[প্রথমপাতা] |
১৫ আগষ্ট স্মরণে টোকিওতে
জাতীয় শোকদিবস উদযাপন
New Page 2
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
অগাষ্ট ২৮, ২০১২ ।।
গত ২৬ আগষ্ট বিকেল
পাঁচটায় টোকিওর মিনামি
ওৎসুকা হলে বাংলাদেশ
আওয়ামী লীগ, জাপান
শাখার উদ্যোগে জাতীয়
শোক দিবস পালন করা হয়।
দলের সাধারণ সম্পাদক
ছালেহ মোঃ আরিফের
উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন
বাংলাদেশ থেকে আগত
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক
সম্পাদক সংসদ সদস্য
খালিদ মাহমুদ চৌধুরি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগ, জাপান শাখার সভাপতি
কাজী মাহফুজুল হক লাল।
অনুষ্ঠানের সর্ব প্রথমে
বাংলাদেশের স্থপতি
বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার
ও '৭৫ এর ১৫ আগষ্টে
নিহত অন্যান্যদের স্মরণে
উপস্থিত সবাই এক মিনিট
দাঁড়িয়ে সশ্রদ্ধ নিরবতা
পালন করেন।
প্রধান অতিথি খালিদ
মাহমুদ চৌধুরি তাঁর ১
ঘন্টা ১৫ মিনিটের
মূল্যবান বক্তব্যের
শুরুতেই প্রবাসের শত
ব্যস্ততার মাঝেও দেশের
প্রতি ভালোবাসার কারণে
রাজনীতিতে সময় দেয়ার
জন্য সংশ্লিষ্টদের
বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ
জানান। তিনি বলেন, '৭৫
এর ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশকে
একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে
পরিণত করতে শতাব্দীর
মহানায়ক বঙ্গবন্ধুকে
স্বপরিবারে হত্যা করা
হয়। '৭৫ পরবর্তী সরকার
সে'সব হত্যাকারীদের
নানাভাবে পুনর্বাসন করে।
তারা দেশ বিরোধী -স্বাধীনতা
বিরোধী চক্রের হাতে তুলে
দিয়েছিলো জাতীয় পতাকা।
সে সময় জিয়াউর রহমান
শাহ আজিজের মত কুখ্যাত
স্বাধীনতা বিরোধীকে
বানিয়েছিলো দেশের
প্রধানমন্ত্রী। রাজাকার
নিজামির গাড়িতেও উঠেছিলো
দেশের পতাকা। তারা
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও
জেলহত্যার সাথে জড়িত
খুনীদেরকে মুক্তি দেয়ার
জন্য তৈরি করেছিলো
কলঙ্কজনক ইনডেমনিটি আইন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা
বিরোধীদের রক্ষার জন্যই
বিরোধীদল গুলো বর্তমানে
দেশে বিশেষ ক্ষতিকর
তুমুল বিশৃংখলা সৃষ্টি
করছে।
সংসদ সদস্য খালিদ
মাহমুদ চৌধুরি আরো বলেন,
দেশ স্বাধীন হবার ঠিক
দু'দিন আগে একাত্তরের
১৪ ডিসেম্বর
পাকিস্তানীদের এ দেশীয়
দোসররা আমাদের দেশকে
মেধা শূন্য করতে হত্যা
করে দেশের সম্পদ
বুদ্ধিজীবিদেরকে। গেলো
কয়েক বছর ধরে বিরোধী
দলগুলো প্রপাগান্ডা
ছড়াচ্ছে আওয়ামী লীগ নাকি
ধর্ম মানেনা। কিন্তু
প্রকৃত পক্ষে আওয়ামী
লীগ কখনই ধর্ম বিরোধী
কোনো কাজ করেনি।
ভবিষ্যতেও তার
ব্যাতিক্রম হবেনা। তিনি
জাপান প্রবাসীদেরকে
বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ ও
কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন,
জাপান প্রবাসী বাঙালীরা
টোকিওর বাংলাদেশ
দূতাবাসে একসময়ে কর্মরত
বঙ্গবন্ধুর
হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত
জনৈক কাউন্সিলারকে সে
সময়ে জাতীয় পতাকা
উত্তোলণ না করতে বাধ্য
করেছিলেন।
তত্বাবধায়ক সরকার
প্রসঙ্গে জনাব চৌধুরি
বলেন, আওয়ামী লীগ যখন
তত্বাবধায়ক সরকারের
দাবি জানিয়েছিলো -সে
সময় আমরা তার রূপরেখা
উপস্থাপন করেছিলাম।
কিন্তু বিএনপি আজ
পর্যন্ত কোনো রূপরেখা
দাঁড় করাতে পারেনি।
আমরা তো উচ্চ আদালতের
আদেশ পালন করেছি মাত্র।
আদালত নির্দেশ দিয়েছে,
একজন বিচারপতি
তত্বাবধায়ক সরকার
প্রধান হতে পারেন না।
তিনি তথ্য সহকারে বলেন,
সরকার কারো বিরুদ্ধে
মিথ্যা মামলা করেনি,
হরতালে সহিংসতা
প্রতিরোধ করতে মামলা
করেছে মাত্র। তিনি
সরকারের সফলতার কিছু
দিক বর্ণানা করে বলেন,
এমন একটা সময় ছিলো যখন
বিদ্যুৎ মন্ত্রী সংসদে
মেরুদন্ড সোজা করে
দাঁড়াতে পারতেন না -অথচ
এখন চাহিদার বেশি
বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।
এবারের ঈদে মানুষ
নির্বিঘ্নে যাতায়াত
করতে সক্ষম হয়েছেন। একই
সাথে রমজানের সময়
দ্রব্যমূল্য বাড়েনি।
সবশেষে তিনি নির্বাচনের
আগ মুহূর্তে দেশের
স্বার্থে প্রবাসে
আওয়ামী লীগের ঐক্য
বিশেষ ভাবে কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কাজী
মাহফুজুল হক লাল জাপান
আওয়ামী লীগে ঐক্যের
আহ্বান জানিয়ে বলেন,
আমি জাপান আওয়ামী লীগের
ঐক্যের স্বার্থে যে
কোনো ধরনের ত্যাগ
স্বীকার করতে রাজি আছি।
তিনি অনুষ্ঠানে আসার
জন্য সবাইকে আন্তরিক
ধন্যবাদ জানান।
প্রসঙ্গত, প্রধান
অতিথির বক্তব্যকে
প্রাধান্য দেয়ার কারণে
সেদিন স্থানীয়
নেতৃবৃন্দ বক্তব্য
প্রদানে বিরত থাকেন।
সেদিনের সফল অনুষ্ঠানের
সার্বিক সহযোগিতায়
ছিলো- বাংলাদেশ আওয়ামী
যুবলীগ, জাপান শাখা ও
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ,
জাপান শাখা।
সবশেষে সকলকে নৈশ ভোজে
আপ্যায়ন করা হয়।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |
|