বিএনপি
জাপান শাখার
সংবাদ সম্মেলন
কমিউনিটি রিপোর্ট ।।
ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১২ ।।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
দল বিএনপি জাপান শাখা
রবিবার টোকিওর
ইকেবুকুরোর তোশিমা
কুমিন সেন্টারে এক
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে। সম্প্রতি দল থেকে
বহিস্কৃত
কয়েকজন
বিভিন্ন বিভ্রান্তি
ছড়ানোর চেষ্টা করলে
বিভ্রান্তি দূর করতে
জাপান শাখা বিএনপি এই
সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন
করে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য
রাখেন সংগঠনের সভাপতি
আলহাজ নূর-এ-আলম (নূরআলী),
সাধারণ সম্পাদক মীর
রেজাউল করিম রেজা,
উপদেষ্টা কাজী এনামুল
হক, তৌহিদুল আলম রিপন,
সিরাজুল কাদের,
ফয়সাল
সালাহউদ্দিন, মোবারক
হোসেন,
জামালউদ্দিন, রাহুল পারভেজ
জিতু, মাসুদ রানা,
দিদারুল আলম রোমেল
প্রমুখ।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে
জাপান শাখা বিএনপির
অতীতের বিভিন্ন ঘটনার
কথা উল্লেখ করে বলেন,
ইলিয়াস মুন্সী কখনই
বিএনপির রাজনীতিতে
ছিলেননা। তারা বলেন
২০০৯ সালে যখন বিএনপির
কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে
প্রয়াত মহাসচিব
খোন্দকার দেলোয়ার
হোসেন সাক্ষরিত এবং
বিএনপি চেয়ারপার্সন
দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার
নিকট থেকে আলহাজ
নূর-এ-আলম (নূরআলী)
সভাপতি এবং মীর রেজাউল
করিম রেজা সাধারণ
সম্পাদক জাপান বিএনপি
অনুমোদন পায় তখন এরকম
একটি সংবাদ সম্মেলনে
বহিস্কৃত সাংগঠনিক
সম্পাদক জাকির হোসেন
মাসুম বিভিন্ন প্রশ্নের
জবাব দিয়ে ইলিয়াস
মুন্সীর কমিটিকে অবৈধ
বলেছিলো। অথচ আজ তিনি
ভোল পাল্টে সেই অবৈধ
কমিটির সাথে জোট
বেঁধেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তারা
দলের প্রয়াত মহাসচিব
খোন্দকার দেলোয়ার
হোসেনের সাক্ষর জালিয়াতি
করার বিভিন্ন প্রমান
সাংবাদিকদের সম্মুখে
হাজির করেন।
বক্তারা একটি পত্রিকায়
মীর রেজাউল করিম রেজাকে
সন্ত্রাসী
আখ্যায়িত করার নিন্দা জানিয়ে
বলেন এসব হলুদ
সাংবাদিকদেরকে সামাজিক
ভাবে প্রতিহত করা উচিত।
আলহাজ নূর-এ-আলম তার
বক্তব্যে বলেন, তারা
যাই হোক বিএনপির সমর্থক
কিন্তু তারা জিয়ার
জন্মবার্ষিকী করতে
আওয়ামী লীগের দলছুট
নেতাদের সাহায্য নিয়ে
অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন
তাতে আমাদের লজ্জা হয়।
মীর রেজাউল করিম রেজা
বিভিন্ন সময়ে এসব
সুবিধাবাদী নেতাদের
কার্যক্রমের বিবরণী এবং
কিভাবে তারা বেগম খালেদা
জিয়ার কাছ থেকে অনুমোদন
আনলেন তার বিস্তারিত
বর্ণনা তুলে ধরে বলেন,
দলের সাবেক এসব নেতারা যদি ভুল বুঝতে পেরে
আবার ফিরে আসে -আমরা
অতীতের সব ভুলে যাবো।
অনুষ্ঠানে
বক্তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন
অঞ্চলের বাসিন্দা
উল্লেখ করে জাপান শাখা
বিএনপিতে আঞ্চলিকতার
অভিযোগকে উড়িয়ে দেন।
বিএনপি কর্মী দিদারুল
আলম উপস্থিত
সাংবাদিকদের সামনে ক্ষমা
চেয়ে স্বীকার করেন যে
তিনি বহিস্কৃত নেতাদের
প্ররোচনায় মহাসচিবের
সাক্ষর জালিয়াতির সাথে
জড়িত ছিলেন। দীর্ঘ দিন
তিনি দেশে থাকা ও
কর্মব্যস্ততার কারণে
এতোদিন সর্বসম্মোখে
উপস্থিত হয়ে ক্ষমা চাইতে
পারেননি। পাশাপাশি তিনি
প্রতিজ্ঞা করেন ভবিষ্যতে
যে কোন পরিস্থিতিতে তিনি
এ ধরনের কোন কাজ থেকে
বিরত থাকবেন।
অনুষ্ঠানে মিডিয়া
কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন, বাংলাদেশ
সাংবাদিক লেখক ফোরাম
জাপানের
সভাপতি সজল বড়ুয়া,
পরবাস সম্পাদক কাজী
ইনসানুল হক, দশদিক
সম্পাদক সানাউল হক,
সাপ্তাহিক এর জাপান
প্রতিনিধি রাহমান মনি,
ফ্রি-ল্যান্স সাংবাদিক হাসিবুল হাসান আরিফ এবং
কমিউনিটি সম্পাদক জেড
এম আবুসিনা।
সভাপতি আলহাজ নূর-এ-আলম সবাইকে
ধন্যবাদ জানিয়ে
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি
টানেন।
সবশেষে সবাইকে আপ্যায়িত
করা হয়।
WARNING:
Any unauthorized use
or reproduction of
'Community' content is
strictly prohibited
and constitutes
copyright infringement
liable to legal
action.
[প্রথমপাতা] |