[প্রথমপাতা] |
টোকিওতে মুক্তিযুদ্ধের
উপর নির্মিত মোরশেদুল
ইসলাম পরিচালিত 'আমার
বন্ধু রাশেদ'র আকর্ষণীয়
প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
New Page 2
আলোকচিত্রঃ আব্দুল
ওয়াদুদ
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১২ ।।
প্রখ্যাত ধ্রুপদী
চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল
ইসলামের মুক্তিযুদ্ধ
ভিত্তিক চলচ্চিত্র 'আমার
বন্ধু রাশেদ' এর
প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়ে
গেলো গত ২৩ সেপ্টেম্বর
সন্ধ্যে সোয়া ৬টায়
টোকিওর আকাবানে বিভিও
হলে।
অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিলো
বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক
ফোরাম- জাপান।
প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা
করে সেদিন
অনেক দর্শক ছবিটি
দেখতে উপস্থিত হয়েছিলেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক,
সামাজিক, সাংস্কৃতিক
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ
ছাড়াও, বৃষ্টিমুখর
সন্ধ্যায় কয়েকজন জাপানি
সহ প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী
ও সাধারণ প্রবাসীদের
স্বতস্ফুর্ত আগমনে সেদিন
আনন্দঘন এক উৎফুল্ল
পরিবেশ সৃষ্টি
হয়।
সেদিনের টইটুম্বুর
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে স্বস্ত্রীক
উপস্থিত ছিলেন -জাপানে
নব নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন
মোমেন।
প্রদর্শনীর প্রারম্ভে
অভিজ্ঞ কুটনীতিক ও
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন
মোমেন এবং উল্লেখিত
চলচ্চিত্রের বরেণ্য পরিচালক মোরশেদুল ইসলাম
সংক্ষিপ্তাকারে বক্তব্য
রাখেন।
অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বটি
উপস্থাপনার দায়িত্বে
ছিলেন বাংলাদেশ
সাংবাদিক লেখক ফোরাম -জাপান'র
সভাপতি সজল বড়ুয়া।
চলচ্চিত্র নির্মাতা
মোরশেদুল ইসলাম ছবির
কাহিনীর পটভূমি ব্যাখ্যা
করে বলেন "এটি একদল
কিশোরের দেশের স্বাধীনতা
সহ আত্মরক্ষার লড়াই।
মুক্তিযুদ্ধের ৪০ বছর
পূর্তিতে ড. মুহম্মদ
জাফর ইকবালের উপন্যাস
অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম
প্রদর্শিত হয়। ছবিটি
তৈরি করার মূল উদ্দেশ্য
ছিলো
-আমাদের নতুন
প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
সম্পর্কে সচেতন করা।"
তিনি আরো বলেন- গল্পটি
আমার পছন্দের অন্যতম
কারণ হলো ছবির কিশোররা
ক্লাস সেভেন এর ছাত্র। মুক্তিযুদ্ধের
সময় আমিও একই বয়সী
ছিলাম। তিনি বৈরি
আবহাওয়ায়
ম্যালা ব্যস্ততার মাঝেও তাঁর
ছবিটি দেখতে আসার জন্যে
উপস্থিত দর্শকদেরকে পরম
কৃতজ্ঞতা জানান। একই
সাথে, ছবিটির প্রদর্শনী
ও তাকে টোকিওতে
আমন্ত্রণ জানানোর জন্যে
বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক
ফোরাম -জাপান'কে বিশেষ
ভাবে ধন্যবাদ জানিয়ে
তিনি সানন্দে বলেন "সাংবাদিক
লেখক ফোরাম প্রতিবছর
টোকিওতে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর
আয়োজন করে থাকে, যা অন্যান্য দেশে খুব একটা
হয়না। এটা আমাদেরকে
সত্যিই অনুপ্রেরণা দেয়।'
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন
মোমেন তাঁর নাতিদীর্ঘ
বক্তব্যে এমন একটি
প্রয়োজনীয় চলচ্চিত্র
নির্মাণের জন্য
মোরশেদুল ইসলামকে
কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি
আগামী প্রজন্মকে
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস
সম্পর্কে সচেতন করার
লক্ষ্যে এ ধরনের ছবির
গুরুত্বের কথা
বিশেষ ভাবে উল্লেখ
করেন।
জনাব মোমেন
আরো বলেন-
আগামীতে বাংলাদেশ থেকে
আসা সম্মানিত
অতিথিবৃন্দকে দূতাবাসে
অবশ্যই স্বাগত জানানো হবে।
তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক
লেখক ফোরামের এমন ধরনের
উল্লেখযোগ্য কাজের
প্রশংসা করে, ফোরামকে
ধন্যবাদ জানিয়ে, ভবিষ্যতে
প্রয়োজনে একসাথে কাজ করার
অংগীকার ব্যক্ত করেন।
তাঁদের দু'জনের
বক্তব্যের পর শুরু হয়-
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক
চলচ্চিত্র প্রদর্শনী 'আমার
বন্ধু রাশেদ'।
ছবিটি
প্রদর্শনের পর
দ্বিতীয় পর্বটি সাজানো
হয় দর্শকদের
প্রশ্নোত্তরের মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠানের এ
অংশটি পরিচালনা করেন
সাংবাদিক কাজী ইনসানুল
হক।
ছবিটির উপর প্রশ্নোত্তর
পর্বে অংশ গ্রহণ করেন-
ছালেহ মোঃ আরিফ, নূর এ
আলম নূর আলী, কামরুল
আহসান জুয়েল, মীর
রেজাউল করিম রেজা, সোমা
জাবিন, শরাফুল ইসলাম,
রাহমান মনি, কাজী
আসগর
আহমেদ সানি, নাজিম
উদ্দিন, নারমিন হক, এম
এ এম শাহিন ও দিলমাত আরা।
উল্লেখ্য, 'আমার বন্ধু
রাশেদ' ছবিটি
নিয়ে ফুকুওকা
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র
উৎসবে প্রদর্শনের
উদ্দেশ্যে মোরশেদুল
ইসলাম গত ১৪ সেপ্টেম্বর
জাপান আসেন। ২১
সেপ্টেম্বর তিনি
বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক
ফোরাম- জাপান'র আমন্ত্রণে টোকিও আসেন
এবং ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন
করেন।
সেদিনের
অনুষ্ঠানটির
পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন পদ্মা
ফুডস লিঃ জাপান'র
কর্ণধার বিশিষ্ট
ব্যবসায়ী বাদল চাকলাদার।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|