কাদের মোল্লার রায় প্রত্যাখ্যান, ফাঁসির দাবি এবং অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার ত্বরান্বিত করার দাবিতে টোকিওতে সমাবেশ ও মানববন্ধন
@
@
কমিউনিটি রিপোর্ট ।। ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৩ ।।
মানবতা বিরোধী অপরাধী কাদের মোল্লার রায় প্রত্যাখ্যান, রায় পুনর্বিবেচনা ও
ফাঁসির দাবি এবং বিচারাধীন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবিতে টোকিও
শহীদ মিনারের সামনে
সচেতন নাগরিক সমাজ, জাপানের উদ্যোগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি, রোববার বিকেল সাড়ে ৪টায় এক সমাবেশ ও
মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। কনকনে শীত উপেক্ষা করে এদিন বিকেলে শতাধিক প্রবাসী
দূর-দূরান্ত থেকে সমাবেশে হাজির হন।
প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশে সাংবাদিক লেখক ফোরাম, জাপান'র সাধারণ সম্পাদক
আব্দুল ওয়াদুদ অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে বলেন, "বাংলাদেশকে রাজাকার মুক্ত করবো
-এটাই আমাদের একমাত্র প্রতিজ্ঞা। আজকে আমরা এই প্রতিজ্ঞার
দীপ্ত আলোকে
ইকেবুকুরোর শহীদ মিনারের সামনে সমবেত হয়েছি। রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা
আমাদের প্রতিজ্ঞা যে মূল্যে পূরণ করবো।" তিনি ম্যালা ব্যস্ততার মাঝেও সবাইকে
সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্যে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এরপর উপস্থিত প্রবাসীরা "ক-তে কাদের মোল্লা" "তুই রাজাকার তুই রাজাকার", "ফাঁসি
চাই ফাঁসি চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই" চমকপ্রদ শ্লোগানে শ্লোগানে মুখরিত করে
তোলেন পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গন।
প্রবাসীদের পাশাপাশি কয়েকজন বিদেশিও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। তাদের একজন জনৈক
মার্কিন নাগরিক বলেন, "'৭১ এর নিষ্ঠুরতার ন্যায় বিচার হোক এটাই দাবি করতে আজ
আমি এখানে এসেছি।"
সমাবেশে পিছিয়ে ছিলোনা শিশুরাও। তাদের হাতেও বিভিন্ন ধরণের প্ল্যাকার্ড নিয়ে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করতে দেখা যায়।
প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে নারী-পুরুষ, শিশু থেকে শুরু করে নবীন-প্রবীণ, দল-মত
নির্বিশেষে সকলের স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ দেখে অনেকেই বললেন -এ যেন শাহবাগের
ছোট্ট এক টুকরো জাগরণ জাগানো প্রজন্ম চত্বর।
বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মী সহ সর্বস্তরের প্রবাসী
বাঙালী সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এদিন ছিলোনা কোনো রাজনৈতিক ব্যানার -ছিলো
শুধু একটাই দাবি -স্বাধীন বাংলাদেশে অনতিবিলম্বে সব রাজাকারের ফাঁসি যে কোনো
মূল্যে চাই!
উল্লেখিত সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন -স্বরলিপি কালচারাল একাডেমির
সম্মানিত উপদেষ্টা মুন্সী আজাদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসেরুল হাকিম, বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সভাপতি ছালেহ মোঃ আরিফ, জাতীয় পার্টি -জাপানের সাধারণ
সম্পাদক নাবী উল্লাহ আসিফ, পদ্মা ফুডস লিমিটেড এর কর্ণধার বাদল চাকলাদার,
বৈশাখী মেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. শেখ আলীমুজ্জামান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ
জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আসলাম হীরা, সাংবাদিক কাজী ইনসানুল হক,
সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি সুখেন ব্রম্ম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাজী মাহফুজুল হক লাল, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের
প্রাক্তন সভাপতি অজিত বড়ুয়া, প্রবাসী কন্ঠ শিল্পী রওনক জাহান, বিশিষ্ট আওয়ামী
সংগঠক এম এ বাসিত, যুবলীগ জাপান শাখার সাধারণ সম্পাদক বি.এম.শাহজাহান, আওয়ামী
লীগ নেতা হারুনুর রশীদ, সংগঠক জাকির জোয়ার্দার, আওয়ামী লীগ নেতা মাসুদুর রহমান,
লিঙ্কার্স ট্যুরের সত্বাধিকারী আব্দুর রাজ্জাক, উত্তরণ সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির
সম্মানিত সদস্য বিমান কুমার পোদ্দার, যুবলীগ জাপান শাখার নেতা আকতার হাওলাদার,
লেখক শরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোল্লা ওহিদুল ইসলাম, দেশ-বিদেশ ওয়েব
পোর্টালের সম্পাদক তপন কুমার পাল, বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ফোরাম, জাপান'র
সভাপতি সজল বড়ুয়া, দশদিক এর নির্বাহী সম্পাদক গোলাম মাসুম, কবি মুকুল
মুস্তাফিজ, কমিউনিটি নিউজ এর সম্পাদক জেড এম আবুসিনা, আবৃত্তিকার জুয়েল আহসান
কামরুল, আলোচিত কবি মঈনুল ইসলাম মিল্টন, সাপ্তাহিক এর টোকিও প্রতিনিধি রাহমান
মনি, সংগঠক হোসাইন মুনির, সংস্কৃতি কর্মী বেলায়েত হোসেন তুহিন, বিবেকবার্তা
সম্পাদক পি আর প্লাসিড, সংস্কৃতি কর্মী নারমিন হক, বৈশাখী মেলা কমিটির সমন্বয়ক
নাসিমুস সালেহীন, সুপরিচিত কন্ঠ শিল্পী তানিয়া ইসলাম মিথুন, জাতীয় পার্টি জাপান
শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিরুপাক্ষ বড়ুয়া, টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি'র
গবেষক রুবেল দাশ, মুরাতা তোমোমি প্রমুখ।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.