[প্রথমপাতা]

 

 

 

টোকিওতে সানন্দ বৈশাখী মেলা

 

New Page 2

 

 

কমিউনিটি রিপোর্ট ।। এপ্রিল ২১, ২০১৪ ।।

টোকিওতে বিপুল আনন্দ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পঞ্চদশ বৈশাখী মেলা ও কারি ফেস্টিভাল। রোববার ২০ এপ্রিল টোকিওর নিশিগুচি উদ্যানের শহীদ মিনারের পাশে জাপান প্রবাসী বাঙালীদের মধুর মিলন স্থলে বসে টোকিও বৈশাখী মেলা। শনিবার রাতের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর রোববার সকালের হিম হিম ঠান্ডাতেও নাড়ির টানে জাপান প্রবাসীরা সবাই যেন ছুটে গিয়েছিলেন এই প্রাণের মেলায়।

টোকিও বৈশাখী মেলার সবচেয়ে আকর্ষনীয় দিক হলো, মেলা স্থলে পৌঁছানোর অনেক আগেই আপনার মনে হবে -বোধ হয় বাংলাদেশেই এসেছি! শত শত চেনা-অচেনা দেশীমুখ ছুটেছেন একই দিকে। আর মেলাস্থলে তো বোঝারই উপায় নেই যে আপনি বিদেশে, এ যেন এক অনন্য বাঙালী পাড়া, যেন এক টুকরো আমার বাংলাদেশ!

বৈশাখী মেলার প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশের প্রখ্যাত চিত্রশিল্পি হাশেম খান। অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে জেবিএস এর ওৎসুবো ওসামা, এবং তোশিমা কু'র ডেপুটি মেয়র মিজুশিমা মাসাহিকো।

প্রতিবারের মত এবারও দিনের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিলো বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা, ছোটদের চিত্রাঙ্কন এবং কবিতা, নাচ, গান ইত্যাদি।

জাপানি নৃত্যদল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে নৃত্য পরিবেশন করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন জাপান প্রবাসীদের সুপরিচিত দু'টি গ্রুপ উত্তরণ কালচারাল গ্রুপ এবং স্বরলিপি কালচারাল একাডেমি।

 

বিকেলে মেলায় অংশ নেন বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রিত শিল্পি সাজ্জাদ হোসেন পলাশ এবং শাহনাজ রহমান স্বীকৃতি। যন্ত্রসংগীতে আমন্ত্রিত অতিথি গিটার রিচার্ড কিশোর, ড্রামে মো. আলমগীর হোসেন, কি-বোর্ড রূপতনু দাশ শর্মা। বাংলাদেশের শিল্পীরা বেশ জমিয়ে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষ তাদের গান উপভোগ করেছেন।


বৈশাখী মেলায় টোকিও সহ আশেপাশের অঞ্চল থেকে অসংখ্য প্রবাসী উপস্থিত ছিলেন, এছাড়াও ছিলেন দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা, প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শনিবার বিকেল থেকেই সকলে নেমে পড়েন মঞ্চসজ্জা আর মেলার কার্যক্রমে। বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে বিপুল উৎসাহ নিয়ে রাতের মধ্যেই তারা সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন।

এবারের মেলা ছিলো অনেক বেশি গোছালো। পুরো মেলা প্রাঙ্গন ছেয়ে ফেলা হয় নীল পলিথিনে যাতে মেলাস্থলে যেন ময়লা আবর্জনা না জমতে পারে।

মেলার প্রধান সমন্বয়ক ডা. শেখ আলীমুজ্জামান সহ তার পুরো টিম অত্যন্ত সচেতন ভাবে দায়িত্ব পালন করায় তাদেরকে প্রশংসা না দিয়ে উপায় নেই। মঞ্চের সার্বিক সমন্বয়ক হোসাইন মুনির, সহযোগিতায় বিমান পদ্দার, মঞ্চসজ্জা লিপু ও মুনির, প্রধান উপস্থাপক জুয়েল আহসান কামরুল ও সহযোগিতায় মঞ্জুর মাহতাব, ও মুক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মিথুন ও আইকো ইফা, শিশুদের অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ববিতা পোদ্দার।

 

 

WARNING: Any unauthorized use or reproduction of 'Community' content is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action. 
 

[প্রথমপাতা]