প্রথমপাতা  

সাম্প্রতিক সংবাদ 

 স্বদেশ

আন্তর্জাতিক

বাংলাদেশ কমিউনিটি

লাইফ স্টাইল

এক্সক্লুসিভ

বিনোদন

স্বাস্থ্য

বর্তমানের কথামালা

 শিল্প-সাহিত্য

 প্রবাসপঞ্জী 

আর্কাইভ

যোগাযোগ

 

 

 

 

 

ফেরি থেকে পড়ে গিয়ে সাঁতরে সুদূর নির্জন দ্বীপেঃ শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গেলেন

 

 


কমিউনিটি রিপোর্ট ।। সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮ ।।

আগষ্টের ২৭ তারিখ সোমবার সন্ধ্যায় ফুকুওকা প্রিফেকচারের হাকাতা ঘাট থেকে এক যাত্রী ফেরিতে উঠেছিলেন শিকানোশিমা যাওয়ার উদ্দেশ্যে পথে ছিলো সাইতোজাকি স্টপ। যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন ৫৩ বছরের এক ব্যবসায়ী হিসাতেরু সোয়েজিমা।

পুরো যাত্রা পথের সময় ছিলো ৩০ মিনিট এবং এর প্রায় ২০ মিনিট ইতিমধ্যেই অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছিলো, ব্যবসায়ীটি ডেক এ উঠলেন সন্ধ্যা বেলার উপকূলীয় কিছু চমৎকার ছবি তোলার উদ্দেশ্যে। ছবি তুলতে তিনি এতোই মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে হঠাৎ তিনি ফেরি থেকে পড়ে যান।

বরফশীতল পানিতে হঠাৎ পড়ে যাওয়া এবং ঘনিয়ে আসা রাতের অন্ধকার চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি করলেও তিনি সাঁতার কাটা শুরু করেন।

কেউ তাকে পড়ে যেতে দেখেনি, তিনি কতদূর সাঁতার কেটেছেন তা বোঝা শক্ত কিন্তু দূরে তিনি একবিন্দু আলো দেখতে পেয়েছিলেন। আলোটি আসছিলো হাশিমা (শেষ দ্বীপ) থেকে এবং তিনি সেই বাতি লক্ষ্য করে সাঁতার কাটতে থাকেন। দুর্ভাগ্যক্রমে সেটি ছিলো একটি মানববসতিহীন একটি দ্বীপ যেখানে ছিলো একটি লাইট হাউজ আর শত শত গাছ।

সোয়েজিমা যখন হাশিমা'র উপকূলে পৌঁছান তখন তিনি ভয়ানক ক্লান্ত সাহায্য চাওয়ার মতো কোনো অবস্থাই তার ছিলো না। খাবার বা পানি ছাড়াই পরের দিন সারাটা দিন তিনি শুয়ে কাটিয়ে দেন এবং সামান্য যে শক্তিটুকু অবশিষ্ট ছিলো তা দিয়ে নিজেকে শক্ত করার চেষ্টা করেন। ফেরিটি মাত্র ২৮ জন যাত্রী বহন করলেও কেউ লক্ষ্য করেনি যে একজন যাত্রী নিখোঁজ হয়ে গেছেন।

যেহেতু কেউ তার খোঁজ করেননি সোয়েজিমা অপেক্ষাতে কাটিয়ে দেন অনেক্ষণ, পরে তিনি নিজেই নিজেকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। পরদিন অর্থাৎ আগষ্টের ২৯ তারিখ বুধবার সকালে তিনি দেখেন একটি মাছ ধরার নৌকা সামনে দিয়ে যাচ্ছে, তিনি হাত নেড়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন।

হাশিমা'র চারপাশে পানি এতো অল্প যে নৌকাটি কাছে ভীড়তে পারেনি কিন্তু একজন সেখানে থেকে নেমে সাঁতরে তার কাছে এক বোতোল স্পোর্টস ড্রিঙ্ক নিয়ে আসেন -চুমুকেই তিনি তা পান করে নেন।

মাছ ধরা নৌকাটি কোস্ট গার্ড'কে অবহিত করলে তারা এসে তাকে মানবসভ্যতায় ফিরিয়ে আনেন। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি, ওইদিন সকালেই তিনি ঘরে ফিরে যেতে সক্ষম হন। সোরানিউজ২৪।

  

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.

[প্রথমপাতা]