাদের বেশির ভাগ সদস্যই ভ্রাম্যমান। চাকুরি,
শিক্ষার কারণে জাপানে আসেন আবার চলে যান। তাই এই অবস্থা। তবে স্থায়ী এখন
অনেকেই তৈরি হচ্ছে। হয়তো বা এ সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে।
১২ অক্টোবর ২০১৪ রোববার টোকিওর তাকিনোগাওয়া কাইকানে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
অনুষ্ঠানে তাই সমাগম হয়েছিলো প্রচুর প্রবাসীর। প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে
নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সহ দূতাবাসের কর্মকর্তাররা
এবং প্রবাসী কমিউনিটির অনেকেই এই অনুষ্ঠানে আসেন। কনসার্টটি প্রবাসীদের মন
জয় করেছে। গান, নাচ, কৌতুক, নাটক সবকিছুতেই ছিলো পরিপক্কতার ছাপ। হল ভর্তি
মানুষ তা উপভোগ করেছেন। জাপানি দর্শকদের মুখে বাংলা গান ও আবৃত্তি অপূর্ব
হয়েছিলো। দর্শকরা মুহুমুহু করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ স্মরণিকাও প্রকাশ করা হয়।
প্রতিষ্ঠালগ্নের পর প্রায় দুই যুগ অতিবাহিত হয়েছে। এখন স্বরলিপিকে
কেবলমাত্রা একটি নাম নয় একটি প্রতিষ্ঠান। নামটি ধারণ করে অনেক গুলো চেতনা
কে। এই চেতনা সংস্কৃতি, সাহিত্য একটি আদর্শিক বাংলা সংস্কৃতির উপমা।
স্বরলিপি তুমি দীর্ঘজীবী হও।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |